![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ফেইজবুকের বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছো।আমি ফেবু তে প্রায় সময় কষ্টের স্ট্যাটাস লিখি। তাই আমার ইনবক্সে অনেক বন্ধু জানতে ছেয়েছে, কেন আমি কষ্টের রঞ্জিত লেখা লেখি।আমি কি কষ্টে আছি নাকি?এবং আমি কি অবুঝ প্রেমের ফাঁদে পড়ে ছেঁকা খেয়েছি নাকি? আরও অনেক প্রশ্ন করে।প্রিয় বন্ধুরা তোমাকে প্রশ্নের জন্য তোমাদের কে অশেষ ধন্যবাদ।আসলে পারিবারিক জীবনে আমি অনেক সুখি।আমি কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত হলে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে ভীষণ অনুপ্রেরনা দেয়।তার মায়াবি ভালবাসার কারণে আমি মধুর সুখে সুখি।তার ভালবাসা না পেলে জীবন এতো সুন্দর আমি বুঝতাম না।আমিও তাকে ঢের ভালবাসি।তাকে ছাড়া আমি অন্য কিছু ভাবতে পারি না। সে হল আমার প্রিয়তমা পত্নী।
আমি ২০১২ সালে বিয়ের উদ্দিশে আবু ধাবি থেকে বাংলাদেশে যাই।রীতিমত পছন্দ মত মেয়ে দেখতে থাকি।প্রথম যে দিন আমি মেয়ে দেখতে যাই।সে দিন নিজের ভিতরে অজানা ভয় চেপে বসে ছিল।লজ্জা ও কম ছিল না।বিয়ে উদ্দিশে প্রথমে একটি মেয়ে দেখলাম তাকে তেমন একটা ভালো লাগেনি।তারপরে অন্য একটা মেয়ে দেখার জন্য রওনা দিলাম।রাস্তার অবস্তা দেখে মনে মনে বলতে লাগলাম যে মেয়েটা দেখতে যাবো , যেন তাকে পছন্দ না হয়।যাক দুরু-দুরু হৃদয়ের কম্পন নিয়ে তাদের বাসায় গেলাম।অবশেষে মেয়েটিকে আমার সামনে নিয়ে এলো ।লজ্জা শরম ভুলে গিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ড মেয়েটিকে দেখালাম।(বলে রাখা ভালো মেয়েটির নাম নিশু।) এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঐ মেয়েটি কে আমার ভীষণ ভালো লেগে গেলো।ওখান থেকে ফিরে এসে বাসায় জানালাম ঐ মেয়েটি কে আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে।অভিভাবকেরা বলল আচ্ছা ঠিক আছে ঐ মেয়ে আমাদের বিবেচনায় রহিল। আমারা আরও মেয়ে দেখব।দেখি তার চেয়ে আরও ভালো মেয়ে পাই কিনা। কি আর করা তাদের অবাধ্য হওয়ার দুরসাহস হল না।দেখতে দেখতে অনেক মেয়ে দেখা শেষ ।সবার পছন্দ হয় কিন্তু আমার একেবারে পছন্দ হচ্ছে না।এই ভাবে কেটে গেলো এক মাস।এই ফাঁকে আমার মমতাময়ী মায়ের একটা মেয়ে ভীষণ পছন্দ হয়ে গেলো।মা ঐ মেয়ের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য আমাকে চাপ দিতে লাগলো।কিন্তু আমার সমস্ত হৃদয় জুড়ে নিশু নামের ঐ মেয়েটি । কিছুতেই আমি তাকে ভুলতে পারি না।জানি না কেন এমন হল?আমার অন্তরের অলি- গলিতে শুধু তারেই প্রতিছবি।কোন অজু হাতে তাকে ভুলা যাচ্ছে না।সারাক্ষন আনমনা হয়ে নীরবে-নিভুতে তার ভাবনায় আমি মগ্ন।তাকে জীবন সঙ্গি রুপে পাবো কিনা আদৌ জানি না?কিন্তু মনের গভীরে এমন হচ্ছে যে, তাকে না পেলে আমি বাঁচবো না।আমি আমার অবস্তা দেখে বুঝতে বাকি নাই যে, আমি তার প্রেমে নিজেকে সফি দিলাম।যে ভদ্র লোকের মাধ্যমে নিশু নামের মেয়েটিকে দেখলাম,ঐ ভদ্র লোক থেকে নিশুর মোঠোফোনের নাম্বার নিলাম।মনে সাহস সঞ্চয় করে নিশু কে ফোন দিলাম।
