![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করা হয়েছিলো। গত ১৫ বছর যাবত এ অপহরনের ঘটনা নিয়ে অনেক টালবাহানা হয়েছে । কিন্তু আজো কোন তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গঙদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি ।
কল্পনা চাকমার অপহরনের সময় ফেসবুক ছিলো না । আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় হবে কি করে? সেনাবাহিনীর অনেক চাপের ভিতর সাংবাদিকবন্ধুরাই যতোটুকু নিউজ দিতে পেরেছিলেন ,তার ভিত্তিতেই সেই সময় বামপন্থি সংগঠনগুলি ও মানবাধিকারকর্মীরাই কল্পনা চাকমার অপহরন নিয়ে প্রতিবাদ করেছে ।পাহাড়ি মেয়ে বলেই আওয়ামীলিগ ও বিএনপি -জামাত-জাতীয় পার্টির কোন প্রতিবাদ চোখে পড়েনি ।
কুমিল্লার নাট্যকর্মী তনু হত্যাকান্ডে সারাদেশ ফুসে ঊঠেছে । সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে দ্রুত তনু হত্যার খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে । দেশ-বিদেশে সাধারন মানুষ প্রতিদিনই তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে ।কিন্তু কল্পনা চাকমা অপহরনের ঘটনার মতোই ক্ষমতার আশেপাশের সেই রক্ষক ও ভক্ষকরাই নিশ্চুপ ! এ চুপ থাকার কারন একটাই । তনু হত্যাকান্ডের সাথে একজন সেনাসদস্যের নাম জড়িয়ে গেছে !
এ প্রেক্ষিতে বলা যায় ,একটা সময় কল্পনা চাকমার মতন তনু হত্যার বিচারের দাবীও ধামাচাপা পড়ে যাবে । ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাবার জন্য আর যাই হোক সেনাবাহিনীর বিরাগভাজন কেউ হতে চাইবেন না! ফলে তনুর হত্যাকারীও কখনো আইনের আওতায় আসবে কি না যথেস্ট সন্দেহ থেকে যায় ।
হায় ! সেলুকাস কি বিচিত্র আমার দেশ !
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৩
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ডের বিকৃত লাশের ছবি...
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৪
এমএইচ রনি১৯৭১ বলেছেন: মায়াকান্না শুধু কেন কল্পনা চাকমার জন্য হবে ?
পাকুয়াখালি হত্যাকান্ড সহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার চাই ।
স্বাধিনতার জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত ভিপি রোকন , সিরাজ শিকদার, কর্নেল তাহের হতে শুরু করে এ যাবত সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের বিচার চাই ।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: লেখক এবং মন্তব্যকারকদের অসংখ্য ধন্যবাদ, স্মৃতিটাকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা সকল হত্যাকাণ্ডেরই বিচার চাই। কিন্তু কে বিচার করবে? কে আমাদের চাওয়ার উত্তর দেবে? আপাদমস্তক দুর্নীতি, প্রতারণা এবং নৃশংসতায় ডুবে থাকা স্বৈরাচারের গোষ্ঠি?
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: লেখক এবং মন্তব্যকারকদের অসংখ্য ধন্যবাদ, স্মৃতিটাকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা সকল হত্যাকাণ্ডেরই বিচার চাই। কিন্তু কে বিচার করবে? কে আমাদের চাওয়ার উত্তর দেবে? আপাদমস্তক দুর্নীতি, প্রতারণা এবং নৃশংসতায় ডুবে থাকা স্বৈরাচারের গোষ্ঠি?
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৫
সুখী মানুষ বলেছেন: কহিতে পারিনা বন্ধু
বড়বিষ জ্বালা এই বুকে
৭| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
রাঙা মীয়া বলেছেন: হুমমম। কল্পনা চাকমা,তনু সহ সকল নারকীয় হত্যার বিচার চাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৮
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ইন্ডিয়া পালায়া যাওয়া কল্পনাদের নিয়া আপনাদের মায়াকান্না দেইখা আমার মনে পড়ে যায় পাকুয়াখালিতে ৩৩ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা বিকৃত লাশের কথা...
