নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজা সিদ্দিক

রেজা সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুলে ভরা পাঠ্যবই। বইয়ের দরকার কি?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

শিক্ষার অপরিহার্য উপকরণ বই। সরকার স্কুল পর্যায়ে বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। যথাসময়ে বই দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সরকার সফল। তবে-- সেই বই ভুলে ভরা। বই নিয়ে নানা অভিযোগ প্রখম থেকেই। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা বই লেখেন না= এনসিটিবি বইয়ের অনুমোদন দিতে নানা দুর্নীতি করেন। বইয়ের ব্যবসায়ীরাও কারো কারো নাম ব্যবহার করেন বইয়ের জন্য।

ভুল থাকলে বই না থাকলেই ভালো--

আর সৃজনশীল পদ্ধতিতে সিলেবাসের দরকার কি? বিশ্ব পাঠশালার উপকরণ থেকেই তো মানুষ ভাল শিখবে। কেবল প্রতি বছর ৬০০/৭০০ কোটি টাকা বইয়ের পিছনে খরচ না করে শিক্ষকদের মান উন্নয়নে ব্যয় করুন। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিন- শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ান- বই ছাড়াই অনেক বেশি শেখা যাবে।

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের ভারে আমরা ক্লান্ত। প্রতিদিন কত লেখক- কত বই নিয়ে আসছেন- ফোন করছেন- দিনে রাতে। একেবারেই বিরক্তিকর।

ছোট ক্লাসে বইয়ের বদলে শিক্ষার একটি নির্দেশিকা দেওয়া যেতে পারে যার উপর ভিত্তি করে শিক্ষকরা পড়াবেন।

আমরা তো বই পড়ে সার্টিফিকেট পাই- আর জীবন আচরণের সব শিক্ষা তো পরিবার ও সমাজ থেকে। অতএব ভুলে ভরা বইয়ের বদলে বই না দেওয়াই ভাল।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

মো:ফয়সাল আবেদিন বলেছেন: রাইট ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১০

ভিটামিন সি বলেছেন: আমাদের বইয়ে কোন ভুল ছিল না।
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ী,
দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি।

এই রকম কবিতা আবার যখন বইয়ে আসবে, আশা করি আর ভুল থাকবে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আমিও তাই মনে করি

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

কেএসআমীন বলেছেন: আজকের প্রথমআলোতে এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখলাম। সরকার যা পারে না, তা-ই করতে আগ্রহী বেশী।

২২টি বইয়ে প্রায় ৫০০ জায়গায় ভুল পাওয়া গেছে। প্রকৃত ভুল আরও বেশী হওয়ার কথা। এবার ভাবুন ৭০টি প্রকাশিত নতুন বইয়ে কী পরিমাণ ভুল আছে!

এই বই-ইতো পড়বে আমাদের শিক্ষার্থীরা। একটি বই পুরোপুরি শুদ্ধ না হওয়ার আগে মুদ্রণে যায় কিভাবে? এর দায় দায়িত্ব পুরোপুরি সরকারের। শিক্ষামন্ত্রীর এ মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত।

ভুলে ভরা বই না পড়ে পুরানো বই পড়তে হবে এবং নতুন বইগুলি ঠোঙ্গা বানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

হঠাৎ করে এত বই পরিবর্তনের প্রয়োজন কেন? ধীরে ধীরে করলে এই কেলেংকারীটা হতো না। আমি একবার এক জায়গায় মন্তব্য করেছিলাম যে কেবল ইতিহাসের বইটা প্রতি পাঁচ বছরে একবার পরিবর্তন করলেই হয়...

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: সকল পর্যায়ে সক্ষমতা না বাড়িয়ে পরিবর্তন করা উচিত নয়। আমি একমত

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

মেদভেদ বলেছেন: আর যদি বইয়ের ঠিকাদার ওপারের দাদারা হয় তাহলে তো কথাই নেই!!!!

