![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাদা মনের মানুষ। বন্ধু বলে ডাকলে আমি এগিয়ে যাই। গান আমার আত্মার খোড়াক। বেড়াতে আমি পছন্দ করি।
ওহাবীরা জানে মদিনার রাসুল, চিনেনা প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স.)-কে
এজিদের বীজ থেকে ওহাবীদের জন্ম। আসুন ভাই মুসলমানগন আপনাদেকে বলি এজিদ কে এবং ওহাবী কারা? তারা কি সত্যিই নবী প্রেমিক মুসলমান (?) সৌদি সরকার ওহাবী, মুয়াবিয়া বীজের বংশ তারা। সুতরাং আজ তারা প্রিয় নবীর রওজা পাক সরিয়ে নেয়ার যে জঘন্য কাজে এগিয়ে যাচ্ছে, এর চেয়ে জঘন্য কাজ এই বংশের লোকেরা এর আগেও করে গেছেন যা ইতিহাস সাক্ষী হয়ে আছে। আসুন আমরা চিনে নেই এই সৌদি রাজ বংশ আসলে কারা।
আরবের বড় বড় কাফের আবু লাহাব, আবু জেহেল, আবু সুফিয়ান ছিলো প্রিয় নবীর ঘোর শত্রু। এদের মধ্যে আবু সুফিয়ান ছিলো নবী পাক (স.)-এর জঘন্যতম শত্রু। আরেকজন ঘোরতর শত্রুর নাম ছিলো ওতবা। ওই ওতবার মেয়ের নাম ছিলো হিন্দা। পাপিষ্ঠা রাক্ষসী হিন্দা ওহুদের যুদ্ধে প্রিয় নবী (স.)-এর চাচা হামজার পেট চিরে কলিজা বের করে চিবিয়ে খায় এবং হাত ও নাক কেটে নেয় গলার অলংকার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। ওই কলিজা ভক্ষনকারীর ছেলের নাম মুয়াবিয়া। মুয়াবিয়ার পিতার নাম আবু সুফিয়ান। মহানবীর ঘোর দুশমন আবু সুফিয়ান আর হিন্দার পুত্র মুয়াবিয়া ইসলাম পরবর্তী জীবন ব্যবস্থায় গনিমতের মাল ভক্ষন ও ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করা ছাড়া ইসলামের প্রতি ত্যাগ ও মোহাব্বতের একটি দৃষ্টান্তও কেউ দেখাতে পারবেন না। ঈমান (মৌখিক ঈমান) আনার পরও মহানবীর প্রতিষ্ঠিত মহান আদর্শগুলোকে একে একে হত্যা করেছে আর প্রিয় নবীর পবিত্র বংশধররা সে আদর্শ বাচিয়ে রাখার জন্য অকাতরে জীবন কোরবানি দিয়েছেন। মুয়াবিয়ার কুলাঙ্গার পুত্র ইয়াজিদ।
আরেকটু জেনে রাখুন- ইতিহাসের কালপ্রবাহে বনি কুরাইশ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে যায় একটি ইমাইয়া আরেকটি হাশেমী। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহানবী (সা.)-এর আদি পুরুষ হাশিম থেকেই এদুটি গোত্রের মধ্যে জ্ঞাতি বিদ্বেষের বিষাক্ত ধারা প্রবাহিত হয়ে আসছে। হযরত হাশিমের নেতৃত্ব, যোগ্যতা ও প্রতিপত্তির কারনে তৎকালীন কুরাইশে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছিলেন। হযরত হাশিমের নেতৃত্ব ও যোগ্যতা তার ভ্রাতুষ্পুত্র আবদে শামসের পুত্র উমাইয়া কিছুতেই সহ্য করতে পারতো না। হযরত হাশিমের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেয়ার জন্য সবসময় কূট-কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করতো ক্ষমতা লোভি উমাইয়া। আরবের রেওয়াজ অনুযায়ী এই শত্রুতা চলতে থাকে বংশানুক্রমিক ভাবে। হযরত উসমান (রা.) খেলাফতপ্রাপ্ত হলে উমাইয়া নেতারা একে একে খলিফার ঘরে অভ্যর্থনা জানাতে আসছিলেন। আবু সুফিয়ান তখন অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। পথে তিনি সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলেন- তোমাদের মধ্যে বনি উমাইয়া ছাড়া অ্ন্য কেউ নেই তো? হ্যাঁ সূচক উত্তর পাওয়ার পর আবু সুফিয়ান সঙ্গীদের বললেন- দেখো, বহু কষ্ট আর সাধনার পর ক্ষমতা আমাদের হাতে এসেছে। এটাকে বলের ন্যায় বনি উমাউয়ার এক হাত থেকে অন্য হাতে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এটা (খেলাফত) যেনো আর কোনোদিন বনি হাশিমীদের ঘরে ফিরে না যায় (রউফুল হেজাব) আবু সুফিয়ানের পুত্র আমির মুয়াবিয়া ক্ষমতা, মসনদ, ব্যক্তিস্বার্থ ও গোত্রীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেননি।
আজ চৌদ্দ শো বছর পর আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে ইসলামের ঘোর শত্রুদল। তারা নামে মুসলমান। তারা লম্বা জামা পরে। কপালে নামাজের কালো দাগ। মুখে দাড়ি আছে, মাথায় টুপি। আসলে তারা নকল মুসলমান। আজ শিরকের দুহাই দিয়ে প্রিয় নবীর পাক রওজাতে বোলডেজার চালাতে প্রস্তুত। তারা প্রায় ১০০ বছর আগে জান্নাতুল বাকীতে অবস্থিত প্রিয় নবীর আহলে বায়াতের নাম নিশানা মিটিয়ে দিয়েছে সেখানে অবস্থিত সমস্ত রওজাগুলিকে ধ্বংশের মাধ্যমে। তারা এবার প্রিয় নবীর পবিত্র রওজা শরীফের দিকে এগিয়ে আসছে বোলডেজার নিয়ে।
ভাই মুসলমান, শুনে রাখুন- যাদের অন্তরে প্রিয় নবীর প্রেম মহাব্বত নেই, যারা সকলের চেয়ে প্রিয় নবীকে বেশি ভাল না বাসবে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- একটি শুচের ছিদ্র দিয়ে যদিও একটি উট প্রবেশ করতে সক্ষম হয় কিন্তু তাদের দ্বারা বেহেস্তে প্রবেশ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয় যাদের অন্তরে প্রিয় নবী মুহাম্মদ মুস্তফা (স.)-এর প্রেম ভক্তি সকল বস্তুর চেয়ে বেশি না হবে। এখন চিন্তা করে দেখুন সৌদিরা আদৌ মহানবীকে ভালবাসেন কিনা। ভালোই যদি বাসতেন তাহলে তারা শিরকের দুহাই দিয়ে প্রিয়নবীর রওজা মোবারকে বোলডেজার চালাতে প্রস্তুত হতো না। নবীর প্রতি মুসলমানদের প্রেম-ভক্তি-ভালবাসা সৌদিদের কাছে শিরক। তাহলে তারা কোন আল্লাহর ইবাদত করে একটু ভেবে দেখুন তো? যে আল্লাহ বলছেন- মুহাম্মদকে সৃ্ষ্টি না করলে এ জগতের কিছুই সৃ্ষ্টি করতাম না। যে এনেছেন নামাজ সেই নামাজ পড়ে পড়ে কপালে কালো দাগ বানিয়ে প্রিয় নবীর সাথে দুশমনি করছেন সৌদি রাজ পরিবার। তারা আবার কেমন মুসলমান (?) তারা কি আদৌ মুসলমান (?)
