নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছামানুষ রনি

ইচ্ছামানুষ রনি

আমি চাই মানুষ বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।

ইচ্ছামানুষ রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক স্ট্যাটাস সংগ্রহ: ৩৩

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

২৪ এপ্রিল, ২০১৩:



# কী হবে? প্রধানমন্ত্রী-সরাষ্ট্রমন্ত্রীরা রানা প্লাজা পরিদর্শনে আসবেন, শোকবার্তা দিবেন, একটা তদন্ত কমিটি হবে, একটা জীবনের মূল্য হিসেবে হাজার বিশ-ত্রিশেক টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মিডিয়া কিছুদিন নির্মম ছবি ছেপে হাইলাইটস করবে। প্রগতিশীলরা দৈনিকে কলাম লিখবেন, রাতের টক-শোতে জৌলুশ বাড়াবেন। ব্লগার-ফেসবুকাররা অনলাইনে মানবতা ঢেলে দেবে। তারপর? তারপর 'তাজরিন ফ্যাশন', 'চট্টগ্রামের ফ্লাইওভার'-এর মত 'রানা প্লাজা'র লাশগুলোর কথা সবাই বেমালুম ভুলে যাবে। তদন্ত ফাইলগুলোতে ধুলে জমবে। হ্যা, তারপর? তারপর আরেকটা দূর্ঘটনা ঘটার পর আবার পুরানো ইস্যুগুলো স্মৃতিতে ফিরে আসবে। হৈচৈ হবে। চলে আসা এতিহ্যগুলো রিপিট হবে। টিভি বন্ধ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আরেকটা স্ট্যাটাস দেব। এই তো…



২৩ এপ্রিল, ২০১৩:



# মহাশয়, সুন্দরবনে বাঘ মাত্র তিন-চারশ', ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে কিন্তু ষোলো কোটি বাঘ। একটু খেয়াল কৈরা। রামপালে বিদ্যুৎ এর খুঁটির গর্ত খোঁড়ার সাথে সাথে বাঘেরাও নখ দিয়ে আরেকটা গর্ত খুঁড়ে রাখবে। বিদ্যুতায়িত হয়ে সেই গর্তে পড়ার আগে বলি, সাধু সাবধান!



# একজনই গেইল, বাকিরা ক্রিকেটার!



# দাদারা, অন্তত সুন্দরবন নিয়ে আপনাদের সাথে হোলি খেলতে পারছি না। দু:খিত।



২৭ এপ্রিল, ২০১৩:



# আমি অনেককে বলতে শুনেছি গণজাগরণ মঞ্চের সবচেয়ে ডেডিকেটেড এবং কর্মঠ ছেলেটার নাম @[100000041881225:2048:বাঁধন স্বপ্নকথক] এর আগে ফেসবুকেও দেখেছি তীব্র শীতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। ত্রান নিয়ে গেছে, ঘুর্ণিঝড়ে আহত মানুষের ঘর নির্মান করে দিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানো যাবে না, সে আন্দোলনেও সামনে থেকে বাঁধন। আজ একটু আগে ফেসবুকে দেখলাম সাভারে উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বাঁধনের ছবি। দেখে খুব খারাপ লাগছে তখন থেকে।







বাঁধন, জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন। বাংলাদেশে খুব বেশি বাঁধন নেই।



৪ মে, ২০১৩:



# গতকাল ৫ উইকেট পাওয়ার পর ফেসবুকে উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গতকাল রাতেই জিয়াউর রহমান আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। স্ক্রীনশটের যুগে মোবাইল থেকেই স্ক্রীনশট মেরে দিলাম।







বাই দ্যা ওয়ে, ইনি ক্রিকেটার, নাকি মেজর, না আম পাবলিক কষ্টকরে তা খোঁজার দরকার দেখি না। :পি



# ইশ, গুজবে না হয় কান দিলেন তাই বলে 'গু-জব' এও কান দিতে হবে? 'আ-জব' তো!



৫ মে, ২০১৩:







# ইদানিং বৃষ্টি হলে আর ছাদে যাওয়া লাগে না, ফেসবুকে আসলেই হয়। মেঘ ডাকতেই ফেসবুক গুড়গুড় শব্দ করে। বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই ফেসবুক ওয়্যাল ভিজে চপচপ করে। লগ-ইন করে দু'টো গড়াগড়ি দেই। কাকভেজা হয়ে যাই। কাপড় না বদলে, শরীর না মুছে বিছানায় গা এলিয়ে দেই। আহ শান্তি!



