নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উদীয়মান সুর্যের দিকে যার চোখ নেই, সে-ই ডুবন্ত তারার কথা বলে থাকে

রহমত

দৃঢ় বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেম-জীবনযুদ্ধ এই হলো মানুষের হাতিয়ার

রহমত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার বন্ধুরা সবাই কে নববর্ষের শুভেচ্ছা। পহেলা বৈশাখের ইতিহাস জানতে হলে আমার এই ব্লগ ভিজিট করুন। পহেলা বৈশাখের বিভিন্ন কার্ড, কবিতা, এবং ইতিহাস জানতে হলে এই পোষ্টে ভিজিট করুন। আগামি কালকে কম্পিউটারে বসা সম্ভব নয় বলে আজকে এই পোষ্টটি দিয়ে দিলাম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৪













সন্মানিত ব্লগার বন্ধুরা

আজ পহেলা বৈশাখ। হাজার বছরের বাঙ্গালীর বুকের গহীনে/ পরম মমতা আর ভালবাসায় লালন করা/ কৃষ্ণচুড়া আর শিমুল ফোটা এই পহেলা বৈশাখ। সভ্যতার করাল গ্রাস/ নাগরিক জীবনের কোলাহল আর দৈন্যতা নিয়ে/ ইট কাঠের খাঁচায় বিবর্ন আমাদের জীবন/ যেখানে প্রতিদিন বেঁচে থাকার আকুলতায়/ একটু একটু করে/ জীবন থেকেই হারিয়ে যাচ্ছি আমরা/ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের হৃদয়ের উত্তাপ/ হারিয়ে ফেলছি প্রকৃতির কাছে থাকার আকুলতা। সেখানে প্রতি বছর বৈশাখ আসে আমাদের জীবনে রক্ত করবীর নন্দিনীর সাজে, দুহাত ভরে নিয়ে আসে রঙ আর আলোর উচ্ছাস, আনন্দ, প্রশান্তি, হৃদয়ের উত্তাপ। নিয়ে আসে সোনালী অতীতের আলো, বর্তমানের আনন্দ আর আগামীর স¦প্ন। সাথে নিয়ে আসে কাল বৈশাখীর গর্জন, মেলা, পার্বন, পিঠা উৎসব / আর ভালবাসার এক সর্বগ্রাসী জোয়ারে সিক্ত করে/ মুছে দিয়ে যায় আমাদের দীনতা গুলো, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে আলোকিত করে আমাদের হৃদয়।

ব্লাগার বন্ধুরা, পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম দিন। মুঘল আমলে প্রজাদের সারা বছরের কর, বছর শুরুর এই দিনে রাজাদের মিটিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। সে যুগে পহেলা বৈশাখ হাল খাতা উৎসব হিসেবে পালিত হতো। তখন এদিনে সাধারন মানুষের মনে আনন্দের চেয়ে কর দেওয়ার দুশ্চিন্তাই বেশি ভর করত।

কালের পরিক্রমায় চির সবুজ আর আনন্দপ্রেমী বাঙ্গালীদের সং¯কৃতিতে কষ্টকর হাল খাতা উৎসব পরিনত হয় প্রানের উৎসবে। আজ পহেলা বৈশাখ মানে রমনার বটমূলে ছায়ানটের মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা, আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বর্নিল মিছিল, সারাদেশ জুড়ে পান্তা ইলিশ আর মোয়া মুরকীর উৎসব।







পহেলা বৈশাখ

পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।



বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা সনের দিন শুরু হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। কাজেই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুর হয় বাঙালির পহেলা বৈশাখের উৎসব।



ইতিহাস







হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত।এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।



ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।



আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরী করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।



আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।[১] পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।



বাংলা সন::|:|:|:|:|:|:|:|







বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ বাংলাদেশ এবং ভারত বর্ষের একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত সৌরপঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌরদিন গণনা শুরু হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মোট ৩৬৫ দিন কয়েক ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়টাই এক সৌর বছর। গ্রেগরিয়ান সনের মতো বাংলা সনেও মোট ১২ মাস। এগুলো হল বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র। আকাশে রাশিমণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে বঙ্গাব্দের মাসের হিসাব হয়ে থাকে। যেমন যে সময় সূর্য মেষ রাশিতে থাকে সে মাসের নাম বৈশাখ।



বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ সৌরপঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে এই বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয় । বাংলা সন শুরু হয় পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে যে দিনটি ইংরেজী বর্ষপঞ্জির ১৪/১৫ এপ্রিল (ভারতে) এবং ১৪ এপ্রিল (বাংলাদেশে)।



বাংলা সন সব সময়ই গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির চেয়ে ৫৯৩ বছর কম ।