আপনাদেরকে বলতে চাই, হ্যালো মি. ওহাবী গং আপনারা যারা শিরক শিরক করে চিৎকার করছেন তারা তো ভয়ংকর শিরক করছেন জনাব শয়তানকেও হার মানিয়ে। শয়তানও তো এত বড় পাপ কাজ করে নাই মনে হয় যা আপনারা মি. ওহাবী গং শুরু করেছেন। যাকে সৃষ্টি না করলে কায়েনাতে একটি জলকণাও সৃষ্টির প্রশ্ন ওঠতো না সেই মহানবী হযরত আহাম্মদ মুস্তফা মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) এর সম্বন্ধে কথা বলছেন। সাবধান!! যিনি আল্লাহ সাথে স্বশীরিরে মিরাজ করেছেন। জিবরাইল (আ.)-ও যেখানে আর একটু এগুতে পারলেন না। সেই সিদরাতুল মুনতাহা, সৃষ্টির শেষ সীমানা। তখন জিবরাইল বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ আমার আর এক চুল পরিমান সামনে যাওয়ার ক্ষমতা নাই্। আমি আর এক চুল পরিমান এগুলেই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবো। সুতরাং আপনি একাই এগিয়ে যান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করুন। নবী মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করলেন। তার সাক্ষাত ছিলো দুই ধনুকের ব্যাবধান বা আরো একটু কাছাকাছি। দুই ধনুক বলতে আমরা বুঝি দুটি অর্থ বৃত্ত। দুটি অর্ধ বৃত্তকে একত্রিত করলে দেখা যায় একটি পূর্ন বৃত্ত হয়ে যায়। আল্লাহ আর নবী মুহাম্মদ (স.) যদি একটি পূর্ন বৃত্তের মাঝে আবদ্ধ হয়ে যান তখন আর ফাকা থাকলো কোথায়? কিন্তু তারপরও বলা হয়েছে দুই ধনুকের ব্যাবধান বা আরো কাছাকাছি। আল্লাহর নূরে বিলিন হয়ে গেছেন আল্লাহর হাবীব। এই সমস্ত কথা আপনারাদের কানে ঢুকবে না। কারন, আপনাদের কানগুলোকে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। কোরান পড়ুন। সুরা বাকারাতেই পাবেন আপনাদের কানের সমস্যার কথা। তিনি ওই নবী যিনি আল্লাহর মাহবুব, প্রিয় বন্ধু। যার নামের দরূদ না পাঠ করলে নামাজ পড়তে পড়তে কপালে তিন ইঞ্চি পরিমান কালো কহর ফেলে দিলেও আল্লহর কাছে গ্রহনীয় হবে না ও নামাজ। তিনি ওই রাসুল যিনি হায়াতুল মুরসালিন। তোমরা কী করে বুঝবে নবীকে। তোমরা তো নবী বংশকে ধ্বংশ করে নবীর বংশের দরূদ পাঠ করো। হোসাইন (আ.) এর মস্তক দ্বীখন্ড করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে। তোমরা তো ওই নামাজী যারা তাড়াতাড়ি আসরের নামাজ পড়ে নিলে কারন হোসেইনের মস্তক কেটে আনতে হবে। তোমাদের হৃদয়ে নবী প্রেম নাই। তাই তোমরা প্রিয় নবীর পাক রওয়ায় বোলডেজার চালাতে তোমাদের অন্তর কাপে না। তোমরা তো ইয়াজিদ, তোমরা তো হিন্দার বংশধর। তোমরা আসলে নামে মুসলমান। শুধু শিরক শিরক ধ্বনীতে ব্যবসা বানিজ্য করে যাচ্ছো।
ইমাম হোসাইন শুধু কোনো মাজহাবের নাম নন, কোনো গোত্রের বা দলের নাম নন। মওলা আলী বলেছেন- আমার চোখের জ্যোতি হোসাইন। ফাতেমা যাহারা বলেছেন, আমার কলিজার টুকরা হোসাইন। আমার নবী মুস্তফা বলেছেন, আল হোসাইন মিন্নি ওয়া আনা মিনাল হোসাইন (আমি হোসাইন হতে হোসাইন আমা হতে)। সেই ইমাম হোসেইনকে আপনারা এজিদ পন্থি ওহাবী গং স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করেছেন। কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেইন বললেন, আলাম তাসমাও আলাইসা ফি কুম মুসলিম? আমার কথা কি শুনতে পাওনা? তোমাদের মাঝে কি একটি মাত্র মুসলমানও নাই? খাজা আজমেরী (রহঃ) যেমন বলেছে, ইমাম হোসাইন আসল এবং নকলের ভাগটি পরিষ্কার করে দেখিয়ে গেলেন। সে রকম অর্থ বহন করেছে ইমামের শেষ ভাষনটিতে, কারন এজিদ সৈন্যবাহিনীতে একজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি অথবা অন্য কোনো ধর্মের লোক ছিলো না। সবাই মুসলমান অথচ কি সাংঘাতিক এবং ভয়ংকর ভাষণ, তোমাদের মাঝে কি একটি মুসলমানও নাই? অথচ এজিদের দলের সবাই ছিলো মুসলমান। কিন্তু না, একটিও সত্যকার ও আসল মুসলমান ছিলো না। যারা ছিলো সবাই ছিলো নকল মুসলমান। (বিস্তারিত দেখুন-শানে পাক পাঞ্জাতন - রেজা মাহবুব চিশতীর বইটিতে)
