নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশিথের নিশাকর

নিশিথের নিশাকর

নিশিথের নিশাকর

জীবনের এক চরম পর্যায় মানুষকে একটা উত্তরহীন প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হয়।আমার কষ্ট গুলো ঐ প্রশ্নের মধ্যে জড়িয়ে আছে।মরণশীল পৃথিবীতে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বড় বেশি মনে পরে।যাকে ভোলা যায়না শত সুখে-দুঃখ।লিখালিখি করি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি বাবা-মাকে।

নিশিথের নিশাকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐশী …........

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৯

ঐশী …........



পূর্বাহ্ণের জ্বলন্ত অগ্নির সম্মুখে নিজেকে মোম ভাবতে একটুও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

জীবন জেনো যমরাজের ছোট ব্যাংকটায় জমা রেখে অপেক্ষা করছে প্রেয়সীর তরে।

একি ভালাবাসা, না কি অগ্নি পরীক্ষা।প্রভাকরের প্রখর তাপে উপছে পরছে লবনাক্ত জল,

সে জল বিজয়ের অলক ভিজিয়ে ললাট বেয়ে বুক স্পর্শ করছে।কিন্তু অপেক্ষার দণ্ডায়মান সময় শেষ হচ্ছে না।

উফফ ঈশ্বর আর পারিনা, প্রেমের সুপ্ত সুখের আশায় বাস্তবতার এই বলিদান দিতে।



ভরদুপুরে বিজয় তার ঐশীর আশার পথ চেয়ে আছে, মেয়েটা বড্ড অলস।

এইটুক জায়গা আসতে এতো সময় লাগে, আজ আসুক বুঝাবো গরম কারে কয়।

নন্দন পার্কের গেট থেকে রাস্তা পরিস্কার দেখা যায়, একটু পর পর এক দুইটা গাড়ি আসছে।

কিন্তু ঐশীর গাড়িটা দেখা যাচ্ছে না।



বিজয় চরম রেগে এই রোদে দাড়িয়ে আছে, হটাত ঐশীর গাড়ীর দিকে চোখ পড়লো।

গাড়ী দেখেই বিজয়ের দেহে শক্তি ফিরে এলো।খুশিতে মন ফড়িং লাফালাফি শুরু করেছে।



ঐশী গাড়ীর গ্লাস নামিয়ে বিজয়কে ঈশারা করে ডাকছে।

বিজয় ঐশীর সামনে গিয়ে বলল—কি?

—ইসস, তুমি তো ঘেমে শেষ।সরি জান, আমার ভুল হয়ে গেছে।আজকেও লেট।আজকে............

—থামো থামো।আজকেও রাস্তায় জ্যাম ছিল।তাই তো, ইট’স ওকে ডিয়ার।

—বিজয় একটু গাড়িতে উঠবে?

—কেন?

—উঠই না।

—কি যে করোনা।আচ্ছা.........।



ঐশী গাড়ীর গ্লাস উঠিয়ে এসি ছেড়ে দিয়ে, ওড়না দিয়ে বিজয়ের ললাটের জমানো নোনা পানি মুছে দিচ্ছে।

বিজয় পরম সুখে ঐশীর স্পর্শ অনুভব করছে।এক নিমিশেই ভুলে গেলো দিবাকরের দেওয়া তাপের কথা।



পৃথিবীতে এর থেকে বিশুদ্ধ ভালোবাসা আর বুজি নেই।বিজয়ের খুব ইচ্ছে করছে ঐশীর কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে।

আর ঐশীর আলতো ছোঁয়ায় কি জেনো এক যাদু আছে, মাতাল করে দিচ্ছে।ঘুমের পরীরা বিজয়ের চারপাশটা ছেয়ে নিচ্ছে।

নিজের অজান্তে বিজয় বলে ফেললো—আমি একটু ঘুমাই।

ঐশী বলছে—ক্লান্তি লাগছে, আচ্ছা তুমি ঘুমাও, আজ না হয় পার্কে ঢুকবো না।

বিজয় লাফ দিয়ে উঠে বলল—না, চল আমরা পার্কে যাই।



তারপর দুজনে হাত ধরে পার্কের ভিতরে ক্যান্টিনে বসে গল্প করছে।

দুজনার অনুক্ত কথা আর কিছু নতুন স্মৃতির সৃষ্টি করছে।

এ দৃশ্য জেনো স্মৃতির মণিকোঠায় গেঁথে রাখার জন্য।

যার শেষটা আমার জানা নেই।







লিখাঃ নিশীথের নিশাকর

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.