নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজা সিদ্দিক

রেজা সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেশাগত ঝুঁকির দায় ----- হাসপাতালে ১০০ ঘন্টা

২৫ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:২৯

পেশাগত ঝুঁকির দায়

হাসপাতালে ১০০ ঘন্টা


প্রতিটি পেশারই একটি বা একাধিক বিশেষ ঝুঁকি রয়েছে। যুদ্ধ করতে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকি, খেলতে গেলে ভাঙার ঝুঁকি, চিকিৎসকের রয়েছে- নানা রোগ বালাইয়ে আক্রমণের, সা্ংবাদিকদের আছে বিরাগভাজন হওয়ার ঝুুঁকি বা গুম হওয়ারও ঝুঁকি। প্রতিটি মানুষেরই বসবাস বিপদের মাঝে- ঝুঁকির মাঝে।

শিক্ষকতা করার কারণে কিছু ঝুঁকি একেবারে নাই তাতো নয়, পরীক্ষার হলে নকল থামাতে গিয়েও কতে ধরনের বিপদের আশংকা- কুষ্টিয়া ও কেরানীগঞ্জ থেকে যুদ্ধশেষে ফিরে আসার গল্পও এখনো স্মৃতিতে অম্লান।

কিন্তু মাটি ও মানুষের কাজে বিপদ বা ঝুঁকি? সড়ক দূর্ঘটনা ছাড়া আর কোনোটার কথা কখনো মনে হয় নি। সেটি তো মাটি ও মানুষের কারণ ছাঁড়াও হতে পারে।

২০ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন হাসপাতাল গেলাম প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় তখনও আমার পেশাগত কাজে একটি লুকানো ঝুঁকি বা বিপদ আছে যা কখনো ভাবিনি।

২০ তারিখ শুক্রবার বিকেল থেকেই শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। আসলে তারো দুই দিন আগে থেকেই কিছু কিছু শ্বাসকষ্ট ছিল। দীর্ঘ ৩৫-৪০ বছরের ধুমপান বছর খানেক আগে ছেড়ে দেওয়ার পর ফুসফুস যে তার দায় বহন করছিল সেটা মনে রেখেই ভাবছিলাম- শ্বাসকষ্টের কথা। ইনহেলার নিতাম, প্রয়োজনে নেবুলাইজরও ব্যবহার করতাম। এর ফলে বিপদটা কেটেই যেতো। ১৯ জুন বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম মহাখালী থেকে বাসায় আসতে। রাতে আবার এক লাইভ অনুষ্ঠান ছিল যমুনা টিভিতে। আগের দিনের ঠান্ডা, বৃহস্পতিবারের বুস্টার চাপ আর শুক্রবার পর্যন্ত টিকলো না। হাসপাতালের আইসিইউ পর্যন্ত যেতে হলো। প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে শরীর তুলতে পারছিলাম না। বাসায় ছোট খাটো একটি মিটিং ছিল। উপস্থিত ছিল বন্ধুরা। আমার ছোট মামাও সপরিবারে আমার বাসায়। অনেকটা তার এবং স্ত্রীর চাপেই সব মিটিং ভেঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া। সঙ্গী হলো বন্ধুরাও। ডাক্তারদের মত- আর ৫/১০ মিনিট দেরী হলেেই নাকি নিয়ন্ত্রণ করা যেতো না।

গল্পটা শেষ নয়। আসলে এ্যাজমা নয়, এলার্জি নয়, আসল কারণ- অত্যধিক ভ্রমণজনিত কারণে শ্বাস নালিতে ও ফুসফুসে ধূলাবালির আস্তরণ। গত ৩২ বছরে মাটি ও মানুষের কাজে কতটা পথ ঘুরেছি, হাজার মাইল ভ্রমণ, কৃষকের মাঠে- তাঁর উঠোনে নানা তৎপরতা এসব কাজে কিছু ধুলোবালি বুকে ঢুকবে না তাতো নয়! সিটি স্ক্যানে তার কিছু নমুনা পাওয়া গেল- এর সাথে ধূমপানের প্রভাব তো ছিল। আর পরিবেশগত বিপত্তি তো ছিল। সব দিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ এলে নিজেকে বাঁচানো তো আসলেই কষ্ট।

দীর্ঘ ১০০ ঘন্টা হাসপাতালে কাটিয়ে ফিরে এলাম বাসায়।

ডাক্তার বলছিলেন- মাঠে ঘাটে এত কাজ করলেন এখন একটু না হয় কম ঘুরলেন?

