![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.......সুন্দর সময় সবার জন্য অপেক্ষা করে ....কেউ তা ডেকে আনে আর কেউ আনে না........
একটা সময় এমন ছিলো যখন চিঠির পাতা ভরে হৃদয়ের অনুচ্চারিত কথামালা পৌঁছে যেত প্রিয়জনের কাছে। সময় বদলেছে বদলেছে প্রযুক্তির প্রেক্ষাটও। এখন আর হলুদ খামের অপেক্ষায় আনচান হয় না কাঠফাঁটা দুপুরবেলা। অপেক্ষা শুধু একটা রিং টোনের।
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতি মুহূর্তে এসেছি একটু একটু করে। আমাদের এগিয়ে যাবার কারণ ও সহায়ক হলো প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির এই বিস্ময়কর উন্নয়ন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় খুলে দিয়েছে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার। প্রযুক্তির উন্নয়নের একটি বড় উদাহরণ হলো মোবাইল ফোন নামক মুঠো ফোন । মোবাইল ফোনের কারণে যোগাযোগটা এখন অনেক সহজ। প্রযুক্তির এই উন্নয়ন ও মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা মানুষের কাছে যোগাযোগের দুরত্ব কমিয়ে দিয়েছে অনেক খানি। এখন রিং টোন বেজে ওঠার সাথে সাথেই ফোনের অপর পাশের মানুষটির সাথে সহজেই আলাপ জমানো যায় । এভাবে মুঠো ফোনের হাত ধরে আমরা একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে আসি ফলে গড়ে ওঠে একটি সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ।
মোবাইল ফোনের উদ্ভাবন ঃ
Dr. Martin Cooper কে বলা হয় মোবাইল ফোন বা ঈবষষ চযড়হব এর উদ্ভাবক। তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মূলত এই মোবাইল ফোনের উদ্ভাবনের মূল হোতা। তিনি ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে Research and Developemtnt at Motorola Director নিয়োজিত থাকা অবস্থায় প্রথম তিনি ঐতিহাসিক মোবাইল কল করে। তবে বর্তমানের মোবাইল ফোনের যে যোগাযোগ ব্যবস্থা তার উদ্ভাবক Richard H. Frenkiel andJoel S. Engel. ১৯৮৩ সালে তাঁদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কারণেই বর্তমানের মোবাইল ফোন ভিত্তিক যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্ভবপর হচ্ছে।
মোবাইল ফোন কী ঃ
ফোন বলতে মূলত আমরা ল্যান্ডফোনকেই বোঝাই। তবে মোবাইল হলো এমন এক ধরনের তারবিহীন ঠেলিফোন ব্যবস্থা যা বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে অন্য টেলিফোন সেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
ইংরেজি mobile phone – এর ফ্রেন্স প্রতিশব্দ হলো Telephone mobile. ইতালিয়ান প্রতিশব্দ হলো Cellulare, telephone cellulouce. তাই মোবাইল ফোনকে অনেক সময় সেল ফোন ও বলা হয়। আর বাংলায় বলা হয় মুঠো ফোন ।
মোবাইল হলো এক প্রকারের তার বিহীন যোগাযোগ মাধ্যম; ফলে মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
বন্ধুত্ব কী ঃ
আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা বহু মানুসের সান্নিধ্যে আসি। তবে এদের মধ্যে খুব কম মানুষেরই কাছে আমি ও তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করি। অর্থাৎ খুব কম মানুষের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্ব হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে আন্তরব্যক্তিক সম্পর্ক যা পারস্পরিকভাবে তৈরি হয়, প্রতিষ্ঠা পায়ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
মোহাম্মদ আলী বন্ধুত্বকে এভাবে সংজ্ঞায়ন করেন-
“Friendship is the hardent thing in the world to explain. It’s not something you learn. But if you haven’t learned the meaning of friendship, you really haven’t learned anything.”
Mencius বলেন-
“Friendship is one mind in two bodies” ” তাই, বন্ধুত্ব হলো এমন এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন যা দুই বা ততোধিক ব্যক্তিবর্গকে একটি সুন্দর সম্পর্কজালে আবদ্ধ করে রাখে।
এরিস্টটাল -
“Friendship is a single soul dwelling in two bodies”.
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের আগমন ও বিকাশ ঃ
মোবাইল ফোন উদ্ভাবিত হবার কিছুদিনের মধ্যে এটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম আসে ১৯৯৫ সালে সেবা টেলিকমের হাত ধরে। এরপর আসে সিটিসেল তারপর মার্কেট দখল করে নেয় ১৯৯৭ সালে আসা গ্রামীনফোন। ধীরে ধীরে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ের সফলতা দেখে একটেল, বাংলালিংক, ওয়ারিদ, টেলিটকসহ অনেক মোবাইল কোম্পানি এদেশে তাদের ব্যবসায় শুরু করে। বর্তমানে (ফেব্র“য়ারি-২০০৮) এর সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৭.৫৫ মিলিয়ন।
অটারেটর ব্যবহারকারী (মিলিয়ন)
গ্রামীন ফোন লিমিটেড ১৭.২০
একটেল ৭.৩৬
বাংলালিংক ৭.৮৮
সিটিসেল ১.৫১
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ১.০০
ওয়ারিদ টেলিকম ২.৬৩
মোট= ৩৭.৫৫
মোবাইল ফোনে বন্ধুত্ব ঃ
“প্রয়োজন কেউ কাছে থাকার”
গ্রামীন ফোনের এই বিজ্ঞাপনটি মনে করে দেয়, আমরা প্রতিনিয়তই কারো সঙ্গ কামনা করি আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই। বিজ্ঞাপনটিতে দরজা খোলা থেকে শুরু করে রমনীর গলায় নেকলেস পরা পর্যন্ত কারো না কারো সহচার্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তেমনি জীবনের চলার পথেও আমাদের বন্ধুর প্রয়োজন। মানুষের এই প্রয়োজনীয়তাকে মনে রেখেই গ্রামীন ফোনের মূলমন্ত্র তৈরী হয়েছে-
“কাছে থাকুন”।
সবাইকে কাছে রাখার প্রত্যয় নিয়েই যেন গ্রামীণ ফোন নেটওয়ার্ক বাঙ্গালীর জীবনে প্রবেশ করেছে। আর তারই ধারাবাহিকতা রক্ষায় একে একে এসেছে অশঃবষ (একটেল বাংলালিংক), টেলিটক , সিটিসেল) ও সর্বশেষে (ওয়ারিদ)। এ সকল মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বন্ধুত্ব রক্ষায়, বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে এমনকি সম্পর্ক তৈরী পাশাপাশিতে ভাঙ্গতেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন বিহীন আমাদের জীবন যাত্রা অকল্পনীয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ায় জনজীবন চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে। সারা বিশ্বে যোগাযোগ প্রক্রিয়া বর্তমানে মোবাইল ফোনের ভিত্তিতেই সহজেই সম্পন্ন হচ্ছে। সম্পর্ক তৈরী ও রক্ষার্থে এই মোবাইল ও এর সহায়ক কোম্পানি এক বিরাট ভূমিকা পালন করছে আর তাই হয়তো ঘড়শরধ কোম্পানির মূলকথা-
- “Connecting People”.
একবিংশ শতাব্দির এই সময়ে মানুষ অনেক বেশি যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে, ব্যস্ততার মাঝে প্রতিনিয়ত তার ছুটাছুটি। তাই এই সময়ে চিঠি লিখে বন্ধুত্বকে টিকিয়ে রাখা বা মুখোমুখি ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেয়া প্রয়াশই অসম্ভব। আর এই বন্ধুর পথটিকে সহজ করে তুলেছে আধুনিক যুগের তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের বাহক মোবাইল ফোন বা ঈবষষ-চযড়হব.
মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের সৃষ্টি ঃ
নিম্নে কয়েকটি কেস-স্টাডির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে যে প্রতিনিয়ত বন্ধুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করা হলো ঃ
কেস স্টাডি ঃ১
আবিদা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার মোবাইলে প্রতিদিন অনেক কল আসে, একদিন একটা নতুন নম্বর থেকে কল আসলো, আবিদা ফোনটা ধরল। কিন্তু রং- নাম্বার। অন্য কাউকে ফোন করতে গিয়ে তার কাছে কলটা এসেছে। কিন্তু ফোনের অপর পাশের মানুষটির দুঃখ ভরাকান্ত কণ্ঠস্বর তাকে আকর্ষণ করলো। ধীরে ধীরে ফোনে কথা বলতে বলতে তারা ভাল বন্ধু বনে গেল।
কেস স্টাডি ঃ ২
সজল মেডিকেল কলেঝের শেষ বর্ষের ছাত্র, কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মূল পর্বে গেলে সেখানে তার সাথে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মোনজ্জিল রিয়াদ্দের সেখানেই মোবাইল নাম্বার বিতরণ। কুইজ প্রতিযোগিতা শেষে প্রায়ই ফোনে কথা হতো তাদের। এখান সময়ে পরিক্রমায় তারা খুব ভাল বন্ধু।
কেস স্টাডি ঃ ৩
এই কেস স্টাডির সূত্র প্রথম আলো পত্রিকার “ছুটির দিনে” সাময়িকীর।
সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। এক ছুটির দিনে সে তার মায়ের সাথে দেখা করার জন্য কুমিল্লা যাচ্ছে। পথের সহযাত্রিটি একজন যুবতী। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার সময় তাদের সাথে আলাপ হয়। মেয়েটি কুমিল্লা শহরে প্রথম যাচ্ছে, তাই সাজ্জাদ হোসেন তাকে তার গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেয়, মেয়েটি তাই তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকে এই কৃতজ্ঞতা থেকেই তাদের মাঝে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব আর তারই ধারাবাহিকতায় বন্ধুত্বের এক সুন্দর পরিণতি ঘটলো পরিনয়।
এভাবে মোবাইল ফোনগুলো নতুন বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে মোবাইল ফোনে মিসকল বা কলের মাধ্যমে অনেক দৃঢ় বন্ধুত্ব তৈরি হচ্ছে। নতুন বন্ধুর তৈরি এই নীতিকে অব্যাহত রাখার জন্যই হয়তো “Djuice” এর আগমন “বন্ধু-আড্ডা-গান” এই শ্লোগান নিয়ে। মোবাইল ফোন ও এর কোম্পানিগুলো এভাবেই নতুন নতুন বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক সৃষ্টিতে অবদান রাখছে, তারই দারুন উদাহরণ বর্তমানে মোবাইল ফোনগুলোর নতুন সুবিধা Voice Chat. এই নতুন সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের ফোন ফ্রেন্ডদের সংখ্যা বাড়ছে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব চর্চা ঃ
নতুন বন্ধুত্ব সৃষ্টির পাশাপাশি মোবাইল নামক এই যোগাযোগ মাধ্যমটি বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে ও এক বিশাল অবদান রাখছে। এই বন্ধুত্ব রক্ষার জন্যই হয়তো গ্রামীণ ফোন বলে উঠে- “দুরত্ব যতই হোক কাছে থাকুন”।
কেস স্টাডি ঃ ১
সন্তান উচ্চ শিক্ষার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে, গ্রামে ফেলে এসেছি তার মা- বোনকে। তাদের মাঝে এই দুরত্ব যেন তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট না করে সেই জন্য ভূমিকা রাখছে মোবাইল ফোন। এখন আর সন্তানকে মার সাথে কথা বলার জন্য দূর-পথ পাড়ি দিতে হয় না, মোবাইলের গঠন টিপলেই চলে।
