![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবিক হওয়ার অনুশীলন চাই
একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সহায়তার জন্য স্থানীয়ভাবে যুবকরা সংগঠিত হয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করতেন, বিতরণ করতেন দুর্গত মানুষদের মাঝে। শীতের দিনে, বন্যায়, ঝড়ে সব সময়েই এমন হতো।
এর ফলে যুবসমাজ অর্জন করতো মানবিক গুণাবলী আর সমাজের প্রতি পালন করতো এক বিশাল দায়িত্ব। এই তরুণরা অর্জন করতো মানুষের ভালবাসা।
কিন্তু কর্পোরেট কালচার এর যুগে- এখন এই সব মানবিক উদ্যোগও সিএসআর এর নামে হাইজাক করছে বড়- বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
এরা সাধারণের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে তার সাথে আরো কিছু যুক্ত করে হয়তো দরিদ্রদেরই দেবে। কিন্তু ক্ষতিটার কথা কেউ ভাবছে না।
এসব কারণে বর্তমানের যুবসমাজ মানবিক হয়ে ওঠার অনুশীলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর সাধারণের সাথে যুবসমাজের দায়িত্বশীল সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে না বরং বাড়ছে দুরত্ব। এটা আসলেই অনেক বড় ক্ষতি।
এমনিতেই প্রচলিত সিস্টেমে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কটি হয়ে উঠছে যান্ত্রিক। মানবিক জায়গায় কোনো চাষাবাদও হচ্ছে না-
সেখানে কর্পোরেট কালচারের প্রভাব সমাজকে কোথায় নিতে পারে?
সামাজিক দায়িত্বের ছদ্মাবরণে কর্পোরেশন গুলো ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সুবিধা পায়, বাজারে বিনা কষ্টে সুনাম অর্জন করে আর বিনিয়োগ মুনাফা বৃদ্ধি করে- একথা কারো অজানা নয়। যত মানবিক বিজ্ঞাপনই হোক না কেন- সবটাই মুনাফা ( সেটা আর্থিক বা সামাজিক) অর্জনের উদ্দেশ্যে।
অতএব কর্পেোরেট কালচার এর প্রভাব থেকে বের হয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালনে অনুশীলন করার জন্য যুবসমাজের সুযোগটি পুনরুদ্ধার যৌথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করি।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:১০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
দুরদেশী বালক বলেছেন: ওরা যন্ত্র বানাবে- মানুষ নয়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:১০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: যন্ত্র বানানো শেষ
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১২
রাজিব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন বলে ধন্যবাদ। এ ব্যপারে আসলে মধ্যবিত্ত মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন স্থানে যদি একটু একটু করে টাকা জমাই তবে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক কিছুই করার আছে। আর সরকারি পর্যায়ে যদি একটা বড় ফাউন্ডেশন করে মানুষের জন্য কিছু করার উদ্যোগ নেয়া হয় তাও ভাল। কিছু দুর্নীতি হবেই, কিছু চাঁদাবাজি হবেই এটাই কঠিন বাস্তবতা। ১০০ টাকার দুর্নীতি হয়েও যদি আরও ১০০ টাকা দুস্থ মানুষের কাছে পৌছায় তাতেও দেশের কিছুটা মঙ্গল হবে।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১৪
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে বিষযটি ভাবনার মাঝে আনা উচিত।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত রেজা ভাই।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৮
খাটাস বলেছেন: লেখকের কাছে পোস্ট টির লিঙ্ক ব্যবহারের অনুমতি চাইছি। অনেক কৃতজ্ঞতার সাথে প্লাস দিয়ে সযতনে রেখে দিলাম ভাই।
অনেক ভাল থাকবেন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: লেখা তো প্রচারের জন্য। আপনি যদি লিংক ব্যবহার করতে চান আমার আপত্তি নাই।
অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আরেকটি ব্লগের মাধ্যমে আপনার লেখার সন্ধান পেলাম। আসলে বর্তমান যুগে আমরা সবাই যান্ত্রক হয়েই গেছি। সাধারন মানুষকে সাহায্য করা তো দুরের কথা, নিজ পরিবারের কেউ হলেও একেবারে প্রতিষ্ঠিত কে দিতে চায় না। কারন প্রতিষ্ঠিত হলেতো আর সে আমাদের কাছে আর আসবে না। তাই রিক্তহাতে ফিরিয়ে না দিলেও যা দেই তাতে তাকে ঘুরেফিরে আবার আমাদের কাছেই আসতে হবে।। সভ্যতা ও মানবিকতারও আধুনিকীকরন!!
এত সুন্দর লেখাটি বোধহয় বিশ্বকাপের ডামাঢোলে চোখে পড়ে নি। ধন্যবাদ।।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:০০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ভাল ও গোছানো লেখা। সহমত পোষণ করি।