নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজা সিদ্দিক

রেজা সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরাই একদিন মেধাবী হবেন

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

এরাই একদিন মেধাবী হবেন

৫ বিষয়ে ফেল করে দ্বিতীয় বর্ষে যাওয়ার আন্দোলন করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তারা চাইছেন ৫ এক বিষয়ে পাশ করলেও যাতে দ্বিতীয় বর্ষে যাওয়া যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অদ্ভুত নিয়ম চালু ছিল আগে থেকেই আর এ কারণে গত কয়েক বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নেমে গেছে। বছরের পর বছর ক্লাসে অনুপস্থিতি অতঃপর রাজনৈতিক বা অন্য বিবেচনায় ফরম পূরণের সুযোগ এবং পরীক্ষার হলে নকল বা দেখাদেখি করে পরীক্ষায় পাস- টিউটরিয়াল বা ভাইবাতে অতিরিক্ত নম্বর আদায় এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছেন আমাদের ভবিষ্যত।

দোষটা এদের যতটা তার চেয়ে বেশি কর্তৃপক্ষের। গণহারে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স প্রদান- কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে এই অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে কলেজের জন্য ব্যবসা। প্রথম বছর অধিভূক্তির জন্য যে সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন সেটি কোনো ভাবে দেখিয়ে তার পর শিক্ষক ছাড়াই চলে অনার্স কোর্স। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০০ ভর্তি হলে ক্লাস করে ৩০/৪০ জন। প্রথম বছর এর পর ২য় বষে এই উপস্থিতি ১০/২০ শতাংশে নেমে আসে। ৩য় আর ৪র্থ বর্ষে কখন ক্লাস হয় আর কখন পরীক্ষা হয় তাও বোঝা যায় না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি ঢাকা শহরের অনেক নামকরা কলেজের ছাত্ররা পরীক্ষার হলে কি করেন। আসন পরিকল্পনা বাদ। যেখানে খুশী সেখানে বসে পরীক্সা দেওয়া- আরেকজনের খাতা দেখা এগুলো অধিকারের মতো।

এমনিভাবে ক্লাস করে, এমনিভাবে পরীক্সা দিয়ে, ৫ বিষয়ে ফেল করে তাদের ২য় বর্ষে উন্নীত করার আন্দোলন করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চাপের মুখে তা দিয়েও দেবেন। আর এই পন্থায় পাশ করে আমাদের শিক্ষার্থীরা একদিন নিজেদের মেধাবী বলে দাবী করবেন আর আমাদের অবশ্য সেই তালে বাতাস দিতে হবে।

প্রকৃত অর্থে যারা পরিশ্রম করে জ্ঞান অর্জন করে তাদের শ্রমটিও এখানে ব্যর্থ হয়। তারা যখন চোখের সামনে অন্যের এমস আচরণ দেখে তখন তারাও কি সুযোগটি নেওয়ার চেষ্টা করবেন না? বলতে পারেন জতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন হয়। অন্য কোথায় কি হয় তা তারাই বলতে পারেন- তবে শুদ্ধতার সংকট সর্বত্রই বিদ্যমান। আর একারণে পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল দূর্নীতির কথা।

সাধারণভাবে সবচেয়ে গরীব ও মাঝারী মানের শিক্ষার্থীরাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানটি এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। আসলে এই প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ঢুকে একাডেমিক পরিবেশটিই নষ্ট করেছে। তাছাড়া কর্তা ব্যক্তিরা এখানে আসা যাওয়া করেছেন বটে কিন্তু কমিটমেন্ট ছিল এর প্রমাণ আদৌ দৃশ্যমান হয় নি। আর এভাবেই চলছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মেধাবী তৈরির প্রক্রিয়া।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: সার্টিফিকেট পাইলেই হয়। পড়াশুনার দরকার কি?

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: পরীক্ষায় পাশের জন্য পড়াশুনা করতে হয়। আন্দোলন নয়। আন্দোলন করে শিক্ষিত হওয়া যায় না।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সব কলেজের শিক্ষার্থীরাই দেখাদেখি করে বলাটা যুক্তিযুক্ত না।
এমন অনেক কলেজ আছে, যেখানে ঠিকই ৭৫ পার্সেন্ট ক্লাশ উপস্থিতি রাখতে হয়। চতুর্থ বর্ষে হয়তো ছাড় পায় কিছুটা।

আর ৫ বিষয়ে অনুত্তীর্নকে এলাঊ মানা গেলো না।
সর্বোচ্চ ২ হতে পারে।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: সব কলেজকে এক করেছি তা কিন্তু নয়। বলা হয়েছে অনেক কলেজে। আর উপস্থিতির বিষয়টি অধিকাংশ কলেজে। বিষয়টি একাডেমিক দিক থেকে দেখা দরকার- ইমোশনাল দিক থেকে নয়।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

সত্যযুগের মানুষ বলেছেন: মেধাবীদের নিয়ে আপনার চুলকানির কারণটা বুঝলাম না। এই সমস্যার দায় তো মেধাবীদের না। "এরাই একদিন মেধাবী হবেন"- মানে কি?

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনার আবেগটাও তো বুঝলামনা। আমি তো প্রকৃত মেধাবীদের বলিনি।

"প্রকৃত অর্থে যারা পরিশ্রম করে জ্ঞান অর্জন করে তাদের শ্রমটিও এখানে ব্যর্থ হয়। তারা যখন চোখের সামনে অন্যের এমস আচরণ দেখে তখন তারাও কি সুযোগটি নেওয়ার চেষ্টা করবেন না?"

আসল বিষয়টিতে চোখ দিন আসে পাশে দিয়ে ঘোরেন কেন?