ইতিহাস








বঙ্গাব্দের সূচনা সম্পর্কে দু'টি মত আছে ৷ প্রথম মত অনুযায়ী প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খৃষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন ৷ সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্ক বঙ্গদেশের রাজচক্রবর্তী রাজা ছিলেন ৷ আধুনিক ভারতের বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার অধিকাংশ তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷ অনুমান করা হয় যে জুলিয়ান ক্যালেণ্ডারের সোমবার ১২ এপ্রিল ৫৯৪ এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেণ্ডারের সোমবার ১৪ এপ্রিল ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল ৷



দ্বিতীয় মত অনুসারে, মধ্যযুগে বাংলা সনের প্রচলনের আগে কৃষি ও ভূমি কর বা খাজনা আদায় হতো ইসলামিক হিজরী বর্ষপঞ্জি অনুসারে । হিজরী বর্ষপঞ্জি চান্দ্রমাস নির্ভর বলে সব সময় কৃষি কর্মকাণ্ড অর্থ বর্ষের সাথে মিলতো না । তাতে কৃষিজীবিদের ফসলহীন ঋতুতে কর বা খাজনা দেবার জন্য বাধ্য করা হতো । এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মহান মুগল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দ হতে ১৬০৫ খৃষ্টাব্দ) বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন । প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবি ও রাজকীয় জ্যোর্তিবিদ আমির ফতেউল্লাহ্ সিরাজী চান্দ্রমাস নির্ভর হিজরী বর্ষপঞ্জি এবং সৌরমাস নির্ভর হিন্দু বর্ষপঞ্জি গবেষণা করে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রস্তাব করেন । এর ফলেই সূচনা হলো বাংলা বর্ষপঞ্জির বা বাংলা সনের । বাংলা সনের সূচনা হয় ফসল তোলার সময়ে যখন কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে বছরের অন্য সময়ের চাইতে সচ্ছল থাকে । নতুন বর্ষপঞ্জি প্রথম দিকে ফসলী সন হিসেবে পরিচিত ছিল ।



ফসলী সনের প্রবর্তন হয়েছিল ১০ মার্চ / ১১ মার্চ ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে । কিন্তু তারিখ গণনা গুরু করা হয় সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহনের তারিখ হতে । নতুন চালুকৃত এই বর্ষপঞ্জি পরবর্তীতে বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন হিসেবে পরিচিত হয় ।



মাস







সম্রাট আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত তারিখ-ই-ইলাহী-র মাসের নামগুলি প্রচলিত ছিল পারসি ভাষায়, যথা: ফারওয়াদিন, আর্দি, ভিহিসু, খোরদাদ, তির, আমারদাদ, শাহরিযার, আবান, আযুর, দাই, বহম এবং ইসক্নদার মিজ।



বাংলা সন অন্যান্য সনের মতোই সাত দিনকে গ্রহন করেছে এবং এ দিনের নামগুলো অন্যান্য সনের মতোই তারকামন্ডলীর উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে।

• সোমবার হচ্ছে সোম বা শিব দেবতার নাম অনুসারে

• মঙ্গলবার হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের নাম অনুসারে

• বুধবার হচ্ছে বুধ গ্রহের নাম অনুসারে

• বৃহস্পতিবার হচ্ছে বৃহস্পতি গ্রহের নাম অনুসারে

• শুক্রবার হচ্ছে শুক্র গ্রহের নাম অনুসারে

• শনিবার হচ্ছে শনি গ্রহের নাম অনুসারে

• রবিবার হচ্ছে রবি বা সূর্য দেবতার নাম অনুসারে



বাংলা সনে দিনের শুরু ও শেষ হয় সূর্যোদয়ে । ইংরেজী বা গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির শুরু হয় যেমন মধ্যরাত হতে ।



সংশোধিত বাংলা সন







বাংলা একাডেমী কর্তৃক বাংলা সন সংশোধন উদ্যোগ নেয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ সালে । ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে এ কমিটি বিভিন্ন বাংলা মাস ও ঋতুতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ সাংস্কৃতিক জীবনে কিছু সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাকে নির্ণয় করে সেগুলো হতে উত্তরণের প্রস্তাববালী প্রদান করেন । বাংলা সনের ব্যাপ্তি গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির মতোই ৩৬৫ দিনের । যদিও সেখানে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণের পরিপূর্ণ সময়কেই যথাযথভাবে নেয়া হয়েছে । এ প্রদক্ষিণের মোট সময় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট এবং ৪৭ সেকেন্ড । এই ব্যবধান ঘোচাতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয় । ব্যতিক্রম হচ্ছে সে শতাব্দীতে যে শতাব্দীকে ৪০০ দিয়ে ভাগ করা যায় না বা বিভাজ্য । জ্যোর্তিবিজ্ঞান নির্ভর হলেও বাংলা সনে এই অতিরিক্ত দিনকে আত্মীকরণ করা হয়নি । বাংলা মাস অন্যান্য সনের মাসের মতোই বিভিন্ন পরিসরের । এই সমস্যাগুলোকে দূর করবার জন্য ডঃ মুহম্মদ শহীদূল্লাহ কমিটি বাংলা একাডেমীর কাছে কতকগুলো প্রস্তাব করে । এগুলো হচ্ছে ঃ- • বছরের প্রথম পাঁচ মাস বৈশাখ হতে ভাদ্র হবে ৩১ দিনের • বাকী মাসগুলো অর্থাৎ আশ্বিন হতে চৈত্র হবে প্রতিটি ৩০ দিনের মাস • প্রতি চতুর্থ বছরের ফাল্গুন মাসে একটি দিন যোগ করে তা হবে ৩১ দিনের



