![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Life is all about a thrill.
পীথাগোরাসের পরিচিতিঃ
৫৭০ খ্রীষ্টপূর্বে প্রাচীন গ্রীকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক পীথাগোরাস। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে উনি পারদর্শী হয়ে উঠেন। উনি ছিলেন একাধারে একজন গণিতবীদ, দার্শনিক। তবে উনার শ্রেষ্ঠত্ব ছিল সাহিত্যের ধারায়। উনি উনার সময়ে তো বটেই, এবং উনার পরে আরো ৩০০০ হাজার বছর পার হওয়ার পর এখনও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। নোবেল পুরষ্কার তৎকালীন সময়ে চালু ছিল না। তাই তিনি নোবেল পুরষ্কারে কখনো ভূষিত পারেননি। নোবেল পুরষ্কারের কলঙ্ক – কারণ, এটা কখনো পীথাগোরাসের হতে পারেনি। উনার পূর্ণ নাম স্যার আইজ্যাক পীথাগোরাস্টাইন।
.. স্যার আইজ্যাক পীথাগোরাস্টাইনের মূর্তি ..
পীথাগোরাসের বই সমূহঃ পীথাগোরাস আসলে এত এত বই লিখে গিয়েছিলেন যে, উনার বইয়ের নামের তালিকা মনে রাখা খুব কঠিন। তবে উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে – আপেল কেন মাটিতে পড়ে?, স্বর্ণ পানিতে ফেলে দিলে, আগুন না নারী – কোনটার সাহচার্যে দ্রুত সময় কাঁটে? এবং অতিভুজ বাঁকা হয়েও কেন তার দুই বন্ধুর থেকে বেশি শক্তিশালী।
আমি সবগুলো বইয়ের রিভিউ দিতে পারব না। এত ভাল বইয়ের আসলে রিভিউ লেখা আমার মত সাধারণ একজন পাঠকের পক্ষে দেওয়া সম্ভবও না।
তবু আমি চেষ্টা করছি,
--- আপেল কেন মাটিতে পড়ে?
এই বইয়ের নায়ক চরিত্রে ছিলেন নিউটন হোমস নামের এক ছেলে। তার সারাদিন ক্ষুধা লেগেই থাকতো। তার বাবা ছিল একজন আপেল চাষী। তাই সারাদিন ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য সে আপেল গাছের নিচেই থাকতো। আপেল খেত, সেখানেই ঘুমাত। আবার উঠতো, আপেল খেত, আবার ঘুমাতো।
একদিন সে বেভোর ঘুমে ছিল। এমনিতে সবসময় গাছের নিচে ঘুমালেও ঐদিন কেন যেন সে আপেল গাছ থেকে একটু দূরে সরে ঘুমিয়েছিল।
সেটাই কাল হল তার জন্য। এক আপেল হুট করে মাথায় পড়লো। ঘুম ভেঙ্গে গেল নিউটনের। তীব্র ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আপেল গাছটার দিকে। আপেলটা হাতে তুলে নিয়ে ভাবলো – আপেল মাটিতেই কেন পড়লো? আপেলটা গাছ থেকে বিচ্যুত হয়ে উড়ে গিয়ে পানিতেও পড়তে পারতো। অথবা উপরে আকাশে গিয়ে ধাক্কা খেতে পারতো। কেন সোজাসুজি মাটিতে পড়লো।
রহস্য জেঁকে ধরলো তাকে। লেগে গেল রহস্য আবিষ্কারের নেশায়।
খুঁজে পেল কারণটা।
কী সেই কারণ? সেটা জানতে হলে পড়তে দুর্দান্ত বাঁকের রোমাঞ্চকর বই ‘আপেল কেন মাটিতে পড়ে?’
আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০০।
--- স্বর্ণ পানিতে ফেলে দিলে
এই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল গ্যালিম্যান। ইংল্যান্ডের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় এক ছিমছাম রাজ্যে বাস করতো। এটা একটা রাজকীয় কাহিনী। রাজার সাথে প্রজার লড়াই। প্রজার সাথে স্বর্ণের লড়াই। স্বর্ণের সাথে পানির লড়াই। স্বর্ণকে পানিতে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত। রাজার ক্ষীপ্ততা...
আর আর... ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি।
অস্বাভাবিক রকমের জটিল একটা বই। যে একবার পড়বেন – তার বইটাকে পানিতে ডুবিয়ে মারার খায়েশ জাগবে।
আমার রেটিংঃ ১০ এ ১২০।
--- আগুন না নারী – কোনটার সাহচার্যে দ্রুত সময় কাঁটে?
এটা পীথাগোরাস্টাইনের দার্শনিক একটা বই। যেহেতু উনি দার্শনিক ছিলেন, তাই এই বইয়ে উনি উনার দর্শনবিদ্যার প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন। আগুন না নারী – এসব বুঝাতে উনি কী সব যেন রিলেটিভিটি মিলেটিভিটি শব্দ আনছেন। নায়ক ছিল এই বইয়ে আইনস্টাইন নামের এক পাগলা। কত কত পাগলামি যে করছে। ট্রেন থেকে নায়ককে লাথি মেরে বের করে দিছিল – তারপর, আবার উঠলো।
আমি ঠিক বুঝি নাই গল্পটা। তবে নেটে দেখলাম, এটা নাকি তার সেরা বই!
আমার রেটিংঃ বুঝিই নাই। (তবে বইটা কিন্তু দুর্দান্ত, একবার পড়লে বারবার পড়তে ইচ্ছা করবে। আমি শুনেছি বইটা নাকি এখন বাজারে নেইও। স্টক শেষ হয়ে গেছে।)
আরো অনেক অনেক বই নিয়েই বলা যেত – কিন্তু পোষ্টটা বড় হয়ে যাবে। তাই আর বেশি বললাম না।
প্রাপ্তিস্থলঃ বইগুলো বেশির ভাগ পাওয়া যায় নেপালের রাজধানী নেপচুনের খুচরা বইয়ের দোকান গুলোতে। সেকেন্ড হ্যান্ড বই। সুলভ মুল্যেই পাবেন। একেকটা বইয়ের দাম হাতের নাগালেই। মাত্র ১০০০ ডলার করে। দামাদামি করা যায় না অবশ্য সেখানে। নেপচুনের মানুষ – একটু ‘ত্যাড়া’ কিসিমের।
তবে, সবগুলো বইই তরতাজা অবস্থায় পাবেন ইংল্যান্ডের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। একদম পানির দরে। বলতে গেলে আপনি যদি বরফ অতিক্রম করে চূড়ায় উঠতে পারেন – তাহলে একদম ফ্রি ই বইগুলো। তবে, সেখানে যাওয়াটা দুষ্কর বলে সবাই নেপালের নেপচুন থেকেই বইগুলো সংগ্রহ করে থাকে।
অনলাইনেও পাওয়া যায়। www.iamgpa5.com এ ঢুকলেই ডাউনলোড অপশন পাবেন। সেখানে পীথাগোরাস্টাইন সেকশনে ক্লিক করলে একসাথেই সবগুলো বই ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। তবে গুজব আছে। এই ওয়েব সাইটটা নাকি মিথ্যা। ঢোকা যায় না। আমি কিন্তু ঠিকই ঢুকতে পেরেছি। আপনি জিপিএ৫ পাওয়া হলে অবশ্যই ঢুকতে পারবেন।
আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।
যদিও বুঝা যায় যে, এটা নাটক জাতীয়। কিন্তু, তারপরেও বিনোদনটা একদম খাঁটি।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা
২| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: খাইসেরে....
