নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছামানুষ রনি

ইচ্ছামানুষ রনি

আমি চাই মানুষ বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।

ইচ্ছামানুষ রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোষ্ট ভিউ: বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

১। শ্রীলংকা দলের ৬ ডানহাতি আর ৫ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অথচ স্পেশালিস্ট বাঁহাতি স্পিনার ছাড়াই আজকে মাঠে নামলো বাংলাদেশ। আতাহারের কমেন্ট্রি শুনে জানলাম, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে একমাত্র ২০০৩ এ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো স্পেশালিস্ট বাঁহাতি অর্থোডক্স ছাড়াই নেমেছিলো বাংলাদেশ। আজকেরটা দিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটলো। উইকেটে তেমন সুইংও দেখলাম না, ক্যারিও না। বরং টার্ণই করতে দেখলাম প্রথম দিন থেকে। স্কোরবোর্ডও সেকথাই বলবে। বাঁহাতি অর্থোডক্স রঙ্গনা হেরাথের ৫ উইকেট। আর টিম ম্যানেজমেন্ট কি-না বাঁহাতি অর্থোডক্স ছাড়াই টিম সাজালো (মমিনুল পার্টটাইমার)! অন্তত এটুকু বুঝি উপমহাদেশের মাটিতে তিন পেসার নিয়ে নামার মত অবস্থা এখনও হয়নি আমাদের। আর পেসাররাও কেউ ১৪০ প্লাস গতি বা ভয়ংকর সুইং করাতে পারে, এমন না। দক্ষিন আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড উপমহাদেশের মরা উইকেটেও তাদের প্রথাগত তিন পেসার-এক স্পিনার সেটেই খেলে। কারণটা হলো, যার শক্তির জায়গা যেটা সেটাই ব্যবহার করা।



২। স্কোরবোর্ডে ২৪০ দেখে যতটা হতাশ তার থেকে বেশি হতাশ ৯০ ওভারও খেলতে না পারার কারণে। পিচ আগের টেস্টের মত ফ্ল্যাট হবে না, এটা আগে থেকেই জানা কিন্তু ৯০ ওভার ব্যাট না করতে পারার মত কোনো জুজু পিচে আসলেই নেই। ৪ টা সেশন বা ১২০ ওভার ব্যাট এবং ৩৫০ রান আশা করেছিলাম। ১০০ রানের ডেফিসিট থেকে গেছে।



৩। এই স্লো আউটফিল্ডে ২৪০ রান মানে ৩০০ রানের উপরে। দারুণ দারুণ সব কাভার ড্রাইভ-ফ্লিক-স্ট্রেইট ড্রাইভ থেকে ৪ হওয়ার জায়গায় মাত্র ২ করে রান এসেছে। ব্যাটসম্যানরা দৌড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে আর প্রভাবটা পড়েছে মনঃসংযোগে। তবে মাহমুদউল্লাহ-জহুরুলের মত উইকেট বিলিয়ে আসার কোনো ব্যাখ্যা হয়না। আশরাফুল, অ্যা বিট অফ ব্যাড লাক!



৪। প্রথম-আলোতে পড়লাম মুশফিক বলেছে, 'হ্যা, সিরিজ ড্র করার একটা সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে'। আচ্ছা গলেতে একটা ইনিংস পুরো হয়েছে, আর সেই ইনিংসে জিতেছে বাংলাদেশ। তারপরেও কেন জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে ড্র করার চিন্তা? লক্ষ্য এত নিচে কেন? ড্র করাই যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে তো পরিশেষে সেটুকুও নাও জুটতে পারে!



৫। টেস্টে সাধারণত দীর্ঘক্ষণ কিপিং করা লাগে বলে উইকেটকিপাররা ৬/৭ এর আগে নামে না। কিন্তু প্রথম ইনিংস হলে তো ভিন্ন পথেও চিন্তা করা যেতে পারে। যখন হুটহাট উইকেট যাচ্ছিলো মুশফিক চাইলে আজ নিজেকে প্রোমোট করে উপরের দিকে নামতে পারতো। এমনিতে ও রেড হট ফর্মে ছিলো আর প্রথম ইনিংস হওয়ায় কিপিংএর ধকলও ওর উপর দিয়ে যায়নি।



৬। মমিনুল বাংলাদেশের তৃতীয় ড্যেবুট্যান্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরপর দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরী করেছে। প্রথম জন ছিলো জাভেদ ওমর বেলিম। দ্বিতীয় জন কে জানি না। কেউ জানেন?



৭। দলের সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপটা হয়েছে নাসির-সোহাগের সপ্তম উইকেট জুটিতে। এই তথ্যটা ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা বোঝাবে অনেকখানি। আর আউটফিল্ড স্লো নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না। এই আউটফিল্ড দুই দলের জন্যই সমান আচরণই করবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১

লর্ড কার্জন বলেছেন: আউটফিল্ড স্লো হওয়াটা শ্রীলংকার চাইতে বাংলাদেশের জন্য বেশি সমস্যা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ফিটনেস বা স্ট্যামিনা শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের লেভেলের নয়। বাউন্ডারী বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রান করার একটা বড় জায়গা। আজ বাউন্ডারী না পাওয়াতে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস কমে গেছে এর বেশি দৌড়ে রান করতে গিয়ে ক্লান্তও হয়েছে বেশি। তবে একজন স্পিনার কম নিয়ে খেলাটা কোনমতেই মানতে পারছি না। উইকেট স্পিনবান্ধব হোক এর পেস বাংলাদেশের শক্তির জায়গা তো ঐ স্পিনই।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৯

লর্ড কার্জন বলেছেন: আউটফিল্ড স্লো হওয়াটা শ্রীলংকার চাইতে বাংলাদেশের জন্য বেশি সমস্যা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ফিটনেস বা স্ট্যামিনা শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের লেভেলের নয়। বাউন্ডারী বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রান করার একটা বড় জায়গা। আজ বাউন্ডারী না পাওয়াতে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস কমে গেছে এর বেশি দৌড়ে রান করতে গিয়ে ক্লান্তও হয়েছে বেশি। তবে একজন স্পিনার কম নিয়ে খেলাটা কোনমতেই মানতে পারছি না। উইকেট স্পিনবান্ধব হোক এর পেস বাংলাদেশের শক্তির জায়গা তো ঐ স্পিনই।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৭

এেলােমেলা সব বলেছেন: আর যদি বৃষ্টি না হয় তবে আউট ফিল্ড ইম্প্রুভ করবে। এতে শ্রিলংঙ্কা benifited হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.