![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) হ্যা, বাংলাদেশ জিতেছে। হেসে খেলেই জিতেছে। টেস্টে হোম ফ্যাক্টর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতেই হারিয়েছে। প্রথম টেস্টটা হঠাৎ একটা বাজে পারফরমেন্স ছিলো তা প্রমান করতেই সব ডিপার্টমেন্টে কর্তৃত্ব করেই জিতেছে। তারপরেও জয়টাকে খুব উপরে রাখছি না। আমাদের ক্রিকেটের যে মান এবং এতদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করা জিম্বাবুয়ে, যারা সদ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গো-হারা হেরে ফিরেছে, তাদের বিপক্ষে সিরিজটা জেতাই উচিত ছিলো, সেটা হয়নি বলেই।
২) আজকে জয় এবং বাংলাদেশের মাঝে দূরত্ব ছিলো মাত্র ৬ টা উইকেট টেকিং ডেলিভারির। ওভার ছিলো ৯০ টা। ৫২ ওভার লেগেছে জিততে। দুই সেশনের কিছু কম। লান্সের ঠিক আগের ওভারে আশরাফুলের বলে হ্যামিলটন মাসাকাদজার ক্যাচটাতে আউট দিলে বোলারদের ওভার দশ-পনেরো কষ্ট কম করা লাগতো। ধরেই নিয়েছি, এই সিরিজে বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষের দশটার বদলে বারোটা উইকেট নেওয়া লাগবে আর নিজেদের খেলতে হবে আট উইকেট নিয়ে।
৩) জিয়া প্রত্যাশার চেয়ে ভালো বল করেছে। বেশ সুইং আদায় করে নিয়েছে। মুশফিক তাই ৯৫.৩ ওভারের মাঝে সাজেদুলকে দিয়ে বল করিয়েছে মাত্র ৩ ওভার। পুরো টেস্টে সাজেদুল করেছে মাত্র ১৯ ওভার। মুশফিক আগে বুঝলে সাজেদুলকে নিতোই না, নাসিরকে দিয়েই চালিয়ে নিতো। আমার ধারণা, নাসির সাজেদুল থেকে ভালোই করতো। সম্ভবত: সাজেদুলের টেস্ট ক্যারিয়ের এপিটাফ লেখা হয়ে গিয়েছে। মুশফিক যথেষ্ট বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে আরেকটা ক্ষেত্রে। সদ্যই ইনজুরি থেকে ফেরা সাকিবকে পারতো পক্ষে বাধ্য হওয়ার আগে বোলিংয়ে আনেইনি। পুরো ধকলটা রবিউল-সোহাগ-জিয়ার উপর দিয়েই গেছে। আশরাফুল ট্রিকস লেগে গেছে। ও আগে লেগ স্পিন করতো। লাইন লেংথ ঠিক না রাখতে পারলেও সুন্দর টার্ণ পেত, গুগলি দিতে পারতো। এখন অফ স্পিন করে। লেগ স্পিন বোলিংটা মিস করি।
৪) ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছে মুশফিক। ম্যান অফ দ্যা সিরিজ রবিউল ইসলাম। এই বিষয়ে ছ্যাচড়ামি করেনি জিম্বাবুয়ে। আমি তো ভেবেছিলাম, হারার পরেও হ্যামিলটন মাসাকাদজাকে দিয়ে দেবে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। রবিউলের সাক্ষাৎকারের সময় মুশফিকের দোভাষী হওয়াটা উপভোগ করেছি। তবে বিসিবির উচিত সব প্লেয়ারকে অন্তত কিছুটা ইংরেজি শেখানো যাতে প্রেজেন্টেশন পর্বটা চালাতে পারে। ইনজামাম স্টাইল মারাত্মক অপছন্দের।
৫) রবিউলের নাম আলাদা করে মেনশন করতে হবে। দুই টেস্টের সিরিজে ১১০ ওভার বোলিং করেছে রবিউল। বাংলাদেশের ইতিহাসেই আর কোনো পেসার কোনো টেস্ট সিরিজে এত ওভার বোলিং করেনি। অথচ সেই রবিউলই বলে দিলেন, 'প্রয়োজনে আরও ১০০ ওভার বল করতে বললেও আমি পারবো'। যে রবিউল ক্যারিয়ারের আগের তিন টেস্টে মাত্র ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সেই রবিউল এই দুই টেস্টের সিরিজে নিয়েছে ১৫ উইকেট। বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ে নতুন আশার নাম রবিউল ইসলাম। রবিউল ম্যান অফ দ্যা ম্যাচটা উৎসর্গ করেছে সাভারের ভিকটিমদের। স্যালুট ইজ নট এনাফ ফর রবিউল ইসলাম।
৬) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজকের ১৪৩ রানের জয়টা বাংলাদেশের ১৩ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্রই চতুর্থ। শেষটা ছিলো ২০০৯ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। চার বছর আগে। আরও নিয়মিত টেস্ট জেতাটা জরুরি।
৭) হ্যামিলটন মাসাকাদজার ২৫২ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংসটায় আম্পায়ারের দাক্ষিণ্য এবং ভাগ্যের ছোঁয়া থাকলেও যথেষ্ট প্রশংসার দাবী রাখে। এই চাপে এই ধরণের ইনিংস খেলা যা-তা ব্যাপার না।
৮) ডু-অর-ডাই সিচুয়েশনের এই টেস্টটায় আমার সবচেয়ে ভালো লাগাটা কোথায়?
: ১৪ টা সেশন খেলা হয়েছে। একটা সেশনেও মনে হয়নি টেস্টটা ড্র হতে পারে বা বাংলাদেশ হারতে পারে। টোটালি ডোমিনেটিং উইন।
৯) ম্যাচের শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা, কালো ব্যাজ পরে খেলা এবং সবশেষ মুশফিক এই জয় উৎসর্গ করেছেন সাভারে মৃত এবং আহত মানুষদের। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দেশটারও প্রতিবিম্ব। জয় বাংলা।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৭
ইমাম হাসান রনি বলেছেন: চেষ্টা করলে সব সম্ভব
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
নয়ন01 বলেছেন: plus