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পড়ছেন কয়ডা কন??? খালি ব্লগিং করলেই হয় ভাই - পীথাগোরাসের উপ্ন্যাসও পড়া লাগে -
৩| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:১৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: তার আগে কন হঠাৎ করে বাঙালী জাতি পীথাগোরাসের পিছনে লাগল কেন?
গত ২৪ ঘন্টায় ফেসবুকেও অন্তত তিন জায়গায় দেখছি পীথাগোরাসের উপন্যাস কাহিনী ব্লগেও দেখছি তাই। নিঃশ্চই এর পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে।
আমি পীথাগোরাসের সবগুলো কালজয়ী উপন্যাসই পড়েছি, বড়ই মর্মস্পর্শী।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:১৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কাহিনী ভাই আর কিছুই না। পীথাগোরাস উপন্যাসিক - এটা এতদিন গুপ্ত ছিল। এক সদ্য এসএসসি পাশ করা বাচ্চা ছেলে কালকে এই সত্যের উদঘাটন করছে। তাই সবাই সেটা নিয়ে নিজেদের সুখানুভূতি ব্যক্ত করতেছে
সবগুলা পড়লে তো ঐডাও পড়ছেন মনে হয়!!! ঐ যে ঐডা - বুঝছেন তো?
৪| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৪১
মহা সমন্বয় বলেছেন: এতক্ষণে বুঝবার পারসি কাহিনীডা কি.. সবই ওই এসএসসি পাশ করা ছেলেদের ভিডুর কারসাজি।
যদিও আমি ভিডুটা দেখিনি। কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ওটা ইচ্ছে করে বানানো ভিডিও।
এখানেও দেখলাম পীথাগোরাসের উপন্যাস ধুমাইয়া ডাইনলোড করতেছে সবাই।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:১৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভিডিওয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষাবীদের বক্তব্যও ছিল। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে মিথ্যা বা তাদের লোক দেখানোর শখ বলে মনে হয় না।
তবে, ভিডিওটা বাহুল্যময়। তা বিনা সঙ্কোচেই বলা যায়।
৫| ৩১ শে মে, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পোলাইপান কি উনার উপপাদ্যও পড়ে আসেনি কখনো? মান-ইজ্জত ডুবিয়ে দিলো!
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৭
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভিডিও-টা দাদা নকলই। এই সহজ প্রশ্নে কেউ ভুল করবে না। তারা কিছু একটা প্রকাশ করতে গিয়ে বেশি নিচে নেমে গেছে।
তবে পীথাগোরাসের উপপাদ্য বেশ বড়সরই ছিল। উপন্যাস বলাই যায়।
পঁচাক বা নিজেরাই পঁচুক - ভিডিওটা বিনোদনদায়ক।
৬| ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪৯
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: স্যার আইজ্যাক
পীথাগোরাস্টাইনের বিরাট ভক্ত আমি ।
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: উনি শুনে খুবই আনন্দ প্রকাশ করবেন। হাহাহা
৭| ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পীথাগোরাস্টাইন এর সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং উপন্যাসসমূহের রিভিউ পড়ে অনেকক্ষণ প্রাণ খুলে হাসলাম ! তবে বেশি হাসাহাসি করা ভালো নয় ! এতে আমাদের তারানা আপা সংক্ষুব্ধ হয়ে এধরনের লেখালাখি নিষিদ্ধ করে দিতে পারে বা সামুতে লগইন করতে বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর নির্দেশ দিয়ে দিতে পারে !
নেপচুন কিন্তু নেপালের রাজধানীই ছিল - তবে তা শত আলোকবর্ষ পূর্বে (!) এবং সেটা আমাদের মতো সাধারণ মিডিওয়াকার পাবলিকের জানার কথা নয় ! এটা একমাত্র তারাই জানে যাদের ইএসপি বা এক্সট্রা সেনসরি পারসেপসন অনেক প্রখর ! জিপিএ ৫ তো আর আমাদের মতো রাম সাম যদু মধু পায় না !!!
