নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছুটির দিনের কাহিনী-১

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

হারিয়ে যেতে চাই
সবুজ গ্রাম, নদী, সাগর ও পাহাড়ের টানে।
হারাতে চাই আজো....

শনিবার আমার অফিস ছুটি। হাতে কোন কাজ নেই । বাসায় বসে থাকতে ইচ্ছে করছে না। সকালে দ্রুত নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়লাম অজানার উদ্দেশ্যে ।
নারায়নগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছাড়ি ছাড়ি করছে এরকম একটা লঞ্চে উঠে পড়লাম । এই লঞ্চ কোথায় যাচ্ছে , কোন ঘাটে থামবে ,তখনো কিছু জানার সুযোগ হয়নি । লঞ্চের ডেকে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানতে টানতে ভাবছিলাম কোথায় যাচ্ছি !
এ সময় এক অপরিচিত যুবক এসে বললো, আসসালামু অলাইকুম ভাই ,কেমন আছেন ? আপনি কই যাবেন ?
সালাম বিনিময়ের পর আমি ছেলেটাকে চেনার চেস্টা করি ।ছেলেটার মুখ ভরা দাড়ি । সাদা পাঞ্জাবি ও পাজামা পরা । কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ে না। আমার অবস্থা বুঝতে পেরে সে নিজে থেকেই পরিচয় দেয় ।
-ভাই , আমি হারুন । তোলারাম কলেজের ছাত্র ছিলাম । আপনি আমাকে ভর্তি করে দিয়েছিলেন আর্টসে।
আমি অনেক মনে করার চেস্টা করলাম । হারুনটা কে ? কোন ইয়ারের ?
চেনার অভিনয় করে বলি , আচ্ছা আচ্ছা । তারপর কি করো টরো এখন ?
-ভাই , আমি ছেংগারচর একটা স্কুলে মাস্টারি করি ।
গুড । তুমি যাচ্ছো কই?
-আমি কালিপুর যাবো । সেখানে আমার বোনের শ্বশুরবাড়ি । আপনি কই যাবেন?
আমার মনে পড়ে গেল ,কালিপুর মানে মতলবের লঞ্চে উঠেছি । এই কালিপুরে আমার অনেক বন্ধুর বাড়ি । যারা আমার সাথে তোলারাম কলেজে পড়াশুনো করতো । এদের মধ্যে কাকুল, আখতার ,জসিম ,আনোয়ার ,মনি ,সুজন অনেকেই ছিলো । অনেকের সাথে ১৫/২০ বছর কোন যোগাযোগ নেই । কে কোথায় আছে জানিও না।
হারুনের সাথে কথা বলতে বলতে মুন্সীগঞ্জ চলে এলাম । এখানে ৫ মিনিটের জন্য লঞ্চ থামে । ডেকে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষের উঠা নামা দেখি ।আবার লঞ্চ যাত্রা শুরু হয় মতলবের উদ্দেশ্যে । আমিও মনে মনে ঠিক করে ফেলি আমার গন্তব্য । মতলবের কালিপুর ।
গজারিয়ার কাছাকাছি আসতেই আকাশ জুড়ে কালো মেঘ । ঝড়ো হাওয়ায় অদ্ভুত ভাললাগায় মন ভরে যায় । একটু পরে শুরু হলো তুমুল বৃস্টি। লঞ্চে বসে এই ব্রিস্টি দেখার আনন্দই আলাদা ।
বৃস্টি কমতে লন্চ এসে ভিড়লো কালিপুর ঘাটে।হারুন বিদায় নিয়ে চলে গেল । আমি বাজারের ভিতর যাই।
বেলা সাড়ে তিনটা বাজে তখন। ক্ষুধায় পেট দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। ছোট্ট ঘাট ও বাজার। দিগ্বিদিগ না তাকিয়ে একটা টিনের চালা দেয়া কাঠের মাচার হোটেলে ঢুকে গেলাম। যা পেলাম তা তো অমৃত সমান। বৃস্টির মাঝে খিচুড়ি, লাল ঝোলে আলু দিয়ে গরুর মাংস, চিংড়ি দিয়ে কচু, ইলিশের মাথা দিয়ে বেগুন ও তেতুলের খাট্টা, কহি ভাজি, আচার ও আম দিয়ে ডাল। এ দিয়ে চমতকার ভুড়িভোজন হলো। যদিও মুরগির মাংস ও তেলাপিয়া মাছের তরকারি ছিলো, তা আর প্রয়োজন পড়েনি।
ঘন্টা খানেক ঘুরে ফিরে আবার ফিরতি লঞ্চে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসি।
সন্ধ্যায় একটু রেস্ট নিয়ে ছূটির দিন শেষ হলো নিউমেট্রো সিনেমা হলে মিডনাইট শো 'শিকারি' সিনেমা দেখে ।
জীবনটা নিজের । আনন্দও নিজের জন্য ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: লেখার টানে তলিয়ে গেলাম.........
ভাল লাগল........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.