![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশরাফুলের শাস্তি চাই, না চাই না, চাইলেও কতটুকু শাস্তি হওয়া যৌক্তিক- যারা এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন, আশরাফুলের শাস্তির পক্ষে-বিপক্ষে একটার পর একটা যুক্তি স্থাপন করছেন, এবং বিভ্রান্তিতে আছেন, তাদের জন্য আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে খানিক যুক্তিতর্কমূলক এই লেখাটা।
এক: হরহামেশাই যুক্তি দেখানো হচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা সবাই দূর্নীতিবাজ। তারেকের বালিশ, সুরঞ্জিতের গাড়ি, আবুলের পকেট অবৈধ কালো টাকায় ভর্তি। তাদের বিচার হয়না, আশরাফুলের কেন?
লেট মি সে, তারেক-সুরঞ্জিত-আবুলরা তাবৎ বিশ্বে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে? আবুলকে পৃথিবীর কয়টা মানুষ চেনে আর আশরাফুলকে কয়টা মানুষ চেনে? সুরঞ্জিতের কালো বিড়ালের খবর কয়টা ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় গেছে? আর সর্বকনিষ্ঠ আশরাফুলের সেঞ্চুরি কয়টা ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় গেছে? কোন মন্ত্রী মিনিস্টারের ডাকে কবে দেশের দুই নেত্রী এক গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন যেটা এশিয়া কাপে ক্রিকেটারদের জন্য সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া ক্রিকেট 'জেন্টেলসম্যান গেম', রাজনীতির নোংরা ময়দান না। আগরতলার সাথে জুতার তলার তুলনা দিয়ে লাভ নেই।
দুই: আশরাফুল অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। অন্য কেউ হলে নাও তো স্বীকার করতে পারতো। এটা ওর মহানুভবতা।
আপনি আমার ক্যামেরার সামনে চুরি করেছেন। ভিডিও তো আছেই। যে হাত দিয়ে চুরি করেছেন তার ফিঙ্গার প্রিন্টটাও নিয়ে আপনার সামনে হাজির হলাম। স্বীকার না করে কোথায় যাবেন? সেই জিনিসটাই ঘটেছে।
তিন: রাজসাক্ষী হয়ে অপরাধ নিজ থেকে স্বীকার করে আশরাফুল ক্রিকেটের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একারণে শাস্তি কম হওয়া উচিত।
বাকিরা স্বীকার না করলেও হ্যানসি ক্রোনিয়ে এবং মোহাম্মদ আমিরও অকপটে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলো। তাই বলে তাদের শাস্তি হয়নি?
চার: আশরাফুলের নিষ্পাপ কান্না দেখে তাকে মাফ করে দেওয়া যায়। আশরাফুল ওর ভুল বুঝতে পেরেছে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
এবার গোলাম আজম নিজের সব অপরাধ স্বীকার করে মিডিয়ার সামনে কেঁদে দিয়ে ক্ষমা চাইলো দেশবাসীর কাছে, আপনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন? আশরাফুলের অপরাধটা দেশের ষোল কোটি মানুষের ভালোবাসা আর আবেগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা নয়?
পাঁচ: আশরাফুল জুয়াড়ি দের শিকার। ও তো এই পথে নিজে নিজে আসেনি। দোষটা তাই ওর না।
এখন পর্যন্ত সব ফিক্সাইরই জুয়াড়িদের শিকার। একা একা ফিক্সিং করা যায় না। মালিক-আজাহার-ক্রোনিয়ে থেকে বাট-আসিফ-আমির-শ্রীশান্ত, সবাইই জুয়াড়িদের শিকারে পরিনত হয়েই ধরা খেয়েছে। আশরাফুল যে ফাঁদে পা দিয়েছে এটাই তো অপরাধ। সুতরাং এটা কোনো রক্ষাকবচ বা ঢাল হওয়ার যুক্তি না।
ছয়: মাশরাফি তার নিজের কলামে লিখেছে, 'পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো।' দ্যাট মীনস, আশরাফুলকে নয়, ফিক্সিংকে ঘৃণা করো।
কথা ওই পর্যন্ত ঠিকই ছিলো। কিন্তু এরপর আশরাফুলের শাস্তি লঘু করা নিয়ে কথা তুলেছেন। তখনই পাল্টা যুক্তি দাঁড়িয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধকে ঘৃণা করো, সাঈদী-গোলাম আজমকে নয়। খুনিকে নয়, খুনকে ঘৃণা করো। বাই দ্যা ওয়ে, তাহলে দেশে যুদ্ধাপরাধ আর মার্ডার কেসের শাস্তি কমানো যায় না?