৬ মে, ২০১৩:







# ম্যাগী নুডুলস রাধতে ২ মিনিট লাগে। কাঁঠাল পাতা সিদ্ধ হতে লাগে ১ মিনিট। অথচ সাতসকালে উঠেই শুনলাম খোঁয়াড় পরিষ্কার করতে নাকি ১০ মিনিট লেগে গেছে! আমি চূড়ান্ত মাত্রায় হতাশ! হুমম্ִ।



# আমি রণি, ন্যাশটিকদের ফাঁসি চাই। যারা হেলিকপ্টারে চড়ে ব্লগ ভাঙে বাবুল তাদের ফাঁসি চায়। আর বাবুলের স্যার ফাঁসির অনুভূতিটা কেমন সে সম্পর্কে জানতে চায়।



৮ মে, ২০১৩:







# বহুদিন থেকে ক্রিকেট দেখছি। আমার দৃষ্টিতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং তার আশেপাশে যেসব ক্রিকেটার আছে তাদের মাঝে সবচেয়ে বিচক্ষণ ক্রিকেটার মুশফিক। সাকিব ছাড়া ক্রিকেটীয় জ্ঞানে ওর ধারেকাছে কেউ আছে বলে মনে হয় না। প্রিয় মুশফিক, সত্যিকার টাইগার পড়ে গেলে আবার উঠে দাড়ায়। আহত বাঘ তো আরও ভয়ংকর। আশাকরি, বিসিবি, মুশফিকের বাবা মাহাবুব হামিদ এবং সহ খেলোয়াড়রা মুশফিককে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য বলবেন। মুশি, ইউ হ্যাভ নো রিপ্লেসমেন্ট!



# রাজাকার কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ: Click This Link



সংক্ষেপে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা সমূহ: Click This Link



কামারুজ্জামানের বিচারের রায় আগামীকাল ৯ই মে। ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় মেনে নেব না। শুনলাম, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চে আবার স্লোগান শুরু হয়েছে। দূর-দূরান্তে বসে ফাঁসির দাবী নিয়ে কী-প্যাড টিপছি। জয় বাংলা।



# # "রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার দরকার ছিলো না, কিন্তু দরকার ছিলো বাঙলা সাহিত্যের। পুরষ্কার না পেলে হিন্দুরা বুঝতো না যে রবীন্দ্রনাথ বড়ো কবি; আর মুসলমানেরা রহিম, করিমকে দাবী করতো বাঙলার শ্রেষ্ঠ কবি হিশেবে।" -হুমায়ুন আজাদ।







আর আড়াই হাজারের বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত না থাকলে রণি একজন রাবীন্দ্রিক প্রেমিকার মূল্য বুঝতো না। বুঝতো না, রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া দিন পার করাটা একটা দুর্বিষহ ব্যাপার। শুভ জন্মদিন রবি ঠাকুর।



৯ মে, ২০১৩:







# 'ক' তে কামারুজ্জামান,



হবে হবে কামারুর ফাঁসি হবে।



'ক' তে কাচ্চি,



হবে হবে আজ কাচ্চি হবে।



'ক' তে কোকাকোলা,



হবে হবে আজ কোকও হবে।



'ক' তে কাঁথা,



হবে হবে আজ কাঁথা গায়ে ঘুমও হবে।



# # ফাঁসির দঁড়ি গলায় ঝুলানোর আগে নরপিশাচ মো: কামারুজ্জামানের কামদন্ডে দঁড়ি বেধে ঝুলানো হোক। ১১৭ বা ততোধিক ধর্ষণকারীর জন্য জুডিশিয়াল হ্যাঙ্গিংয়ের এক্সিস ফ্রাকচার আর মিনিট দুয়েকের ক্যারোটিড আর্টারি-জুগুলার ভেইন কম্প্রেশনের যন্ত্রনা মোটেই যথেষ্ট না।







জয় বাঙলা।



# আস্তিক-নাস্তিক ত্যানা পেঁচাপেচি খেলায় অযথাই ডা: ইমরান এইচ সরকার একসময় সেইরাম পেইন পাইছে। আর এখন যেকোনো টপিক্সে কথা উঠলেই ডা: ইমরান একটু কিছু বলেই বলা শুরু করেন, 'যারা পবিত্র কোরআন পোড়াতে পারে, আল্লাহর মসজিদে আগুন দিতে পারে, তাদের থেকে সাবধান'। সব কথার মাঝে এটুকু থাকবেই। মনে করেন আপনি জিগাইলেন, 'ইমরান ভাই, সন্ধ্যায় চা খাইছেন?' ডা: ইমরান এইচ সরকারের উত্তরটা অনেকটা এমন হবে, 'হ্যা, খেয়েছি। গরম ধোঁয়া ওঠা চা। ধোঁয়া দেখে আমার ৫ই মার্চে পবিত্র বায়তুল মোকাররমে জামাত-শিবিরের দেওয়া আগুনের কথা মনে হয়েছে। এই জামাত-শিবির আমাদের পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে। দেশবাসীকে এই স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিরোধ..…' জাস্ট টিট ফর ট্যাট। লোকটা চালাক আছে। মি লাইক দিস!



১০ মে, ২০১৩:







# শাহিনা ফিরে এলো রেশমা হয়ে।



# নি:সন্দেহে বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দুই ফিনিশারের নাম এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি।



১২ মে, ২০১৩:







# রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং জামায়াতের নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। একটার পর একটা সুখবর। এখন আজ বাংলাদেশ জিতলেই হয়। জয় বাংলা।



# # অবশেষে সুব্রত শুভ আর রাসেল পারভেজের জামিন মঞ্জুরে যতটা ভালো লাগছে মশিউর রহমান বিপ্লব এবং আসিফ মহিউদ্দীনের জামিন না-মঞ্জুরে ঠিক ততটাই খারাপ লাগছে। বাকি দু'জন, তাদের পরিবারের মানসিক অবস্থা চিন্তা করে খারাপই লাগছে। আশাকরি, বাকি দু'জনকে অতি দ্রুত মুক্তি দেওয়া সহ মামলাটা প্রত্যাহার করা হবে।



# আজ ১২ ই মে, 'ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে।' আমার মা একজন নার্স। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং সুপারভাইজার। এই জুনে ৩৩ বছর ধরে সরকারের ঘানি টানা পূর্ণ হবে মা'র। দু'-একটা কথা লিখি। আমাকে এবং ছোটো ভাইকে বাড়িতে একা রেখে অফিসে যেতে হতো বলে মা একসময় আত্মীয়-সজন, প্রতিবেশীদের কাছে আড়ালে আবডালে কত শত খোঁটা শুনেছে। মার সামনে অনেককে বলতে শুনেছি, বাড়ির বৌ চাকরীজীবী হলে ছেলে-মেয়ে মানুষ হয়না, সংসার সুখের হয়না টাইপ কত কথা। বাপি কখনোই প্রতিবাদ করে না। মা মুখ বুজে শয়ে গেছেন সব। বড় ছেলে হওয়ায় মাঝে মাঝে আমাকে বলেছে, 'রণি, আমি কেউকে কিছু বলিনি। তোদের গড়ে তুলতেছি। বড় হয়ে আমার হয়ে উত্তরগুলো দিয়ে দিস বাবা।'



মা আমার শুধু ৩৩ বছরের চাকরী জীবন না, প্রায় ২৮ বছরের সংসার জীবন অতিবাহিত করে ফেলেছেন। হলফ করে বলছি, এখনও একটা দিন যায় না মা আমাকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূর থেকে একাধিকবার ফোন করে না। কখনও কখনও দিনে আট-দশ বারও। পুরো সংসারের কাজ সারাটা জীবন একাই সামলিয়ে গেছেন। আজও। একইভাবে। একগাদা অসুখ বাসা বেঁধেছে অনেক আগে থেকে। স্পাইনাল কর্ডে ইরোশন এবং কিছুটা ডিসপ্লেসমেন্ট থাকায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেন না, দাঁড়াতে হয়। দীর্ঘক্ষণ একদিকে কাৎ হয়ে শুয়ে থাকতেও পারেন না। হার্টের প্রবলেম তো আছেই। তারপরেও বাপি বা আমরা একটা কমপ্লেন করার সুযোগও পাইনি কখনো।



দিন শেষে মা খুব সফল একজন। তার দুই ছেলে ডাঙর হয়ে উঠেছে। অসুখে বিসুখে ঠিকমত হাঁটতে না পারলেও সে জানে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর মত দু'টো শক্ত খুঁটি সে তৈরি করে ফেলেছে। এখন আর কারও মা কে একটা খোঁচা দিয়ে দু'টো কথা শোনানোর ক্ষমতা নেই। এখন ভুল করে কথা শোনালেও মা সেই আগের মতই, কিছুই বলে না, চুপ থাকে। বাপিও মা'র পক্ষ নেয় না, আগের মতই। কিন্তু ঠোঁটকাটা দু'টো খুটির কাছ থেকে অনেক কিছু হজম করে ফিরতে হয় মা'কে নিয়ে ঘাটতে আসলেই। সে যেই হোক, বাপি হলেও। পৃথিবীর এই একটা বিষয়ে আমরা দুই ভাই ভয়ংকর সেন্সেটিভ। মা ভুল করলেও সেটা ঠিক বলার মত একগুঁয়েও।







আজ মা দিবসের উপলক্ষ্যটা ধরে মাকে নিয়ে কিছু কথা লিখে ফেললাম। দিবসটা আমার কাছে শুধুই উপলক্ষ্য মাত্র। আমার মা দিবস আসে প্রতি বেলাতে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মা'র ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠে।



১৬ মে, ২০১৩:



১) গত কয়েকদিন আইডির শেষে 'বাবা' সংবলিত বেশ কিছু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসেছে। ময়লা বাবা-কয়লা বাবাদের পর সর্বশেষটা 'পুঙটা বাবা।' ঝড়-বৃষ্টির আবহাওয়াতে বাস্তব বাবা বৃদ্ধি পেতেই পারে তাই বলে এই দূর্যোগকালীন সময়ে ফেসবুকে হঠাৎ এত 'বাবা' বৃদ্ধির কারণ খুঁজে পেলাম না।







২) কিছুদিন আগেও মুঠোফোন থেকে 'mobile view' দিয়ে সামুতে লগ-ইন করা যেত। সম্প্রতি কোনো একটা সমস্যায় কিছুদিন সামু বন্ধ থাকার পর থেকে ওই অপশনটা আর পাচ্ছি না। সামু সম্ভবত: অপশনটা সরিয়ে নিয়েছে। তাই ফোন থেকে ব্লগে লেখা দিতেও পারছি না। ফোন থেকে লগ-ইনই হচ্ছে না। সহৃদয় টেকি বা নন-টেকি ভাইদের কেউ এই মুশকিলের আসান থাকলে জানাইয়েন।



৩) ১৩ তারিখে জন্মদিন ছিলো। আমার ইনবক্সে আসা ম্যাসেজ গুলোর রিপ্লাই দিতেই ৩ দিন লেগে গেলো। আমি নিশ্চিৎ আমার আগের সাত পুরুষের সারাজীবনের সম্মিলিত সবগুলো উইশ থেকে এই এক জন্মদিনেই বেশি উইশ পেয়েছি। দু'টো উইশের কথা লিখি, এক বন্ধু ইনবক্সে লিখেছে, 'আজ কার জন্মদিন, বাবুল না তার স্যারের?' আরেক বড় ভাই ফোন দিয়ে বলেছে, 'রণি, আগে ক তোর বাপ-মা উইশ করছে?' জিগাইলাম, 'কেন?' উত্তর পেলাম, 'এইডা এমন এক বয়স বুঝলি, যখন বাপ-মা নোটিফাই না হলে কোন্নো লাভ নেই!'



৪) রাজাকার আর জামাত-শিবির ইস্যুতে ফেসবুক-ব্লগে টুকটাক লেখাতেই অনেকের বিরাগভাজন হয়ে গেছি, জানি। অনেক বন্ধুর সাথে কথা হয় না শুধু এই একটা কারণেই। জন্মদিনটা ব্যাপারটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো। আমি সহসা কেউকে ডিলিট করি না, কিন্তু বেশ কিছু সহপাঠী-বন্ধুকে ডিলিট করেছি শুধু এই একটা ইস্যুতে। অপরিচিতের সাথে যুক্তি দেখানো যায়, পরিচিত বন্ধুর বা সহপাঠীর সাথে ফেসবুক ওয়্যালে তর্ক করা ভালো দেখায় না, তাই। আবার এজন্যই কয়েকগুন বেশি শুভাকাঙ্খীও জুটে গেছে। প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। এক কাদের মোল্লার 'ভি' সাইন জীবনটা কতটা বদলে দিলো!







৫) আমার ক্ষমতা থাকলে মহাসেনকে ফেসবুকের উপর দিয়ে যেতে বলতাম। আমি নিশ্চিত, কারো টাইমলাইন-নিউজ ফীডের একটা কনাও নাড়াতে পারতো না মহাসেন। ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে মনে হয় এখানেই মানুষজন সবচেয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকে!



৬) গতবছরের জন্মদিনে একটা মে ফ্লাওয়ারের ছবি আপলোড দিয়েছিলাম ফেসবুকে। জানলাম, ওই গাছেই আরেকটা ফুল ১৩ তারিখে প্রস্ফূটিত অবস্থাতেই ছিলো। যাক, ফুলের গাছটা অন্তত 'আনলাকি থার্টিন' শব্দটার সাথে পরিচিত না! এই ক্ষুদ্র মানুষকে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সকলকে ধন্যবাদ।



১৮ মে, ২০১৩:







# দু'দিন আগেও প্রস্রাব করার সময় মুত্রের ধারাটা ৪ হাত দূরে ছুটে গিয়ে পড়তো। কিন্তু গতকাল ইন্টারনেট স্পীড ৭৫% কমানোর পর থেকে দেখি মুত্রের ধারাটা মাত্র ১ হাত দূরে গিয়ে পড়ছে। তার বেশি যায় না। প্রস্রাব একটা দৈনন্দিন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটা করতে টয়লেট টিস্যুর প্রয়োজন পড়ে। টয়লেট টিস্যুর মূল্য খুবই নগন্য। ইন্টারনেটও বর্তমানে একটা মস্তিষ্কবৃত্তীয় চাহিদা। এটা চালাতে টাকার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু টয়লেট টিস্যুর মত ইন্টারনেট প্যাকেজ সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় না। হে ফ্যাসীবাদী সরকার, দয়াকরে আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশে এবার ১০ সেকেন্ড পালসের মত একইভাবে গিগাবাইট প্রতি ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ এবং বাধ্যতামূলক করে দেন। আর স্পীডটাও একটু… ।



পুনরায় শান্তিতে ৪ হাত দূরে ফোয়ারার মত ছিটিয়ে প্রস্রাব করতে মুঞ্চায়!



২০ মে, ২০১৩:



# দু'দিন পরে জানলাম অপ্রত্যাশিত খারাপ খবরটা। @[546043046:Hillol] দা'র স্ত্রী, পূর্ণা বৌদি তিন বছর ফুঁসফুসের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে শনিবার না ফেরার দেশে চলে গেছেন ছোট্ট পাপাইকে রেখে। মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে মৃত্যু দেখে অভ্যস্ত। কত মানুষকে কতবার কত শান্তনা দিয়েছি। প্রিয় মানুষদের শান্তনা দেওয়া যায় না। দাদাকে তাই ফোন দিয়ে কথা আটকে গেলো। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে থেমে থেমে আসা শব্দগুচ্ছের উত্তর ছিলো না আমার কাছে। আঙুল আটকাচ্ছে না দাদা। তাই লিখছি। শক্ত থাকবেন। পাপাইয়ের জন্য হলেও ভেঙে যাওয়া দুনিয়াটা একটু গুছিয়ে নিবেন।



২১ মে, ২০১৩:



১) আমি চাইনা যতদিন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা ফাঁকা আছে ততদিন আমি কারো রিকোয়েস্ট হোল্ড রেখে সাবস্ক্রাইব লিস্টে পাঠাই। নিতান্ত বাধ্য না হলে আমি 'Confirm Friend' এর বদলে 'Not Now/Delete Request' প্রেস করিনা। যখন প্রোফাইলে কোনো ইনফো পাই না, মনে হয় ফেক আইডি বা বাঁশেরকেল্লা-ওড়না-এইটটিন প্লাস পেজের লাইকের এভিডেন্স চোখে পড়ে; ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত। কেবল দেখলাম ৪০০ এর বেশি ফ্রেন্ড আমাকে ফলো করছে। তা হবে কেন? প্রথম ৪০০ ফ্রেন্ড হতেই আমার চার বছর লেগে গেছিলো। কয়েক মাস আগে অবশ্য একাউন্ট পাবলিক করায় চিত্র পাল্টেছে। হাজার পার হয়ে গেছে বন্ধুর তালিকা। তাই ভুল বশত কারো রিকোয়েস্ট না গ্রহন করে থাকলে দয়া করে একটা ইনবক্সে ম্যাসেজ দিবেন। আমার ফ্রেন্ডলিস্টের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এখনও খালি। শুধু একটা তথ্য, জামাত-শিবির ছাড়া আমি সবার সাথেই যাই।



২) ফেসবুক-ব্লগে একটু আধটু লিখে কেউ লেখক হয় না। দয়া করে আমার কোনো লেখাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। আমি স্রেফ আম পাবলিক। যা মনে হয়, লিখে রাখি। এটুকুই। কারো কোনো লেখা পছন্দ না হলে এড়িয়ে যাই। ভিন্নমত না থাকলে পরবর্তী মতই তৈরি হয় না। যুক্তি ছাড়া কারো সাথে অযথা প্যাচাল করি না সাধারণত। আমার একাউন্টে করতে আসলেও এড়িয়ে যাই। আগে দীর্ঘদিন ফ্রেন্ড লিস্ট ছিলো একশ'র নিচে। অনলাইনে দু'-তিন জনকে পেতাম। তাও কদাচিৎ। সবার সাথে চ্যাট হতো। এখন অনেক সময়ই অনলাইনে ঢুকে দেখি ২০০-২৫০ জন অনলাইন। তবু চ্যাট করা হয় না! চ্যাটে খুব দরকার না হলে এবং পূর্বপরিচিত না হলে কেউকে চ্যাটে নক করি না এখন। বরং কেউ নক করলের স্বতস্ফূর্ত বোধ করি। আমাকে নক দিয়ে উত্তর পায়নি এমন কেউ হয়তো নেই।



৩) এখন অনেক ফেসবুক সেলিব্রেটি। তবে তাদের বেশিরভাগই আমার সেলিব্রেটি না। আমার নির্দিষ্ট কিছু পছন্দের ফেসবুকার আছে। তাদের লেখা নিয়ম করে পড়ি। তাদের কেউকে হয়তো অনেকেই চেনে না। কেউ তথাকথিত সেলিব্রেটি হওয়ার পথে। কারো সাথে অনলাইনেই পরিচয়, কারো সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। আমার পছন্দের তালিকাটা আমার মত করে বেছে নেওয়া। তবে বেশিরভাগ ক্রিড়া লেখক আমার 'সেলিব্রেটি।' তাদের সব লেখাই ঢক ঢক করে গিলি।