কেস স্টাডি ঃ ২
মেহনাজ- সামিরা- আয়শা- ইমন- ফয়সাল খুবই ভাল বন্ধু। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর তাদের সবার গন্তব্য ভিন্ন হয়ে যায়, ফাটল ধরে তাদের আড্ডায়, সবাই সবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, কিন্তু দেখা না হলেও আড্ডা না হলেও তাদের বন্ধুত্ব অটল থাকে এই মোবাইলের কল্যাণে।
এভাবে মোবাইল ফোন আমাদের হাজারো সম্পর্ক রক্ষায় সহায়তা করে। আবার পাশাপাশি আমরা অনেক সময় আমাদের পুরোনো বন্ধুকে ফেরত পাই এই যোগাযোগ মাধ্যমটির মাধ্যমে। যেমন ঃ কিছুদিন আগে আমার মোবাইলে একটা নতুন নম্বর থেকে কল আসে, দুই-তিনবার কল আসার পর আমি রিসিভ করে দেখি, সে আমার বাল্যকালের বন্ধু জোগাড় করে আমাকে ফোন করেছে। তাই অনেক বছর পর আমি ফিরে পেলাম আর খুবই প্রিয় একজন বন্ধুকে তাও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
আবার, আমার খালাতো ভাইয়ের বন্ধু রাসেলের সাথে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে মোবাইল ফোনে কথা হয়। যেহেতু তিনিও একজন সাংবাদিকতার ছাত্র তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনায় তিনি আমায় নানা ভাবে সহায়তা করতেন, তিনি প্রয়াশই তার সাথে আমার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। যদিও তাকে আমি আজ অবদি চোখে দেখি নি তথাপি তার সাথে এই মোবাইল ফোনের কল্যাণে ভাল একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
মোবাইল ফোন বন্ধুত্বের গভীরতা ও দৃঢ়তা বাড়ায়। যারা আমার সাথে পড়াশুনা করে, যাদের সাথে আমি সারাদিন আড্ডা আর সময় কাটাই, তারা আমার বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধুত্ব আরও গভীর হয় যখন তার সাথে আমার প্রতিনিয়ত ফোনে যোগাযোগ হয়। আর এই গুরুত্ব উপলব্দি করেই হয় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত তাদের নেটওয়ার্ক সুদৃঢ় করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে, যাতে করে আমরা দূর দুরান্তে থাকা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি।
আন্ত:ব্যক্তিক বন্ধুত্ব রক্ষায় মোবাইল ফোন ঃ
যখন দুর্জন ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তখন তাই হলো আন্তরব্যক্তিক বন্ধুত্ব। মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে এ ধরনে বন্ধুত্ব গভীরতা লাভ করে। সাধারণ পরিচিত বা অপরিচিত উভয় ক্ষেত্রেই এ ধরনের বন্ধুত্ব বেশি ঘটে। উদাহরণ স্বরূপ হঠাৎ একদিন আমার ফোনে একটা মিসকল এলো, এই মিসকলের ধারাবাহিকতায় কল, বিপরীত পক্ষের সাথে কথা বলে ভালো লাগলো তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা হতে পারে যার ফলাফল স্বরূপ একটি বন্ধুত্বে সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এমন আন্ত:ব্যক্তিক বন্ধুত্ব রক্ষায় মোবাইল ফোন আমাদের সাহায্য করে।
তিন বা ততোধিক ব্যক্তির বন্ধুত্ব রক্ষায় মোবাইল ফোন ঃ
মোবাইল ফোনের বিবিধ সুযোগ সুবিধার মাঝে এক নব সংযোজন হলো কনফারেন্স সুবিধা। যার সহায়তায় একদল বন্ধুত্ব এক সাথে কথা বলতে পারে, রীতিমতো মোবাইল আড্ডা জমাতে পারে। যার ফলে প্রতিনিয়ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা এক বিশাল আড্ডা গড়ে তুলি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধুদের সাথে। এভাবে মোবাইল ফোন এক গুচ্ছ বন্ধুদের একই বাঁধনে জড়িয়ে রাখে।