সাত: আশরাফুল সর্বকনিষ্ট সেঞ্চুরিয়ান ছিলো। একাই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে। এক সময়ের বড় জয়গুলোতে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে।
আশরাফুল দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যতগুলো ম্যাচ জিতিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট দিয়ে এসে তার থেকে বেশি ম্যাচ হারানোর বন্দোবস্ত করেনি? দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে হাতে গোনা যে কয়েকটা সেঞ্চুরি করে দেশের জন্য যতটুকু সুনাম বয়ে এনেছিলো, এক ফিক্সিংয়ে তার থেকে বেশি চুনকালি দেয়নি? গুগলে আশরাফুল লিখে সার্চ দেন তো। প্রথম পাঁচ-সাতটা রেজাল্টই আসে ফিক্সিং আর ব্যান নিয়ে। তাছাড়া এককালে দান খয়রাত করেছেন বলে এখন আপনার সব অপরাধ মাফ হয়ে যাবে?
আট: আশরাফুলকে বিপিএলের বকেয়া টাকা দেওয়া হবে বলে ফিক্সিং করানো হয়েছে। আশরাফুল ওর ন্যায্য টাকা পাওয়ার জন্যই ভুলবশত ফিক্সিংয়ে রাজি হয়েছে।
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সবচেয়ে বড় বাজেটে কেনা প্লেয়ার ছিলো সাকিব আল হাসান। আশরাফুলের দামের তিন গুনেরও বেশি টাকা দিয়ে সাকিবকে কেনা হয়েছিলো। সেই সাকিব টাকা ফেরত পেতে কিছু করলো না, মাশরাফিও না, ফিক্সিং করতে হলো শুধু আশরাফুলের? ২০০৪ এ তো টাকা ফেরত পাওয়ার কিছু ছিলো না। তখন কেন ফিক্সিং করতে হয়েছিলো, শুনি?
নয়: আশরাফুলকে ফিক্সিং করতে জোর প্রয়োগ করা হয়েছে। বাধ্য করা হয়েছে। ট্রাপে ফেলা হয়েছে।
নিশ্চয়ই আশরাফুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বা পেটে চাকু ঠেকিয়ে কেউ বলেনি, তোমাকে ফিক্সিং করতেই হবে। তা না হলে তোমাকে মেরে ফেলবো। কেন, মাশরাফির মত কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে আশরাফুল বিসিবি বা মিডিয়াকে বলে দিতে পারতো না সব ঘটনা? তখন ১৬ কোটি মানুষ ওর পাশে দাঁড়াতো না? আসলে লোভ সংবরণ করতে পারেনি। এবং সেটাই সত্য।
দশ: অসংখ্যবার বাজে খেলার পরও এতদিন ধরে আশরাফুলকে ডিফেন্ড করা হয়েছে, সাফাই গাওয়া হয়েছে। কত বাজে আউট মাফ করে দিয়েছি। এবার নয় কেন?