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমিও ঐ চিন্তা করে সংক্ষিপ্ততেই লিখছি। নাহলে সব জায়গায়ই যদি বায়োমেট্রিক পরীক্ষা দিতে হয় তাইলে ক্যাম্নে কন?
আর ভাই - ভিডিওয়ে কিছু জিনিস অযথা ছিল। বুঝাই যায় - বানানো নকল ভিডিও। তবে, এটা সত্য যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা প্রায় এরকমই। ভিডিওয়ের মত এতটা খারাপ না - কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ খারাপ।
৮| ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট। তবে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তার রচিত How I escaped from GPA 5 উপন্যাসটি নিয়ে কোন আলোচনা নেই। এছাড়া তার উপন্যাসে জীবনবোধের মরমী দর্শন নিয়ে কিছু লিখেন নি। হ্যারি পটারের সাথে তার প্রথম দেখা হওয়ার কাহিনীটা না জানা আপনার অজ্ঞতারই নিদর্শন।
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: How I escaped from GPA 5 - উপন্যাস তো ভাই বিতর্কিত উপন্যাস। বহুল বিতর্কিত। এরজন্যই তো সাইড চাইপা কাইটা গেছি।
মরমী দর্শনের কথা আগে বললে তো স্পয়লার হয়ে যাবে। হাজার হোক - আমি তো আর পাঠককে পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া থেকে দূরে ঠেলে রাখতে পারি না। নিজেরাই পড়ে বের করুক। বলে দিলে তো পড়তই না কেউ। নেপচুনের নেপালি মানুষগুলোও মূল্যবান বইয়ের রাজস্ব গুলো থেকে বঞ্চিত হত।
সত্যিই ভাই - শেষেরটা আমি জানতামই না। জর্জ আর আর মার্টিন তার হ্যারি পটার বইটায় এইটার উল্লেখই করে নাই। ভাউ, বিস্তারিত কন ঐটা নিয়া।
৯| ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:০০
মোশারফ তানভীর বলেছেন: " I'm GPA-5. তুমি কি? " --- এই উপন্যাসটা সম্পর্কে একটা রিভিও চাই?
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বিতর্কিত উপন্যাস ব্রাদা। চুপেচাপে পইড়া গিল্লা ফালান অইডার কথা। শুনছি নাহিদ সাব ক্ষেপছে ঐডা নিয়া। হেয় ক্ষেপলে তো বিপদ। তারানা আপারে বইলা বায়োমেট্রিক পরীক্ষার রুটিন ফালায়া দেয় কে জানে।
চাইপা যান ভাউ!
১০| ৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
বিষন্ন পথিক বলেছেন: দেহ কাটাছেড়া করার সময় আলোকবাতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যদি একটু আলোকপাত করতেন কৃপা করে!
৩১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ঐটা নিয়ে তো ভাই পীথাগোরাস্টাইনের কোন উক্তি বা লেখা নেই।
তবে বিখ্যাত শল্য চিকিৎসক স্যার আলবার্ট নিউটন এই বিষয়ে উনার 'থিউরি অফ অপারেশন সার্চলাইট' বইয়ে এ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। পড়ে দেখতে পারেন বইটা।
১১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০২
কালনী নদী বলেছেন: খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন। পীথাগোরাস আমারও প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব! তিনি সংখ্যাকে ঈশ্বর মনে করতেন। তিন সংখাটি ছিল উনার কাছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব।
০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহা! ধন্যবাদ ভাই!!
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভীষণ মজা পেলুম!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সেই প্রাচীন আমলের পোস্টে কমেন্ট???
আমি তো অবাক!!!
মজাতেই তো লেখারে ভাই। না লাগলে ক্যাম্নে?
