নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজা সিদ্দিক

রেজা সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবারের মে দিবস! নিরাপত্তাটাই প্রধান বিবেচ্য হোক

০১ লা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

বাংলাদেশ থেকে যে পোষাক রপ্তানী হয় তার ৯০ শতাংশের আদেশ পায় দেশের ২০০টি কোম্পানি বা বায়িং হাউস। বাকী ১০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ৯০ শতাংশ কারখানায়। যে সব প্রতিষ্ঠান ভাল কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তারাই বেশি অর্ডার পাচ্ছে। অনেক কারখানয় শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, মাতৃত্বকালীন ছুটি চালু আছে। বেতনও পরিশোধ করা হচ্ছে নিয়মিত। মাত্র কয়েকটি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জন্য গার্মেন্টস সেক্টর যেমন হুমকির মাঝে তেমনি দেশের ইমেজও হুমকির মাঝে।

যারা ব্যবসায় করবেন- তাদের যদি নৈতিকতাবোধ না থাকে, শ্রমিকদের প্রতি যদি সঠিক দায়িত্ব পালন না করে তাহলে তাদের ব্যবসায়ের অধিকার হরণ করা উচিত।

একজন রাজনীতিক যদি দুর্নীতির দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হন তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন না, একজন শিক্ষক যদি পরীক্ষা কাজে দুনীতি করেন তাহলে তিনি শিক্ষক থাকেন না- তাহলে একজন মুনাফাখোর ব্যবসায়ী কেন ব্যবসা করার অধিকার পাবেন?

গার্মেন্টস শিল্পটি শ্রমনিবিড়। একারণে এখানে ঝুকি বেশি। ঝুকি বেশি মুনাফাও বেশি। এ জন্য গামেন্টস সেক্টরকে গ্রুপ বীমায় বাধ্য করা উচিত। শ্রমিকদের নিরাপত্তাকে ১ নম্বর হিসেবে বিচেনা করা উচিত। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম সহ্য করা উচিত নয়। বিজিএমইএর নেতারা ভোটের রাজনীতির জন্য এগুলো নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। নাকের ডগায় কিছু সমস্যা এলো, তার একটা তাৎক্ষণিক সমাধান করেই সব ভূলে যাওয়া। এগুলো সবই প্রতারণার সামিল।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর মহিলাদের কর্মসংষ্থান করেছে, এবং তাদের জীবন মান উন্নত করার জন্য কাজ করছে। কিন্তু একই সাথে গার্মেন্টস কর্মীরা নিয়মিত বেতন না পাওয়া, মালিকদের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।

সকালে অনেক সময় দেখি আশুলিয়ায় - জিরাবো-নরসিংহপুর এলাকায় গার্মেন্টস মেয়েদের কত অশালীন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। বাসের কন্ডাক্টর, টেম্পুর ড্রাইভার, মুদি দোকানদারদের বিকৃত আচরণ সহ্য করেই এরা টিকে থাকেন। আবার এমন ঘটনাও আছে স্বামীরাও সারাদিন ধান্ধাবাজি করে মাস গেলে বেতনটা নিয়ে নেন।

সভ্য সমাজে গার্মেনটস কনাদের অনেকে দেখেন নাকি সিটকিয়ে।

কর্মসংস্থানের এই ক্ষেত্রকে আরো উন্নত পরিবেশে নিয়ে যাওয়া দরকার। সেটা কারখানার ভিতরে এবং বাইরে।

এমনিক উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কিছু গার্মেন্টস বন্ধ করে দেওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি হলে অন্যরা এক্ষেত্রে সতর্ক হবে। আর বিকল্প হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে কমসংস্থানের দিকে বেশি দৃষ্টি হবে যেখানে মূল্য সংযোজন বেশি হবে। বিদেশে দক্ষ এবং আধা দক্ষ কর্মী রপ্তানীও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

গার্মেন্টস এ বেশি লোক কাজ করে এই অজুহাতে তাদের অপরাধ মার্জনা করার প্রবণতা কমাতে হবে।

সেদিন প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন-- ভবন মালিক রানাই নাকি কর্মীকে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। এখানেও মালিকদের দোষ আড়াল করার চেষ্টা। রানা যদি কর্মীদের ডেকে এনেই থাকে তাহলে নড়বড়ে ভবনে জেনারেটর চালিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত কে দিয়েছিল?



আজ মহান মে দিবস। এতটা বছর পার হয়ে গেলো- কিন্তু আমাদের দেশের ম্রমিকরা এখনো ক্রীতাদাস থেকে গেল। কাগুজে শ্রম অধিকার আর বাস্তবে ধনবাদী সমাজ যেখানে বিরাজমান সেখানে প্রতিটি কর্মস্থলই হয়ে উঠতে পারে মৃত্যুকূপ।

আজকের জনমতকেই তৈরি করতে হবে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।

এই নিরাপত্তা হচ্ছে:

১. কাজের নিরাপত্তা- যে কোনো সময় সামান্য অজুহাতে কাজ চলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

২. ন্যায়সঙ্গত মজুরির নিরাপত্তা: যথাসময়ে যথার্থ মজুরি পরিবোশ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. কর্মস্থালের নিরাপত্তা: আগুনে পুড়ে, ভবস ধ্বসে, হুড়োহুড়িতে যে দুঃখজনক মৃত্যুবরণ করতে না হয়।

৪. পারিপার্শ্বিক নিরাপত্তা: রাস্তা ঘাটে, বাসে , বাজারে দোকানে যেন সুস্থ পরিবেশে এই শ্রমিকরা তাদের সম্মান মর্যাদা বজায় রাখতে পারে।

এরা শ্রমিক হতে পারে-- কিন্তু কারো না কারো বাবা, মা, ভাই বা বোন। তাদের পরিবারে তাদের একটা সম্মান আছে। এই সম্মান তাদের প্রাপ্য। আর অন্যকে সম্মান দিলে তো কারো সম্মানে টান পড়ে না, বরং তা আরো বাড়ে।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ই নিরাপত্তা হচ্ছে:
১. কাজের নিরাপত্তা- যে কোনো সময় সামান্য অজুহাতে কাজ চলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
২. ন্যায়সঙ্গত মজুরির নিরাপত্তা: যথাসময়ে যথার্থ মজুরি পরিবোশ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. কর্মস্থালের নিরাপত্তা: আগুনে পুড়ে, ভবস ধ্বসে, হুড়োহুড়িতে যে দুঃখজনক মৃত্যুবরণ করতে না হয়।
৪. পারিপার্শ্বিক নিরাপত্তা: রাস্তা ঘাটে, বাসে , বাজারে দোকানে যেন সুস্থ পরিবেশে এই শ্রমিকরা তাদের সম্মান মর্যাদা বজায় রাখতে পারে।
এরা শ্রমিক হতে পারে-- কিন্তু কারো না কারো বাবা, মা, ভাই বা বোন। তাদের পরিবারে তাদের একটা সম্মান আছে। এই সম্মান তাদের প্রাপ্য। আর অন্যকে সম্মান দিলে তো কারো সম্মানে টান পড়ে না, বরং তা আরো বাড়ে।

সহমত

০১ লা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪১

কালোপরী বলেছেন: একমত

০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.