ফিক্সিং না করলে, একশ' ষাট মিলিয়ন মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা না করলে মানুষ আরও অসংখ্যবারই আশরাফুলকে মাফ করে দিতো। কিন্তু অপরাধীকে কিভাবে ক্ষমা করবে? অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে..…। প্রশ্নই ওঠে না।
এগারো: যে প্লেয়ার আইসিএলে দশ কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়ে যায়নি সে দশ লক্ষের প্রস্তাব পেয়ে ম্যাচ ছেড়ে দিবে, এটা কিভাবে সম্ভব? নিশ্চয়ই প্রেশারাইজ করা হয়েছে।
প্রথম কথা, প্রস্তাবটা দশ কোটির ছিলো এটা আপনাকে কে বলেছে? জানা মতে, কোনো অর্থ প্রস্তাবিতই হয়নি তখন। শুধু প্রস্তাব পেয়েছিলেন আশরাফুল এবং দৈনিকে এসেছিলো অংকটা বিশাল। পরের কথা, জানা মতে আশরাফুল তখন জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন। ওর তখন কোনো ধারণাই ছিলো না যে এত তাড়াতাড়ি বাদ পড়ে যাবে দল থেকে। সেটা জানলে ও যেত কী যেত না, তার নিশ্চয়তা কী? যদিও কোনো প্রমান নেই তবু যদ্দুর জানা যায়, আইসিএলে যাওয়া প্লেয়ারদের সাথে ওই এজেন্টের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলো আশরাফুলই।
এবার কিছু র্যানডম কথাবার্তা:
এতদিন শুধু ভারত আর পাকিস্তানকে চোর-জোচ্চর-ফিক্সার বলতাম। একটা কম্পিকেটেড ম্যাচ জিতলে বা হারলেই বলা শুরু করে দিতাম ম্যাচ ফিক্সিং করেছে শালারা। ক্রিকইনফো থেকে শুরু করে ফেসবুক পেজ, কোথাও রেহাই দিতাম না ওদের। এখন থেকে জবান বন্ধ করে থাকতে হবে। বাংলাদেশ একটা ম্যাচ জিতলেই কথা উঠে যাবে, 'ফিক্সিং নয়তো?' ওই জায়গা গুলো থেকে মুখ বুজে ফিরতে হবে। এরপরেও আপনি আশরাফুলের জন্য শাস্তি কমানোর সুপারিশ করছেন? পুরো বিষয়টা একবার ভাবুন তো।
নেক্সট, আশরাফুলের জন্য নাকি মানববন্ধন হচ্ছে। এবং সেটা ১২ বছর ধরে জাতির আবেগের সাথে বিট্রে করা একজনের শাস্তি কমানোর জন্য! যার এখনও শাস্তি ঘোষণাই হয়নি, যে শাস্তির একটা অংশ আসবে আকসুর সুপারিশে(যদি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিক্সিং প্রমানিত হয়) এবং বাকিটা দেবে বিসিবি; সেই শাস্তি নিয়েই আগে থেকেই ক্রিকেট বোর্ডকে চাপে ফেলা হচ্ছে। ভালো। তবে এর মাধ্যমে অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন কতখানি, সেটা ভাবার সময় এসেছে বোধকরি।
আরও কিছু ব্যাপার আছে। এক আশরাফুলকে বাগে পেয়ে সব দোষ আশরাফুলের উপর চাপিয়ে রুই-কাতলারা পার পাওয়ার রাস্তা খুঁজছে। এবং সেই জিনিসটা ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মালিকপক্ষও সমানভাবে দোষী। অথচ সেলিম চৌধুরী-শিহাব চৌধুরীরা দৈনিকে বিবৃতি দিয়ে বেড়িয়েছেন, 'আমরা ক্রিকেটের সি ও বুঝি না' বলে। ক্রিকেটের সি না বুঝেই তারা ফ্যাঞ্জাইজির মালিক কিভাবে হলেন তা নিয়ে সাংবাদিকরা ক্রস কোশ্চেন করেনি! আশরাফুলের শাস্তির সাথে ফিক্সিং ঘটিত কর্মকান্ডে জড়িত, ইন্ধনদাতা এবং পরিকল্পনাকারী সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ওঠা জরুরি। আশরাফুল একা নন্দ ঘোষ হবে কেন? তবে তার আগে আকসুর ফাইনাল রিপোর্টের জন্য শেষ অপেক্ষাটা করাই যায়।
দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না। আশরাফুলের শাস্তি হোক এবং তা কম হোক- এই ডাবল স্ট্যান্ড নিয়ে থাকার সাথে একমত হতে পারছি না। তাই অবস্থান পরিষ্কার করলাম। এতে আশরাফুল বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে দিতে পারেন। তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। লিস্টের পুরানো বন্ধুদের আশরাফুলকে নিয়ে আমার আবেগের কথা না জানার কথা না। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আবেগও নেই, আপোষও নেই। আর আজকে যারা আশরাফুলের শাস্তি কমানোর জন্য মিডিয়ায় হাজিরা দিচ্ছেন, পত্রিকায় লিখছেন, ব্লগ-ফেসবুক ভরাচ্ছেন, তাদের জন্য একটা কথা: আশরাফুলের লঘু শাস্তি দেখে পরের বছর এনামুল হক বিজয় বা শামসুর রহমানের মত তরুণরাও যদি বিপথগামী হয় তখন এই আপনারাই গলা ফাঁটাবেন এই বলে যে, 'আশরাফুলের যদি যথাযথ শাস্তি হতো তাহলে আজকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই দুরাবস্থা দেখতে হতো না'!
২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
ফানার বলেছেন: ওর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত যাতে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কুকাম করতে কেউ সাহস না পায়
আপসোস ইন্ডিয়া-পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের মত আমাদের খেলোয়াড়রাও ফিক্সিং করতে জানে
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৯
দখিনা বাতাস বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা, আমি টাকা দিয়া টিকিট কিন্না খেলা দখতে গেছি, আশরাফুল ঐ খেলায় প্রতারনা করছে। আমি বাংলাদেশে মানুষ, অনেক অন্যায় সহ্য করে গেছি, আমি না হয় মাফ করলাম তার ঐ প্রতরনা, কিন্তু খেলা কি শুধু বাংলাদেশীরাই দেখছে? তারা যদি আমার মত বলে, আমার টিকিটের টাকার দাম নাই? টাকা দিয়া প্রতারনা দেখতে যাবো কেন?
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১
আল্পেনকর্পস বলেছেন: প্রথম ভাল লাগা দিয়ে গেলাম। আপনার প্রতিটি কথার সাথে আমি একমত। জাতি হিসেবে আমরা আবেগ প্রবন, কিন্তু আবেগ দিয়ে অপরাধীকে প্রশয় দিতে থাকলে অপরাধ বারতেই থাকবে।
আশরাফুলের মাথায় কেউ বন্দুক ঠেকিয়ে ফিক্সিং করতে বলে নি, ও টাকার প্রলোভনে এটা করেছে। ও বুঝতে পারেনি কখনো ধরা পড়ে যাবে। এখন যদি ওর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হয়, তাহলে এদেশের অন্যান্য ক্রিকেটারদের কাছে এই মেসেজ যাবে যে, বাংলাদেশে ফিক্সিং কোন ব্যাপার না, একটু আধটু ফিক্সিং করলেও পার পাওয়া যায়!