মোবাইল ফোনে সৃষ্ট বন্ধুত্বের পরিণতি ঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যাপক উন্নয়নের ফলে মানবজাতি এখন অনেকটাই যান্ত্রিক। এই যান্ত্রিকতা স্পর্শ করেছে তাদের মানবীয় সম্পর্কজালকেও। তাই বর্তমানে মোবাইল ফোন ভিত্তিক যে সম্পর্কজাল বা বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে উঠেছে তাও যান্ত্রিক। তাই এই যান্ত্রিক সম্পর্কগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না আবার অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য নয়। মোবাইল ফোনে সৃষ্ট বন্ধুত্ব সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এর মাধ্যমে বিপরীত মানুষটি সম্পর্কে ব্যাপক ভিত্তিতে জানা সম্ভব হয় না। আমার একজন মোবাইল বন্ধু আছে, যার নাম হিমেল। যখন আমার বাকি বন্ধুদের সাথে হিমেলের কথা বললাম। তখন তারা সবাই আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলো। এমনকি আমার অনেক বন্ধু এখনো হিমেলের সাথে আমার বন্ধুত্বকে মেনে নিতে পারে নি। আমরা প্রায়ই এমন সমস্যায় পড়ি কারণ আমাদের মোবাইল ফোনের সম্পর্ক বা বন্ধুত্বের পরিণতি অধিকাংশই কলঙ্কময়। গণমাধ্যমগুলোতে এই মোবাইল ভিত্তিক সম্পর্কের করুণ পরিণতি সেভাবে ফলাওভাবে প্রচার করা হয় তাতে এই বিষয়ে সকলের মাঝে একটি বিরূপ ধারণা জন্ম নেয়।
কেস স্টাডি ঃ ১
রেজা একজন কলেজ ছাত্র। কলেজে ভর্তি হবার পর বাবা তাকে একটি নতুন মোবাইল সেট দেয়। নতুন জিনিসটা পেয়ে রেজা দিনের অর্ধেক সময় এ নিয়েই কাটায়। সেই সময় মোবাইলে তার সাথে একটি মেয়ের বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে তারা ভাল বন্ধু বনে যায়। কিন্তু পরে রেজা জানতে পারে তার ঐ মোবাইল বন্ধুটি মেয়ে নয় ছেলে। এখানে তাদের সাথে সৃষ্টি বন্ধুত্বটি ছিলো ভূয়া।
কেস স্টাডি ঃ ২
কিছুদিন আগেও গ্রামের ছেলেরা যখন শহরে পড়াশুনার জন্য আসতো, তখন প্রতিমাসে গ্রামে গ্রামে বেড়াতে যেত তাদের প্রিয়মুখগুলোকে দেখার জন্য। কিন্তু এখন মোবাইল ফোনের কারণে প্রতিনিয়ত সন্তান তার মা-বাবার সাথে কথা বলছে, ফলে গ্রামে যাওয়া হচ্ছে না। মানুষগুলো থাকছে না কোন পিছুটান, তারা সবাই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। তেমনি গালিব ঢঅকায় আসার পর প্রথম প্রথম প্রতি মাসে সিলেটে চলে যেত। কিন্তু মোবইল আসার পর প্রথমদিকে প্রতিদিন কথা বললেও এখন আর প্রতিদিন কথা হয় না। ধীরে ধীরে মড়চে পড়ছে সেই রক্তের সম্পর্কেও। সকল সম্পর্কের পরাজয় ঘটছে এই যান্ত্রিক মোবাইলের কাছে।
কেস স্টাডি ঃ ৩
ডাক্তার রুমির সাথে ফোনে বন্ধুত্ব হয় শাকিলের। বন্ধুত্ব এতই গভীর হয় যে তারা পরস্পর পরস্পরের চিরকালে বন্ধু হবার ওয়াদা করে। কিন্তু একসময় রুমি জানতে পারে শাকিল তার নিজের পরিচয় নিয়ে রুমিকে যা বলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই যে শাকিলের সাথে তার বন্ধুত্ব ভেঙ্গে দেয়। যার পরিণতিতে রুমিকে তার জীবন বিসর্জন দিতে হয়।
