![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোট প্রদানের অভ্যাস
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কেউ ভোট দেবেন দলীয় পরিচয় দেখে- কেউ দেবেন ব্যক্তি পরিচয়ে। আঞ্চলিকতা- আত্মীয়তা-ধর্মীয় পরিচয়ও কম যায় না- অর্থের বা ক্ষমতার প্রভাবও এর সাথে যুক্ত। ভোট দানের ক্ষেত্রে যেমন নানা প্রভাব বিদ্যমান তেমনি না দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন যুক্তি থাকে। অনেকেই কখনো ভোট দিতে যান না- দিয়ে কি হবে এ নিয়ে প্রশ্ন থাকে তাদের মাঝে। এগুলোও এক ধরনের স্বজনপ্রিয়তা।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটাটিকার প্রযোগ কেবল অধিকারই নয়- দায়িত্বও বটে। ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা প্রশর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের আরেকটি বিবেচনা বোধ কা্জ করে যে- ভোটটি কাজে লাগলো কি না। সাধারণ একটা প্রবণতা হলো প্রদত্ত ভোটে প্রার্থী জিতলেই ভোটটি কাজে লাগলো- মানে তা নষ্ট হলো না।
আসলেই কি তাই- জিতলেই ভোট কাজে লাগলো? যদি সেটা দানবকেও নির্বাচন করে? যে ভোট প্রদান করা হলো- তা্ যদি বিজয় নিশ্চিত না করে তবে কি তা ব্যর্থ হয়ে গেল-? যদি আপনি একজন ভাল মানুষকে ভোট দিয়ে থাকেন?
এই নির্বাচনের ফলাফলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না- বা সরকারের পতনও হবে না। যাদেরকে ভোটি দিয়ে জেতাবেন- তার জিতলেই আপনার জন্য কাজ করবে তার গ্যারান্টি নেই। আপনার ভোট না পেয়েও যদি কেউ জেতেন তিনি আপনার জন্য কাজ করবেন না তেমনও কোনো কথা নেই। তাহলে ভোট কাকে দেবেন?
আপনার যোকে ইচ্ছা তাকে দেন- আপনার বোধ অনুযায়ী- রুচি অনুযায়ী। তবে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গীটা পরিবর্তন প্রযোজন।
আপনার ভোট কখনো নষ্ট হবে না- যদি আপনি তা নিজের বিবেক ও জ্ঞান দিয়ে প্রয়োগ করেন। কারণ
১. আপনি যাকে ভোট দিচ্ছেন তিনি নির্বাচনে জামানতও হারান তাহলেও তিনি জানবেন কিছু মানুষ তাঁর সাথে আছেন যা ভাল মানুষকে রাজনীতিতে আসার প্রেরণা দেবে।
২. আপনি যদি প্রচলিত প্রবণতার বাইরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলে অন্যরা যারা পেশী- রাজনীতি- অর্থ-প্রভাব নিয়ে ভোটে আসে তারা রাজনীতিকে নতুন করে ভাববেন। জনসম্পৃক্ততা ছাড়া রাজনীতি না করার একটি বার্তা যাবে।
৩. অন্যরা জানবেন- বিকল্প একটি ধারা তৈরী হচ্ছে
আমরা অনেকেই দ্বিদলীয় ধারার বাইরে একটি তৃতীয় ধারা চাই- অথচ ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে দুই ধারার মধ্যেই নিজেদের আবদ্ধ রাখি। ভোটাররা যদি ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের নিজের অভ্যাস বলয় থেকে বের না হয় তাহলে কিছুই হবে না- আমরা ভোট নষ্ট না করার অজুহাতে অপদার্থ মানুষও নির্বাচিত করতে পারি- যোগ্যতাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারি- এবং একই সাথে নতুন সম্ভাবনাকে থামিয়ে দিতে পারি।
তাছাড়া কথায় আছে- প্রজার গুণই রাজার মাঝে দেখা যায়।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: সেই জন্যই তো এটা বলা। কিন্তু বলে যে কি হবে তা কে জানে?
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
দুরদেশী বালক বলেছেন: কোনো লাভ নেই জনাব
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: একেবারে নেই? নাকি কিছু আছে?
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আপনি ভিন্নভাবে দেখছি। আমরা ছিন্নভাবে দেখছি...
কী আর করা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪১
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: অপদার্থ নির্বাচনের মাধ্যমেই ভোট নষ্ট হয়। কিন্তু সেটা বোঝে কয় জন।