নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজা সিদ্দিক

রেজা সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত দিন এদের হাতে দেশ- পথ পাবে না বাংলাদেশ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুন্ডলা উপন্যাসে লেখকের কথা- পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো?

আজ বাংলাদেশের রাজনীতিকদেরও জন্য এই কথাটা প্রযোজ্য। পথ হারিয়ে কানাগলিতে ছোটাছোটি করছে এরা সবাই। কে কোন পক্ষে, কে কোন লক্ষ্যে সেটা বড় কথা নয়। সঠিক পথে কেউই নেই।

প্রতিটি কাজ করার ক্ষেত্রে দুটো ধারণা প্রচলিত:



এক. সঠিক কাজটি কর

দুই. কাজটি সঠিকভাবে কর।


প্রথমটি লক্ষ্য ভিত্তিক।, সঠিক কাজ মানে লক্ষ্য অর্র্জনের জন্য যেভাবে খুশী কাজটা করা। প্রয়োজনে নিয়মনীতির বালাই থাকবে না।

দ্বিতীয়টি রীতি ভিত্তিক। এখানে নিয়মকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সরকার নির্বাচন করতে চায়, তার পন্থা দ্বিতীয়, নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে। কিন্তু নিয়ম মানতে গিয়ে নির্বাচনটা করা যাবে কিনা বা সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা নিয়ে ভাবনা নেই। নিয়ম তো মানতেই হবে।



বিরোধী দল নির্বাচন থামাতে চায়, অতএব প্রথম প্রন্থায় যে কোনো প্রকারে- আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়ে সেটা করতে হবে। দু একজনের জীবন বড় কথা নয়। গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে সেটা তারা্ করবেনই। এবং এজন্য দুঃখপ্রকাশও করবেন না। রাজনীতি করতে গেলে কি এমন হতে হয়।?



দুজনের পন্থা যে ভুল সেটা বোঝার জন্য খুব বেশি জ্ঞানের দরকার হয় না।



প্রথম আলোর শ্লোগানটা বিজ্ঞাপনের জন্য ভালো।

যতক্ষণ তোমার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

পথ থাকলেই না হারানোর ভয়।

এখন তো কোনো পথই নেই। কোনো পথ তারা চেনেন এটাও মনে হয় না।

পথের মাঝে বেছনো কাঁটা- উপড়ে ফেলা রেল লাইন,

বাসে বোমা- জীবন্ত দগ্ধ ভোটের মালিকেরা।

যাদের দিকে তাকিয়ে থাকে সাধারণ মানুষ তারাই তো পথহারা।

মানুষ এখন জিন্দালাশ হযে অবরুদ্ধ।

যতদিন এদের হাতে দেশ

পথ পাবে না বাংলাদেশ

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

গেন্না বয় বলেছেন: ১০০% সত্য ....................যত দিন এদের হাতে দেশ- পথ পাবে না বাংলাদেশ.................

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

মুক্ত বিশ্বাস বলেছেন: যতদিন এদের হাতে দেশ- পথ হারাবে না বাংলাদেশ।এদের পবিত্র হাতের বাইরে কোন হাত আছে? না এদেশে আছে কোন পুরুষ? দেশ যাবে কই? দেশে আম জনতা কই যাবে? আমরা বরং পুড়ে মরব, লাঠানী খাইয়া মরব, তবু এদের সঙ্গ ছাড়ব না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: পথহারা উদভ্রান্ত জাতিকে পথের দিশা দিতে পারে িএমন তো কেউ নেই? পথ জনতাকেই খুঁজে নিতে হবে।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

সুমন কর বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: সত্য কথা লিখেছেন ভাই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২০

রন৬৬৬ বলেছেন: Bangladesh is a land of purchased people. 80% people are puppet. You can purchase people's vote anytime and anywhere. This is how Ershad is elected of every election since he lost power. He took five parliamentary seats while he is in jail! Bravo illiterate Bangladeshi people. As long as we do not improve our literacy level there is no hope for us. Until then we should enjoy with Hasina, Kaleda and Ershad's musical chair. This is our destiny and misery.