আপনারা কি ভবিষ্যতে আরো ক্রিকেটার কে আশরাফুলের পথে দেখতে চান? না চাইলে ওর কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান। আশরাফুলকে ওর অবদানের জন্য রেসপেক্ট করি, কিন্তু এদেশের ক্রিকেটকে ভালবাসি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। আমাদের ক্রিকেটের স্বার্থে এক ডজন আশরাফুল এর শাস্তি হলেও কোন দুঃখ নেই।
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চরম একটা যুক্তিক লেখা। যদি যথাযথ শাস্তি না হয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটে এর এফেক্ট পড়বে।যে এফেক্টে হয়ত ভবিষ্যৎে আরও টেলেন্টেড ক্রিকেটার এফেক্টেড হবে! আর সাথে খেলাটার প্রতি আমাদের মত সাধারণদের বিশ্বাস হারিয়ে যাবে।
আশরাফুল যখন আণ্ডা মারতে মারতে টায়ার্ড তখন আমরাও তারে তুলাধুনা করতে করতে এমনও বলছি যে এই কুপা'রে টিমে রাখা হয় কেন! এখন সে পুরা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে একটু কান্নাকাটি করছে - সাথেসাথে আমরাও তাকে আবার মাঠে দেখতে চাই, তাকে আবার টিমে নিয়মিত দেখতে চাই বলে কান্নাকাটির শুরু করছি।
আমরা আজব একটা জাতি - যে জাতি বিশ্বাসঘাতকদের মাফ করে দেওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে আবার বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তির জন্যও কান্নাকাটি করে।
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: শাহরিয়ার নাফিস - ‘এখানে আশরাফুল
না হয়ে আমার নাম হলেও শাস্তি চাইতাম।
সে যতটা অপরাধ করেছে, আইসিসির
দুর্নীতি দমন আইনে তাকে ততটাই
শাস্তি দিতে হবে।
এটা না হলে ভবিষ্যতে অন্যরাও সুযোগ
পাবে। এখানে আবেগের জায়গা নেই।
কারণ আইসিসি প্রতিটি সিরিজের
আগে আমাদের ভিডিও ফুটেজ দেখায়,
কিভাবে এসব
থেকে দূরে থাকতে হবে এবং প্রস্তাব
পেলে আকসুকে সঙ্গে সঙ্গে জানানোর
কথা বলে। এসব উপেক্ষা করেই তো আশরাফুল
এটা করেছে। অতএব আমি মনে করিযথার্থ
শাস্তি দিতে হবে।’
৭| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ও আরেকটা জিনিস বলতে ভুলে গেছি - একজন দোষীর দোষ মাফ করে দেয়া যায় কিন্তু একজন বিশ্বাসঘাতকের দোষ মাফ করা যায় না!
৮| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৫
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: আশরাফুল যদি স্বীকার না করতো তাহলে কি বলতেন? কিছুই করতে পারতেন না, যেইনা আপনাদের হেডম ব্লগে শুধু ছিড়তে ই পারবেন। চোখের সামনে দিয়ে তো সব চোর চুরি করে গেল, জোর গলায় স্বীকার ও করলো কি ছিড়তে পারসেন তাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউকি জাতির কাছের ক্ষমা চাইসে? অন্তত সে যে পুরো জাতির কাছে অপরাধী সেটা কি কেউ ফিল করসে? আশরাফুল ফিক্সিং করসে অবশ্যই অপরাধ, মহাশাস্তি যোগ্য অপরাধ, কিন্তু সে যে তার গিল্টি ফিলিংসটা জাতির সামনে তুলে ধরলো সেটা কি অনুকরনিয় নয়? নাকি আশরাফুল আর গোলাম আযম এক?
আর আশরাফুলরে কি শাস্তি দিবেন যেটা দেখে বাংলাদেশের তামাম ক্রিকেটার মুইত্তা দিবো আর তাওবা আস্তাগফিরুল্লা পড়বো আর মনে মনে কইবো এই জীবনে আর ফিক্সিং করুম না। ফিক্সিং তো মোটামুটি সবদেশের ক্রিকেটার রা ই করে দেখালো, আরেকটা কথা ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা বাকী সব কি অভদ্রলোকেরা খেলে?