বাংলা একাডেমী সরকারীভাবে এই সংশোধিত বাংলা মাসের হিসাব গ্রহণ করে । যদিও ভারতের পশ্চিম বাংলায় পুরোনো বাংলা সনের প্রচলনই থেকে গেছে ।







বৈশাখ শেষের কথা







ভেবেছি, এবারের নববষে তোমায় দেবো

এক প্রস্ত মেঘ

আর অনেক গুলো কৃঞ্চচুড়া

ভেবেছি এবার পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে তোমায় দেবো

এক দৈঘ্য সমান বাতাস আর

অনেক গুলো পলাশ

ভেবেছি এবার পহেলা বৈশাখের দ্বিতীয় প্রহরে তোমায় দেবো

অনেক লাল রং আর

এক মুঠো স¦প্ন-কবিতা

ভেবেছি এবার পহেলা বৈশাখের শেষ প্রহরে তোমায় দেবো

সাদা মেঘ ভেসে থাকা কালো রং

রাতের আকাশ জুড়ে চন্দ্রিমা প্লাবন

অথচ,

যখোন এলেনা তুমি বাসন্তী রংয়ে,

সাজলে না কবিতার অবরনে

বৃষ্টি এলে কপোলজুড়ে

আর মুছে গেলো লাল রং

ছেড়া পাতায় পাতা লেগে যায়

মেঝে ময় ছড়ানো বই

পড়ে থাকা ছাই রং ধুলো

হয়ত অবার কোন এক ভাবনায় তুমি আসবে বলে

শ্রাবন আসে

বৃষ্টিতে তুমি ভিজবে বলে

রিমিঝিমি রিমিঝিমি আনন্দে







মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

গুপী গায়েন বলেছেন: বাংলা নববর্ষঃ আকবর বনাম এরশাদ চাচা


আপনার লেখা ভালো লেগেছে। প্রিয়তে আপাতত।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭

হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
আর ধন্যবাদ ইতিহাসটি তুলে ধরায়...

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮

গুপী গায়েন বলেছেন: বাংলা একাডেমী কর্তৃক বাংলা সন সংশোধন উদ্যোগ নেয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ সালে । ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে এ কমিটি .......

যতদুর জানি বাংলা মাসের দিন তারিখ নিরূপনে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যাপার স্যাপার আছে। জা নতে ইচ্ছা হচ্ছে ঐ কমিটিতে তেমন কেউ ছিলেন কি না। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবেরও এ বিষয়ে কতটা জ্ঞান ছিল বলে মনে হয়?

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

জসিম বলেছেন: ভালো লাগলো।

শুভ নববর্ষ

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২

নীরব 009 বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।ধন্যবাদ।


শুভ নববর্ষ।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: প্রিয়তে থাকবে। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৩৬

মুহম্মদ তুষার খান বলেছেন:

৮| ০৬ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:০৬

মুম রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। কাজে লাগলো। @মুহম্মদ তুষার খান পহেলা বৈশাখে সবাই এক ফূতর্ি করলে আপনার সমস্যা কী! ইন্টারনেট ব্যাপারটা কি ইসলাম অনুমোদন করে? সব জায়গা ইসলাম টেনে আপনারাই ইসলামের প্রতি বিরক্তি সৃষ্টি করছেন।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

মুয়াড পানজাবি বলেছেন: পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব।

মানব সভ্যতার কূলে কূলে বিকশিত বিভিন্ন জাতি তার ঐতিহ্য ও ধর্মীয় কূশলতায় কিছু আনন্দকে নিজের করে নেয়। এভাবেই ঘটে বিভিন্ন সংস্কৃতির বিকাশ।প্রত্যেক জাতি ও সভ্যতা এর মাধ্যমে খুঁজে পায় স্বকীয় অনুভূতি ও আলাদা পরিচয়।বাংলাদেশের এমনি একটি উত্সব-পহেলা বৈশাখ।

বর্ষবরণের দুদিন আগে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, "৫টার পর কেউ ওই সব এলাকায় থাকবেন না। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকতে পারবেন সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত। অবশ্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন পুলিশ কমিশনার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.