এই ভাবে ধিরে ধিরে আমাদের মাঝে স্বর্গীয় ভালবাসা সৃষ্টি হতে লাগলো।আমি যেমন তাকে অধিক ভালবাসি , সেও আমাকে গভীর ভাবে ভালবাসে।এই ভাবে আমাদের মাঝে প্রতিদিন ফোনালাপ হয়।দুইজনের মাঝে সীমাহীন ভালবাসার গল্প চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।দুইজন দুইজনকে ছাড়া বাঁচবো না এমন অবস্তা হয়ে গেলো।কিন্তু কেউ জানতে পারেনি আমাদের সবুজ ঘাসের মত ভালবাসার সম্পর্ক।জানি না আমাদের মত এমন করে কেউ কাউকে ভালবেসেছে কিনা।বা আগামিতে বাসবে কিনা।আমাদের নীল-প্রজাপতি ভালবাসার মাঝে এক বিন্দুও চলনা ছিল না।ছিল না কোন অবিশ্বাসের আঁচড় ।তবে দুই জনের মধ্যে ছিল হারানোর ভয়।
যাক এক সময় আমার পরিবার বর্গ আমার মনের গতি অনুধাব করতে লাগলো।পরিবারের অনেক সদস্য বুঝতে পারলো আমি নিশু নামের মেয়েটির প্রেমে অন্ধ।কেউ রাজি ছিল, ফের কেউ তিব্র সমালোচনা মুখর ছিল।এর মাঝে আমার জীবন ঘটে যাচ্ছে নানান কোতোহল।প্রায় একখানে আমার বিয়ে অনেকটা ঠিক। কিন্তু আমি নিশুর সাথে ভালবাসার সহিত গল্প করে যাচ্ছি। এবং আমার জীবনে কি ঘটতেছে তাকে সব কিছু বলি।সব ছেয়ে উত্তম বিষয় হল আমি হাল ছাড়ি নাই।আমি দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়েনি।আমার মাঝে ছিল নিশুর সাহসি ভালবাসা।
বিয়ে যখন প্রায় ঠিক তখন আমি একটু চিন্তিত হয়ে পড়লাম।কি করা যায় ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত আমি।কারন আমি নিশুকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে পারি না।নিশুকে আমার জীবনে চাই।তাকে ছাড়া আমার ভুবন নিতান্তই যন্ত্রনার । এই ফাঁকে আমরা প্রায় নিশ্চিত যে, আমাদের এই জগতে আর মিলন হবে না।কিন্তু আমরা একজন অন্যজন বিহীন থাকতে পারবো না।দুইজনের মাঝে হতাশার রেখা।বিরহের সুর কত যে নিষ্ঠুর ঠিক তখন বুঝতে বাকি নেই।স্রষ্টার কাছে হাজারও মিনতি করেছি তাকে আমার করে দেওয়ার জন্য।
নিজের মনে প্রবল সাহস রেখে বিয়ে কিভাবে ভাঙ্গা যায় চিন্তা অস্থির।সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।যে কোন সুযোগ পেলে বিয়ে ভেঙে দিবো।
মহান আল্লাহ্ তা’আলার অশেষ রহমতে আমি অবশেষে আমার সে কাঙ্ক্ষিত সুযোগ পেয়ে গেলাম।সেই উজ্জল বর্ণের সুযোগকে কাজে লাগাতে আমার একটুও ভুল হয়নী।
আমি সফল। হ্যাঁ আমি সফল হয়েছি।অন্তরের প্রথম থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত কত যে সুখের বন্যা বয়ে যাচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নহে।
বিয়ে ভেঙে গেলো,
এখন আমার প্রেম প্রেয়সীকে কিভাবে আমার করে পাবো। সেই প্ল্যান মগজের ভিতরে ঘুরতে লাগলো।
বন্ধুরা তোমাদের দোয়া আল্লাহর মেহেরবানীতে আমি আমার ভালবাসার সোনালি স্বপ্ন কে কাছে পেলাম।যদিও দীর্ঘ আড়াই মাস আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।ঠিক আমাদের প্রেমের আড়াই মাস পরে আমাদের বিয়ে হয়।
তাকে পেয়ে আমি মহা খুশি।আমার আনন্দের সীমা নেই।
আমি তাকে আজীবন আমার মত করে ভালবাসতে চাই।তাকি নিয়ে জগতের শেষ লগ্ন পাড়ি দিতে চাই।বন্ধুরা আমি অনেক ভালো আছি আমার ভালোবাসার সোনা জান পাখি কে নিয়ে।
আমার চলার পথে সে এক মাত্র অনুপ্রেরনা।কখনো কারণে-অকারনে আমার মনে নীড়ে কষ্ট বাসা বাঁধতে চাইলে।বাসা বাঁধতে পারে না।আমার আদরের মায়াবী সুরেলা পাখি কষ্ট কে সেই সুযোগ মোটেও দেয় না।
তাই আমি ফের বলবো আমি অনেক সুখে আছি ।
আমি কষ্টের কাব্য লেখি আমার আশে- পাশে মানুষের কষ্ট কে উপলব্ধি করে।কষ্টের ও বিদ্রোহী কাব্য লেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
ধন্যবাদ সবাই কে । । । ।
©somewhere in net ltd.