![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যর্থ হওয়ার পথেঃ হরতাল এবং রাজনীতি
১৯৬৯ এর ছাত্র গণআন্দোলন যখন হয় তখনকার কথাও আমার মনে আছে। ৪র্থ বা ৫ম শ্রেণীতে পড়ি। আজিমপুরের ওয়েস্ট এনড হাই স্কুলে। দেশ কৃষ্টি বাতিলের আন্দোলন দেখেছি- ছাত্র ধর্মঘট দেখেছি। হরতাল ও কারফিউ দেখেছি।
১৯৮২ সালে এরশাদের শাসণামলে প্রত্যক্ষ ছাত্র রাজনীতি করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ- এরশাদের শিক্ষানীতি বিরোধিী আন্দোলন। ছাত্র ধর্মঘট হয়েছে কয়েকবার। ১৪ ফেব্রুয়ারি- ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১ম মার্চ ইত্যাদি । নানা ঘটনার অনেকের হয়তো এই তারিখগুলো মনে আছে। ছাত্র নেতারা বার বার হরতাল চেয়েছেন- কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল দেয় নি। এরশাদের আমলে প্রথম হরতাল হয় সম্ভবত ২/৩ বছর পর। সেই হরতাল সফল করার জন্য কত আয়োজন।
মধ্যরাতে পুলিশের অভিযান ফাকি দিয়ে পিকেটিং এর জন্য রাস্তায় নামা। আনোয়ার ভাই, খন্দকার ফারুক ভাই, তাহেরউল্লাহ, কাবুল, বাবলু, অরুণকর্মকার, আর এদের সাথে আরো অনেকে এই হরতাল সফল করতে নামতেন।
মৃণাল সরকার হরতাল হলেই রাস্তায় ফুট বল খেলার আয়োজন করতেন, শাহবাগের সামনে ফুটপাতে গানের আসর বসতো- ।
তখনও পিকেটিং হতো- রিক্সাও বের হতো না-। তবে আগুন দেওয়া- ভাঙচুরের ঘটনা ছিল হাতে গোনা। আমার তো নিজের মনে পড়ে না এমন কিছু হয়েছে নাকি?
সেই হরতাল এখন হয়ে গেছে ডালভাত।
কারণে- অকারণে- সংঘাতপূর্ণ হচ্ছে এখনকার হরতাল। অথচ যারা হরতাল ডাকছেন তারা মাঠে নেই। পুলিশ নাকি এ্যারেষ্ট করবে। সেটা তো আগেও করতো- ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল করতে গিয়েই তো শহীদ হয় কতজন। যদি আন্দোলনকে এতটাই অর্থপূর্ণ মনে হয় তাহলে তার জন্য জীবনবাজি রাখতে অসুবিধা কি?
আমি কারো হরতাল আহবানের বিরোধী নই। এটি আহবানের অধিকার মানুষের আছে- এটি পালন করা বা না করার অধিকারও মানুষের আছে। তবে সবাই তো খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে-অফিসগামী মানুষকে দিগম্বর করেছে- ভাড়াটে লোক দিয়ে বাসে আগুণ দিচ্ছে- পুড়িয়ে মারছে মানুষকে- এগুলো কোনোটিই মানুষের কল্যাণে নয়।
রাজনৈতিক কর্মসূচি- অথচ রাজনীতি করেন এমন লোক এই কর্মসূিচি পালনের সাথে নেই এটা হয় কেমন করে? এর ফলে কি আন্দোলন ফল পাবে? না কি জনগণকে শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে-- তোরা ঐ আমলে অমুককে ভোট দিছিস ক্যান- বোঝ মজা?
আসলে রাজনৈতিক অস্ত্র যথাযথভাবে ব্যবহার হওয়া দরকার। ডাক্তার ছাড়া অন্যের হাতে অপারেশন করার দায়িত্ব দেওয়া ঠিক না- তেমনি ভাড়াটে লোক দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নও ঠিক না। এদে হিতে বিপরীত হতে পারে। যার নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
হরতাল আহবান করে ঘরে বসে থাকা- আর প্রেস কনফারেন্স করে সফল ব্যর্থ ইত্যাদি বলা খুবই সহজ এবং গা বাচানো রাজনীতি। রাজনীতি করতে হলে গা বাচিয়ে নয়, আন্তরিক ভাবেই করতে করতে হবে। ইনভিসিবল গডফাদার হয়ে রাজনীতি না করাই ভাল।
সরকার বা প্রশাসন তো বিরোধীদের বন্ধু নয়- যে তারা সহায়তা করবে। গ্রেফতার রিমান্ডের ভয় রাজনীতিরই অংশ। তবে সেখান থেকে তো পালিয়ে বেড়ানো যানে না?
ইতোমধ্যেই হরতাল একটি ব্যর্থ অস্ত্রে পরিণত হয়েছে- এখন রাজনীতিটাই ব্যর্থ হওয়ার পথে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: এটা খুব দুঃথজনক। কারণ জনগণের কাছে জবাবদিহিতার জায়গাগুলো না থাকার কারণে জনগণকে ক্ষমতাহীন করার চেষ্টা।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
প্রবালরক বলেছেন: হরতাল মন্দ ও বাজে ধরনের কর্মসুচী - কোন সন্দেহ নাই।
তবে শাসক শ্রেনীর ঔদ্ধ্যত্যে মোক্ষম আঘাত হানতে এখনো সক্ষম। তাই মন্দ হলেও এখন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: হরতালকে দিতে তো না করছি না করছি না। কিন্তু ভাড়াটে মানুষ দিয়ে কেন? রাজনীতিকরা পাঞ্জাবীর পাট ভাঙবেন না আর ভাড়াতে লোক দিয়ে হরতাল করবেন তা তো হয় না। রাজনীতিকরা এতে সম্পৃক্ত থাকলে কর্মসূচিগুলোর একটা মূল্য থাকতো।
কেউ তো রাজপথে নাই। কোলাপসিবল গেটে বসে হরতাল পালন আর যাই হোক জনবান্ধব রাজনীতির নমুনা নয়।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪
ড. জেকিল বলেছেন: এটার নাম নাকি আবার গনতন্ত্র !!!!!!!!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: সবাই তো তাই বলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
এম ই জাভেদ বলেছেন: ইতোমধ্যেই হরতাল একটি ব্যর্থ অস্ত্রে পরিণত হয়েছে- এখন রাজনীতিটাই ব্যর্থ হওয়ার পথে।
জনগণের জন্য রাজনীতি অথচ রাজনীতি এতোটাই নীতি হীন হয়ে পড়েছে যে জননিরাপত্তার বিষয়টি আজ দলীয় দলীয় স্বার্থের নিকট চরম উপেক্ষিত !!