নবী করিম (স.) বলেছেন, হে ওমর আমি তো চিন্তিত এই ভেবে যে আমার শেষ যামানার উম্মতের মধ্যে এমন এমন লোক থাকবে যারা তুমি ওমরের চেয়েও বেশি পরহেজগার দেখাবে। তাদের দাড়ি লম্বা হবে। গায়ে লম্বা জুব্বা থাকবে। কপালে নামাজের দাগ থাকবে। কিন্তু তাদের মধ্যে ইমান থাকবে না। তাদের ইমান গলার নিচে নামবে না। তারা মুখে বলবে ইমানদার কিন্তু আসলে তারা মুনাফেক। আজ সৌদি সরকার যে পায়তারা করছে আর তা শুনে আমাদের দেশের নাম-কা-ওয়াসতে মুসলমানদের খুশির বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তারা তো ওই সৌদি বা ওহাবী গংদের পা চাটা কুকুর, এর চেয়ে আর বেশি সম্মান তাদেরকে দিতে পারিনা। নবীর রওজা স্থানান্তর করে যেখানেই নেক না কেনো যাদের অন্তরে নবী প্রেম আগুনের মতো জ্বলজ্বল করছে তাদের হৃদয়ের আগুন পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই যে নিভাতে পারে। তারা প্রিয় নবীর হাদিসটিতে ইচ্ছে মতো কাটছাট করে সাজিয়েছে। এবং চালিয়ে দিয়েছেন মাটির মতো সাদাসিদা মুসলমাদের কাছে।
আসল ইতিহাস শুনে রাখুন- বিদায় হজ্ব শেষে মক্কা থেকে প্রিয় নবী মদিনার পথে গাদীরে খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলেন। ইসলামের ইতিহাসে গাদীরে খুম-এর ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়, যা আজ প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে সব শ্রেনীর মুসলমানদের কাছে ঢাকা পড়ে আছে। কোনো ইসলামী জলসা, মাদ্রাসা, মসজিদের বয়ানে, তাফসির মাহফিলে, মৌলানাদের ওয়াজ-নসিহতে, কোথাও এর আলোচনা নেই। ধর্মপ্রান মুসলমান আজো সঠিক ভাবে জানে না গাদীরে খুম কী? এবং মওলার অভিষেক কেনো? সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তি ও নবীবংশবিরোধী চক্রান্তকারীদের কারসাজিতে অনেক ঐতিহাসিক সত্য আজ ঢাকা পড়ে আছে। আবার ইসলামের নামে অনেক মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী সমাজে প্রচলিত হয়ে আছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহু দলমত ও ফেরকার সৃষ্টি হয়েছে। তার খবর অনেকেই রাখেন না। যদিও সাধারনভাবে কোনো জাকজমকপূর্ণ ইসলামী জলসায় এর কোনো আলোচনা চর্চা প্রচলিত নেই্, তবু আজও নবী এবং নবীর আহলে বায়াত (পাক পাঞ্জাতন)-এর সত্যিকার আশেক তারা ১৮ জিলহজ্ব এই দিবসটিকে জীবনের শ্রেষ্ঠ খুশির দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। যাদের অন্তরে প্রিয়নবী ও তার পবিত্র বংশধরদের প্রতি মোহাব্বত নেই তাদের ইমান আকিদা পরিশুদ্ধ নয়, এটা কোরানের কথা। সুরা শুরার ২৩ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলছেন- বলে দিন (হে প্রিয় রাসুল) আমি চাই না তোমাদের এই বিষয়ে (নবুয়াত) প্রচারে আমার নিকটবর্তীগনের (আহলে বায়াতের) মোয়াদ্দত (প্রাণাধিক) ভালোবাসা ব্যতীত যে ব্যক্তি এই আদেশের সদ্ব্যবহার করে আমি তার শ্রী বৃদ্ধি করে থাকি। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহপাক আহলে বায়াতের মোহাব্বত উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন। নবীর আহলে বায়াতের উপর ভালোবাসা উম্মতের ইচ্ছের উপর ছেড়ে দেয়া হয়নি। নবী যে রিসালতের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন আল্লাহ তার বান্দার কাছে থেকে তার পারিশ্রমিক বাবদ নবীর আহলে বায়াতের ভালোবাসাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। উক্ত আয়াত নাজিল হলে সাহাবীগন জিজ্ঞাস করলেন- ইয়া আল্লাহর রাসুল (স.) কারা আপনার নিকটবর্তী যাদের ভালোবাসা আমাদের জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন? উত্তরে নবী করিম (স.) বললেন- আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন। (তফসির করিব/তফসিরে দোররে মানসুর/তফসীর তাবারী/ইয়া নবীউল মোয়াদ্দাত/মুসনদে আহাম্মদ)
গাদীরে খুম নামক স্থানে আয়াতগুলো নাজিল হওয়া মাত্র নবী করিম (স.) থমকে দাড়িয়ে গেলেন এবং যারা বিভিন্ন দিকে চলে গিয়েছিলেন সবাইকে ফিরিয়ে আনার জন্য লোক পাঠালেন। সব লোক জমায়েত হওয়ার পর হামদ ও সালাত সম্পন্ন করলেন। উটের উপর যে গদি ছিলো তার উপর আরো গদি স্থাপন করেলেন যেনো উচু হয়। এরপর শিষ্যবর্গকে বললেন- মুসলমানগন তোমরা কি জনো না যে আমি মোমিনদের নিকট প্রত্যেকের নিজ নিজ আত্মা অপেক্ষাও তোমাদের হিতৈষী বন্ধু। শিষ্যগন বললেন- হে আল্লাহর হাবিব, আমাদের আত্মা অপেক্ষা অধিক প্রিয় সুহৃদ। অতঃপর তিনি তাদের বললেন- হে মুসলমানগন আল্লাহ আমাকে আহ্বান করেছেন, আমিও তার কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তোমরা জানিও যে আমি তোমাদের মধ্যে দুটো সমপরিমান ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি এ দুটোকে আকড়ে ধরে থাকো তাহলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। যদি একটিকে ছাড়ো তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার আহলে