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: হয়তো বা তাইধ দরিদ্র মানুষকে কেনা খুব সহজ। তাছাড়া আবেগের বেগ এত বেশি যে সস্তা আবেগ দিয়ে নাচানো যায় সহজেই।
শিক্ষার অবস্থাও খারাপ। শিক্ষিত লোকগেুলোকে দেখেন কোনো না কোনো ভাবে দলবাজিতে আছেই। আমাদের শিক্ষিত ব্যক্তিরা আরো কূট। রাসেলের কথার মতো- অঞ্জ হয়ে জন্মায় আর লেখা পড়া শিখে নির্বোধ হয়।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

মুক্ত বিশ্বাস বলেছেন: মানসিকভাবে যারা বিকলাঙ্গ তারা খুজবে পথের দিশা!!!! আমরা কি কোন কালে এদের আর তাদের বাইরে কোন বিকল্প খুজে পাব না? হায়রে জাতির কপাল!!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আসলে তাদে বাইরেই যেতে হবে। সেটাই পথ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আসলে তাদে বাইরেই যেতে হবে। সেটাই পথ।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: "যতদিন এদের হাতে দেশ
পথ পাবে না বাংলাদেশ"

কথাটা খুব মনে ধরল। অভারঅল দারুণ লিখেছেন। ভাললাগা।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাদেশের অগ্রগতি অন্যের জন্য ঈর্ষনীয়। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আমাদের অগ্রগতি আশাজাগানিয়া। আমাদের জীবনযাত্রার মানের যে গ্রাফ তা ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। অর্ম্যত সেন বাংলাদেশের উন্নতিতে প্রশাংসা করেছেন। সম্প্রতি পাশ্চত্য গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের অগ্রগিতর চিত্র, তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছে আমাদের উন্নতিতে। বাংলাদেশের যে সমস্যা সেটা পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন পন্ধতি নিয়ে। আমাদের রাজনীতি দলগুলো একটু মানসিকতা পাল্টে আমাদের কোন সমস্যা নেই। সেটা যে হবে, হতেই হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কাজেই বাংলাদেশ পথ তো হারা্য়নি সঠিক পথেই আছে। আমাদের পথের বাধা মৌলবাদ, অশান্তি রাজনৈতিক পরিবেশ, এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে আমাদের ভবিষ্যত আছে। মৌলবাদ, উগ্র ধর্মীয় আদর্শ প্রচার আমাদের অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধক হতে পারে। বিশেষত নারী সমাজ। কাজেই এই দিকেই আপাতত আমাদের নজরটা রাখতে হবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির পিছনে সরকারের কোনো অবদান নাই তা বলা যাবে না। তবে সব সময়ই প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেছে সাধারণ মানুষ। কৃষক ফসল ফলিয়েছেন- বার বার নায্যমূল্য না পাওয়ার পরও। বেসরকারী উদ্যোক্তারাই বস্ত্র বা অন্য ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন সেটা তো বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রমই বেশি। দরিদ্র সাধারণ মানুষের উপার্জনই তো বৈদেশিক মূদ্রার আসল আধার।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব লিপ্ত থেকেছে লুণ্ঠন ও সম্পদ ভাগভাগির প্রতিযোগিতায়।
শুদ্ধ রাজনীতির জন্য শুদ্ধ মানুষ দরকার। শুদ্ধ মানুষের কদর কম। বিজয়টিই বড় তা যে প্রকারেই হোক না কেন।
আমিও মনে করি আপাতত- রাজনীতির সংস্কারটাই জরুরি। গণতন্ত্রের প্রকৃত প্রয়োগ জরুরি। অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিষ্ঠিত কা জরুরি।। বর্তমান রাজনীতিকরা সেই পথ সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সাধারণ মানুষ যেমন নিজেদের ভাগ্যের পুরিবর্তন করেছেন তেমনি রাজনীতিক নিয়ন্ত্রকও তাদের হয়ে উঠতে হবে। সেটাই হবে সঠিক পথ।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: অনেক সুন্দর ভাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিথি নিয়ে ভালো লিখছেন

ভালো লাগলো

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। অন্তত নিজে একটু হালকা হলাম