এভাবে মোবাইল ফোনের সাথে বন্ধুত্ব যেমন গড়ে উঠে তেমন তা ভেঙ্গেও বাড়ে। মোবাইলের জন্য বন্ধুত্ব ভাঙ্গার বিষয়টিকে ভিত্তি করে সাইফুল ইসলাম জার্নালের পরিচালনার তৈরি হয় টেলিফিল্ম “স্টে ইন টাচ”। এখানে মিতুল ওসাবার বন্ধুত্ব ভাঙ্গার মূল কারণ এই মোবাইল ফোন।
মোবাইলে বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় আমরা প্রায়ই মিথ্যা বলি, যেমন : ক্যাম্পাসে থাকলে বলি বাসায় আছি বা আরও অনেক মিথ্যা। যা আমাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দুর্বল হবার কারণ হয়ে যায় অনেক সময়।
তাই “Stay In touch- বলে শ্লোগান দিয়ে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো আমাদের জনজীবনে প্রবেশ করলেও মূলত এই যন্ত্রটি আমাদেরকে প্রায়ই আমাদের প্রিয় মানুষগুরোর নিকট থেকে দুরে সরিয়ে দিচ্ছে, আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করছে।
আমাদের জীবনে মোবাইল ফোন ভিত্তিক বন্ধুত্বের প্রভাব ঃ
একবিংশ শতাব্দীতে এসে এই মোবাইল ফোন নামক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের জনজীবনের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে, মোবাইল বিহীন আমাদের জীবন আমরা কল্পনাও করতে পারি না, তার দরুন আজ দেখা যায় স্কুল ছাত্রের হাতেও মোবাইল। পাশাপাশি শিশুরাও তার খেলনার রাজ্যে একটা মোবাইলের খোঁজ করে। তাই এবং মোবাইল ফোনের প্রভাবও ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয় আমার প্রত্যহিক জীবনে।
* মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসায় করছে আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে। এই মোবাইল কোম্পানিগুলো মানুষের আবেগ বন্ধুত্বও ভালবাসাকে মূল উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে, কর্পোরেট পুজি অর্জনের প্রয়াস চালায় প্রতিনিয়ত। আর এরই রক্তিম হাতের শিকার আমাদের বন্ধুত্বও সম্পর্কগুলো। মূলত, উমঁরপব এর বিজ্ঞাপনগুলোতে কিশোর-কিশোরীদের বন্ধুত্বের এমন একটা দিককে সর্বদা গুরুত্ব দেয়া হয়, যা আমাদের সংস্কৃতির জন্য অবমাননাকর। তার প্রতিফলন দেখা যায় আমাদের দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। যেখানে বন্ধুত্ব, আবেগ-অনুভূতি ভালবাসা শুধ্ইু মোবাইল নির্ভর; মানবিক অনুভূতিগুলো কর্পোরেট পুঁজির হাতে বন্ধ।
* বন্ধুত্ব তৈরিও চর্চার জন্য আমরা রাত ১২টার পর মোবাইলে কথা বলি, বা ছাত্রজীবনে এক ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এই ভয়ংকর পরিণতির হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সরকার ১২টার পর এত কম-কলরেট না রাখার উদ্যোগও নিয়েছিলেন।
* মোবাইল ফোনে বন্ধুত্ব চর্চা করা যায় বলে, আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের বন্ধু ও প্রিয়জনদের কাছে থাকতে পারি।
* হলুদ খামে ভর্তি চিঠির পাতায় অনুভূতিগুলো অনেক বেশি প্রকাশিত হয়, কিন্তু এই মোবাইল যুগে বন্ধুত্বের বন্ধনটিও যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে।
* বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা সরাসরি কথা না বলে প্যাচিয়ে কথা বলার এক দীক্ষা অর্জন করেছে, যা মূলত মোবাইলে বন্ধুত্ব স্থাপনের কারণেই।
মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের ইতিবাচক দিক ঃ