বায়াত (আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন) এ দুটো কখনোই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবেনা যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হবে। তাই লক্ষ্য রেখো তাদের সাথে তোমরা কিরূপ আচরন করবে এটা আমি দেখবো। (সিরাতুন্নবী আল্লামা শিবলী নোমানী/বোখারী/মুসলিম/তিরমিজি মসনদে হাম্বল/তফসিরে কবির/হিলায়তুল আউলিয়া (১ম খন্ড) তফসিরে দোররে মনসুর/উসদুল গাবা। মোল্লাগন এই গুরুত্বপূনূ হাদিসটিকে বলে থাকেন এভাবে- একটি আল্লাহর কিতাব আরেকটি রাসুলের হাদিস। তারা তারা রাসুলের বংশধর তথা পাক পাঞ্জাতন বলতে চান না। রাসুল পাক আরো বললেন- তোমরা জেনে রাখবে খোদাতায়ালা আমার প্রভু আর আমি বিশ্ববাসীর প্রভু। পরে তিনি আলীর হস্ত ধারন করে বলতে লাগলেন- মান কুনতুম মাওলাহু ফাহাজা আলাউন মাওলাহু। আমি যার মওলা আলীও তার মওলা। হে আল্লাহ যে ব্যক্তি তাকে বন্ধু বানায় তুমিও তাকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো এবং যে ব্যক্তি আলীর সাথে শক্রতা করে তুমিও তার সঙ্গে শত্রুতা করো। অতপর উমর (রা.) আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ও অভিনন্দন জানালেন এবং বললেন- স্বাগতম, স্বাগতম হে আবু তালিব সন্তান, প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর মওলা হিসেবে অভিনন্দিত হয়ে তুমি সকাল করবে, সন্ধ্যা করবে। (মেশতাত ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৫৪৮) ফজলুল করিম/সুসনদে আহম্মদ/তফসীরে দুররে মনসুর/জালাল উদ্দিন সিউতি ২য় খন্ড মিসর/মুসলিম/মোস্তাদরাক হাকিম। এক নরুল ইসলাম ফারুকী শহীদ হয়েছেন আরো লক্ষ লক্ষ ফারুকী মওজুদ আছে এবং থাকবে ইনশা আল্লাহ। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আজ এত বড় অন্যায় কাজ হাতে নিচ্ছো ইজিদি সৌদি সরকার এর পরিনাম ভয়াবহ যেনো রেখো।
তথ্য সূত্রঃ (১) শানে পাক পাঞ্জাতন – রেজা মাহবুব চিশত
(২) কারবালা ও মুয়াবিয়া – সৈয়দ গোলাম মোরশেদ
(৩) শরিয়তি শয়তান মারেফতি শয়তান – ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী
(৪) কোরানে সালাতের কথা – ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: এজন্যই তো বলা হয়েছে যাদের কান এবং অন্তরকে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে তাদের দ্বারা কোরান এবং আহলে সুন্নাহকে বুঝার ক্ষমতা কিভাবে হবে। তাদের জন্য আরো জ্বলন্ত প্রমানও বোকাস বলেই মনে হবে।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৬
ওপেস্ট বলেছেন: সালাফি ও তাকফিরিদের পতন অবসম্ভাবি
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: ক্ষমতার বড়াই আর অপব্যাবহার এর তো পতন হতেই হবে। ইতিহাস সাক্ষী।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২০
এম এ আহাদ.... বলেছেন: আপনি হোসাইন (রাঃ) কে হোসাইন (আ) বলেছেন আমার যানামতে যারা আল্লাহর নবী শুধু তাদের কে আঃ বলতে হয়।আপনি নবীজি (সঃ) এর প্রিয় সাহাবীদের সমালচনা করেছেন।আল্লাহর কুরআন পড়ে আলী ফাতেমা হোসাইন (রাঃ) এটা সহি হাদিস দারা যদি প্রমান করতে হবে।আর যদি প্রমান হয় তাহলে কুরআন পড়ে হাদিস এর গুরুত্ত বেড় যাচ্ছে।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি সৌদি রাজবংশকে ঘৃণা করি।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: প্রকৃত নবী প্রেম যাদের অন্তরে রয়েছে তারা কী করে এই জালিম মুনাফেক রাজপরিবারকে ভালবাসতে পারে। তারা তো জীবনের যেকোনো বাধাকে উপেক্ষা করে হলেও এদেরকে মনে-প্রানে ঘৃনা করবেই।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
নতুন বলেছেন: রাসুল পাক আরো বললেন- তোমরা জেনে রাখবে খোদাতায়ালা আমার প্রভু আর আমি বিশ্ববাসীর প্রভু। পরে তিনি আলীর হস্ত ধারন করে বলতে লাগলেন- মান কুনতুম মাওলাহু ফাহাজা আলাউন মাওলাহু। আমি যার মওলা আলীও তার মওলা। হে আল্লাহ যে ব্যক্তি তাকে বন্ধু বানায় তুমিও তাকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো এবং যে ব্যক্তি আলীর সাথে শক্রতা করে তুমিও তার সঙ্গে শত্রুতা করো।
আপনাদের অতিভক্তিও খারাপ...
সৌদি রাজ পরিবারও ইসলামের পথে নাই.. তারাও বিলাশিতার পথে...
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: আপনাদের অতিভক্তিও খারাপ... কোন বিষয়টা আপনার কাছে খারাপ লেগেছে বুঝিয়ে বললেন কি?