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

তুফান মেল বলেছেন: ভাল লাগলো লিখাটি পরে। প্লাস দিলাম

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: সিকিম কিভাবে স্বাধীনতা হারালো সেই ইতিহাস পড়ুন এবং তার সাথে ভারতীয় কূটনীতি বিদদের অস্থিতিশীল বাংলাদেশে ঘন ঘন আসা যাওয়া দুটিকে মিলিয়ে নিন, তারপর আপনি বলুন বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে কি অপেক্ষা করছে ?
সিকিম কিভাবে স্বাধীনতা হারালোঃ
সিকিম ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত তিব্বতের পাশের একটি রাজ্য। রাজ্যটির স্বাধীন রাজাদের বলা হত চোগওয়াল। ভারতে বৃটিশ শাসন শুরুর পুর্বে সিকিম তার পার্শ্ববর্তী নেপাল আর ভুটানের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। বৃটিশরা আসার পর তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নেপালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সিকিম। এসময় রাজা ছিলেন নামগয়াল। কিন্তু বৃটিশরা তিব্বতে যাওয়ার জন্য এক সময় সিকিম দখল করে নেয় এবং ১৮৮৮ সালে রাজা নামগয়াল আলোচনার জন্য কলকাতা গেলে তাঁকে বন্দী করা হয়।পরবর্তী সময়ে ১৮৯২ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং সিকিমের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়া হয়। প্রিন্স চার্লস ১৯০৫ সালে ভারত সফরে আসলে সিকিমের চোগওয়ালকে রাজার সম্মান দেয়া হয়। চোগওয়ালপুত্র সিডকং টুলকুকে অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করতে পাঠানো হয়।
টুলকু নামগয়াল মতায় বসে সিকিমের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। বৃটিশের কাছে সিকিম তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে। পরবর্তী চোগওয়াল (রাজা) থাসী নামগয়ালের সময়ে বৃটিশরা ভারত ছেড়ে গেলে গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং ভারতের পন্ডিত নেহরু সিকিমকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে থাসী নামগয়াল এবং ১৯৬৪ সালে নেহরু মারা গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চোগওয়াল হন পাল্ডেন থন্ডুপ নামগয়াল। এ সময় ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়োগ করেন সিকিমকে দখল করার জন্য। তিনি কাজে লাগান সিকিমের প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭০ সালে নেহেরু প্রভাবিত সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে লেন্দুপ দর্জি ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরা সরকার রাজার নিরাপত্তার কথা বলে ভারতীয় বাহিনী পাঠায়। কিন্তু তারা রাজাকে গৃহবন্দী করেন। বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিএস দাশকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং সিকিমের স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্বের নিকট তুলে ধরেন। কিন্তু ততণে অনেক দেরী হয়ে যায়। সিকিম জাতিসংঘের সদস্য পদভুক্তিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যে ভারতের তাঁবেদার লেনদুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে জিতে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ ও জনমত যাচাইয়ে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেন। ততদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তারা বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ' ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরো ঘটনা ছিল সাজানো। ৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সালের সকালে সিকিমের রাজা যখন নাস্তা করতে ব্যস্ত সে সময় ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদ দখল করে নেয়। তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশে পরিণত করে।সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো সিকিম সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সাংবাদিক সুধীর শর্মা ‘পেইন অব লুজিং এ নেশন' (একটি জাতির হারিয়ে যাওয়ার বেদনা) নামে একটি প্রতিবেদনে জানান, ভারত তার স্বাধীনতার গোড়া থেকেই সিকিম দখলের পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহেরু অনেকের সাথে কথোপকথনে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র'-এর সাবেক পরিচালক অশোক রায়না তার বই ‘ইনসাইড স্টোরী অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস'-এ সিকিম সম্পর্কে লিখেন, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯৭১ সালেই সিকিম দখল করে নেয়া হবে। সে ল্েয সিকিমে প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন, হত্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তারা ছোট ছোট ইস্যুকে বড় করার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তার মধ্যে হিন্দু-নেপালী ইস্যু অন্যতম। সাংবাদিক সুধীর শর্মা লিখেন, লেনদুপ দর্জি নিজেই শর্মাকে বলেছেন, ‘ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর লোকেরা বছরে দু'তিনবার তার সাথে দেখা করে পরামর্শ দিত কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যাবে। তাদের একজন এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগতভাবে তাকে অর্থ দিয়ে যেতো এ আন্দোলন পরিচালনার জন্য। এ অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস পরিচালিত হতো।'