আধুনিক প্রযুক্তির অপার বিস্ময় মোবাইল, যার মাধ্যমে বন্ধুত্ব সৃষ্টি ও চর্চার এক দারুন সুযোগ রয়েছে। নিম্নে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হলো ঃ
মোবাইল বন্ধুত্ব তৈরির সুযোগের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন বন্ধু অর্জন করছি।
পুরানো বন্ধুরা কাছে না থাকলে তাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে পারিছ।
মোবাইলের মাধ্যমে সহজে আমরা আমাদের বন্ধুদের সাথে আবেগ অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করে নিতে পারছি।
বন্ধুর যো কোন সমস্যায় আমরা স্বশরীরে তার পাশে না থাকতে পারলে, মোবাইলের সহায়তায় প্রতিমুহূর্তে তার পাশে থাকছি।
বন্ধুত্বকে গাঢ় করতে মোবাইল আমাদের সহায়তা করে।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুকে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ হয়।
মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের নেতিবাচক দিক ঃ
মোবাইলের কিছু উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা ও কম নয়। যেমন ঃ
বন্ধুর সাথে যদি আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সারাক্ষণ যোগাযোগ করি তবে তা আমাদের মূল্যবান অনেক সময় নষ্ট করবে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বর্তমানে বন্ধুদের মাঝে অনেক অশ্লীল গগঝ ও অশ্লীল ঝগঝ চালান হয়, যা যুবক-যুবতীদের নৈতিক অবক্ষরে কারণ।
মোবাইল বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় মোবাইল থেকে এক ধরনের রেডিয়াস আমাদের মস্তিস্কে প্রবেশ করে যা আমাদের শরীরের জন্য খারাপ।
রং নম্বরে ফোন বা মিসকলের কারণে অনেক সময় অপরিচিত মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি হয়, যা বেশির ভাগ সময়ই খারাপ পরিণতি ডেকে আনে।
মোবাইলে ফোনে বন্ধুত্ব আমাদের বন্ধুত্বকেও অনেকটা যান্ত্রিক করে ফেলেছে।
মোবাইল ফোনে অপরিচিতদের সাথে বন্ধুত্ব প্রায়ই গড়িয়ে প্রেমে পরিণত হয়, যার পরিণতি হতে পারে ঢাকার অদূরে নারায়নগঞ্জে সেই দুই মেয়েরমতো, যারা মোবাইলে গড়ে ওঠা প্রেমের টানে প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছিলো, যার উপঢৌকনস্বরূপ তাদের প্রাণ উৎসর্গ ও করতে হয়েছে।
নিশিতে কল কইরো আমার ফোনে- বলে মোবাইলে বন্ধুদের সাথে সারা রাত কথা বলার যে প্রচলন শুরু হয়েছিল তা ছিলো ভয়াবহ।
সমালোচনা ঃ
যান্ত্রিক নগরীতে আমরা সবাই খুবই ব্যস্ত থাকি প্রতিনিয়ত। তাই মানসিক সম্পর্কগুলো ও বন্ধুত্বগুলো অনেক সময় রক্ষা করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এমন ক্ষণে মোবাইল ফোন আমাদের জন্য সুখ বার্তা বয়ে আনে। ঘরে বসেই আমরা আমাদের দূরের বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করতে পারি। গ্রামীন ফোনের “ঝঃধু ঈষড়ংব” স্লোগানের মত বন্ধু-প্রিয়জন পরিবারের কাছে থাকি প্রতিনিয়ত।
কিন্তু ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, “ঊীপবংং ড়ভ ধহুঃযরহম রং নধফ”- তাই মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আবার আমাদের জীবনে ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনে। মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের সাথে বেশি কথা বলার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে যা কাম্য নয়। তাই বন্ধুত্ব রক্ষাও চর্চার মোবাইলের ব্যবহার উচিৎ, অপব্যবহার নয়।
