নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন ও একটি অনুস্টানের স্মৃতি

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯



তিনি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী। তাঁর ৭০ তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা ।
দীঘর্দিন যাবত দেখে আসছি খুব অনাড়ম্বরে তার জন্মদিন পালিত হয়ে আসছে। এবারও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। অনেকেই বলতে পারেন বিদেশ অবস্থানের কারনে হয়তো কোন আনুস্টানিকতা নেই। আসলেই এই ধারনাটা ভুল।

" গণমাধ্যমের কর্মীরা ভালো করেই জানেন তিনি ফুল ও শুভেচ্ছাবার্তা নেয়া ছাড়া জন্মদিনটি অন্য দশটি দিনের মতনই কাটিয়ে দেন। আওয়ামীলীগ ও প্রধানমন্ত্রীর বিটের সাংবাদিকরা ভালো করেই জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটা আটপৌড়ে সাধারন মানুষের মতন জীবন যাপন করেন।"
এসবই বলেছিলেন তারানা হালিম ২০০৯ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর আমার প্রযোজিত লাইভ অনুস্টানের আগে মেকআপ রুমের আড্ডায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৬৩ তম জন্মদিনের " শুভ জন্মদিন তোমার" এই অনুস্টানটি ছিল স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত। সাংবাদিক আবেদ খানের উপস্থাপনায় অথিতি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ক্লাসমেট কবি অসীম সাহা, প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু, সাংবাদিক বেবি মওদুদ, সুভাষ সিংহ রায় ও তারানা হালিম। রাত দশটায় একুশে টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ৪৫ মিনিটের এই অনুস্টানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে আমার নির্মিত আড়াই মিনিটের একটি ডকুমেন্টারিও প্রচারিত হয়। তবে দু:খজনক ঘটনা হলো অনুস্টান শুরুর ১০ মিনিট আগে হঠাত অসুস্থবোধ করায় বেবি আপাকে একুশে ভবনের নীচ থেকেই চলে যেতে হয়েছিল। যাহোক অনুস্টানটি ভালোয় ভালোয় পার করেছিলাম। কারন এরকম একটা অনুস্টানের গুরুদায়িত্ব নিয়ে আমি খুব আতংকিত ছিলাম। প্রথমত রাজনৈতিক অনুস্টান করায় আমার আগ্রহ কম ছিল।দ্বিতীয়ত রাস্ট্রের প্রধানকে নিয়ে অনুস্টান করার চাপ আমার নার্ভ নিতে পারবে না!
কিন্তু ততকালিন কমিশনিং এডিটর পারভেজভাই (পারভেজ চৌধুরী) আমার কোন ওজর আপত্তি শুনতে নারাজ। তার একটাই বক্তব্য, এটা আপনাকেই করতে হবে।
-আমিতো কখনো এই টাইপের অনুস্টান করিনি।
- আপনি ১৫ আগস্টের জন্য ইনডিমেনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবী নিয়ে প্রোগ্রাম করেছেন । এটাও আপনি পারবেন।
জানি না।

ওয়ান ইলেভেনের পর ২০০৭ সালে ১৫ আগস্টের জন্য প্রযোজনা করেছিলাম " কালরাতের শোকগাঁথা"। ' ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল কেন জরুরী ' এ নিয়ে আরো একটি অনুস্টান করেছিলাম। আলোচক ছিলেন এড. মাহবুবে আলম ( বর্তমানে এটর্নী জেনারেল) , সাবেক আইনমন্ত্রী এড.আব্দুল মতিন খসরু, ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন ও আবেদ খান।
পারভেজ ভাইয়ের রুম থেকে আমি মন খারাপ করে দশতলার ছাদে গিয়ে বসে থাকি। সিগারেট খেতে খেতে চিন্তা করে গেস্ট, প্রেজেন্টার কে হবে চক আউট করে পারভেজভাইকে জানাই। তিনি সব শুনে বললেন, ঠিক আছে। আপনি ২/৩ মিনিটের একটা বায়োগ্রাফিও বানান। স্ক্রীপ্ট করে কাল বা পরশু দেখিয়ে নিবেন।
মাত্র ৩দিনের মধ্যে আমাকে পুরো অনুস্টানটি একহাতে করতে হয়েছিল।লাইভের পর অনেকেই সেদিন অভিন্দন জানিয়েছিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.