নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা মনে আসে তাই লিখি।

স্বর্ণবন্ধন

একজন শখের লেখক। তাই সাহিত্যগত কোন ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

স্বর্ণবন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালপরী নীলপরী

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৫

(১)
দোতালা বাড়ীটা এখনো সম্পূর্ণ হয় নাই। রেলিং বিহীন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে দাঁত বের করা রড আর ইট যেমন চোখকে পীড়া দেয় তেমনি এক অস্থির ভঙ্গুর সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয় সম্ভবত। আমজাদ সাহেবের বড় শখের বাড়ি বলতেই হবে এটাকে। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে পানি দেন আর বিড়বিড় করে নিজের মনেই কথা বলেন। সম্ভবত হিসাব মেলানোর চেষ্টা করেন; কিভাবে আর কিছু টাকা জোগাড় করতে পারলেই অস্থায়ী এই জীবনের খাতায় স্থায়ী একটা চিহ্ন তিনি রাখতে পারবেন!
আমজাদ হোসেন এর পরিচয় এককথায়ই শেষ করা যায় এই বলে- তিনি একজন সরকারি অফিসের কেরানী। সরকারি কলেজ থেকে সাইন্সে ডিগ্রি নিয়ে, চাকুরির এই আকালে বড় অঙ্কের ঘুষ দিয়ে জুটিয়েছেন এই চাকুরী। প্রথম প্রথম আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বাঁকা চোখে তাকালেও, এখনকার উপড়ি পয়সার বহর দেখে সবাই স্বীকার করেই নিয়েছে যে- লোকটার মুরোদ আছে!
পানি দেয়া শেষ হলে তার প্রাত্যাহিক রুটিনের কাজ একমাত্র মেয়ে লীনাকে নিয়ে ছাদে গল্প শোনাতে আসা। লীনার বয়স বছর চারেক, মাথায় রেশমের মতো চুল। সবাই বলে এক্কেবারেই বার্বি ডল। বহুদিন অপেক্ষার পর, বহু মানত শেষে রাজকন্যাটাকে পেয়েছেন তিনি। ছোট্ট মেয়েটার প্রশ্নের কোন শেষ নেই। ‘বাবা আকাশ কেন ছোঁয়া যায় না’ “চাঁদ কেন দিনে থাকেনা” এসব উদ্ভট প্রশ্নের আজগুবি জবাব দিতেই ব্যস্ত থাকতে হয় আমজাদ সাহেবকে। তবে সব গল্পের শেষেই ছাদ থেকে নামার সময় মেয়েকে বুক ফুলিয়ে বলেন- “এই দ্যাখ মা! এটা তোর জন্য, রাজপ্রাসাদ বানাচ্ছি!তুই রাজকন্যার মতো থাকবি এখানে।“ অবুঝ মেয়ে কথার পিঠে প্রায়ই বলে-“রাজকন্যা হলে কি হবে বাবা?” তিনি তৃপ্তির হাসি মুখে নিয়ে বলেন- “পরিস্থান থেকে লাল নীল পরীরা তোর কাছে আসবে! তোকে তাদের পাখা গুলো খুলে দিয়ে যাবে"

(২)
অফিসে বের হওয়ার আগেই মেজাজটা চড়ে আছে আমজাদ সাহেবের। মেয়ের মায়ের পক্ষকাল থেকেই মন খারাপ ছিলো। গতরাত থেকেই তা ইচ্ছাকৃত দুর্ব্যবহারে গিয়ে পৌঁছেছে। আসলে স্ত্রীর খুব শখ এই প্রথমবারের মত ঘটা করে বাচ্চার জন্মদিন পালন করবেন। এতদিন ভাঙ্গা বাসায় কাঊকে ডাকতেন না সঙ্কোচে। আশা ছিলো এবার বর্ষা আসার আগেই দোতালাটা হয়ে যাবে, আর সেখানেই অনুষ্ঠানটা করবেন।কিন্তু কিসের কি! এমন অপদার্থ মানুষ! শেষ করার টাকাটা যোগাড় করতে পারছে না! তাই ইচ্ছা করেই আমজাদকে খোঁচা দিয়েছেন-“ আমার শখ-সন্মান তো রাখতে পারই নাই, অন্তত মেয়ের টা দেখো।”
বাইক নিয়ে যেতে যেতে আমজাদ সাহেব তাই ভাবছিলেন, আজ তো বেতন দেবার দিন! দেখা যাক, পরিবারের শখ মিটানোর জন্য কিছু করা যায় কিনা!