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সৌদি রাজবংশের অতীত ইতিহাস আসলাম বিস্তারের পক্ষে খুব একটা সুখকর নয়!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: ইতিহাস পড়লেই যেকোনো অন্ধও এটা পবিস্কার বুঝতে পারবে। কিন্তু বুঝবেনা তারা যারা ওহাবী এবং সালাফি বীজ দ্বারা জন্ম।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
এম এ আহাদ.... বলেছেন: আপনি কিন্তু আনেক ভালো সাথে সাংগাতিক কিছু আকিদার কথা বলেছেন,যা বিশ্বাস করলে কেউ মুসলিম থাকবেনা।আবু সুফিয়ানের পুত্র আমির মুয়াবিয়া ক্ষমতা, মসনদ, ব্যক্তিস্বার্থ ও গোত্রীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেননি।এই কথার মাধ্যমে আপনি নবীজি (সঃ) এর প্রিয় সাহাবীদের সমালচনা করেছেন।নবীজি (সঃ)বলেছেন আমার সাহাবিদের যারা সমালচনা করলো তাদের উপর আল্লাহর লানত।তোমরা জানিও যে আমি তোমাদের মধ্যে দুটো সমপরিমান ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি এ দুটোকে আকড়ে ধরে থাকো তাহলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। যদি একটিকে ছাড়ো তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার আহলে বায়াত (আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন) এ দুটো কখনোই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবেনা যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হবে।নবীজি (সঃ) মুখের বাণিকে আমরা হাদিস বলি,নবীজি (সঃ) এগুলো বলেছেন প্রমান করতে সহি হাদিস এর দরকার আছে।তখনতো এমনিতেই পবিত্র কুরাআন পরে সহি হাদিস এসে যায়। আপনি কুফরি সাংগাতিক আকিদার কথা বলেছেন তা হল তোমরা জেনে রাখবে খোদাতায়ালা আমার প্রভু আর আমি বিশ্ববাসীর প্রভু। পরে তিনি আলীর হস্ত ধারন করে বলতে লাগলেন- মান কুনতুম মাওলাহু ফাহাজা আলাউন মাওলাহু। আমি যার মওলা আলীও তার মওলা। উক্ত লিখার মাধ্যমে আমার মনে হচ্ছে আপনি বলতে চাচ্ছেন আল্লা বড় আল্লা আর নবীজি (সঃ ছোট আল্লা।নবীজি (সঃ কে যারা আল্লা মানবে তারা হজরত আলী (রাঃ) কেও আল্লা মানবে।মওলা প্রভু অর্থ আল্লা। তার মানে পরিস্কার শিরিক।আপনি হোসাইন (রাঃ) কে হোসাইন (আ) বলেছেন আমার যানামতে যারা আল্লাহর নবী শুধু তাদের কে আঃ বলতে হয়।নবীজি (সঃ শেষ নবী তার পরে কোন নবী আর আসবেনা।এটা বিশ্বাস না করলে কেউ মুসলিম না। হোসাইন (আ) বলে যদি আপনি হোসাইন (রাঃ)কে নবী প্রমান করতে চান,এই আকিদা কোন মুসলমানের আকিদা হতে পারেনা।আমি যদি কিছু ভুল বলে থাকি আপনি আমাকে যুক্তি ও হাদিস দিয়ে বুঝান।সহি হাদিস হিসাবে পৃথিবীর সব আলিম গন একমত বুখারী তিরমিয আবু দাউদ মুসলিম শরিফ সহ আর কিছু কিতাব।আপনি তথ্যসুত্র হিসাবে সহি কোন হাদিস এর কথা উল্লেখ করেননি।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: জনাব এম এ আহাদ, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আপনার প্রতিটি প্রশ্নের একটি একটি করে ধারাবাহিক ভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রথমে বলে রাখি দয়া করে পরম্পরাগত ভাবে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে যু্ক্তির সাথে বুঝার চেষ্টা করবেন। আপনার উত্তর কোরান, হাদিস, ফিকাহ, উসুল, ইজমাহ এবং আলেম-উলাম, অলি-গাউস-কুতুব প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের বিশ্লেষন করে যাওয়া কিতাব থেকেই দেয়া হবে।
প্রথমে আসা যাক সাহাবী প্রসঙ্গেঃ
সাহাবীর সংজ্ঞাঃ সাহাবির প্রকৃত সংজ্ঞা যদি আমরা না জানি তা হলে মুনাফেকদের সাহাবির মর্যাদা দিতে গিয়ে আমরা নিজেদের অজান্তেই জঘন্য অপরাধ করে বসবো। যে সমস্ত মুনাফেক ইসলামের রাষ্ট্রীয় ক্ষমত জবরদক্ষল করে ইসলামের শাশ্বত আদর্শগুলোর কবর রচনা করেছে, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের ধর্ম ইসলামকে রাজতন্ত্র, স্বৈরাতন্ত্র, পুজিবাদী ও একচেটিয়া ব্যক্তি মালিকানার লেবাস পরিয়ে কলুষিত করেছে; তাদেরকে, তাদেরই এক শ্রেণীর ভাড়াটে মোল্লা কর্তৃক সাহাবা, তাদের অপকর্মগুলোকে ইজতেহাদ এর নাম দিয়ে চৌদ্দশত বছর উম্মতে মুহাম্মদি (সা.)