![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩:
# স্বদেশভূমির পাপমুক্তির আন্দোলনে মানুষ বাড়ছে। বিয়াল্লিশ বছরের পুরাণো সেই মানুষ!
# শাহবাগ থেকে বেশ কয়েকটা ফোন পেলাম। মাইকের আওয়াজ, মানুষের স্লোগান শুনলাম। মনে হচ্ছিলো শাহবাগেই আছি। বন্ধুরা, বড় ভাইরা, দাদারা ফোন দিয়েছেন, দিচ্ছেন। এমন অনেকের ফোন পেয়েছি তাদের সাথে যোগাযোগ শুধুই ফেসবুকে। এত মানুষের ভীড়ে আমাকে এভাবে মনে করায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আরেকটু ধৈর্য ধরেন, শাহবাগেই আসছি। শাহবাগে এখনও যেতে পারিনি তবে আগামীকাল ময়মনসিংহের টাউন হল শহীদ মিনারে যাচ্ছিই যাচ্ছি। বন্ধু অমিতকে শহীদ মিনারে যাওয়ার কথা বলায় বললো, 'চলে আয়, একসাথে যামুনে'। মা গতকাল থেকে ফোন দিয়ে সব সংবাদ সরবরাহ করছে। খুলনায় কোথায় কী হচ্ছে, টিভিতে কে কী বলছে তার প্রায় সব। আজ বললো, 'গতকাল তোর বাপিও খুব মন খারাপ করে বলেছে, এ কী করলো ট্রাইবুনাল!' মা কে জানালাম কাল শহীদ মিনারে যাচ্ছি। মা কে কোথাও যাওয়ার আগে বলি, 'মা, গেলাম'। মা সবসময় উত্তরে বলে, 'সাবধানে যেও'। আজ বলার সাথে সাথে বলে দিলো, 'যাও'।
নিজের কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে। গতকাল রাত দুটোর দিকে ঘুমাতে গিয়ে ভেবেছি, আমি যখন ঘুমাচ্ছি তখন সমমনা সব তরুণেরা রাস্তায় মোমবাতি ধরিয়ে বসে আছে। অনেক রাত অবধি ঘুমাতে পারিনি। ফাঁসির রায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলনে থাকবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছি। ইতিহাসের দায় মেটাতে হবে। স্বজাতির করোটির কসম।
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩:
# শাহবাগে যেতে পারিনি তবে সামনে পরীক্ষা নিয়ে, পায়ে একটা স্ট্রেছ ফ্রাকচার নিয়ে ময়মনসিংহের টাউন হল শহীদ মিনারে আছি। আসার পথে অমিতকে বলতে বলতে এসেছি, 'কাদের মোল্লার ভিক্টোরি চিহ্ন উল্টে দিবো রে, দেখিস'। এই স্ট্যাটাস পড়ে কারো আসার দরকার হবে না। যারা আসবেন, প্রাণের টানেই আসবেন, স্বজাতির করোটির অপমান সহ্য না করতে পেরেই চলে আসবেন আমাদের সাথে।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩:
# 'ফাঁসি' শব্দটা এর আগে কোনো দেশে, কোনো কালে এতবার উচ্চারিত হয়েছে বলে জানা নেই। শব্দটা এত অসংখ্যবার পত্রিকা বা অনলাইনে লেখাও হয়নি নি:সন্দেহে। আবারও ইতিহাস লিখছে বাঙালি, ইতিহাস!
# ১। বেশ আগে এক বন্ধু বলেছিলো, এদেশের তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে বাবার মতই মেনে চলে। উপলব্ধিটা বেশ আগেই হয়েছে। আজ আবার স্যার দেখিয়ে দিলেন কেনো তরুণ প্রজন্ম তাঁকে ওই আসনে বসিয়েছে।
২। সারা দেশের মানুষ যখন রাজাকারের ফাঁসি আর জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করতে দল-মত নির্বিশেষে এক কাতারে দাঁড়িয়েছে তখন অন্যতম বৃহৎ একটা রাজনৈতিক দল; আমি জানিনা নৈতিক বা আদর্শিক ঠিক কোন কারণে, বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সবচেয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করি এই দলটার প্রতিষ্ঠাতাই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক!