শিক্ষকদের মানোন্নয়ন করা তথা মেধাবী ব্যক্তিদের এ পেশায় না আনলে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা কখনো-ই সম্ভব নয়। আর শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মানী/সুযোগ সুবিধা না দিলে মেধাবী ব্যক্তিরা এ পেশায় কখনো-ই আসবে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: বিষয়টি ঠিকাদারীর নয়। বাংলাবাজারের ঠিকাদাররা তো কাগজই বেচে ফেলতো। ঠিকাদাররা বই লেখে না ছাপে। আর বর্তমান সময়ে এনসিটি্বি নিজেই কম্পোজ করে দেয়। অতএব ঠিকাদারী প্রঙ্গটিটি অবান্তর। তবে মেধার লালন, মেধাকে আকর্ষণ বেশি দরকার।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

ডাকপিয়ন রািকব বলেছেন: পাইকারী হারে বই দেওয়াকে আমি সমর্থন করি না। এতে কোন উপকার টি হয়েছে। ধনী নাই গরিব নাই সবাই পাইকারী হারে বই পাই। যদি এমন হতো মেধাবী গরিব ছাত্রছাত্রীদের শুধু বই দেওয়া হতো তাহলে আমি ৫০০% সমর্থন করতাম এবং করি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: কে শোনে কার কথা

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

পথহারা সৈকত বলেছেন: আর যদি বইয়ের ঠিকাদার ওপারের দাদারা হয় তাহলে তো কথাই নেই!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: বিষয়টি ঠিকাদারীর নয়। বাংলাবাজারের ঠিকাদাররা তো কাগজই বেচে ফেলতো। ঠিকাদাররা বই লেখে না ছাপে। আর বর্তমান সময়ে এনসিটি্বি নিজেই কম্পোজ করে দেয়। অতএব ঠিকাদারী প্রঙ্গটিটি অবান্তর।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: সৃজনশীল পদ্ধতিতে সিলেবাসের দরকার কি? বিশ্ব পাঠশালার উপকরণ থেকেই তো মানুষ ভাল শিখবে। কেবল প্রতি বছর ৬০০/৭০০ কোটি টাকা বইয়ের পিছনে খরচ না করে শিক্ষকদের মান উন্নয়নে ব্যয় করুন। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিন- শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ান- বই ছাড়াই অনেক বেশি শেখা যাবে।

আপনার কথার সাথে সহমত।

৭ -১০ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে প্রাপ্ত শিক্ষকতা জাতিকে কি দিবে?

আমাদের এক স্যার ছিলেন ম্যাথ পড়াতেন। উনার হাতে এই দেশে অনেক ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এমনকি বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় আছেন।
তিনি প্রাইভেট পড়াতেন না। ক্লাশেই মাথাতে পড়াটা বুঝিয়ে দিতেন।

উনার ক্লাশ আমরা পাই নি। এটা আমাদের জন্য খুব দু:খের বিষয়।
উনাকে অনেক অনুরোধ করে শিক্ষকতার পেশায় আনা হয়েছিল।

আমরা পড়া পড়ি ফিজিক্যাল চাহিদা মেটানোর জন্য, আত্নার তৃপ্তির জন্য নয়।


১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ভাল বলেছেন। আসলে গোড়াতেই তো গলদ রয়ে গেছে। কি আর করা। নিয়োগ বাণিজ্য. পোস্টিং এ দুর্নীতি আর এর ফলে শিক্ষকতা এখন আর অঙ্গীকারাবদ্ধ পেশা নয়- এটা একটি চাকুরির সমতুল্য। চাকরি আর পেশা কি এক হয়?

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
এই বছর প্রত্যেকটা ক্লাসের বইতে এতই ভুল আছে যা কল্পনার বাইরে। বিশেষ করে অঙ্ক বইয়ের পিছনের উত্তর ভুল বেশি ঝামেলা করছে বাচ্চা ছেলেপিলের জন্য।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: জি আমরাও তাই জেনেছি। আসলে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.