শর্মা আরো লিখেছেন, এই ‘সিকিম মিশনের' প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, যা সর্বত্র ‘র' নামে পরিচিত। ক্যাপ্টেন ইয়াংজু লিখেছেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক পোশাকে রাজার বিরুদ্ধে গ্যাংটকের রাস্তায় মিছিল, আন্দোলন ও সন্ত্রাস করত। নেহেরুর পরামর্শ, মদদ ও উৎসাহে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন লেনদুপ দর্জি। শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে'। লেনদুপ দর্জির গণতন্ত্রের শ্লোগান শুনে সিকিমের সাধারণ জনগণ ভাবতেই পারেনি, এই শ্লোগানের পিছনে প্রতিবেশী দেশ একটি জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে আসছে। সিকিমের জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে ভারত তার আগ্রাসন সফল করতে এবং এক পকে মতায় এনে তাদের দ্বারা দেশ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল। সিকিমের মত ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশেও যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে দলমতনির্বিশেষে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণবাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতিরা ভারত দিনের পর দিন জোরদার করে চলেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত আউট পোস্টগুলোর (বিওপি) একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে হ্রাস করে ৪/৫ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এগুলোতে বিএসএফ-এর শক্তি দ্বিগুণ করা হচ্ছে। বিএসএফ এই সীমান্তে থারমাল নাইটভিশন ডিভাইস, টেলিস্কোপিক বন্দুকসহ উচ্চমানের হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে। এই সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার এলাকাকে কাঁটাতারের বেড়াসহ ফাড লাইটের আওতায় আনার এবং প্রশিতি কুকুর মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের ২৭৭ কিলোমিটার এলাকা ফাড লাইটের আওতায় আনার কাজ দু'বছর আগেই সম্পন্ন হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৯৯ সালের কারগিল কনফিক্টের পর থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিরা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত- প্রতিরা শক্তিশালী করার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।ভারত তার বাংলাদেশ সীমান্তে প্রথম পর্যায়ে ৮৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ করে এবং একই সঙ্গে পাকা সড়ক নির্মাণ করে ২ হাজার ৬শ' ৬ কিলোমিটারের বেশী এলাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ২ হাজার ৪শ' ৩০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ, ৭শ' ৯৭ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৪ কি.মি সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে । প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তে বেড়া ও সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ২০০৬ সাল নাগাদ ভারত মোট ২ হাজার ৫শ' ৩৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ৩ হাজার ২শ' ৫১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করেছে বলে ভারতীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।যদিও ১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন প্রতিরা কাঠামো নির্মাণ করা নিষিদ্ধ, তবুও ভারত তা করে চলেছে। বলাবাহুল্য, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও সড়ক তৈরী প্রতিরা কাজের মধ্যেই পড়ে । ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত দু'দেশের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হলেও তা কোন ফল দেয়নি। ভারতের বর্তমান প্রস্তুতি অনুযায়ী সীমান্ত সড়ক দিয়ে অনায়াসে সমর যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এরফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিরা ব্যবস্থাও জোরদার করতে পারবে। ভারতের বর্ডার আউট পোস্ট-বিওপি'র সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এগুলোতে মোতায়েন জওয়ানের সংখ্যাও সে তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।একারণেই বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ‘সিকিমফোবিয়া' কাজ করছে প্রবলভাবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশও সিকিমের পরিণতি বরণ করে কিনা। আর সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টিতে এজেন্ট তৈরীর নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে । বড় দেশ হিসেবে ভারতের অন্যতম কৌশল হলো, ছোট দেশের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক পর্যায়ের প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিবর্গের মগজগুলো কিনে নেয়া। ভারত যদি বাংলাদেশকে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেখতে চায় তবে মাথা কেনার কৌশল বাদ দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারেও ভারতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা-বক্তব্য আসা উচিত- যাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হতে পারে । তাছাড়া নতুন বাঙালী প্রজন্মকে সিকিমের করুণ পরিণতির ইতিহাস জানাতে হবে। ইতিহাস বলে,ভারত সিকিমে এ কৌশলে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। এখানেও সেই চেষ্টা করছে বলে অনেকেই সন্দেহ করেন। এসব কাজ অব্যাহত থাকলে সেটা হবে অবন্ধুসুলভ। মূলতঃ সিকিমের ইতিহাস হলো ভারতের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
লিখেছেনঃ মুহম্মদ আলতাফ হোসেন,
এখন পড়ুন , অস্থিতিশীল বাংলাদেশে আসছেন সুজাতাঃ
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং আগামী ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক থাকায় দেশটির একের পর এক শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তাদের সফরকে স্বাভাবিক মনে হলেও কূটনৈতিক মহলে সুজাতার আসন্ন সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু কেন? কী এমন রহস্য রয়েছে এর পেছনে?