৩। যতদূর জানি, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আগামীকাল শাহবাগে আন্দোলনে যোগ দিবে। এবং বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে গিয়ে সারা রাত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে বুঝেছি, এই গোটা পনেরো জন ক্রিকেটার স্রেফ মানুষের চোখের মনি। অন্য যে কেউ থেকে এদেশের মানুষ ক্রিকেটারদের বেশি ভালোবাসে। সাকিব-মুশফিক যদি সত্যিকারের ডাক দিতে পারে, লিখে দিলাম, লাখে-লাখে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসতে এক মুহূর্ত দেরি করবে না।
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩:
# ১। চট্টগ্রামে আজ হরতাল দিয়েছিলো জামাত-শিবির। গরু-ছাগলের হাটে নাকি কিছু দঁড়ি বাঁধা ছাগল ছিলো। তাছাড়া নাকি রাস্তায় একটাও ছাগু বের হওয়ার সাহস পায়নি। উল্টো চট্টগ্রামেই মাদ্রাসার ছাত্ররা রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে রাস্তায় নেমেছে। দু'দিন আগের এই অবিশ্বাস্য ব্যাপারটা এখন আসলেই সত্য!
২। পড়লাম, বরগুনায় 'আমার দেশ' আর 'নয়া দিগন্ত' এর অফিস নাকি পোড়ানো হয়েছে। স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম, আমার দেশ এর পুরো নাম 'আমার দেশ পাকিস্তান' না, এর নাম 'আমার পশ্চাৎদেশ'। লেখাটা ব্লগে-ফেসবুকে অনেক ছড়িয়ে গেছে দেখে আনন্দ লাগছে। আজ 'আমার দেশ' নিয়ে ল্যাট্রিনে ঢুকেছিলাম, তবে ইনফেকশনের ভয়ে জায়গামত লাগাতে সাহস পাইনি। যাই হোক, 'নয়া দিগন্ত' আর 'দিগন্ত টিভি'র মাঝে নামে এবং কামে ব্যাপক মিল। সুতরাং, 'দ' তে নয়া দিগন্ত আর দিগন্ত টিভি, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার!
৩। কবির সুমনের 'গনদাবী' শুনলাম। লিখতে বাধ্য হলাম, '৭১ এর জর্জ হ্যারিসন হয়ে গেছেন ২০১৩ এর কবির সুমন। কী আবেগ গানটার মাঝে!
৪। কাদের মোল্লা-গোলাম আজম-সাঈদীরা না হয় সারা দেশের বিপ্লব দেখতে পারছে না কিন্তু জামাত-শিবিরের সমর্থকরা তো টিভিতে হলেও দেখছে। তাদের নিজেদের উপর ঘৃণা জন্মাচ্ছে না? নাকি সেই বোধটাও নষ্ট হয়ে গেছে?
৫। পাকিস্তান নিজেদের দেশে বিপিএল এর আদলে যে 'পাকিস্তান সুপার লীগ' আয়োজন করতে চেয়েছিলো তা বন্ধ হয়ে গেছে নানান সমস্যায়। পাকিস্তানের আরেকটা পরাজয়। আরেকবার বলি, 'জয় বাংলা'।
৬। হিজবুত তাহরী, জেএমবি যদি এই বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ হতে পারে তো জামাত-শিবিরও নিষিদ্ধ হবে। হতেই হবে। 'আর ক'টা দিন সবুর করো রসুন বুনেছি'।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩:
# একটু আগেই ময়মনসিংহের আন্দোলন এবং সংহতি সমাবেশের পাশে এবং বারী প্লাজার পাশে শিবির একাধিক ককটেল এবং হাতবোমা ছুড়েছে। এখন ইসলামি ব্যাংক ভাঙছে সবাই। সমাবেশেই আছি।
# ক'টা ককটেল ফুটানোর পর এখন 'জয় বাংলা' স্লোগানটা আরো জোরেসোরে উচ্চারিত হচ্ছে ময়মনসিংহের আঠারো বাড়ি রোডে। কারো চোখে মুখে এক বিন্দু ভয়ও নেই। এই গন জোয়ার রুখবে কে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
খুব সাধারন একজন বলেছেন: ---ডিভাইড এন্ড রুল---
আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় দাবা-পাশা খেলার গুটির চাল। আমরা বিচার চাই আর অরা নানা দিকে দৃষ্টি ঘোরায়- গাঁজা, গান বাজনা, নাস্তিকতা, সাগর রুনী, ছাত্রলীগ, ধর্মীয় অবমাননা, বিশ্বজিৎ, চাউলের দাম, সীমান্ত, 'আর সব'যুদ্ধাপরাধী... এখনো আজো একাত্তুরেও।
রাজীব থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ, এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয়, গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় আর একাত্তরের খুনীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আটশো কোটি টাকা গচ্চা দেয় হরতাল দিয়ে সেই জামাতির বিচার চাইতে গিয়ে।
রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।
প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।
বাংলার মানুষ, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল। বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তুরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী-শাহবাগী
কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ঠিকই তো করসে, ওই পোলা সিগারেট খায় জিন্সের পেন্ট পড়ে।
এক পলকে একাত্তর---এভাবে দেখাও---এবং এভাবে---পাকিস্তানে উল্লাস---চাই সতর্কতা,---ইনডাইরেক্টলি,---ভিন্নখাত