যাই হোক - ঈদের শুভেচ্ছা।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গণিতশাস্ত্রের ইতিহাসে যিনি আদি পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন তাঁর নাম পিথাগোরাস। তিনি ছিলেন একাধারে গণিতজ্ঞ, চিন্তাবিদ, দার্শনিক। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বর্তমান তুরস্কের পশ্চিমে ইজিয়ান সাগরের সামস দ্বীপে পিথাগোরাসের জন্ম। এই সামস ছিল গ্রীসের ক্রেতনা দ্বীপের অন্তর্ভক্ত। ছেলেবেলা থেকেই বিদ্যা অনুরাগের প্রতি প্রবল আকর্ষন ছিল পিথাগোরাসের।
তিনিই প্রথম জ্যামিতির জন্য সুসংহতভাবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।
গণিতে তাঁর অবদানের প্রসঙ্গ বলা যায় যে বৈজ্ঞানিক গবেষনায় তিনি অন্য সকলকে অতিক্রম করে গিয়েছেন। ধর্ম ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নির্ণয়ের প্রসঙ্গে পিথাগুরাস বলেন- বিজ্ঞানের মধ্যেই আছে সর্বশ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধতা এবং যে মানুষ এই বিশুদ্ধতাতেই নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন তিনিই শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। অ্যারিস্টটল তাঁর প্রসঙ্গে বলেন- পিথাগোরাসই প্রথম পাটিগনিতকে বাণিজ্যিক প্রয়োজনের সীমারেখার গন্ডি অতিক্রম করে স্বতন্ত্র মর্যদা দিয়েছিলেন। তিনি ত্রিভুজের ব্যবহার জানতেন এবং সংখ্যার মাধ্যমে তা অঙ্গন করতে জানতেন।
পৃথিবীতে কিছু কিছু ক্ষনজন্মা মানুষ আছেন যাদের জীবনগাথা নিয়ে রম্যরচনা তেমন শুভন ও গ্রহনযোগ্য হয়না । কেও যদি করে তাহলেতো তাকে কিছুই বলা যায়না । তবে পিথাগুরাসের মত গুনী লোকের জীবনী যদি সকল পাঠক সঠিক না জানেন তাহলে সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারেন । পাঠকের অনেক মুল্যবান সময় নস্ট হয়ে যেতে পারে । যাহোক পোস্সটের শিরোনাম দেখে এটা পাঠে ব্যয়িত সময়টাকে শিক্ষাখাতে ব্যয় হিসাবে ধরে নেয়া হল ।
ধন্যবাদ
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ভাই, প্রথম প্রশ্ন সার্কাজম বুঝেন?
সার্কাজম বুঝলে তো পিথাগোরাস নিয়ে বিস্তর মন্তব্য করার কথা না। যাই হোক, করেছেন ধন্যবাদ তার জন্য।
গুগোলে পিথাগোরাস লিখে সার্চ দিলে আপনার মন্তব্যের কথাগুলোই পাওয়া যাবে প্রথম দিকে।
প্রথম খাঁটি গণিতবীদ গণ্য করা হয় পিথাগোরাসকেই। এটা মোটামুটি সবারই জানা থাকার কথা।
তবুও, সার্কাজমকে সার্কাজম হিসেবে দেখলেই খুশি হব। পিথাগোরাস নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট হলে আপনার সাথে আলোচনা করা যাবে। সব কথারই নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র থাকে।
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: : ওয়াও,ভাউ ওয়াও।কি করে এত সুন্দর করে লেখেন আপনি???চালিয়ে যান ভাউ।কেউ পুরষ্কার না দিলেও আমি আপনাকে নুপেল দিব।আপনি যেভাবে লিখছেন সেভাবে লিখতে থাকলে আগামী ১০বছরে জাতি একটা ব্র্যন্ড নিউ রবীঠাকুর পেয়ে যাবে।আমরা আপনার হাতে নুপেল দেখতে চাই।
ভাইরে,প্রথমেই আমি কোন কিছু না পইরা কমেন্ট করতে যাচ্ছিলাম:পীথাগোরাস উপন্যাসিক???!!!লেখক ঠিক আছেন তো???