(৩)
অফিসেও সময়টা ভালো গ্যালো না আমজাদের। সাধারণত বেতন আসার প্রথম দিনে ভিড় থাকলেও, অনেকেই আসেনা বেতন তুলতে। তিনি তখন তাদের বিভিন্ন অযুহাতে আরো কিছুদিন ঘোরান। এই যেমন- বেতন বিলে ভুল ছিলো; ভুলে বিল পাশ করা হয় নাই; ছাড়া পড়ে গিয়েছে; ইত্যাদি। কিন্তু আজ সবাই যেন সিরিয়াল বেঁধে আসছে!
দুপুরের পর অবস্থা এমন হলো যে টাকা তলা হয়েছিলো তার প্রায়ই সব দেয়া শেষ। আর মাত্র লাখ খানেক ক্যাশে আছে। এটা কিছুদিনের নিজের কাছে রাখার একমাত্র উপায় হলো তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়া। কেঊ ঝামেলা করলে বলে দিবেন যে- হিসাবের ঝামেলা মেটাতে হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়েছেন! কিছুই করার নাই, সে পরে আসুক!
এরকম সময় তার শেষ আশাটাকেও শেষ করে দিয়ে রূমে ঢুকলেন সদ্য অবসরে যাওয়া নাইটগার্ড কবির হোসেন। লোকটা খুব সজ্জন, আর গত ছয়মাস ধরে বকেয়ার জন্য অসংখ্যবার ধর্না দিচ্ছেন। এবার তার বিলটা পাশ করেই এনেছেন।
কবির সাহেব রূমে ঢুকেই ছলছল চোখে বললেন- “আমজাদ সাহেব টাকাটা আজ লাগবেই, নাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে! মেয়েটার ভর্তির শেষদিন কাল! না পারলে দয়া করে কিছু ধারের ব্যবস্থা করে দিন, বিল পাশ হলে নিয়ে নিয়েন।”
মানব মন যে অতি বিচিত্র তাতো নতুন করে বলার বিষয় নয়। তবে মনের সেই অলৌকিক বিচিত্রতার ফাঁদে পড়ে মানুষ অভাবনীয় সব সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। আমজাদ সাহেব বলেই বসলেন-
“ ছিঃ ছিঃ কবির ভাই কাঁদছেন কেন? আপনার বিল তো আমি পাশ করিয়ে এনেছি! টাকাও ক্যাশ হয়ে গিয়েছে।"
এই বলে গুণে সুন্দর করে সাজিয়ে টাকাটা তার হাতে দিলেন। কবির সাহেব এতখানি বদান্যতা প্রত্যাশা করেন নাই। হতভম্ভ হয়ে টাকাটা গুণে একটা লাল মখমলের কাপড়ে জড়িয়ে একটা সালাম দিয়ে দ্রুত বের হয়ে গেলেন।
(৪)
অইযে বিচিত্র মানব মনের লীলা খেলা বোঝা কঠিন ব্যপার। আমজাদ সাহেবের বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো হঠাত। চাইলেই তিনি টাকাটা পরে দিতে পারতেন, বেতনের দিন বকেয়া দেয়ার কথাও নয়! এতগুলো টাকা দিন পনেরো নিজের কাছে রাখতে পারলেও তো দোতলার ছাদের কাজ শুরু করা যেত। আবেগের বশে এটা তিনি কি করলেন! ভালো মন্দের খেলায় কোনটা কখন জিতবে বলা মুশকিল। আমজাদ সাহেবের মাথায় মন্দ বুদ্ধি খুব তারাতাড়িই জমতে শুরু করল। সম্ভবত ভালোর চেয়ে মন্দ বুদ্ধি একটু তারাতাড়িই আসে। দ্রুত ফোনটা নিয়ে কবিরের নাম্বারে ডায়াল করে দেখা করতে বললেন। একটু পর হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলেন কবির; আকস্মিক তলবে টাকা সহ মখমলের লাল মখমলের পুটলিটা হাতেই এনেছে্ন।
আমজাদ চোখ বন্ধ করে বললেন- “টাকাটা ফেরত দিতে হবে কবীর ভাই। কিছুই করার নাই, আপনারটা আসে নাই, এসেছে বড় স্যারের বেতন বিল। ভেবেছিলাম উনি আজ নিবেন না, আপনার উপকার করি! কিন্তু মাত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন, কি আর করা!”
কিছু কিছু সময় আসে যখন মানুষ সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই সত্যমিথ্যা বুঝতে পারে। হয়ত কবিরও বুঝে যায়। আমলাতান্ত্রিক সংস্কৃতির বাহক হয়ে চোখ মুছে মখমলের কাপড়ে জড়ানো টাকাটা তাকে ফেরত দিয়ে সটান বের হয়ে যায় রুম থেকে। পিছন থেকে চিৎকার করে ডাক দেয় আমজাদ-“ আরে কাপড়টা তো নিয়ে যান”
কথা শূন্যতায় ভেসে যায়, তার আগেই চলে যায় কবির।
আপাতত বেশি কিছু ভাবতে চায়না আমজাদ। পরে তাকে বোঝালেই হবে। আফিস জীবনে এমন মনোমালিন্য তো প্রাত্যাহিক ব্যপার।