-কে এক জঘন্য ধোকার মধ্যে রাখা হয়েছে। মক্কা বিজয়ের পর যখন প্রকাশ্য শত্রুতার আর কোনো উপাায় থাকলো না তখন আবু সুফিয়ান-হিন্দা, মুয়াবিয়া মারুয়ানরা ছদ্মবেশে ইসলামের ছত্রছায়ায় ঢুকে পড়লো এবং মুনাফেক বেশে ইসলামকে সমূলে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যে আত্মনিয়োগ করলো। আসলে আবু সুফিয়ান গংরা ইসলাম গ্রহন (!) করেছিলো, ইসলামের বুনিয়াদকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য। পরববর্তীতে তাদের কার্যকলাপে ঐতিহাসিকভাবে প্রামানিত হয় যে, তারা তাদের দুরভিসন্ধিতে কামিয়াব হয়েছিলো। এসমস্ত লোকদের ইসলামের পরিভাষায় তোলাকা বলা হয়। অনেকেই তাদের এ সমস্ত অপকর্মগুলোকে ঢাকবার জন্য তাদেরকে সাহাবার মর্যাদা দিয়ে থাকেন এবং বলে থাকেন, ইসলাম গ্রহনের পূর্বের সমস্ত গুনাহ ইসলাম গ্রহনের পর মাফ করে দ্য়ো হয়। এ কথাটি ক্ষেত্র বিশেষে সঠিক। যারা মনে প্রানে ইসলাম ও নবীজি (সা.)-এর মহান আদর্শকে অনুসরন করেছেন উপরোক্ত কথাটি তাদের বেলায় প্রযোজ্য। কিন্তু যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বক্ষন পর্যন্ত প্রিয় নবী (সা.)-কে সত্যনবী জেনেও শুধুমাত্র ব্যক্তি এবং গোত্রীয় স্বার্থের কারণে, ইসলাম ও প্রিয় নবীজি (সা)-এর বিরোধিতা করেছে এবং মক্কা বিজয়ের পরে উপায়ন্তর না দেখে জান বাচানো এবং গনিমতের মাল ভক্ষেণর নিয়তে ইসলামে ঢুকে পড়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিয়ে মহানবী (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত মহান আদর্শগুলোকে একে একে হত্যা করেছে এবং তাদের বাপ-দাদার মতবাদ রাজতন্ত্র, স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ ও বায়তুলমালে একচেটিয়া ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠা করে, পবিত্র ইসলামকে কলুষিত করেছে তাদেকে কোনো যুক্তিতেই সাহাবার মর্যাদা দ্য়ো যায় না। বরং কোরান ও হাদিসের ভাষায় তারা হচ্ছে মুনাফেক।
কোরানের ভাষা-
• হে নবী (সা.) আপনি বলে দিন, শোনো মুনাফিকগন, তোমরা এ কথা বলো না যে, আমরা ঈমান এনেছি বরং বলো যে, আমরা আনুগত্য স্বীকার করেছি, আর এখনো পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য (লোক দেখানো) করলেই তোমাদের কর্মের এতটুকু লাঘব করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাকরাী ও দয়ালু। তারাই মুমিন যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনে সন্দেহ পোষন করেনি এবং স্বীয় জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জেহাদ করেছে, তারাই সত্যাশ্রয়ী। (সূরা হুজরাতের ১৪-১৫)
• মানুষ মনে করে যে আমরা ঈমান এনেছি এ কথা বললেই তাদের পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেয়া হবে? আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম। (সূরা আন-কাবুতের ২-৩)
• তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের আগে ইসলামের জন্য অর্থ ব্যয় করেছো এবং যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছো তারা এবং মক্কা বিজয়ের পর যারা এ কাজ করেছো তারা উয়য়ে সমান নও। নিশ্চয়ই প্রথম দল দ্বিতীয় দল অপেক্ষা উত্তম। (সূরা হাদিদের ১০)
আহলে বায়াত সম্পর্কে প্রমানঃ
তোমরা জানিও যে আমি তোমাদের মধ্যে দুটো সমপরিমান ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি এ দুটোকে আকড়ে ধরে থাকো তাহলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। যদি একটিকে ছাড়ো তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার আহলে বায়াত (আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন) এ দুটো কখনোই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবেনা যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হবে।
জনাব এম এ আহাদ, আপনি কি এই হাদিসটি পড়ার পর এই রেফারেন্সগুলো দেখেন নাই? আবার একটু দেখে নিন-
সহিহ বোখারি ও মুসলিম এবং আরো রেফারেন্সঃ (সিরাতুন্নবী আল্লামা শিবলী নোমানী/বোখারী/মুসলিম/তিরমিজি মসনদে হাম্বল/তফসিরে কবির/হিলায়তুল আউলিয়া (১ম খন্ড) তফসিরে দোররে মনসুর/উসদুল গাবা।)
আপনার বোঝার ভুল__ মওলা বা প্রভু অর্থ আল্লাহ নয়। আল্লাহ তো আল্লাহই। কেনো আপনি সূরা ইখলাস পড়েন নাই। তাই যদি পড়ে থাকেন তা হলে আল্লাহকে এভাবে ছোট/বড় করে ভাববার চিন্তা আপনার মাথায় আসতো না। প্রভু অর্থ কি আল্লা? তা হলে ঘরের কর্তাকে আমরা প্রভু বা মনিব বলি কেনো? আমরা বলে থাকি- প্রভু ভক্ত কুকুর। আপনার মতো ভাবতে গেলে এসব বাক্যের কী অর্থ দাড়ায় দেখনে তো? প্রভু বা মাওলা এই শব্দ দ্বারা মূলত রাসুল পাক (সা.) এর পর হযরত আলী (আ.)-কে নেতৃত্বের স্মীকৃতি দেয়া হয়েছে। যা হযরত ওমর (রা.) সাদরে গ্রহন করেছিলেন। কেনো রাসুলের এই হাদিস কি পড়েন নাই যে, আমি জ্ঞানের শহর আর আলী সেই শহরে প্রবেশের তোরণ বা গেইট। এর দ্বারা হযরত আলী (আ.) এর মর্যাদাকে অন্যান্য সাহাবিদের দেয়ে উচ্চ স্থান দেননি?