পরিশেষে বলতে চাই স্লেজিং এর মত ফিক্সিংকে ও ব্রিটিশরা শিল্প না বানালে আপনাদের চিল্লানি থামবে না
৯| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৭
শুক তারা বলেছেন: ওয়েল আমিও নিজেো আশরাফুলকে শাসটি দেয়ার পক্ষে, কিন্তু আশরাফুল আবার রাজাকারের মতোও না। রাজাকারেরা অনেক বেশি পর্যায়ের জঘন্য প্রজাতি। এদের তুলনা কুকুরের সাথেও হয় না। আশরাফুল আমাদের আবেগ নিয়ে খেলেছে আর রাজাকারেরা খেলেছে আমাদের রক্ত নিয়ে, আকাশ পাতাল পার্থক্য , বাকি কথা স্পট অন। আমিও চাই আশরাফুলের শাস্তি হোক। বাংলাদেশের সাথে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের পার্থক্য আছে ।
১০| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩২
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: আশরাফুল দাবার গুটি, যে চাল চেলেছে তার কঠোর শাস্তি চাই ।
আশরাফুল কে শাস্তি দিয়ে খুব এক টা লাভ হবে বলে মনে করি না। জুয়ারিদের মুল উপরে ফেলতে হবে। ফিক্সিং বন্ধে এছাড়া বিকল্প পথ নাই।
১১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: শাস্তি তাকে অবশ্যই পেতে হবে, আইনি এবং প্রশাসনিক দুইটাই
১২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: আশরাফুলের বিরুদ্ধে নতুন শাহবাগ গড়ি পাছে শাস্তি কম হয়ে যায়
Click This Link
১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
নতুন বলেছেন: শাস্তি আশরাফুলের পেতে হবে...
কিন্তু আশারাফুর আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে... তাই তাকে ক্ষমা করাই উচিত...
শাস্তি ভোগের পরে যদি আবার ফিরে আসে যোগ্যতার প্রমান দিয়ে ... আমারা অবশ্যই তাকে আগের মতন ভাল জানবো...
আমাদের দেশের রাজনিকদের মতন অন্যায় করে তা ঢাকার চেস্টা করেনাই..
১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
তামীল০০৯৬ বলেছেন: শাস্তি নয় কেবল কঠোর শাস্তি চাই। এখানে আবেগের কোন স্থান নেই। যে বলবে লঘু শাস্তি তার ও শাস্তি চাই।
পোষ্টে +++++++++++++++
১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০০
মিতক্ষরা বলেছেন: "আপনি আমার ক্যামেরার সামনে চুরি করেছেন। ভিডিও তো আছেই। যে হাত দিয়ে চুরি করেছেন তার ফিঙ্গার প্রিন্টটাও নিয়ে আপনার সামনে হাজির হলাম। স্বীকার না করে কোথায় যাবেন? সেই জিনিসটাই ঘটেছে।"
সেইটাই যে ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। আশরাফুল সমস্ত কিছু খুলে বলেছেন যার অনেককিছুর প্রমান কারো হাতে ছিল না। যার ফলে জড়িত বাকীদের ধরা সম্ভব হবে।
"বাকিরা স্বীকার না করলেও হ্যানসি ক্রোনিয়ে এবং মোহাম্মদ আমিরও অকপটে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলো। তাই বলে তাদের শাস্তি হয়নি?"
কে কখন তদন্তের কোন পর্যায়ে দোষ স্বীকার করেছেন তা বিবেচ্য বিষয়। আশরাফুল একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে দোষ স্বীকার করেছেন। আর শাস্তি মওকুফের কথা কেউ বলছেন না। বলছেন শাস্তি কমানোর কথা। স্বীকারোক্তির কারনে শাস্তির মাত্রা কমে যাওয়ার বিষয়টি কি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত নয়?