কিন্তু কাজ- সেতো জীবন জীবীকা আর মনের আনন্দের জন্য। শরীরের স্বার্থে আনন্দটা না হয় একটু কমই করলাম কিন্তু জীবন জীবীকার কাজটা কি মাঠ ঘাট ছাড়া হবে? অর্থ উপার্জনের সহজ পন্থা হিসেবে চুরি করা বা ক্রীতদাস হওয়ার মতো কোন যোগ্যতাই যে অর্জন করা হয় নাই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:১৬

দুরদেশী বালক বলেছেন: জীবন জীবীকার কাজটা কি মাঠ ঘাট ছাড়া হবে? অর্থ উপার্জনের সহজ পন্থা হিসেবে চুরি করা বা ক্রীতদাস হওয়ার মতো কোন যোগ্যতাই যে অর্জন করা হয় নাই।

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:০৩

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ। সবার তো সব যোগ্যতা থাকে না।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আসসালামু য়ালাইকুম। রোগী রোগী দুর্বল ভাবটা মনে হয় এখনো আছে। লেখায় এরকম কেমন জানি একটা ছাপ মনে হলো। দু'আ করি আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন আপনাকে পূর্ণ সুস্থতা দান করুন। আমীন।

পরে সময় পেলে নীচের লিঙ্কটি খুলে দেখতে পারেন। রোগব্যধি নিয়ে লেখা আর কী। তবে শরীরটা বেশি দুর্বল থাকলে না পড়াই ভাল। পরে পড়া যাবেনে।

Click This Link


আর একটি আমন্ত্রণঃ

আসসালামু য়ালাইকুম। আল্লাহর মেহেরবানীতে আমি ফেসবুক ও সামহো্য়্যার ইন ব্লগে লেখালেখি করি। আমি ইসলামের সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই যেন তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে মেনে নেয়। আপনাদের সকলকে পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
ডাঃ জহির।

সামহোয়্যারের ঠিকানাঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/drzahirul
ফেসবুকঃ
http://www.facebook.com/dr.zahirul

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:০৮

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: হয়তো বা তাই। রোগ হলে চিকিৎসকের কাছেই যেতে হবে। যদি নিজেকে বেশি শক্তিমান ভাবেন তাহলে চিকিৎসা শাস্ত্রকে অবজ্ঞা করার সাহসও হতে পারে।
আমি যতটা সুস্থ চিকিৎসকরা তার চেয়ে বেশি রোগী বানাতে পছন্দ করেন। আমি যেখানে ২৪ ঘন্টা পরেই ঘরে ফেরার উপযুক্ত ছিলাম সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকরা ১০০ ঘন্টার বেশি রাখলেন সেটা ই তো বুঝি না।
(বলে রাখি- আরো দু একদিন রাখতে চেয়েছিলেন। একটা টেস্টের নামে। বলেছি- সিডিউল দেন- টেস্ট করে যাবো। রোগীর রোগপ্রবণতা আর মানসিক দূর্বলতা না থাকলে হাসপাতালের ব্যবসায়টা হবে কেমনে।)
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সুযোগমত েআপনার লেখাও দেখে নেবো।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

অকপট পোলা বলেছেন: অনুগ্রহ করে সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার করুন মাঠে ঘাটে। আপনারা থেমে গেলে কৃষকদের কি হবে??!! :| :|

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:২৪

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের এই ভালবাসাতেই বেঁচে থাকার প্রত্যাশা। আপনার পরামর্শ ব্যবহার করবো যথাসাধ্য।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কাজের ঝুঁকি আছে সব কিছুতে। সতর্কতাই একমাত্র নিদান।

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০১

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ। কাজের ঝুঁকি তো সব পেশাতে বর্তমান। তারপরও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কাজটি তো কেউ করে না। কাজের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল রিস্ক কাভার করার ব্যবস্থাও নেই। নিজে থেকে সতর্ক থাকা ছাড়া আর করণীয় কিছু নাই।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ব্লগ চালানোতেও ঝুঁকি আছে । 57 ধারার ঝূঁকি ;)

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০২

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: খারাপ বলেন নাই। কোথায় যে কি ঝুঁকি তার কি সব খবর আমাদের কাছে আছে?

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আহসানের ব্লগিং বলেছেন: ব্লগ চালানোতেও ঝুঁকি আছে । 57 ধারার ঝূঁকি

২৮ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৩৪

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধণ্যবাদ

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো লিখেছেন...
শুভকামনা..।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:২০

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.