আপনার জানামতে রা. এবং আ. এর ব্যাবহারঃ
আপনি নতুন করে জেনে নিন আ. এবং রা. এর ব্যাবহার। যাদের উপর আল্লাহ তায়ালার রাজি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যায় না তাদের নামের সঙ্গে রাদিয়াল্লাহ আনহু, সংক্ষেপে (রা.) বলা হয়। অর্থাত May Allah be pleased upon him. আল্লাহ তার উপর রাজি হউন। এক অর্থে আর্শীবাদ করা। অপর পক্ষে যাদের উপর আল্লাহ রাজি হয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের নামের সঙ্গে মোর্তজা বলা হয়। যারা নবী অথবা নবী পর্যায়ের ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যান তাদের নাম উচ্চারন করলে আলাইহে সালাতু আস সালাম বা আলইহেচ্ছালাম সংক্ষেপে (আ.) বলা হয়। পাক পাঞ্জাতনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ (আলী, ফাতেমা, ইমাম হাসান, ইমান হোসেইন) ও ইমানগন হলেন এই পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব।
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
আমায় ডেকো না বলেছেন: মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘একমাত্র কাফিরেরাই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দোয়া মুবারক করেন, ‘আয় আল্লাহ পাক! (আমার সম্মানিত ছাহাবী) হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং উনার দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন।’ সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শুধু সম্মানিত ছাহাবীই নন বরং বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর, কাতিবে ওহী, গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায়পরায়ণ খলীফাও ছিলেন।
কাজেই, ইয়াযীদ মালউনের অপরাধের জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা বা উনার সমালোচনা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী।
এ কুফরী থেকে প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমান উনাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। অন্যথায় ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।
যারা ছাহিবে সির, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করে; তারা মূলত উনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে নেহায়েতই জাহিল বা অজ্ঞ।
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে একজন বিশেষ শ্রেণীর হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বা ‘উলুল আ’যম’ বা ‘জলীলুল ক্বদর’ ছাহাবী। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্টি।’ আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘আমার প্রত্যেক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা তারকা সাদৃশ্য। উনাদের যে কাউকে যে কেউ যে কোনো বিষয়ে অনুসরণ করবে, সে হিদায়েত পেয়ে যাবে।’ সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বুযূর্গ পিতা হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ এসে আরজ করলেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আপনি কাতিবে ওহী নিযুক্ত করলে ভালো হতো। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে কাতিবে ওহী নিযুক্ত করলেন।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাছ দোয়া করেছেন এভাবে, “আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং উনার দ্বারা লোকদেরকে হিদায়েত দান করুন।” সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম মর্যাদা হলো, তিনি ছিলেন একজন আদিল বা ইনসাফগার খলীফা। অর্থাৎ খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন। উনার ন্যায়বিচার ও ইনসাফ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ছাহাবী হযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “আমার দৃষ্টিতে হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার পর আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে অধিক ন্যায় বিচারক কেউ নেই।”
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার অসংখ্য ফযীলতের মধ্যে আরো একটি ফযীলত হলো, তিনি যমীনে থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। যদিও তিনি আশারায়ে মুবাশশারা উনাদের অন্তর্ভুক্ত নন। এ প্রসঙ্গে ‘পবিত্র বুখারী শরীফ’ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার উম্মতের প্রথম যে দল সমুদ্রের জিহাদে অংশগ্রহণ করবে, উনাদের জন্যে জান্নাত ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইমাম তাবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আটাশ হিজরীতে সর্বপ্রথম সমুদ্র জিহাদের মাধ্যমে কাবরাসের উপর আক্রমণ করেন এবং কাবরাস তিনিই বিজয় করেন। উনার ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।
যারা আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, উনাকে নাক্বিছ বলে, দোষারোপ করে, উনার সমালোচনা করে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তারা কাট্টা কাফির, মালউন ও চির জাহান্নামী। আর তাদের জন্যে হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন খাফফাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথাই অধিক প্রযোজ্য। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, গালি দেয়, নাক্বিছ বলে, সমালোচনা করে, সে হাবিয়া দোযখের কুকুরসমূহের মধ্য হতে একটি কুকুর।”
মূলকথা হলো- আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর, কাতিবে ওহী, গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায়পরায়ণ খলীফাও ছিলেন। কাজেই, ইয়াযীদ মালউনের জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা বা উনার সমালোচনা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী। এ কুফরী থেকে প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমান উনাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। অন্যথায় ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।
মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম তিনি বলেছেন "তোমরা যদি দেখ কেউ আমার সাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের দোষারোপ করছে
তাহলে সে যেন বলে,তোমার উপর আল্লাহ্ পাক উনার লানত"।
সম্পাদক: আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম
অফিস: ৫, আউটার সারকুলার রোড, রাজারবাগ, ঢাকা -১২১৭, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০১৭১৬৮৮১৫৫১, +৮৮-০২-৮৩১৭০১৯, ৮৩১৪৮৪৮, ৮৩১৬৯৫৮; ফ্যাক্স: ৯৩৩৮৭৮৮
ই-মেইল: [email protected], [email protected] Copyright © 2007 Al-Ihsan.net, All rights reserved.
Site best viewed at 1024x768 in ie6 or above
For the satisfaction of Mamduh Hazrat Murshid Qeebla Mudda Jilluhul Aali
Site designed & developed by Muhammad Shohel Iqbal
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: আমি যদি জাহান্নামের আগুনে জ্বলেও মরি তারপরও আমি কোনো দিন আবু সুফিয়ান গংদের নামের আগে পরে হযরত এবং রা. বলতে পারবো না। কারন, এরাই সকল বাতিল ফেরকার গুরুঠাকুর।
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
আমায় ডেকো না বলেছেন: যে গুমরাহীর উপর দৃঢ় থাকে সে হিদায়েত পায় না।যারা মুখে মুখে আহলে বাইত শরীফ উনাদের মুহব্বত দাবী করে,কিন্তু সাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের বিরোধীতা করে তারা মুলত: শীয়া ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত। এই বাতিল ফিরক্বা শীয়া এবং আরেকটি বাতিল ফিরক্বা খারেজী,এ দুটি ফিরক্বা বাতিল ৭২ ফিরক্বার মধ্যে সবার প্রথম উৎপত্তি লাভ করে।ইমামে আউয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হায়াত মুবারকে ইহুদী মুনাফিক আবদুল্লাহ্ বিন সাবাহ্ এই বাতিল ফিরক্বার উদ্ভব ঘটায়,কিন্তু তিনি এদের গ্রহন করেননি।বাতিল হিসাবেই সাব্যস্ত করেছেন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৪
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: রাসুলের সাহাবা কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কি হবে তার বিবরন উপরে দেয়া আছে দেখে নিবেন এবং বিচার করে দেখবেন মুখে ইমান এনে অন্তরে শয়তানি রেখে সাহাবা হওয়ার যোগ্যতা থাকে কিনা। আর আহলে বায়াত কথটা মুখে মুখে বললেই হবে না তাদেরকে অন্তর দ্বারা ভালোবাসতে হবে নবীর আদর্শকে নিজের জীবনে রাঙ্গিয়ে নিতে হবে। রাসুল (সা.) এর সাহাবাগন অতি সম্মানী এটাকে অস্বীকার করা হয়নি। তাদের দরজা তাদের মর্যাদাতেই আছে এবং থাকবে। যারা মুনাফিক তাদেরকে সাহাবি হিবেসে বলাটাই হলো কোরান এবং নবীর বিরোধিতা করা। এরাই যত রকম ফিরকা আছে তাদের উদ্ভাবক।
এই দুটি বই পড়ে দেখতে পারেন কারা সাহাবী আর কারা মুনাফিক পরিষ্কার হয়ে যাবে-----
(১) শানে পাক পাঞ্জাতন – রেজা মাহবুব চিশত
(২) কারবালা ও মুয়াবিয়া – সৈয়দ গোলাম মোরশেদ
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
আমায় ডেকো না বলেছেন: কোন জায়গার কোন ফকিন্নির পুত কি বলল-লিখল, তাতে নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাতেবে ওহী এবং সাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে গালি দেওয়া মুনাফেকের আলামত ছাড়া আর কিছুই নয়।উনাকে কাতেবে ওহী বলা হতো কেন?তা এই জন্য যে, হযরত জিবরাইল আলাইহি ওয়া সালাম যে ওহী নিয়ে আসতেন, তা নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে তিনি লিখতেন। সুবাহানল্লাহ্।
যেটা হাদিস শরীফে বর্নিত হয়েছে,আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বুযূর্গ পিতা হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ এসে আরজ করলেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আপনি কাতিবে ওহী নিযুক্ত করলে ভালো হতো। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে কাতিবে ওহী নিযুক্ত করলেন।” সুবহানাল্লাহ!
