নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক

আমি নষ্ট করেছি সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায়

ফিলিংস

মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!

ফিলিংস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিতা নূরের অবাক প্রস্থান ও কিছু শোবিজ বাস্তবতা!

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

এক অনুষ্ঠানের কথা। মিতা নূর অতিথি। উপস্থাপিকা একজন অভিনেত্রী। মিতা নূরের গাড়ির সমস্যা ছিল। তাই গাড়ি পাঠাতে হয়েছিল সকাল ১০টায়। জ্যাম ঠেলে, রেডি হয়ে মিতা নূরের সেটে পৌঁছানোর কথা ছিল ১১টায়। ১১টাতেই রেকর্ডিং। রাস্তা খালি থাকায় মিতা নূর সাড়ে ১০টায় পৌঁছে গেলেন এফডিসি। মিতা নূর আসার পর কী হয়েছিল, আমি জানি না, কারণ আমি ছিলাম অনুপস্থিত। তবে মিতা নূর সেদিন খুব বিরক্ত হয়েছিলেন উপস্থাপিকার ব্যবহারে। পরবর্তীতে ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, উপস্থাপিকা নাকি তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। খুব ধীরগতিতে মেকআপ করছিলেন। এমনকি মিতা নূর যে বসে আছেন, এ ব্যাপারে তার কোনো অনুতাপও নেই। অথচ মিতা নূররা সবসময় বড়রা সামনে এলেই চেয়ার ছেড়ে দিতেন। নিজের কোনো ভুল হলে 'স্যরি স্যরি' বলতে বলতে অস্থির করে ফেলতেন সিনিয়রদের। কিন্তু সেই উপস্থাপিকা-অভিনেত্রীর কাছ থেকে ব্যবহার সত্যিই তাকে কষ্ট দিয়েছে। পরবর্তী দিন উপস্থাপিকার সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কথা হয়। উপস্থাপিকা নিজে এসেই আমার কাছে এ ব্যাপারে বিচার দিতে আসেন। ঝগড়া-বিবাদে জড়ানো কিংবা উচিত কথা বলার কোনো ইচ্ছেই ছিল না আমার। কারণ সেই উপস্থাপিকা-অভিনেত্রী আমারও প্রিয় মুখদের একজন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, তিনি আমার বিরক্তির কারণ হলেন। তার বক্তব্য ১১টায় শুটিং শুরু হওয়ার কথা। তিনি সাড়ে ১০টায় এলে তো আমার দোষ নেই। অবশ্যই দোষ নেই। কিন্তু আপনি তো ১১.৪৫ পর্যন্ত রেডি হতে পারেননি ধীরগতিতে মেকআপ এবং আলসেমির কারণে... আমি পাল্টা প্রশ্ন করি। তখন তিনি বলেন, তারপরও! আমি মিতা নূরের মতো অভিনেত্রীর কথা কেন শুনব? সুবর্ণা মুস্তাফা হলে একটা কথা ছিল। মিতা নূর কে? কথাটি বিরক্ত আর অবাক হওয়ার সীমা ছাড়িয়ে গেল! আমার পাশে থাকা সহকর্মীরাও বিরক্ত হলেন। আমি বললাম, স্যরি, আপনার কথাটা আমি মেনে নিতে পারলাম না। মিতা নূর কে—সেটা বিচার করার দায়িত্ব না আপনার আছে, না আমার আছে। আর শত হলেও উনি আপনার সিনিয়র। আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না! তখন তিনি কথার স্রোত না থামিয়ে বলে গেলেন, চিন্তা করতে পারেন, আমার মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কী বিহেভ! আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। প্রশ্ন, আপনার মতো অভিনেত্রী মানে? হু আর ইউ? উপস্থাপিকা আর কথা বলতে পারলেন না...!!! আজ সবার স্ট্যটাসে মিতা নূরকে নিয়ে ভালোবাসা, আর্তি দেখছি। কেউ বলছেন মিতা নূর সবচাইতে প্রিয় অভিনেত্রী। আফসোস, মৃত্যুর আগে কেউ এসব প্রশংসা শুনে যেতে পারে না। আমরা শিল্পীদের এ-গ্রেড, বি-গ্রেড, সি-গ্রেডে নামিয়ে দিই কথিত উপস্থাপিকার মতো। আজও সেই উপস্থাপিকা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে লিখা আত্মহত্যা তো ভালো নয়। তার এই চলে যাওয়া কাম্য নয় ইত্যাদি। হায়রে, মৃত্যুকেও ছাড় দিলেন না সেই উপস্থাপিকা। মিতা নূরের মুড নিয়ে লেখাটা প্রয়োজন মনে হলো তার আজ। সবশেষে মিতা নূরকে যারা কমবেশি যতটুকু চেনেন, তারা খুব ভালো করেই জানেন, মিতা নূরের মতো সদালাপী মানুষ এ সময় মিডিয়াতে পাওয়া খুব কঠিন। তিনি কখনও মেকি হাসি হাসতেন না। তাই তার এই হাসি হঠাত্ কোনো ঝড়ো হাওয়ায় নিভে যাবে, সে নিভে যাওয়ার কারণ আত্মহত্যা হবে তা কারোরই বিশ্বাস হওয়ার কথা না। তবে আজ সত্যি খারাপ লাগছে, তার হাসিমাখা মুখটা আর দেখতে পাব না বলে। যে মিতা নূর আলো জ্বালিয়ে নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন, সে কীভাবে অন্ধকারে হারিয়ে গেলেন, বোধগম্য নয় যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন মিতা নূর। লেখক :তরুণ নাট্যকার, মিডিয়াকর্ম



Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুবর্ণার মত অসভ্য এবং বিবেকহীন কামুক মহীলার চেয়ে মিতা নূর অনেক বেটার।সুবর্ণা জাতিকে অসভ্যতার পথে পরিচালনার পথ উন্মুক্ত করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.