(৫)
তাড়াতাড়ি করে বাসায় পৌছেই বউকে ঘরে ডেকে বলে-
“শোন! কাজ শুরূ করার মতো কিছু টাকা ম্যানেজ করেছি; হয়ত জন্মদিনের আগেই দোতালার কিছুটা শেষ করতে পারবো।”
পুরাতন হারানো মুদ্রার মতো যেন ঘষা খেয়ে হেসে দেয় বউ। পুতুল খেলা ছেড়ে একছুটে বাবার কোলের কাছে এসে বসে লীনা। তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমজাদের নিজেকে মনে হয় এক গর্বিত রাজা, যে কিনা সাতসমুদ্র বিজয় করে এসেছে।
লীনা জিজ্ঞাসা করে-“ মা-বাবা এত হাসছ কেন?”
“কারণ তোমার জন্য একটা রাজপ্রাসাদ বানানোর ব্যবস্থা পাকাপাকি হয়ে গিয়েছে।”
ছোট্ট লীনা কি যে বুঝল কেউ জানেনা। কিন্তু সে টাকা রাখার লাল মখমলের কাপড়ের টুকরাটা হাতে নিয়ে জানতে চাইলো-“আচ্ছা বাবা পরীদের পাখা কি এমন হয়?”
আমজাদ উত্তর দেয়ার আগেই নিজে থেকেই বলে-“এটাই লাল পরীর ডানা, এটাকে আমি আকাশে ওড়াব। কাল আমাকে আরেকটা নীল পরীর ডানাও এনে দিবে কিন্তু।”
বলে লাল কাপড়টাকে শূন্যে ছুড়তে ছুড়তে দৌড় দেয় লীনা। প্রথমে কিছুতা থতমত খেলেও, মুহূর্তেই মেয়ের আনন্দ বাবার মনেও সঞ্চারিত হয়। থামাতে গিয়েও থামায় না তাকে।

