![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের ধর্মীয় অনুভুতির সুযোগ নিতে ক্ষমতাসীনরা সবসময় ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।
১৯৮৮ সালে অস্টম সংশোধনীর মাধ্যমে রাস্ট্রধর্ম বিল এনে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা আকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন। এরও আগে জিয়াউর রহমান চতুর্থ সংশোধনীতে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতায় কালিমালেপন করেছিলেন " বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " অন্তর্ভুক্ত করে।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে প্রজাতন্ত্রের রাস্ট্রধর্ম ইসলামকে বহাল রেখে আওয়ামীলীগ কার্যত তার দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুতির পথেই হেটেছেন। ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়া নিয়ে আওয়ামী -বিএনপি ধর্মকে নিজ স্বার্থে র্ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে দুটো দলই ধর্মের ব্যবহারে মুদ্রার এপিঠ - ওপিঠ।
সংবিধানে রাস্ট্রধর্ম সংযুক্ত করা হলো, অথচ ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার্থে দেশে মদ, বেশ্যাবৃত্তি, সুদ, ঘুষ - দূর্নীতিসহ আরো অনেক কিছুই নিষিদ্ধ করা হলো না। ইসলামের যারা কথা বলেন, তারাও আওয়ামী - বিএনপির মতন এসব বিষয়ে মুখ খুলেননি। কারন তাদের সবার স্বার্থু এক অভিন্ন।
যে সংবিধানে কাটাছেড়া করে রাস্ট্রধর্ম বসানো হলো, সেই ধর্মই নিষিদ্ধ করেছে মদের ব্যবসা। কিন্তু দেশে অবাধেই মদের ব্যবসা চলছে। সরকারের সমর্থক অনেকেই বার লাইসেন্সের মালিক। দেখেন কি অদ্ভুত স্ববিরোধিতা । একদিকে রাস্ট্রধর্ম যা হারাম বলেছে, সেই মদের ব্যবসাকে আইনের মাধ্যমেই বৈধতা দেয়া আছে!
ইসলাম যারা বিশ্বাস করেন তারা ভালোভাবে জানেন , ইসলাম ধর্মে পতিতাবৃত্তির কোন স্হান নেই ।কিন্তু এই দেশের সংবিধানের আইনে বেশ্যাবৃত্তিকে বৈধতা দেয়া আছে। যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক নারী স্বেচ্ছায় প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এফিডেভিট করে বেশ্যাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নেয়ার বৈধতা দিয়েছে।
যদি রাস্ট্রধর্ম ইসলাম থাকে সেখানে আইন করে পতিতাবৃত্তি, মদের ব্যবসা চলে কি করে?
সুদ দেয়া নেয়া ইসলামে হারাম করা হয়েছে। অথচ রাস্ট্রীয় সকল ব্যাংক, বীমা সুদের পয়সায় পরিচালিত হচ্ছে। ঘুষ, দূর্নীতিতো সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। যা ক্যান্সারের ভয়াবহতাকে হার মানিয়েছে। সুদের টাকায় দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়। বাজেটের একটা বিরাট অংশ পুরনে সরকারকে সুদে ব্যাংক থেকে টাকা নিতে হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে , যে দেশ চলছে সুদের টাকায়, ঘুষ - দূর্নীতির উপরে , সেখানে রাস্ট্রধর্ম হিসেবে সরকার কোন ইসলাম বহাল করতে চায়?
ইসলাম ধর্মে সবচে পবিত্রস্থান মসজিদ। আর সবচেয়ে নিকৃস্টস্হান বাজার । এ দুটো একসাথে কখনোই থাকতে পারে না। কিন্তু এদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পুরো ভবন জুড়েই রয়েছে মার্কেট। কি অদ্ভুত !
শাসক গোস্টি ও ক্ষমতার বাইরে থাকা বৃহত রাজনৈতিকদল দুটোই ধর্মকে ভালবেসে, আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তারা রাস্ট্রধর্ম করেনি।সংখ্যাগরিস্ট মানুষের ধর্মীয় অনুভুতির সুযোগ নিয়ে ভোটের রাজনীতির হিসেব কষে ক্ষমতায় যাওয়া ও টিকে থাকার নোংরা খেলায় ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
এমএইচ রনি১৯৭১ বলেছেন: আমি ধর্ম নিয়ে আওয়ামীলীগের ভন্ডামি , প্রতারনার কোথা বোঝানোর জন্য কয়েকটি উদাহরন টেনেছি । আমি কখনো চাই না রাস্ট্রের কোন ধর্ম থাকুক । আমি উল্লেখ করার চেস্টা করেছি , ইসলাম ধর্মে যা বিরোধীতা করা হয়েছে তা বহাল রেখে কিভাবে তারা রাস্ট্রধর্মের নামে প্রতারনা করছে ।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়া নিয়ে আওয়ামী -বিএনপি ধর্মকে নিজ স্বার্থে র্ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে দুটো দলই ধর্মের ব্যবহারে মুদ্রার এপিঠ - ওপিঠ
তাহলে কি আমরা বলতে পারিনা যারা ধর্ম বেবসায়ী ধর্ম বেবসায়ী বলে মুখে ফেনা তুলে তারাই আসল ধর্ম বেবসায়ি ,
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনি লিখেছেন, "প্রশ্ন হচ্ছে , যে দেশ চলছে সুদের টাকায়, ঘুষ - দূর্নীতির উপরে , সেখানে রাস্ট্রধর্ম হিসেবে সরকার কোন ইসলাম বহাল করতে চায়?" - তাহলে আপনি কিসের পক্ষে বললেন তা কিন্তু পরিষ্কার হলো না। আপনি কি চাচ্ছেন যেহেতু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তাই এগুলি বন্ধ করা হোক? এই যুক্তিতে শরিয়া আইনসহ আরও অনেক কিছুই চালু করতে হবে। তাই যারা আইন-পুলিশ দিয়ে মানুষের ওপর ধর্ম কায়েম করতে চায়, তারা রাষ্ট্রধর্ম এবং আপনার যুক্তি খুবই পছন্দ করে।