উপসংহার ঃ
“বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষণ
তোকে ছাড়া কিছু ভাল লাগে না এখন”।
এমন বিরহের গান করে রাত-দিন কাটাতে হচ্ছে না কোন বন্ধু প্রেমিককে এই একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক সময়ে। কারণ, প্রযুক্তি নব-সংযোজন মোবাইল ফোন নামক মুঠো কোন আজ সকলের হাতে হাতে। আর এরই সহায়তায় আমরা সকল বন্ধুদের আমাদের খুব কাছেই পাই। এই মোবাইল ফোনের কল্যাণেই ‘সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে’ অবস্থানরত আমার প্রিয় বন্ধুটি আমার সাথে সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারে। বিজ্ঞানের এই বিস্ময়কর সৃষ্টি এভাবে বন্ধুত্ব রক্ষায় ভূমিকা রেখে যায়। বলা হয়- “বিজ্ঞান দিয়েছে আমাদের চলার গতি, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আমাদের জীবনের যতি”।
এভাবে আবার এই মোবাইলের হাত ধরেই কত বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়, কত বন্ধুর জীবনের স্বপ্ন ভস্মীভূত হয়ে যায়। সে যাই হোক, মোবাইল ফোনও বন্ধুত্ব বর্তমান প্রেক্ষাপটে একে অপরের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১১
রকি সপ্নচারী বলেছেন: ঠিক আছে ।।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৮
মেঘকন্যা বলেছেন: গোটা এ্যাসাইনমেন্ট টাই তুলে দিয়েছেন,মনে হয়!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩১
রকি সপ্নচারী বলেছেন: জি :-)
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩২
রিয়েলফ্রেন্ড১৯৯২ বলেছেন: দারুন! সাংঘাটিক! জটিল! চমৎকার! অভুতপূর্ব!
খুবই ভাল লাগল আপনার লেখার ধরনটা দেখে।
আমার ব্লগদ্বয়ে স্বাগতম @ Click This Link আর @ Click This Link
০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৩
রকি সপ্নচারী বলেছেন: ধন্যবাদ ।।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৮
টানজিমা বলেছেন: এত তথ্যপুর্ন পোষ্টে আমি না হয় এক্টা দিলাম আরেক্টা মাইনাশ দিল কে???
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬
রকি সপ্নচারী বলেছেন: খোচাঁ খারাপ ছিলো না ।।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১০
প্রচেত্য বলেছেন: মোবাইলে বন্ধুত্ব - খারাপ না
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১১
প্রচেত্য বলেছেন: মোবাইলে বন্ধুত্ব - খারাপ না
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৮
ভূত ও ভবিষ্যত বলেছেন: অনবদ্য। এক কথায় অসাধারন লিখেছেন। বহুদিন এমন জ্ঞানী পোষ্ট পড়ি না। ব্লগে জ্ঞানী লেখকের খুব আকাল। আপনি সে সংকট দূর করবেন বলে মনে হচ্ছে। প্রতিভা নষ্ট কইরেন না। লেখালেখি চালিযে যান নিয়মিত। আছি আপনার সাথে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৫
রকি সপ্নচারী বলেছেন: এত পাম্প কেন ? নাকি খোঁচা ছিলো বুঝলাম না ঠিক ।
যাই হোক ধন্যবাদ ।।
৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৭
কুমারী০০৭ বলেছেন: কি এটা !!!!! বুঝলাম না কিছু......!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৬
সাধারণমানুষ বলেছেন: মার্কিং করলাম
.... আপনে ১০ এ ৬.৫ পাইছেন ...।