এখন পুরো পোষ্ট পড়ে বুঝতেছি এই কমেন্ট করলে আমি কি হাস্যকর বস্তুতে পরিণত হইতাম।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হাহাহাহা!
পোস্টের সময়কাল দেখেই বুঝা যাওয়ার কথা এটা কীসের প্রেক্ষিতে।
তবে, আপনি না হলেও কেউ কেউ হয়ে গেছে। শিরোনাম দেখেই হাইপার হয়ে গেলে আর কী ই বা করা থাকে।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তখনকার দিনের পন্তডিতদের অনেকেই অনেক বিষয়ের উপর কাজ করেছেন । পিথাগুরাছের মত একজন মেধাবী পন্ডিতের পক্ষে উচু মানের সাহিত্যিক হওয়া অসম্ভব ছিলনা বলে মনে হয়েছিল । অনেক উৎসাহ নিয়ে আপনার লিখাটি পাঠ শুরু করেছিলাম । লিখাটির কিয়দংশ পাঠের পর কৌতুহল বসে গুগলে যেতে হয়েছিল বৈকি তার সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে কোন মুল লিখা পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য , সেখানে যা পেয়েছি তার কিয়দংশ সকলের সাথে শেয়ার করার মানসে একটু তুলে ধরেছিলাম, মন্তব্যে সুত্র উল্লেখটা তেমন বড় করে দেখা হয়না বলে দেয়া হয়নি , । মানুষের জানার কোন শেষ নেই , সে কারণেই গুগল মামা সার্চ করা । সাহিত্য কর্মের উপর তার রচিত কোন পুস্তকের হদিস করতে পারিনি অনেক অনুসস্ধান করেও । লিখাটি পাঠে মনে করেছিলাম আপনার পোস্টটি রম্য হলেও এর রেশ ধরে পিথাগুরাস সস্পর্কে হয়ত অনেক অজানা নতুন তথ্য জানা যাবে । কিছুটা হতাস হলেও পিথাগুরাসের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে । ধন্যবাদ তার সম্পর্কে আরো জানার বিষয়ে কৌতুহল সৃস্টি করার জন্য । কোন কিছু বুঝতে আমার বেশ সময় নেয় এটা আমার অক্ষমতা , তবে সহজ করে বুঝিয়ে দিলে একটু ভাল হয় , যেমন অনেকেই পোস্টটি রম্য কিনা তা শীরোনামে বলে দেন পাঠক যেন বিভ্রান্ত না হয় । যাহোক এটা লিখকের বিষয় , পাঠক হিসাবে বুঝতে না পারা এটা আমারই অপারগতা । নীজের কাছে নীজেই লজ্জিত ।
শুভেচ্ছা রইল
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সার্কাজমকে তো সার্কাজমের জায়গায়ই রাখবেন। আগেকার জ্ঞানী গুণিদের সবাই ই টুকটাক লিখেছে। টুকটাক লিখলেই তো আর সাহিত্যিক হয়ে যায় না। এইটুক তো বুঝা দরকার।
যাই হোক - আমি কখনোই শিরোনামে কোন হিন্ট দেই না। আমার পোস্ট পুরোটা পড়েই বুঝতে হবে যে এটা কী ধরণের পোস্ট।
এটাই আমার লেখালেখির আনন্দ।
নোটিফিকেশন দেরীতে পাওয়ায় প্রতিউত্তর দিতে দেরী হল। আশা করি এতে কিছু মনে করেননি।