ক্রনিয়ে এবং আমির সেই দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন। আশরাফুলের কেস বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে। আশরাফুলের কেস বাংলাদেশের আদালতে উঠলে বিসিবির হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ষোল আনা। কারন আশরাফুল তার স্বীকারোক্তি যে কোন সময় প্রত্যাহার করলে আর কোন প্রমান নেই। জুয়াড়ীরা ভারতীয় বিধায় বিষয়টির প্রমান অত্যন্ত কষ্টসাপেক্ষ। আদালতে প্রমানের অভাবে হেরে গেলে সেটার দায় বিসিবির উপরে বর্তায়। মনে রাখা দরকার বাংলাদেশের আদালতে দুর্নীতি প্রমান বেশ কঠিন। সুতরাং আশরাফুলের শাস্তির মাত্রা কমানোটাই ন্যায় আচরন।
"নিশ্চয়ই আশরাফুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বা পেটে চাকু ঠেকিয়ে কেউ বলেনি, তোমাকে ফিক্সিং করতেই হবে। তা না হলে তোমাকে মেরে ফেলবো। কেন, মাশরাফির মত কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে আশরাফুল বিসিবি বা মিডিয়াকে বলে দিতে পারতো না সব ঘটনা? তখন ১৬ কোটি মানুষ ওর পাশে দাঁড়াতো না? আসলে লোভ সংবরণ করতে পারেনি। এবং সেটাই সত্য।"
তিনি লোভ সংবরন করতে পারেন নি - এইটার সাথে একমত। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, "তখন কম বয়েসের কারনে কিছু বুঝে উঠার আগেই ফিক্সিং এ জড়িয়ে যাই।" কিন্তু এরপর? এরপরেও কি শুধু লোভের কারনেই তিনি ফিক্সিং করেছেন? আমার তা মনে হয় না। এরপর অনেকটা ব্ল্যাক মেইলিং এর শিকার। জুয়াড়ীদের চক্র নিতান্ত ভয়ংকর। শুধু খেলোয়ারদের কঠোর শাস্তি দিয়ে এর মোকাবেলা হবে না। বরং আশরাফুলের মত যে দুই চার খেলোয়ার নিজের দোষ স্বীকার করে বিসিবিকে সহায়তা করবে - তাদের দিয়েই শুধু এই চক্র উদঘাটন করা যাবে। সেই ক্ষেত্রে সেসব খেলোয়ারদের কিছুটা ছাড় দিতে হবে বৈকি।
"আশরাফুল দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যতগুলো ম্যাচ জিতিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট দিয়ে এসে তার থেকে বেশি ম্যাচ হারানোর বন্দোবস্ত করেনি? দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে হাতে গোনা যে কয়েকটা সেঞ্চুরি করে দেশের জন্য যতটুকু সুনাম বয়ে এনেছিলো, এক ফিক্সিংয়ে তার থেকে বেশি চুনকালি দেয়নি? "
চুনকালি সে দিয়েছে। তার জন্যে শাস্তিও পাচ্ছে। শাস্তির হাত থেকে রেহাই তো পাচ্ছে না। এখন থেকে সবাই তাকে সন্দেহের চোখে দেখবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে আবার চান্স পাওয়াটা কঠিন হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সে বাদ যাক সেইটা চাই না। কারন সেটা ন্যায় বিচার হবে না। ন্যায় বিচার হবে যদি সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে তাকে শাস্তি দেয়া হোক। আপনি কেন ভাবছেন যে টিভিতে তার কান্না দেখেই সবাই গলে গিয়েছে? না, মানুষের মূল্যায়নকে এত তুচ্ছ ভাববেন না। মানুষজন সব কিছু বুঝেই তার পক্ষ নিয়েছে।
"নেক্সট, আশরাফুলের জন্য নাকি মানববন্ধন হচ্ছে। এবং সেটা ১২ বছর ধরে জাতির আবেগের সাথে বিট্রে করা একজনের শাস্তি কমানোর জন্য! যার এখনও শাস্তি ঘোষণাই হয়নি, যে শাস্তির একটা অংশ আসবে আকসুর সুপারিশে(যদি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিক্সিং প্রমানিত হয়) এবং বাকিটা দেবে বিসিবি; সেই শাস্তি নিয়েই আগে থেকেই ক্রিকেট বোর্ডকে চাপে ফেলা হচ্ছে। ভালো। তবে এর মাধ্যমে অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন কতখানি, সেটা ভাবার সময় এসেছে বোধকরি।"
এই অধিকার তাদের রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান তা দিয়েছে। শাহবাগ আন্দোলন থেকে শুরু করে বহু বিষয়ে এরকমটি দেখা গিয়েছে। আপনি বিষয়টিকে যেভাবে দেখছেন তারা হয়তবা সেভাবে দেখছে না। তাদের কাছে সেইটাই বরং করনীয়।