সুজাতা সিং-এর জন্ম ১৯৫৪ সালে। তার পিতা হচ্ছেন টিভি রাজেস্বর। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এই টিভি রাজেস্বর ছিলেন ভারতের অভ্যন্তরীণ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান বা ডাইরেক্টর। কংগ্রেসের খুব কাছের লোক ছিলেন তিনি।

রাজেস্বরের সুনামের মূল কারণ ছিল অপারেশন সিকিমের একজন মূল রুপকার হিসেবে। তিনি ১৯৬২-৬৭ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে স্পেশাল ডিউটি পালন করতেন। ১৯৭৫ এ সিকিম ভারতের অংশ হয়। কিন্তু এর বীজ বপন হয় ১৯৬৩ সালেই যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই রাজেস্বর।

তথ্যমতে, সিকিমের রাজা নামগয়াল ১৯৬৩ সালে হোপ কুক নামে এক 'র'এর এজেন্ট মার্কিনী নারীকে বিয়ে করেন। রাজা নামগয়ালের পরবর্তী অজনপ্রিয়তার অন্যতম মূল কারণ ছিল এই হোপ কুক যিনি পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে সুযোগবুঝে তালাকও দেন রাজা নামগয়ালকে। এই কূটচালের মুল হোতা ছিল সুজাতা সিংয়ের পিতা রাজেস্বর।

এর প্রতিদানে ভারত সরকার ১৯৮৫-৮৯ সালে সিকিম এর গভর্নর করেন রাজেস্বরকে। পরবর্তীতে তাকে পশ্চিম বঙ্গের গভর্নরও করা হয় ১৯৮৯-৯০ তে এবং সেসময়ই কলকাতা রায়টের বীজ বপন হয়,যা ৯২ তে কার্যকর করা হয়। ২০১২ সালে পদ্মবিভূষণ পদক পায় এই ঝানু এজেন্ট। সুজাতা সিংয়ের বাবার কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হচ্ছে এটি।

এবার আসা যাক সুজাতা সিং প্রসঙ্গে। সুজাতা ১৯৭৬ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়। তখন তার বাবা ছিল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো-এর জয়েন্ট ডাইরেক্টর। তাছাড়া মাত্র আগের বছরেই সিকিম অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ায় সুজাতা পান ফরেন অফিসে চাকরি।

ইউরোপ,আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফরেন অফিসে কাজ করার পাশাপাশি 'র'এর সেলগুলার সাথে ভালো লিয়াঁজো রাখেন সুজাতা। সুজাতার স্বামী সঞ্জয় সিংহও ফরেন অফিসের সাবেক আমলা।

সুজাতার সবচেয়ে বড় অর্জন ধরা হয় অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন ইউরেনিয়াম চুক্তি। কিন্তু সেই চুক্তি অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর আর কোনো দেশের সাথে না করলেও কেন বাধ্য হয়েছিল ভারতের সাথে এই চুক্তি করতে? সেটাও ছিল 'র'এরই মাস্টারপ্ল্যান।

