![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!
কর্মক্ষেত্রে হয়তো আপনি খুবই সফল এবং দায়িত্বশীল একজন পুরুষ l কিন্তু কাজ শেষে যখন ঘরে ফেরেন, তখন স্ত্রীর কাছে প্রতিদিনই শুনতে হয় ‘আপনার কোনো দায়িত্ব নেই’ l ঘরে ফিরে স্ত্রীর বিরক্তিভরা মুখ প্রায়ই দেখতে হয় আপনাকে l ভেবে দেখুন তো, আপনার ঠিক কোন কোন কাজে বিরক্ত হন আপনার স্ত্রী? অথবা আপনি কি বাড়ি ফিরে পুরো সময়টাই আরাম করেন? আর স্ত্রী বেচারি একাই সবটা সামলান? তিনিও হয়তো সারা দিন কর্মক্ষেত্র থেকে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরেছেন l যাঁরা এসব ব্যাপারে সচেতন হতে চান, তাঁদের ‘ডেইলি মেইলে’ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সাহায্য করতে পারে l
পুরুষদের বিশেষ কিছু বদ-অভ্যাসের কারণে বিরক্ত হন তাঁর স্ত্রী বা জীবনসঙ্গিনী l হয়তো এসব ব্যাপার আপনার কাছে খুবই তুচ্ছ l কিন্তু এসব অভ্যাসের কারণে স্ত্রীকে পোহাতে হয় নানা ঝামেলা l
ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখা
যখন আপনি মহা আনন্দে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভিতে খেলা দেখছেন, তখনই হয়তো একটু পরপর বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে স্ত্রী তাকাচ্ছেন আপনার দিকে l এর বদলে স্ত্রীর সঙ্গে আপনি দেখতে পারেন ট্যালেন্ট শো কিংবা নাটক l দুজনে কিছু সময় গল্প করতে পারেন l কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে পারেন l অথবা বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে পারেন l
অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ঘর ভরে রাখা
মুঠোফোন বা চার্জার নিশ্চয় আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস l কিন্তু আপনি বাসায় কেবল সেসব চার্জার রাখুন যেটা আপনি ব্যবহার করেন l কয়েক মাসের অব্যবহূত মুঠোফোনের সেট, তার বা চার্জার দিয়ে ড্রয়ার ভরে রাখবেন না l এতে করে প্রয়োজনের সময় জিনিস খুঁজে না পেয়ে বিরক্ত হবেন আপনার স্ত্রী l
অগোছালো, অপরিষ্কার কাজ
ঘরে যখন স্ত্রীকে সাহায্য করবেন, তখন কাজটি ঠিকঠাক করে করার চেষ্টা করুন l অনেকেই থালাবাসন ধোন l কিন্তু রান্না করার হাঁড়ি বা কড়াইটি পানিতে ভিজিয়ে রেখে আসেন l ফলে আপনার স্ত্রীকেই হয়তো আবার সে কাজটি করতে হয় l এতে তিনি বিরক্ত হন l কারণ এ ধরনের কাজে তাঁর কোনো উপকার হয় না l আপনি হয়তো ভাবতে থাকেন, এত করলাম তা-ও সন্তুষ্ট হলো না স্ত্রী l একটু সচেতন হলেই এড়াতে পারেন এসব ঝঞ্ঝাট l
মিলেমিশে অতিথি আপ্যায়ন
বাড়িতে অতিথি এলে আপনার যেমন ভালো লাগে, ভাল লাগে আপনার স্ত্রীরও l কিন্তু আপনি যদি সব সময় খাবার পরিবেশন, তৈরি বা গরম করার দায়িত্ব তাঁর ওপরই দেন, সেটি তাঁর জন্য কাজের বোঝা ছাড়া আর কিছুই হয়ে ওঠে না l তাই দুজনে মিলে ভাগ করে অতিথি আপ্যায়নের কাজ করুন l
বাজার করুন দায়িত্ব নিয়ে
বাজার আনতে বললেই যদি আপনি এড়িয়ে যান অথবা স্ত্রীকেই সেটি করে আনতে হয়, তাহলে তিনি বিরক্ত হবেন l এটাই স্বাভাবিক l কারণ চাকরি, সংসার সামলাতে সামলাতে তিনি জেরবার l তাই মাঝে মাঝে ফ্রিজ খুলে দেখুন কী লাগবে l নিজ দায়িত্বে নিয়ে আনুন জিনিসপত্র l এটুকুতেই স্ত্রীর চাপ কমবে অনেকটাই l কমবে বিরক্তিও l
বাবার দায়িত্ব পালন করুন
আপনি হয়তো ভাবেন যে সন্তানদের দেখাশোনা করা মানেই শুধু চিড়িয়াখানা বা পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া lকিন্তু ঘটনাটা তা নয় lসন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব মায়ের পাশাপাশি বাবারও কিন্তু কম নয় lবিশেষ করে মা যদি কর্মজীবী হন, তাহলে তো এ দায়িত্ব অনেকটাই বর্তায় আপনার ওপর lতাই সন্তানকে গোসল করান, খাওয়ান, জামাকাপড় পরান lদুজনে মিলে ভাগ করে এসব করুন lতবেই ভালো স্বামীর পাশাপাশি আপনি হতে পারবেন একজন ভালো বাবা l
ভেজা তোয়ালে থেকে সাবধান
যেখানে সেখানে ভেজা তোয়ালে ফেলে রাখা বেশির ভাগ পুরুষেরই একটা বাজে অভ্যাস l তাই এই অভ্যাস ছাড়ুন l কারণ বারবার করলে স্ত্রী এতে বিরক্ত হবেন l
সিঁড়ি পরিষ্কার রাখুন
ছোটদের খেলনা, জুতো, বই, কাপড় এলোমেলো করে সিঁড়িতে ফেলে রাখবেন না l আপনি যদি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন, তাহলে এই অভ্যাস শুধু আপনার স্ত্রীর জন্য নয়, আপনার প্রতিবেশীর জন্যও খুব বিরক্তিদায়ক l তাই এসব বদ-অভ্যাস ছেড়ে জায়গার জিনিস জায়গায় রাখুন l
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
ফিলিংস বলেছেন: thanks.............
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: বাজার করুন দায়িত্ব নিয়ে