"আশরাফুলের লঘু শাস্তি দেখে পরের বছর এনামুল হক বিজয় বা শামসুর রহমানের মত তরুণরাও যদি বিপথগামী হয় তখন এই আপনারাই গলা ফাঁটাবেন এই বলে যে, 'আশরাফুলের যদি যথাযথ শাস্তি হতো তাহলে আজকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই দুরাবস্থা দেখতে হতো না'! "
বিসিবি এখনও আইন কানুন ভালমত তৈরী করে নি। এছাড়া ফিক্সিং প্রতিরোধে বিসিবির যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। আশরাফুলের ক্ষেত্রে সেইটা একটি প্লাস হবে। পরে আইন তৈরী করে শাস্তি দেয়াটা মানতে পারলাম না। আশরাফুলের পরে ভবিষ্যতে শাস্তি খুব স্বাভাবিক ভাবেই বেশী হবে। শাস্তির কঠোরতা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হোক।
১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৭
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: ধন্যবাদ মিতক্ষরা, আপনার সাথে একমত
১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০২
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ফাসিই দিয়া দ্যান
১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২৭
বিশ্ব চিন্তাবিদ বলেছেন: আশরাফুলের শাস্তি চাই এ কারণে যে, সে কেন সত্য কথা বলল। বোকার বোকা জানে না বাংলাদেশে কেউ কোনোদিন সত্য কথা বলে মুক্তি পায় না।
যা বলিব মিথ্যা বলিব, মিথ্যার ভয়ে কোনোদিন সত্য বলিব না। আশরাফুল কেন তুমি এইটা মাথায় নিলে নারে ভাই। খুব কষ্ট হচ্ছে তোর জন্য।
১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১৪
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: কেউই আইনের ঊর্ধে নয় এটাই আশা করি সবসময়। শুধু আশরাফুল নয়, মুহতাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আশা হোক। আইনের শাসনের কোন বিকল্প নাই।
২০| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
দি সুফি বলেছেন: আশরাফুল নিজে থেকে স্বীকার না করলেও, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়ে যেত। সেই পরিমান দরকারি সবকিছুই ছিল আকসুর হাতে। আশরাফুল শাস্তি কম পাওয়ার লক্ষ্যেই নিজে থেকে সব কিছু স্বীকার করে নিয়েছে।
স্বীকার করে নিয়েছে বলেই তাকে ক্ষমা করে দিতে হবে? বা তার পাপ কমে যাবে? সে যে পুরো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মান-সম্মান ডুবিয়ে দিল, সেটার কোন বিচার হবে না?
অবশ্যই বিচার হতে হবে, এবং সর্বোচ্চ শাস্তই হতে হবে। নয়ত কিছুদিন পর আবার খবর পাবেন, উঠতি কোন তারকা ক্রিকেটারের কালো অধ্যায়। আশরাফুল যদি শচীনের চাইতেও ভাল খেলোয়ার হত, তাহলেও তার সর্বোচ্চ শাস্তিই কামনা করতাম। কারন সে পুরো দেশের সাথে প্রতারনা করেছে।
আর শাস্তি টা যেন শুধুমাত্র আশরাফুলের ভিতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। গ্লাডিয়েটর্সের মালিকপক্ষ্য যেন কোনভাবে পার পেয়ে না যায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
লেখকের সবগুলো পয়েন্টের সাথেই একমত।
২১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
হাসানুর বলেছেন: আমি সত্য বলেছি তাই আমাকে মাফ করে দেন, ব্যাপারটা এমন যেন না হয় ! তাহলে আবার নতুন সংষ্কৃতি শুরু হয়ে যাবে ।
(পাপকে ঘৃনা করবো আর যে পাপকে ধারন করে তাকে নয় কেন !)
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫১
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: আশরাফুল ই সবচেয়ে বড় রাজাকার, কারন সে ১৬কোটি লোকের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, কি বলেন ভাইবোনেরা?