১৫ বছরেও পাকুয়াখালী হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি নিভৃতে কাঁদছে বিচারের বাণী
৯ সেপ্টেম্বর নিরবে পার হয়ে গেল পাকুয়াখালীর ৩৪ কাঠুরিয়া হত্যাকান্ডের আরেকটি বছর। হত্যাকান্ডের ১৫ বছর পার হলেও এখনো এর বিচার হয়নি। বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত স্বজনরা। যেন নিভৃতে কাঁদছে বিচারের বাণী। ৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের শোকাবহ এক কালোদিন। ১৯৯৬ সালের এই দিনে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের প্রাক্কালে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীর গহীন অরণ্যে তৎকালীন বিচ্ছিন্নতাবাদি গ্রুপ শান্তি বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় ৩৪ নিরীহ বাঙালী কাঠুরিয়া। সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় বাঙ্গালীরা এ দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বর্বর এ হত্যাকান্ডের স্মরণে এখনো শিউরে উঠে লংগদুর মানুষ। হত্যান্ডের সময় সেখান থেকে প্রাণ নিয়ে ফেরত আসা ইউনুছ তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “বাড়ীতে আসার পর আর্মীরা যহন জানলো যে আমাকেও শান্তি বাহিনী ধরে নিয়া গিয়াছিল, তহন তারা লাশের সন্ধান করার জন্য আমাকেও সাথে নেয় পথ দেখানোর জন্য। আমি তাদের পাহাড়ে নিয়া গেলাম। ঘটনার সময় তক্তা নজরুলের যেইখানে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়া ফালাইয়া দিছিল, সেইখান থাইকা আরেকটু সামনে গিয়া দেখলাম, বাম দিকে প্রায় এক দেড়শ’গজ সামনে গিয়া দেখলাম, একটা বাঁশের বেড়া। নীচে নাইমা সেই বেড়া পার হইলাম।
তার পর আর রাস্তার চিহ্ন নাই। একটু দুরে দেখলাম একটা কাঁচা বাঁশের কঞ্চি আধ ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুইলা রইছে। কঞ্চিটা সরানোর পর একটা পথ পাইলাম। পথ দিয়া সামনে গিয়া দেখি সরাফুদ্দি ভাইয়ের টুপিটা একটা কঞ্চির লগে বাইজা রইছে। এর পর স্যান্ডেল, মদের টেংকি, বেশ কয়ডা লাডিও দেখলাম, তারপর দেখলাম আলাল ভাইয়ের লাশ। আরেকটু সামনে গিয়া দেখি বিশাল জায়গা জুইড়া শুধু লাশ আর লাশ কেউরে চেনা যায়না। বন্দুকের সামনের যে চাকুটা (বেয়োনেট) থাকে এইডা দিয় খোঁচাইয়া খোঁচাইয়া মারছে। কেউরে চেনা যায়না। লাঠি দিয়া পিটাইয়া, দা দিয়া কুবাইয়া, কুইচ্যা মারার শিক দিয়া পারাইয়া, চোখ তুইলা, আরো কতোভাবে যে কষ্ট দিয়া মারছে তা কইয়া শেষ করন যাইবোনা। ঐ কথা মনে হইলে আজো শরিরের পশম খারাইয়া যায়। ” ইউনুছের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় এ হত্যাকান্ড কতটা পৈচাশিক ছিল।
১৯৯৬ সালে এ হত্যাকান্ডের পর প্রতিবাদে উত্তাল রাঙামাটিতে এসে তৎকালীন সরকারের চার চারজন সিনিয়র মন্ত্রী নিহত কাঠুরিয়াদের লাশ সামনে নিয়ে জনতাকে এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কথা দিয়েছিলেন যোগ্য ক্ষতিপুরণ দেয়ারও। এর পর অতিক্রান্ত হয়েছে একযুগেরও বেশী সময়। নিহতদের পরিবার সামান্য কিছু ক্ষতিপুরণ পেলেও তা নিতান্তই কম। সে হত্যাকান্ডের মৃত্যুকূপ থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা ইউনুস তখনই বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করেছিলেন। মামলা হয়েছিল সরকারীভাবেও। তক্তা নজরুল থেকে শুরু করে নিহত কাঠুরিয়াদের স্বজনরা হত্যাকান্ডের বিচার না পেয়ে চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। মানবেতর জীবন যাপন করছে নিহত কাঠুরিয়াদের পরিবার।
দিবসটির স্মরণে এবারো রাঙামাটিতে বাঙ্গালীরা বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করছে। লংগদু উপজেলায় স্থানীয় বাঙ্গালীরা শহীদদের কবর জিয়ারত, শোক সভা ও দোয়া মাহফিল, কর্মসুচি পালন করবে। ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ শান্তি বাহিনী লংগদুর ৩৫ জন কাঠুরিয়াকে ব্যবসায়িক হিসাবের কথা বলে পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন কাঠুরিয়াদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয় ৩৪ জন কাঠুরিয়াকে। এর মধ্যে ইউনুচ নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাকুয়াখালী হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৬ জন কাঠুরিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর পর তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের একটি সংসদীয় টিম লংগদু সফর করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষিদের বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পূর্নাবসনের আশ্বাস দিয়ে আসে। এর পরবর্তি সরকারগুরোও একই আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনো এ ঘটনার মামলার কোন কুল কিনারা হয়নি এবং পূর্নবাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।