সুতারাং এ কথা এখন ফিকির করতে হবে কোন পর্যায়ের মকবুল কৃত হলে উনাকে কাতেবে ওহী নিযুক্ত করা হতে পারে। এইটা ইসলামের শত্রুদের চক্রান্ত যে,যিনি কাতেবে ওহী উনার উপর মিথ্যা আরোপের মাধ্যেমে সন্দেহ প্রবেশ করাতে পারলে,উনার দ্বারা লিপিবদ্ধকৃত ওহী অর্থ্যাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যেও সন্দেহ আরোপ করা যাবে(নাউযুবিল্লাহ্)।
সুতারাং যারা কাতিবে ওহী হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে তারা মুনাফিক এবং কাফির।
স্মর্তব্য,পবিত্র হাদীস শরীফে বর্নিত আছে "পুত্রের অপরাধে পিতাকে দায়ী করা যাবে না"।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: পিতা-পুত্র যেখানে একই নায়ের মাঝি সেখানে কাকে সাধু বলবো??? সুতরাং যতই চেষ্টা করা হোক না কেনো শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না। চিকার গায়ে যতই আতর মাখানো হোক না কেনো চিকার গন্ধ ঢাকবেনা। কথা এটাই সত্য। যারা অনেক বড়লোকের পুত তারা এভাবে সত্যকে গোপন করতে পারে। তা আপনার বক্তব্য থেকেই বুঝা গেলো।
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ আমায় ডেকোনা.. আপনি সম্মানী লোকদের অসম্মান করে ফকিন্নির পুত বলার মাঝেই আপনার পরিচয লুকিয়ে রেখেছেন। শাস্ত্র বলে যে যেমন সে অন্যরে ভাবে তেমন!
মুয়াবিয়া রা. সম্পর্কে সমালোচনা না করাই উত্তম। যদিও উনার রক্ত উত্তরাধিকার কর্তৃক ইসলামের জঘন্যতম ঘটনা ঘটানো হয়েছে! কিন্তু এ বিষয়ে রাসূল সা: ও অবগত ছিলেন।
সংক্ষেপে : কোন এক সময় জিব্রাইল আমিন কারবালা সম্পর্কে রাসূল সা:কে অবহিত করলেন। আদি অন্ত! মুয়াবিয়া রা: জানার পর নিজে বিবাহ করবেন না বলেই দৃঢ় ছিলেন আজীবন। যাতে তার সন্তান না হয়। না হলে আর নবী বংশ ধ্ভংস হবার পথই থাকবে না। কিন্তু শেষ বয়সে উনার এমন রোগ হয় যার চিকিৎসা বিবাহ করা।
তারপরও উনি অধিক বষয়্কা দেখে বিবাহ করেছিলেন যার সন্তান হবার সম্ভাবনা ছিল না।
কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা- সত্য মিথ্য পৃথক করার খেলা..
সেই গর্ভে জন্ম নিলেন ইয়াজিদ!
তারপরের ইতিহাসতো সবাই জাননে।
তাই কাউকে বড় করতে গিয়ে কাউকে ছোট করার প্রয়োজন নেই।
ইয়াজিদ যা করছে আপনি কি তা সমর্থন করেন?
ইমাম হোসাইন রা: সত্য মিথ্যার প্রভেদ করেছেন শহীদ হয়ে। এখন আপনি কি সত্যের পক্ষে না মিথ্যার পক্ষে?
ইয়াজিদ পরবর্তীতে বহু বহু জাল হাদীস প্রণয়ন করায় তার ক্ষমতা সুসংহত করার স্বার্থে! যার উপর ভরসা করার কোন উপায় নেই।
তাই শূধূ হাধী হলেই হবে না। সত্যের কষ্টি পাথরে, ইহলে বাইতের প্রেমের কষ্টিতে তা পরখ করে নিতে হবে।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন রাসূল সা: এর প্রিয়তম সাহাবী আবুজর গিফারী রা: সম্পর্কে!
আপনি কি জানেন ইয়াজিদের পক।ষাবলম্বন না করায় উনাকে দেশ থ্যাগে বাধ্য করা হয়। এবং নির্জন মরুতে অনাহারে অর্ধাহের তিনি শহীদ হন।
আবার বহু দুর্বল ইমানের লোক ছিল যারা ইয়াজিদের আনুগত্য করে বাড়ী, অর্থ স্বর্ণে ভরপরু হয়ে গিয়েছিল।
তাই পানি থেকে দুধ আলাদা করতে হলে রাজহাসের মতো হতে হবে।
শুধূ অন্ধ আবেগে চলে নয়।
@ লেখক ধন্যবাদ সুন্দর বিষয়টি অবতারনা করায়। অনুসরনে নিলাম আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৭
হানিফঢাকা বলেছেন: bogus