(৬)
অফিসের ঝামেলা খুব সহজে সমাধান হয়না আমজাদের। তার নামে অভিযোগ দিয়েছে কবির হোসেন। সবাই কানাঘুষা করছে গরীব নাইটগার্ডকেও নাকি হেনস্থা করছে সে! পাত্তা দেয়না আমজাদ। সে জানে অন্তত তার মুখের সামনে এসে কেঊ কিছু বলবে না। আজকের দিনে বেতনের মায়া বাঙ্গালির সবচেয়ে বড় মায়া। ঠিক সময়ে না পাওয়ার ঝুঁকি কেউ নিবেনা। আর দুদিন পর তো সে মিটিয়েই দেবে সব!
বাসার কাজ আজই শুরু করবে তাই অফিস শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানিক আগেই বাড়ির দিকে রওয়ানা হন আমজাদ। বাসায় কল দিতে গিয়ে লক্ষ্য করেন রাতে ভুলে চার্জ দিতে পারেন নাই ফোনে; বন্ধ হয়ে আছে সেটা। দেশি বাদামের এক ফেরিওয়ালা কে দেখে তাকে ডাক দেন বাদাম কেনার জন্য। বাদাম ছিলে খাওয়া তার আদুরে মেয়েটার খুব পছন্দ।
বয়স্ক বাদাময়ালা তাকে বাদাম দিতে দিতে বলে-“ ঘটনা শুনছেন? খুব কষ্টের দৃশ্য দেইখা আসলাম। আমজাদ ক্যাশিয়ার নামের এক বড়লোকের পুতুলের মতো মেয়ে, লাল একটুকরা কাপড়রে প্রজাপতি বানাইয়া উড়াইতে গিয়া দোতালা ছাদ থাইকা নীচে পড়ছে। এক্কেরে স্পট ডেড! আল্লাহ মালিক! হায়াত মউত সব তার হাতে! পুতুলের মতো মেয়েটা এক নিমিষেই শেষ!”
এক নিশ্বাসে কথা শেষ করে বাদাময়ালা। পুরোটা শুনতেও পায়না আমজাদ; শুধু মহাবিশ্বের সব গুলো অন্ধকারের পর্দা তাকে আছন্ন করে ফেলে!

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: প্লট গতানুগতিক, প্লটে নতুনত্ব নেই, তবে লেখার বাধুনী চমৎকার। খুব ভালো লেখা হয়েছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ। একেবারেই প্রথমবারের মতো গদ্য লেখার চেষ্টা।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখার সব কিছু এলোমেলো হয়ে মিলেমিশে হয়ে গেছে। লেখার ফরম্যাট প্রিভিউতে দেখে তারপর পোস্ট করবেন।

গল্পে আপনি আজকের এবং কালকের বা তার পরের দিনের ঘটনা বর্ননা করার সময় আলাদা করে প্যারা করে যদি দেন, পাঠক যখন পড়তে বসবে তখন শুরুতেই বুঝবে এই অংশ আলাদা। আর তা যদি না করেন, যেমন আপনারটা হয়েছে, হুট করে দিন/সময় পাল্টে গেলে, পাঠক বুঝতে না পারলে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে আর লেখা স্কীপ করা শুরু করবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে এইভাবে আলাদা আলাদা করে প্যারা দিবেন।
এক
আজকের ঘটনা
দুই
কালকের ঘটনা
তিন
পরশু দিনের ঘটনা

গল্পের থীমটা ভালো। তবে চরিত্র চিত্রায়নে আপনাকে আরও কাজ করতে হবে। ফিনিসটা নিয়ে আরেকটু কাজ করতে পারতেন!
ট্যুইস্ট দিতে পারতেন? যেমন বাসায় বাড়ির কাজ করার লোকজনকে নিয়ে ঢুকে, বউ বাচ্চাকে খুঁজে না পেয়ে.....
আরও লিখুন, লিখতে লিখতেই হাত খুলে যাবে বেশ!
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ। একেবারেই প্রথমবারের মতো গদ্য লেখার চেষ্টা। দিক নির্দেশনা গুলো মাথায় রেখে পরবর্তী লেখা দেয়ার চেষ্টা করবো। ভুল ধরিয়ে দিয়ে সবসময়ই সাহায্য করবেন এই আশা থাকলো।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দিয়ে সবসময়ই সাহায্য করবেন এই আশা থাকলো।
আমি আমার যতটুকু সম্ভব চেস্টা করব। আপনিও আরও বেশি বেশি করে লেখার চেস্ট করুন।
এই মানসিকতা থাকলে আপনি বেশ দ্রুতই শিখতে পারবেন।
ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নীল আকাশের পরামর্শ মাথায় রাখুন। গল্পের প্লট ভালই ছিল, লেখাও মন্দ নয়।

লিখতে থাকুন, নতুন নতুন গল্প।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার লেখার হাত চমৎকার :)

লিখে লিখে হাত মকশো করুন।

সাথে আছি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.