নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ রিদওয়ান আহমদ

আমি রিদওয়ান।বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা ও গবেষণা করতে পছন্দ করি।মাঝে মধ্যে শখের বশত লেখালেখি চালিয়ে যাই।গল্পদ্য (দ্বিতীয় সংকলনে) ৩ টি গল্প প্রকাশের মাধ্যমে লেখার জগতে আমার যাত্রা।এই আর কি!

সৈয়দ রিদওয়ান আহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজন ;তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৪

শুয়েছিলাম বিছানায়। হাতে ট্যাব। টাইম পাস বৈ কিছু করার নেই। এমন সময় মনে পড়ল রাজনের কথা। আমি জানতাম কাহিনীটা কতটুকু নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়। তাই ইউ টিউবে সার্চ করলাম "রাজন হত্যাকান্ড" দিয়ে। ১১:১৪ মিনিটের ভিডিও দেখে চোখে পানি আপনা আপনিই পড়েছে। আমি ভিডিওটা দেখে আজ কাদছি কিন্তু যারা সরাসরি দেখেছে তারা হো হো করে হাসছিল এই মাহে রমজানে। সেলুকাস!!! কি পর্যায়ে গেলে মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে আমার জানা নেই।
.
১৩ বছর বয়স। নাম রাজন। জন্ম আমাদের সিলেটে। বাবা একজন কার চালক। রাজন সবজি বেচত। চোরের অপরাধে তাকে ধরে নিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পায়ের গোড়ালি,কাধ কোনো কিছুই বাদ যায় নি।বাদ যায়নি তার গোপ্তাঙ্গ। হাতের কবজি দিয়ে ঝরছিল রক্ত। তাতেও ক্ষান্ত হয় নি লোকগুলো। ছেলেটা এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে তাকে দিতে বললে দৈত্যের মত হো হো করে হেসে ওঠে পাষাণ লোকগুলো,বলে, আমি ডিবি পুলিশ। হায়রে! মানতে পারতাম যদি কোনো যুবককে এভাবে মারত,কিন্তু তারা হত্যা করেছে নিষ্পাপ শিশুদের। আর এখন না রমজান মাস??? কিন্তু আমাদের আল্লাহ তো শিশু হত্যা নিষিদ্ধ আর হত্যাকারীকে জাহান্নামী বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাহলে কেন এই পবিত্র মাসে এমন কাজ করল। সেলুকাস!!! মার খেয়ে খেয়ে ছেলেটা দাড়াতে পারছিল না। সে বলছিল পানি খাবে। সে বলেছে, "ভাই গলা হুকাই গেসে"। তখন পাশে দাঁড়ানো দৈত্যখ্যাত মানুষগুলো বলছিল তকে পানি না, টাইগার খাওয়াইমু। ছেলেটা তখন বলছিল,না ভাই,খালি পানি খাইতাম। তখন যে লোকটা তাকে বেতাঘাত করছিল সে বলল,তরে টাইগার না বেয়ার খাওয়াইমু। পাশের এক লোক বলল,নাহ, পানি খাইতে হলে আগে ঘাম খা। ছি:ছি:!!! আর কত নিষ্ঠুর হতে পারে মানুষ আমার জানা নেই। তাদের কথায় রাজন ঘাম খেয়েছিল। কিন্তু সে মৃত্যুর আগে পায় নি এক ফোটা পানি। ১৯৭১ এর রাজাকারদের স্টাইলে হত্যা করা হয়েছে রাজনকে। যে দেশে রাজাকার হত্যার বিচার হয় সে দেশে রাজাকারের অনুসারীদের বাচার অধিকার নেই। তাদের ফাসি হওয়া উচিত। এবং বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দূর হোক শিশুকে আঘাত করা। নাহলে আমরা কখনোই দেখবনা সোনার বাংলাকে। রাজনের বাবা মাকে সান্তনা দেয়ার ক্ষমাতে আমার নেই। কারওই নেই। তারা কখনো ক্ষমা করবে না আমাদের। ভাবছিলাম লিখব না। কিন্তু ভিডিওটা দেখে আমার রক্ত গরম হয়ে গেছে। আপনাদের দেখা অনুরোধ করছি। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কত সুখে আছেন। ভিডিও দেখে ইচ্ছে করছিল লোকটাকে হত্যা করার। কিন্তু সেটা করার সামর্থ্য আমার নেই। কিন্তু তার যেন ফাসি হয় এই আবেদন জানাচ্ছি। সবাইকে ভিডিওটা দেখার অনুরোধ করছি।
.
১৯৭১ এ আমরা স্বাধীন হয়েছি। এই দেখে কেন এই রকম অন্যায় চলবে?? আর না সময় এসেছে বদলানোর। অনেকে পরশ্ন করবে, আমার এত মাথা ব্যাথা কেন? অন্যায় যে করে এবং অন্যায় যে সহে দুজনই সমান অপরাধী। তাই আমার এত মাথাব্যথা। আর যেন এরকম ঘটনা না ঘটে তাই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। নাহলে রাজনের পিতামাতার মত আরো মানুষের অভিশাপগ্রস্ত হয়ে তলিয়ে যেতে থাকবে এই দেশ। না, আর নয় সময় এসেছে বদলানোর।
‪#‎WeDemadJusticeforRajon

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.