![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) জেমি সিডন্স একবার বলেছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো স্কিলের ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। হ্যা, তাই। অন্যদের মত মুশফিককে সহসা উইকেট 'দিয়ে আসতে' দেখি না। ওর উইকেট প্রতিপক্ষকে অর্জন করে নিতে হয় বেশিরভাগ সময়। দুই ইনিংসে দারুণ কার্যকর এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ৬০ এবং ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছে মুশি। দূর্ভাগ্য প্রাপ্য সেঞ্চুরীটা পায়নি। তাতে কী, দু'টো মূল্যবান 'ক্যাপ্টেনস নক' তো এসেছে।
২) নাসির 'স্পেশাল' হোসেন, নাসির 'কনসিস্ট্যান্ট' হোসেন নাকি নাসির 'ফিনিশার' হোসেন, কোন নামে ডাকি? শুধু ৬৭ রানের অপরাজিত একটা ইনিংসই খেলেনি সাকিবের জন্য শিক্ষনীয় একটা কাজ করে দেখিয়েছে আজ। পরিস্থিতি অনুযায়ী একটা পর্যায়ে নিজের সহজাত খেলাটা বদলে ফেলেছিলো শুধু চারশ প্লাস লিডটা এনে দেওয়ার জন্য। নিয়মিত ভালো খেলতে খেলতে গত টেস্টটাই খারাপ খেলেছে, আর তাতেই বাংলাদেশ হেরেছে। নাসিরের গুরুত্ব বুঝতে এটুকু যথেষ্ট।
৩) বাংলাদেশ যখন ডিক্লেয়ার করেছে তখন ১৩৯ ওভারের খেলা বাকি। রানরেট ৩ এরও নিচে হবে জিম্বাবুয়ের চেজ করার সময়ে এটা জেনেও ছেড়েছে। অন্য দলগুলো এই অবস্থায় সাধারণত ৪১৯ করে তারপর ছাড়ে যাতে প্রতিপক্ষকে জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড করে জেতা লাগে। মুশফিক সেদিকে যায়নি। সাধুবাদ মুশফিক। সাহসী ক্যাপ্টেনসি সবসময়ই উপভোগ্য। তবে ফিল্ড প্লেসিং প্রথম দিকে ভালো লাগেনি। এই সুবিধাজনক অবস্থায় অন্য দলগুলো শুরু থেকে অ্যাটাকিং ফিল্ড সাজিয়ে ব্যাটসম্যানকে চাপের মধ্যে রাখার চেষ্টা করে। মুশফিক বেশ আলগা ফিল্ড সাজিয়েছিলো। টেইলর যাওয়ার পর চেপে ধরেছে।
৪) ব্রেন্ডান টেইলর উইকেটে থাকা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে পজিটিভ খেলার চেষ্টা করেছে। ওভার প্রতি ৪ করে তুলেছে। কিন্তু টেইলর আউটের পর চুপসে গেছে জিম্বাবুয়ে। মনেও হয়না চিগাম্বুরা ছাড়া আর কেউ চেজ করার জন্য খেলবে। মাসাকাদজাও ওপথে যাবে বলে মনে হয়না।
৫) মিডিয়াম পেসারদের মাঝেও কিছুটা অ্যাগ্রেশন থাকে। সাজেদুলের মাঝে তাও পাচ্ছি না। আগেও লিখেছি, সুইং তেমন পায় না। হুটহাট বাউন্সও দেয় না। বাঁহাতি সিমারদের ন্যাচারাল একটা অ্যাঙ্গেল থাকে। ও সেটাও ঠিকমত ব্যবহার করতে পারছে না। মুশফিক তাই প্রথম স্পেলেই মাত্র ২ ওভার করিয়েই সরিয়ে নিয়েছে, আর আনেনি। জিয়া বল খুব ভালো না করলেও রান আটকে রাখে। ব্যাটসম্যানকে রুম দেয় না। ফলশ্রুতিতে উইকেট মিলেছে। একটা তো টেইলরের 'মিলিয়ন ডলার' উইকেট। অসাধারণ একটা বলে ম্যালকম ওয়ালারের অফ স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেছে। সাকিবও আহামরি বল করেনি কিন্তু কাজের কাজ করে দিয়েছে সব সময়ের মত। তুলনামূলক ভালো বল করেও সোহাগ আর রবিউলের উইকেট মেলেনি।
৬) সাকিব-মুশফিক-নাসির দুই ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ রান করেছে। তামিম একটায় ৪৯। এতগুলো ভালো স্কোরের একটাও শতরানে পৌছায়নি, ব্যাপারটা হতাশার।
৭) জিততে জিম্বাবুয়ের আরও ২৬৩ রান লাগবে আগামীকাল। পিচের অবস্থা খুব পরিবর্তিত হয়নি। তাছাড়া আগের টেস্টে মেথ-ক্রিমারের ব্যাটিং দেখে বুঝেছি জিম্বাবুয়ের ১০ নাম্বারও বাংলাদেশকে ভোগানোর ক্ষমতা রাখে। আর লেজের আঘাত বড় প্যাথেটিক লাগে। শুরুতে উইকেট না নিতে পারলে কাজটা খুব সোজা হবে না। তবে আপাতদৃষ্টিতে ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতেই।
৮) মাসাকাদজা ব্রাদার্স, হ্যামিলটন আর সিঙ্গি দু'জন মিলে ৭ উইকেট নিয়েছে। এই মুহূর্তে ব্যাটিংয়েও অপরাজিত দুই ভাই। নিশ্চিত না, তবে যদ্দুর মনে পড়ে নাফিস ইকবাল-তামিম ইকবাল একসাথে খেলেনি। কোনো দলে একসাথে দুই ভাই খেলছে দেখলে মনে হয় ইশ, বাংলাদেশ দলেও একটা ব্রাদার্স কম্বিনেশন থাকতো!
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
আকিল- বলেছেন: Nice analysis.
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩০
রেটিং বলেছেন: