নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছামানুষ রনি

ইচ্ছামানুষ রনি

আমি চাই মানুষ বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।

ইচ্ছামানুষ রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্পট ফিক্সিং, অ্যাশ-রফিক-সুজন-পাইলট অ্যান্ড অ্যা গিল্টি ফিলিং।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

এক, সাল ধরে সময়টার কথা মনে নেই। মোহাম্মদ রফিকের স্বর্ণযুগ চলে। নিউজিল্যান্ড সফরে গেলে ওই মুহূর্তের বাহাতি সেরা স্পিনারের তুলনা করে ড্যানিয়েল ভিটোরি আর মোহাম্মদ রফিককে পাশে রেখে ফিচার ছাপে শীর্ষ দৈনিকগুলো। নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে আসলেও তাই। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশ দলের একজন প্লেয়ারকে নিয়েই হোমওয়ার্ক করে। প্লেয়ারটার নাম মোহাম্মদ রফিক। আমার অসম্ভব প্রিয় স্পিনার। আজকে এই কী-প্যাড হাতে যখন জানি রাজ্জাক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী, সাকিব দীর্ঘদিন বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার ছিলেন; এখনও বাংলাদেশের একজন স্পিনারকে বেছে নিতে বললে, মাইসেল্ফ উইল ডেফিনেটলি পিক মোহাম্মদ রফিক।



খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ছাড়াও আরেকটা স্টেডিয়াম আছে। সার্কিট হাউজের পাশে। ওটায় এক স্থানীয় খেলায় একবার রফিককে হায়ারে খেলতে নিয়ে এসেছিলো। শোভনের সাথে খেলা দেখতে গেছিলাম মা কে মিথ্যে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে। একটা ছক্কা মেরেছিলো রফিক যেটাকে স্টেডিয়ামের অনেক উঁচু দিয়ে যেতে দেখেছিলাম। পরে বের হয়ে শুনেছিলাম বলটা পাশের প্রাকটিস গ্রাউন্ডের একটা টোকাইয়ের মাথায় লেগে থেতলে দিয়েছিলো। আমি জীবনেও লাইভ এত বড় ছক্কা দেখিনি। শোভনের সাথে তর্কে বলেছিলাম একবার, রফিকের যদি ভিটোরির বয়সে অভিষেক হতো আর বাংলাদেশ অন্য দলগুলোর মত নিয়মিত খেলতো, রফিক সর্বকালের সেরা তিন স্পিনারের একজন হয়ে যেত। কথাটা শুধু আবেগ দিয়ে বলা ছিলো না, তখন ব্যাপারটা বিশ্বাসও করতাম।



ছোটকাল থেকে একটা অভ্যাস ছিলো। আমার মতে বিশ্বের সেরা ওয়ানডে একাদশ, টেস্ট একাদশ সাজিয়ে খাতার এক কোনায় লিখে রাখতাম। মুরালিকে আমার কখনোই খুব বেশি পছন্দের ছিলো না তাই বিশ্ব একাদশে শেন ওয়ার্নের সাথে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে নাম লিখতাম রফিকের। অলরাউন্ডার থাকায় ওয়ার্নের নামের উপরেই লিখতাম রফিকের নাম।



দুই, এখন অনেক উইকেটকিপারই পেস বোলিংয়ে উইকেটের কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। টি-টুয়েন্টির আগ্রাসনে ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়লেই আজকাল হুটহাট স্টেপ আউট করে। এটা যাতে না করতে পারে সেজন্য পেস বোলিংয়ে উইকেটের সামনে এসে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা আজকাল প্রায় ডালভাত হয়ে গেছে। সব উইকেট কিপাররা এতেই অভ্যস্ত। খালেদ মাসুদের সময় ব্যাপারটা এমন ছিলো না। বাউচার-গিলিরা ছাড়া এই দু:সাহস খুব বেশি কিপার করতো না। নয়ন মঙ্গিয়া-সাবা করিমরা স্পিনেই নাক ফাঁটিয়ে নিতো। সেই যুগে খালেদ মাসুদ পাইলট শান্ত-তাপস বৈশ্যদের বলে উইকেটের সাথে দাঁড়িয়ে নিঁখুত কিপিং করতো। দেখার মত ছিলো ব্যাপারটা। খুব বেশি কিপারের পাইলটের মত স্কিল ছিলো না।







পাইলটের উপর শ্রদ্ধাটা বাড়ে রাজশাহীতে একটা ক্রিকেট একাডেমী করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করার সময়। মাথা নিছু করে স্পনসর খুঁজতে ও দ্বিধা করেনি ক্রিকেটের স্বার্থে। ক'জন ক্রিকেটার আছে যারা অবসরে গিয়েও দেশের ক্রিকেট নিয়ে ভেবেছে?



তিন, গুটি গুটি পায়ে মিডিয়াম পেস। টুকটাক ব্যাটিং। কোনোটাই ঠিকমত হয়নি, তারপরেও শুধু একটা ম্যাচের জন্য খালেদ মাহমুদকে কোনো বাংলাদেশি ভুলতে পারবে না। আজকের দিনে, ১৯৯৯ সালের এই ৩১শে মে তেই, ওয়ার্ল্ড কাপে খালেদ মাহমুদের ব্যাটিংয়ে ২৭ রান আর বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেটের জন্য। স্পষ্ট মনে আছে, তখন বাড়িতে ২১ ইঞ্চি সাদাকালো ন্যাশনাল টিভি। সাকলাইন মোস্তাক গলার কাঁটা হয়ে ক্রিজে আটকে রয়েছে। আমার অল্প ক্রিকেট বোঝা মা ৪/৫ বছরের ছোট ভাইটাকে কোলে নিয়ে উত্তেজনায় কাঁপতেছে। রান আউট হয়ে গেলো সাকলাইন। রাত দশটার দিকেই সম্ভবত ম্যাচ শেষ হলো। যেখানে সন্ধ্যার আযানের পর এক সেকেন্ড বাইরে থাকার সাহস ছিলো না সেখানে ওই রাতেই আমি রাস্তায় বের হয়ে গেলাম। অবিশ্বাস্য ভাবে মা বাঁধা দিলো না। প্রেস ক্লাব, গোলকমনি পার্কের সামনে আধঘন্টা চিৎকার করার পর সাদা গেঞ্জিটাকে ঘামে ভিজিয়ে আর মুখে আবির মেখে ফিরলাম। অন্যদিন হলে ভূমিকম্প ঘটিয়ে দিতো মা। ওইদিন কিচ্ছু বললো না। এই ঘটনা ঘটানো খালেদ মাহমুদ সুজনকে ভুলি কিভাবে?



উপরের স্মৃতিচারণাগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। কী মনে হওয়ায় লিখতে বসে গেলাম। পরে যদি তাদের নিয়ে লেখার আর ইচ্ছেই না হয়, এজন্যই হয়তো। উৎপল দা'র কলামে একটু আগে পড়লাম আশরাফুল উপরের তিনজনের নাম বলে দিয়েছেন 'আকসু'র জিজ্ঞাসাবাদে। তিনজন যথারীতি অস্বীকারই করেছেন। সে যাই হোক, সচেতন এবং বুদ্ধিমানেরা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, সিডর আসছে সামনে। শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটে না, বিশ্ব ক্রিকেটেও। ঘরোয়া টি-টুয়েন্টির মাঝে আর ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ নেই। এবং কতটুকু পারবে জানি না তবে 'গেন্টেলসম্যানস গেম' ক্রিকেটের যে ভাবমূর্তিটা নষ্ট হলো তা পুনরুদ্ধারে আইসিসি যে একটা ডেসপারেট সিদ্ধান্তে পৌছাবে, এই ছোট্ট মাথায় তা বেশ ভালোই অনুমান করতে পারছি।



ক্রিকেট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব সম্মানের জায়গায় ছিলো। এই তো সেদিনও একজন আরেকজনের ছায়া না মাড়ানো দুই নেত্রীকে এশিয়া কাপে একই গ্যালারিতে নিয়ে এলো সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। বাংলাদেশের আর কেউ এটা করে দেখাতে পারবে?







বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটায় গ্যালারিতে ছিলাম। বাংলাদেশ জেতার সাথে সাথে পাশের অচেনা অজানা এক লোক এমন ভাবে জাপটে ধরলো, আমি আর নিজেকে ছাড়াতে পারি না। জাপটে ধরেই লাফায়। কয়েক মিনিট পর যখন ছাড়লো তখন দেখি উনিই চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকানো। তীব্র শব্দের মাঝে কানের কাছে মুখ এনে বললো, 'ভাই কিছু মনে কইরেন না, মাথা ঠিক আছিলো না!'



আবেগের কথা বাদ দিয়ে সিরিয়াস কথায় আসি। আশরাফুল যখন বলেছে ২০০৪ সালের কথা এবং তা যদি আসলেই সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টা নিয়ে চিন্তার অনেক কিছুই আছে। ২০০৪ এ আশরাফুলের বয়স ছিলো মাত্র ২ এখন এইচএসসি দেওয়া ছাত্রদের বয়সই থাকে ২০ এর মত। এই বয়সী একটা ছেলে নিশ্চয়ই নিজে নিজে ফিক্সিংয়ে জড়ানোর ক্ষমতা রাখে না, তাই না? পিছনে যে কেউ ছিলো, এটা নিশ্চিতই। কিন্তু কথা সেখানে থামছে না। ধরে নিলাম, রফিক-সুজন-পাইলটরা ছিলোই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাদেরকে কে এই লাইনে এনেছে, তাদেরকে কে মোটিভেট করেছে? এই গোঁড়াটা কোথায়? শুধু আশরাফুলের মাধ্যমেই তিন-চারটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিক্সিং চললে বাকিরা কয়টা ম্যাচে করেছে? আশরাফুলের কাছে তিনটে নাম থাকলে রফিক-সুজন-পাইলটদের কাছে কি আরও তিনটে করে নাম নেই? দ্যাট মিনস, এতদিন কী দেখেছি? ক্রিকেট না রেসলিং? কী দেখে হৃদস্পন্দন বাঁড়িয়েছি? কী দেখে চোখ ভরে জল এসীছে?



বাংলাদেশের খেলা থাকলে আমার দৈনিক রুটিন বদলে ফেলি। ক্লাস-ওয়ার্ড বাদ দেই। অমিত জানে ওইদিন ক্লাসে আমার প্রক্সিগুলো ওরই দিতে হবে। আমার ক্লাসমেটরা লাইব্রেরিতে যাওয়ার আগে বলে যায়, বাংলাদেশের খেলা আছে, আজকে তো তুই যাবিনা, তাই না? এখন থেকে কোনো ওভারে একজন ব্যাটসম্যানকে অহেতুক ব্যাট চালাতে দেখলে বা একটা হাফ ভলি-ফুলটস চেজ না করতে দেখলেই মনে হবে, এটাও কি ফিক্সিং? আমি জানিনা, সেই আবেগ নিয়ে এরপর আর বাংলাদেশের খেলা দেখতে পারবো কি-না, জানিনা একটা চার-ছক্কা হওয়ার পরে অজান্তেই দেয়ালে ঘুষি মেরে হাতে ব্যথা পাবো কি-না, জানিনা ক্লোজ ম্যাচগুলোতে হৃদস্পন্দন কমাতে বল করার আগে মুঠি বুঝে চোখ বন্ধ করে বলতে পারবো কি-না, 'আজকে জিতে যাক, আর কিছু চাওয়ার নেই আমার।'







অ্যা সিরিয়াস গিল্টি ফিলিং। ভীষন প্রতারিত হওয়ার অনুভব হচ্ছে। মোর দ্যান অ্যা শক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আমি তাদের সাথেই থাকব ।

২| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১০

মেংগো পিপোল বলেছেন: আমার কেনো জানি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলাটা নিয়ে সন্দেহ হয়। আমার প্রিয় একজন ব্যাটসম্যানের উপরই সন্দেহের তীর যায় তাই আর নাম নিাম না। রফিক আমার খুব প্রিয় একজন। জিনজ্জিরায় ওদের বাসার কাছেই বড় হয়েছি। এখন যেখানে বাবু বাজার ব্রিজ সেখানে কাঠুরিয়া নামে একটা যায়গা আছে। কাঠুরিয়ায় ছিলো বিসাল এক ক্রিকেটের মাঠ। রফিককে দেখেছিলাম সেই মাঠ থেকে ছক্কা মেরে বুড়ি গংগা নদীতে বল ফেলেছিলো।

যখন আই সি সি জিতে ছিলো দল সেরকম আনন্দ আর জীবনে পাবো কিনা কে জানে। আমার কেনো যেন মনে হয় যখনই আমরা ক্রিকেটে একটা ভালো অবস্হায় পৌছাই তখনই একটা ঝড় আসে। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ একবার শেষ করলো আমাদের ভবিষৎ। এখন আবার এসেছে ঝড়। আশ করি বি সি বি সতর্কতার সাথে এবার দেশের ক্রিকেট কে বাচিয়ে নেবে।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২

গারো হিল বলেছেন: ১/ শেন ওয়ার্ন ম্যাচ পাতানোর দায়ে কোথায় ধরা পড়েছিলেন ?

উত্তর - মুম্বাইতে

২/ হার্শেল গিবস কোথায় ম্যাচ পাতিয়ে ধরা পড়েছিলেন ?

উত্তর - মুম্বাইতে

৩/ ওয়াসিম আকরাম এর সাথে কোন বুকির যোগাযোগ ধরা পড়েছিলো ?

উত্তর - মুম্বাই ভিত্তিক ডন ছোটা শাকিলের সাথে।

৪/ আযহারউদ্দিন , জাদেজা এর সাথে কোন দেশী বুকিদের যোগাযোগ ছিলো ?

উত্তর - ভারতীয় বুকিদের

৫/ আইপিএল , বিপিএল , শ্রীলংকার এসএসপিওএল এ কোন দেশী বুকিরা জড়িত ?

উত্তর - ভারতীয়

আইসিসি , এইসব বালছাল তদন্ত - শাস্তি এইসব বাদ দিয়ে ভারত নামক দেশটাকে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করু , দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
ক্রিকেট আবার কলঙ্কমুক্ত হবে। যত নষ্টের গোড়া এই ইন্ডিয়া


সূত্র-ফেসবুক।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

বিবর্ণ সময় বলেছেন: প্রথম আলোর খবরটা আমাদের শেয়ার না দেয়াই শ্রেয় এবং সেইটা বিশ্বাস করে হতাশ হওয়ার সময় না। মিডিয়া খবর ম্যানিপুলেট করে এমন ভাবে উপস্থাপন করতে পারে যেন মানুষের উপর বিরুপ প্রভাব পরে। প্রথম আলো ছাড়া আর তেমন কোন জায়াগায় এই ব্যাপারে তেমন কিছু আসে নি। শুধু তদন্ত চলছে লেখা হয়েছে। যেইগুলা ধারনা করা হচ্ছে প্রমান ছাড়া সেইগুলো সত্য বলে প্রচার করলেইতো আর সত্য হয়ে যায় না। প্রথম আলো এর আগেও এমন এমন রিপোর্ট করেছে যাতে বাংলাদেশ টিমের উপর অনেক চাপ পড়ে। সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সময়ও তাদের ভূমিকা ছিল চমৎকার। মুশফিক ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার আগেও, শ্রীলংকা ট্যুরের সময় বাজে একটা রিপোর্ট করেছে। প্রমানের জন্যে প্রথম আলোকে চাপ দেয়া উচিত।

৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: প্রায় একিরকম অনুভুতি। আমি বাংলাদেশের খেলার কিরকম ফ্যান বুঝাতে পারব না। খুব ই খারাপ লাগতেছে। আসলে কি বলব, বুঝতে পারতেছি না।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

আিম এক যাযাবর বলেছেন: বিবর্ণ সময় ভাইয়ের সাথে একমত। ভারত নিজের দেশের বিতর্কটার সাথে অন্য দেশগুলোকে জড়িয়ে নিজেদের খেলোয়াড়দের বাঁচানোর চেস্টা করছে, ধোনীর নাম জোরে শোরে শোনা গেলেও তাকে তদন্তের বাইরে রেখে দিলো, আসল রাঘব বোয়ালদের তো আসলে কিছুই হবেনা।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাই আমি খেলা দেখার সময় এখনও উত্তেজিত হব। আমি বিস্বাস করি না যে বাংলাদেশের সব খেলোওয়ার ফিক্সিং করে। আমি তাদের জন্য খেলা দেখব যারা ফিক্সিং করে না, তাদের জন্য আমি খেলা দেখতে দেখতে উত্তেজিত হব। আমি জানি না আদৌ কেউ ফিক্সিং করেছে কিনা, তবে আমার বিস্বাস বাংলাদেশের বেশীরভাগ খেলোওয়ার ফিক্সিং এ জড়িত না। আমি মনে করি এটা ভারতীয়দের ষড়যন্ত্র আমাদের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যে যাই বলুক
হারলেও বাংলাদেশ জিতলেও বাংলাদেশ
মরলেও বাংলাদেশ

৯| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

রাকীব হাসান বলেছেন: বিবর্ণ সময় বলেছেন: প্রথম আলোর খবরটা আমাদের শেয়ার না দেয়াই শ্রেয় এবং সেইটা বিশ্বাস করে হতাশ হওয়ার সময় না। মিডিয়া খবর ম্যানিপুলেট করে এমন ভাবে উপস্থাপন করতে পারে যেন মানুষের উপর বিরুপ প্রভাব পরে। প্রথম আলো ছাড়া আর তেমন কোন জায়াগায় এই ব্যাপারে তেমন কিছু আসে নি। শুধু তদন্ত চলছে লেখা হয়েছে। যেইগুলা ধারনা করা হচ্ছে প্রমান ছাড়া সেইগুলো সত্য বলে প্রচার করলেইতো আর সত্য হয়ে যায় না। প্রথম আলো এর আগেও এমন এমন রিপোর্ট করেছে যাতে বাংলাদেশ টিমের উপর অনেক চাপ পড়ে। সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সময়ও তাদের ভূমিকা ছিল চমৎকার। মুশফিক ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার আগেও, শ্রীলংকা ট্যুরের সময় বাজে একটা রিপোর্ট করেছে। প্রমানের জন্যে প্রথম আলোকে চাপ দেয়া উচিত।

Click This Link

১০| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মাহাবুব১৯৭৪ বলেছেন: ভাই পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। অফিসে বসেও চোখের পানি আটকাতে পারলাম না। পাইলট, রফিক, সুজন ম্যাচ ফিক্সিং এর সাথে জড়িত আছে, একথা কখনোই বিশ্বাস হয়না আমার। এরা তিন জনই খেলোয়াড়ি জীবনে ১০০% এর বেশি effort দিয়ে খেলেছে। এদের কথা বার্তা, আচরণ আমার কাছে সব সময়ই ক্লিয়ার মনে হয়েছে। যদিও হ্যান্সি ক্রনিয়ের মতো খেলোয়াড় যদি ম্যাচ ফিক্সিং করে থাক্লে, আর কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না। তবুও পাইলট, রফিক, সুজন, আকরাম, বুলবুল, সাইফুল, দুর্জয় আর এখন তামিম, সাকিব, মুশফিক, নাসির, রিয়াদএদের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। এরা সব সময় ই শতভাগ দিয়ে চেস্টা করে বলেই মনে হয়েছে। যদি বলেন রোকন, বিদ্যুৎ, অপি, গোল্লা এদের কে আমার কখনোই পুরাপুরি ডেডিকেটেড মনে হতো না। আশরাফুল কেও কখনো ডেডুকেটেড মনে হয়না।

১১| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

rakibmbstu বলেছেন: এত উত্তেজিত হবেন না। নিজ দলের প্রতি আস্থা রাখুন আমরা কিন্তু নদর্মার কীট নই!!!

১২| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: বাংলাদেশ কৃকেট যতটা মাসুদ, রফিক নির্ভর তার ছিটেফোটাও না খালেদ মাহমুদের জন্য। খালেদ মাহমুদের ক্যারিয়ার ভদ্রস্থ দেখায় মোটামুটি পাইলটের জন্য। পাইলটের ঐ কিপিং না থাকলে, সাহস করে স্ট্যাম্পের পাশে না দাঁড়িয়ে কিপিং না করলে মাহমুদ দলে থাকেনা। ওর চেয়ে মুশফিক বাবু বায়টিং, বোলিং দুই দিকেই ভালো ছিল। কিন্তু কি এক অজ্ঞাত কারণে এই ব্যাক্তি বারবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে!!!

এই লোকের ২০১০ থেকে এখন পর্যন্ত খেয়াল করুন কেমন যেন লোভী লোভী আর হিংসুটে মনে হয় তাকে। সাকিব-তামীম নিয়ে বাংলাদেশ দলের অভ্যন্তরে গৃহদাহের মেইন কারিগর এই লোক। কালের কণ্ঠের অঘোষিত তথ্য সাপ্লাইয়ার টাকার জন্য পারেনা এমন কোন কাজ নাই। প্রচন্ড দাম্ভিক এই লোকের দাবি তিনি সাকিবের চেয়েও বড় অলরাউন্ডার এবং বিশ্বসেরা কোচ। বিদেশী কোচদের মত যদি তাকে মাসে ১০-১৫ লাখ টাকা বেতন দেয়া হয় তাহলেীই লোক বাংলাদেশকে কোচিং করিয়ে ধন্য করে দিবেন। ও চাইছে আশরাফুল দলে থাকুক আর সাকিব-তামিম টিম থেকে চলে যাক। এরা নাকি বেয়াদব ওর কথা শুনে স্পট ফিক্সিং করবেনা। একটা অপদার্থ রামছাগল। ওরে চড়াইয়া কৃকেট থেকে বের করে দেয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.