'র'এর এজেন্টরাই ২০০৭-০৯ এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে ভারতীয়দের প্রতি অস্ট্রেলিয়দের ক্ষেপীয়ে তোলে, যার ফলে বোকা অস্ট্রেলিয়রা তাদের পাতা ফাঁদে ধরা দেয় এবং কয়েক জায়গায় ভারতীয়দের হত্যাও করে। সেই সুযোগে সুজাতার নেতৃত্বে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ' ব্ল্যাকমেইল' করে বাগিয়ে নেয় ইউরেনিয়াম চুক্তি।

বাবা-মেয়ের দীর্ঘ কর্মজীবনে নিজ দেশের স্বার্থে এভাবেই তারা দক্ষতার সাথে অনেক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

সুজাতার এই ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশে আসার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা অন্য যাদের সাথে তিনি বৈঠক করবেন তাদের কী 'পরামর্শ' দিবেন,তা নিয়ে বোদ্দা মহলের অনেকেই বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে অনেকেই স্থিরভাবে কাজ করতে পারেন না এবং প্রভাবশালী বিদেশীদের পরামর্শ খুব সহজেই গ্রহণ করে বসেন।
ফেস বুক থেকে ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: একটি দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় নির্ভর করে মানুষের উপর। সরকারের উপর নয়। সরকার যা খুশী তাই করতে পারে না যদি জনগণ জাগ্রত থাকে। আমরা তো জেগে জেগে ঘুমাচ্ছি। আমি যেটা নিজেে থেকে বুঝি সেটাই বলার চেষ্টা করি। এই সমাজে অনেক মানুষ আছেন জ্ঞান বিতরণের জন্য আবার অনেকে আছেন বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য। আমি কার কথায় কতটা প্রভাবিত হবো সেটি আবার যোগ্যতা ও বোধের ব্যাপার।
তবে রাজনৈতিক ধারণার যে বিকাশ এবং বাজার অর্থনীতির প্রতি আমাদের যে অনুরাগ তার জন্য কাউকে কোনো রাষ্ট্রের অধীন করার প্রয়োজন পড়ে না। দেখুন না কয়দিন আগে ইতালি কেমন নাকানি চুবানি খেলো। ইন্দোনেশিয়ার অবস।তাও নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি!
অথনৈতিক সুপারপাওয়াররা আপনাকে নাকানি চুবানি খাওয়াতে পারে দেশ দখল না করেও। তবে নেতৃত্ব যদি সঠিক থাকে তাহলে সেটা প্রতিহত করা সম্ভব।
বর্তমানে যারা আছেন তাদের প্রতি কোনো আস্থাই যে পাচ্ছি না। আপনি পাচ্ছেন তো?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: কেবল সুজাতা নয়, অন্যদের বিদেশ সফরও অর্থবহ। সেটিও সতর্কভাবে দেখা দরকার।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: উপরের লিখাটা আমি ব্লক হয়ে থাকায় পোস্ট করতে না পেরে আপনার কমেন্টে লিখেছি, কিছু মনে করবেন না । :#>

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: না আমি কিছু নে করিনি। আপনার মত তো আপনার কাছে। আমি আমারটা বলেছি যতটা বিশ্বাস করি সেভাবে। আপনি আপনারটা করতেই পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

শহিদশানু বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত পোষন করছি । আমি বাংলাদেশ-আমার ভাগ্য খারাপ-আমি কি একজন দেশপ্রেমিক সন্তান জন্ম দিতে পারিনি-শিরোনামে ৩০/১১/১৩ তারিখে একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। কিন্তু কোন দেশপ্রেমিকই পেলামনা আমার লেখাটিতে মন্তব্য করার জন্য। মাত ১৬ জন পাঠক আমার লেখাটি পড়েছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: কি আর করবেন। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য।

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

শহিদুল বলেছেন: ভালো লাগলো পোষ্ট
এই রক্তচোষাদের বিকল্প কি কেউ নাই! এদের হাত থেকে কবে মুক্ত হবে আমাদের সহজ সরল মানুষের এই দেশ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: মানুষ তো বেশি সরল। কি আর করা। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে আমরা রক্ত পয়দা করি কারো কারো চোষার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.