৪) মনে হবে ভাব তবে ট্রু ফ্যাক্ট ইজ 'লাইক' নিয়ে আমার কোনো ফ্যাসিনেশন নেই। কেউ লেখা পড়ে লাইক দিলো না ডিজলাইক দিলো তাতে কিছু যায় আসে না। তবে তথ্যবহুল এবং যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট উপভোগ করি। ক'দিন আগে এক বন্ধু বললো, 'রণি, তোর লেখায় তো দেখি আজকাল ৫০-১০০ লাইক পড়ে। ক্যামনে কী?' উত্তরটা সহজ ছিলো। বলেছিলাম, বছর খানেক আগে যা লিখতাম এখন তার থেকে বেশি ভালো লিখি? নিশ্চয়ই না। তাহলে? তাহলেটা হলো আগে অপরিচিত কেউকে অ্যাড করতাম না। এখন দেদারসে করি। কারো লেখা ভালো লাগলে আমি নিজেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। তাতে ফ্রেন্ড লিস্ট হাজার ছাড়িয়েছে। হাজার জনের সামনে একটা স্ট্যাটাস পড়লে তাতে ৫০ টা নক লাগতেই পারে। এতে 'ক্যামনে কী' টাইপ কিছু নেই। তবে ভালো লেখায় আমিও 'লাইক' বাটন চাপা প্রিফার করি। নিকট অতীতে বাংলাদেশের জয় আর রাজাকারের ফাঁসির রায়ে আমার হোমপেজের এই সম্বন্ধীয় খুব কম স্ট্যাটাসই সম্ভবত: ছিলো যাতে আমার লাইক বাটনে প্রেস ছিলো না।



৫) আগে দৈর্ঘ প্রস্থে বেশ লম্বা লম্বা স্ট্যাটাস মারতাম। বেশ কিছুদিন মারি না। আসলে ইদানিং সময় করতে পারি না কিছু নিয়ে ঘাটার। এক বড়ভাই গতকাল ফোনে বলেই ফেলেছে, 'কী হাবিজাবি ইয়ার্কি-ফাজলামি মার্কা হাবুল-বাবুল লিখিস আজকাল। টপিক বদলা। কন্ট্রিবিউটরি লেখা লেখ পারলে।' ক্যামনে কই, সেই প্রতিভা আমার নেই? সময়ও জোটে না। তাই আরও কয়েক মাস এই হাবুল-বাবুল করেই কাটাতে হবে। তবে এই লেখাটা বাবুল দিয়ে হতো না। তাই আমি-আমি করে লেখা। বিরক্তি উৎপাদন করলেও দু:খিত বলতে পারবো না। আমি কী আপনাকে এই 'আমি-আমি-আমি' বিরক্তিকর পোষ্টটা পড়তে বাধ্য করেছি? [[hasteiasi]]



৬) আমার বন্ধু তালিকার সকলের জন্য শুভকামনা। অঞ্জন দত্তকে নকল করে বলি, 'বন্ধুরা না থাকলে ফেসবুকটা এত সুন্দর হতো না। বন্ধুরা না থাকলে কত কিছু ঘটে যেত জানাই হতো না!'



২২ মে, ২০১৩:



জীবনানন্দ রূপবৈচিত্র দেখার জন্য পরজন্মেও বাংলাদেশেই জন্মাতে চেয়েছিলেন। আমার সৌন্দর্যানুভূতি কম। আমি লিচু, ডাব আর আম, এই তিনটা ফল খাওয়ার জন্য আরেকবার বাংলাদেশে জন্মাতে চাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

গানই আমার প্রান বলেছেন: বড় লেখা পড়তে সমস্যা হয় , তাই আর পড়লাম না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.