১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুললিত প্রতি উত্তরের জন্য । সার্কাজমে ব্যাঙ্গাত্বক বিষয়ের অবতারনা থাকে এটা জানা থাকলেও তার মধ্য থেকেও অনেক সত্যিকার কাহিনী অবগত হওয়া যায় বিশেষ করে লিখকের বাচন ভঙ্গীর উপর ভিত্তি করে আর সেটা বুঝতে হলে পাঠকেরো জ্ঞানের পরিধি হতে হয় যথাযথ । যেমন বাংলা সাহিত্যে প্রখ্যাত ব্যাঙ্গাত্বক সাহিত্য রচনা কারক মনসুর আহমদের রচনায় তীব্র ব্যাঙ্গাত্বক /কৌতুক থাকলেও যার উপরে লিখা তার বিষয়ে সত্যটা বেরিয়ে আসত । যাহোক আমি তো বলেছিই আমার বুঝার অনেক অপারগতা আছে। তা্ই আমি সঠিকভাবে বুঝতে পারি না্ই । ছোট থেকেই আমি অতি বোধাই ছিলাম । কোন কোন পরীক্ষায় ডাব্বা মারতাম পরের বার কোন মতে টেনে টুনে পার হতাম । এরকম করতে করতে বিভিন্ন ভাবে ট্রায়াল এন্ড এরর মেথডে শিখে শিখে এগুচ্ছি । সামুর পাতায় কয়েক মিনিট পর পরই পোস্ট আসছে তাই অনেক লিখার ভীরে শিরোনামটা আমাকে প্রলুদ্ধ করে সে লিখাটি পাঠে এবং কোন লিখা একবার ধরলে সেটা পারতপক্ষে শেষ না করে উঠিনা । লিখাটি পাঠে প্রায় অনেক জায়গাতেই লিখাটি ভাল লাগা না লাগার কারণ একটু বিস্তারিত বলে আসি । সব কথাই হয়ত অনেক লিখকের কাছে ভাল লাগেনা , জবাবে অনেক সময় অপ্রিয় কথাও শুনতে হয় , আমিও তা সানন্দে মেনে নিই নীজের অপরিনামদর্শী কথা মালার কারনে । তবে এতে বরং আমার লাভই হয় ভবিষ্যতের জন্য নীজকে শুধরে নিতে পারি । জ্ঞানের পরিধি আমার খুবই কম তাই জ্ঞান আহরনের জন্য আমাকে যথেস্ট মুল্য দিতে হয় । এটা আমার প্রাপ্তি বলে ধরে নিই ।
উত্তর দানে দেরীর বিষয়ে কিছু মনে করিনি , মনে করার মত মানুষই আমি নই । আমার লিখায় আহত হলে অাশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন ।
ধন্যবাদ , ভাল থাকার শুভকামনা রইল ।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
শরতের ছবি বলেছেন:
লেখাকে মজা করে লেখার ক্ষমতা আপনার আছে তা আমি বেশ বুঝেছি --- আপনার লেখায় একটা আকর্ষণ থাকে । বেশ তথ্য বহুল ও হয়-ই । যেখানে যে তথ্যের প্রয়োজন আপনি তার ভালই যোগানদান করেন ।
এটি বেশ ভাল লেখেছে । মাশরাফিকে নিয়ে একজন অঞ্জন ঝনঝনের পোস্ট এ আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভাল লেগেছিল । ওটা ছিল কাউন্টার এটাকের মত ।বেশ খুশি হয়েছিলাম মন্তব্যটা যুতসই হয়েছিল বলে ।
লেখা ফেসবুকে সেয়ার দিয়ে দিলাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
শরতের ছবি বলেছেন:
কেন আমার ফেসবুকে দিলাম আপনি বুঝছেন ? যাতে জিপিএ ৫ রা সহজেই দেখতে পায় । এরা কষ্ট করে কিছু খোঁজে দেখার পাত্র নয় ,তাই ডিজিটাল করে দিলাম । পিতা গো রাজ বাংলাদেশে বিখ্যাত হয় কবে ? সেই গত কয় দিন আগে ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
জিপিএ ৫ পাওয়াদের আসলে দোষ নেই। দোষটা হল জিপিএ ৫ কে পরিহাসে বস্তু বানানো মানুষগুলোর।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩২
Mouharram Imam Chowdhury বলেছেন: ভাই ভাল লাগছে