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: মেধাবী সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় আমি হতাশ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাস, শিক্ষকদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেলে বেশি নম্বর পাওয়া চেস্টা। চাকুরির পরীক্সায় প্রশ্ন ফাস। এগুলোতে কতকগুলো বিতর্ক জন্ম দেয়। যারা পাশ করে তারা চেপে যায়। যারা ফেল করে তারা দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রশ্ন তুলে অনেকেই আন্দোলন করে। মেধাহীন মেধাবীদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাক।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষা নীতি আর নষ্ট রাজনীতি র কারনে
বিশ্ব বিদ্যালয়ে সেসন জট লেগেই থাকে , যার প্রভাবে সঠিক সময়ে
একটা মেধাবি ছাত্র তার শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারেনা , আর
শেষ পর্যায়ে দেখা যায় যে চাকুরী সময়সীমা ও থাকেনা ফলে
কি হয় । বাউন্দুলে না হয় বিদেশ যাত্রা না হয় কোন আনাড়ি এঞ্জিও এর ভাসমান হকার ।।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : বাংলাদেশের শিক্ষা নীতি আর নষ্ট রাজনীতি র কারনে
বিশ্ব বিদ্যালয়ে সেসন জট লেগেই থাকে , যার প্রভাবে সঠিক সময়ে
একটা মেধাবি ছাত্র তার শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারেনা , আর
শেষ পর্যায়ে দেখা যায় যে চাকুরী সময়সীমা ও থাকেনা ফলে
কি হয় । বাউন্দুলে না হয় বিদেশ যাত্রা না হয় কোন আনাড়ি এঞ্জিও এর ভাসমান হকার ।।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: বাউন্দুলে না হয় বিদেশ যাত্রা না হয় কোন আনাড়ি এঞ্জিও এর ভাসমান হকার ।।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে পূনর্বিন্যাস জরুরী।
আর একটা বিষয় হলো, শিক্ষায় নতুন কিছু সংযোজনের আগে তার প্রস্তুতি থাকা চাই।
এদেশে এমন টা হলো কখন?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা'র অনার্স কোর্সগুলো বিবিএ করা হয়েছে, ভালো উদ্যোগ।
কিন্তু তার আগে শিক্ষকদের পুরোপুরি প্রস্তুত করা হইছে?
সিজিপি তে গ্রেডিং একটা ফ্যাক্টর।
ক্লাশ থাকা অবস্থায় ৬০ পার্সেন্ট ই টার্গেট থাকতো, এবং টিচাররা কোন খাতা মার্কিং করায় এ বিষয়টা নজরে রাখতেন।
কিন্তু সিজিপি তে মার্কিং অনেকটাই উদার হস্তে হয়, যারা খাতা দেখতেছে তারা কি পার্থক্যটা বুঝতে পারছেন?
দীর্ঘ আর অনিশ্চিত প্রশ্নের প্রস্তুতি নেয়া ছেলে-মেয়েগুলো পরবর্তীতে মোকাবেলা করবে প্রাইভেটের ছোট্ট এবং নির্ধারিত প্রশ্নের সিজিপি তে উদার হস্তে সাড়ে তিন কিংবা উর্ধ্ব পাওয়াদের।
জাতীয়'র প্রশ্ন এবং খাতা দেখা পুরোটাই এস এস সি/এইচ এস সি'র মতো, তা তো জানেনই?

নিজে জাতীয় তে অনার্স-মাস্টার্স করেছি।
একটা প্রাইভেটে এম বি এ করছি।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, জাতীয়তে নাম্বার তোলা আসলেই কঠিন। এখানে টিচাররা সাজেশন দিবে না। নিজের টিচার প্রশ্ন করবে না। নিজের টিচার খাতা দেখবে না।
একটুর জন্য ক্লাশ ছুটে যাচ্ছে দেখে এক দু নাম্বার এড করে দেবে না, যা প্রাইভেট পাবলিক সব খানেই হয়।

যাক এসব, বলছিলাম পরিকল্পনাহীন নতুন কার্যক্রম সংযোজন কখনোই ভালো কিছু না। আপনি গ্রেডিং এর প্রথম তিন বছর দেখেন, তখন তিন/সাড়ে তিন জিপিএ নিয়ে সবাই দারুন খুশি থাকতো। প্লাস তিনশ, এক হাজার থাকতো। এখন, ৯৬০০০ প্লাস।
তার মানে কি, আগের তুলনায় মেধাবী এতো দ্রুত বেড়ে গেছে যে পরিসংখ্যান নিয়ত ফেল মারছে? আমার ধারনা, চেঞ্জ হয়েছে খাতা দেখার ধরন।

শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন বলি।
আমাদের তো গোড়াতেই গলদ।
বাচ্ছাদের স্কুল সমাপনী'র প্রশ্ন আর সময়ের কাহিনী নিশ্চয় জেনেছেন?

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনার কথা সত্য।ন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটটি মূলত কমিটমেন্টের অভাব। অতিথি পাখি দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠনের প্রকৃত শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে না।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি যতদূর জানি এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ভাল হোক সেটাই তো চাই। তবে একাডেমিক জায়গাটা বড় দুর্বল।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আসলে বর্তমানে আমরা সবাই ভালো ছাত্রছাত্রী। কেউ পরীক্ষায় ফেল করবে, এটা মনে হয় কিছুদিন পর আর থাকবে না।

একজন বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর তোলা কঠিন। কিন্তু তারা কি কখনো ভেবেছে বা স্বীকার করেছে তারা কিভাবে পরীক্ষা দেয়??

নিম্নতম জিপি না পেলে পরবর্তীতে বর্ষে উঠতে পারবে না-এই নিয়মটা দৃঢ়ভাবে পালন করতে হবে।

ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.