নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই যে আছি ....থাকবো না তো.....সময় হলে সঙ্গে যাবার....কেউ যাবে কি? কেউ যাবে না.....কেউ যাবে না-....।আমি তো নই কারো চেনা।

রৌদ্র নীল

রৌদ্র নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪৫৩- ফাতিহ সুলতানের কনস্ট্যান্টিনোপল জয় ও ইসলাম বনাম ক্রিশ্চিয়ানিটি

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪


পর্ব-৩

যতটুকু জানা যায় ৬৭৪ সালের মুসলমানদের কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধের কাছাকাছি সময়কালে, কলিনিকোস নামে একজন গ্রীক সিরিয়া থেকে কনস্টান্টিনোপলে পালিয়ে এসেছিল। সিফনের কাপড় ব্যবহার করে তরল আগুন লাগানো যায় সে ব্যাপারে তার দক্ষতা ছিল। মিশ্রণের মূল উপাদানটি ছিল কৃষ্ণ সাগরের প্রাকৃতিক পৃষ্ঠের কূপগুলি থেকে অপরিশোধিত তেল। তার সাথে গুঁড়ো কাঠ ও রেজিন মিশ্রিত করা হত। এর ফলে আঠালো একটা বৈশিষ্ট্য পাওয়া যেত। দীর্ঘ অবরোধের সময় শহরের গোপন সামরিক অস্ত্রাগারগুলিতে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল । বাইজেন্টাইনরা, যারা রোমান সাম্রাজ্যের ব্যবহারিক প্রকৌশল দক্ষতার উত্তরাধিকারী বলে মনে করা হয়, তারা মূলত সিল করা ব্রোঞ্জের পাত্রে মিশ্রণটি গরম করার একটি কৌশল আবিস্কার করেছিল করেছিল। পরে এটি একটি হাত দিয়ে চালানো পাম্পের মাধ্যমে মিশ্রণটিতে চাপ প্রয়োগ করে। অতিরিক্ত চাপ কাজে লাগিয়ে পাত্রের অগ্রভাগের মাধ্যমে তরল দাহ্য পদার্থ বের হয়ে আসে। এবং তাতে আগুন ধরানো হয়। যদিও কাঠের নৌকায় দাহ্য পদার্থ, চাপ এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ উৎপাদন কৌশল এবং উচ্চ দক্ষ লোকের প্রয়োজন ছিল। বলা যতটা সহজ ব্যবহারিক প্রয়োগ তেমনি কঠিন ছিল। তবে বাইজেন্টাইনদের এই সফলতা আজও রহস্য।

৬৭৮ সালে আরবদের মনোবলকে ভাঙার পিছনে গ্রীক অগ্নিকান্ডই দায়ী। চল্লিশ বছর ধরে কনস্টান্টিনোপলের ধাক্কাটি দামেস্কের উমাইয়া খলিফাদের হজম করতে কষ্ট হয়। ইউরোপে ইসলাম বিস্তারের জন্য মুসলিম শাসকরা বরাবরই সচেষ্ট ছিল। আরব আক্রমণ থেমে থাকেনি। সিংহাসন নিয়ে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অশান্তির সময়েও আরবরা আবার ফিরে আসে।

২৫ মার্চ, ৭১৭ সালে নতুন সম্রাট, দ্বিতীয় লিও সিংহাসনে আরেহণ করেন। পাঁচ মাস পরে একসকালে তিনি দেখতে পেলেন ৮০০০০ লোকের একটি সেনা স্থল প্রাচীরে পরিখা খনন করছে এবং ১৮০০০ নৌজাহাজের একটি বহর বসফরাস প্রণালী নিয়ন্ত্রণ করছে। পূর্ববর্তী অবরোধ থেকে আরবরা তাদের যুদ্ধ কৌশল আরো এগিয়ে নিয়েছিল। মুসলিম জেনারেল মাসলামার এতটুকু বুঝতে পেরেছিল যে শহরের প্রাচীর পেরিয়ে যাওয়া অভেদ্য, তাই আঁটসাঁট অবরোধ দেয়া হয়। মুসলিম সেনাবাহিনী তাদের সাথে গমের বীজটাও পর্যন্ত এনেছিল- এর দ্বারাই বুঝা যায় এ শহরের দখল নিতে তারা কতটা মরিয়া ছিল। ৭১৭ সালের শরৎকালে তারা মাটি চষে বেড়ায় এবং বসন্তে অপেক্ষা করে ফসল কেটে দেয়ালের বাইরে খাদ্য মজুত করার জন্য। এরমধ্যে বাইজেন্টাইনরা আবার তাদের পুরোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল , সাময়িক সফলতা পেলেও, এবার আর তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি।

কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। এবার যা ঘটেছিল তা ছিল অকল্পনীয় বিপর্যয়। মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে, সম্রাট লিও একটি অসাধারণ কূটনৈতিক দ্বিমুখী চাল খাটায়। তিনি মাসলামাকে প্ররোচিত করেছিলেন যে, যদি আরবরা তাদের নিজস্ব খাদ্যশস্যের গুদাম ধ্বংস করে দেয় এবং বাইজাইন্টাইনদের কিছু শস্য দেয় তবে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেন। জয়ের জন্য মরিয়া সেনাপতি মুসলামা তাদের কথামত কাজ করলে, লিও দেয়ালের পিছনে শক্ত হয়ে বসে এবং সম্পূর্ণ চুক্তি অস্বীকার করে। তখন শীতকাল প্রায় আসন্ন। এ প্রতারণায় আরব সেনাবাহিনীকে শীতের তীব্রতার মুখোমুখি হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। একশো দিন ধরে মাটিতে তুষারপাতের ফলে; উট ও ঘোড়াগুলো মারা যেতে শুরু করে। ক্ষুৎপীড়িত সৈন্যদের পশুগুলোকে খাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। দুর্ভিক্ষের পরে রোগ হয়; হাজার হাজার সৈন্য শীতে মারা যায়। আরববাসীদের কখনো বসফরাসের শীতের বিস্ময়কর তীব্রতার অভিজ্ঞতা ছিল না: মৃতদেহকে বরফের উপর কবর দেওয়া খুব শক্ত ছিল; কয়েকশ লাশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া ছাড়া তাদের উপায় ছিল না।

পরের বসন্তে একটি বিশাল আরব বহর আটক সেনাবাহিনীর জন্য খাদ্য এবং সরঞ্জামাদি নিয়ে এসেছিল তবে ভাগ্য এবারও অনুকুলে ছিল না। গ্রীক আগুনের বিপদ থেকে সতর্ক থাকার জন্য এশিয়ান উপকূলে জাহাজগুলি খাবার নামিয়ে দেওয়ার পরে লুকিয়ে রাখা হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু মিশরীয় খ্রিস্টান নাবিক খ্রিস্টান সম্রাটের দলে যোগ দেয়, মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। অপ্রস্তুত আরব জাহাজের উপর আবারও বাইজেন্টাইনরা তাদের উদ্ভাবিত আগুন ছুঁড়ে। সবগুলো আরব জাহাজ এবারও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সিরিয়া থেকে প্রেরণ করা ত্রাণের জাহাজও বাইজেন্টাইন পদাতিকরা টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল। ইতিমধ্যে সম্রাট লিও পৌত্তলিক বুলগারদের সাথে চুক্তি করেছিল।তাদের সাথে চুক্তি ছিল মুসলিম বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার; ফলস্বরূপ, আরো ২২০০০ আরব নিহত হয়।

১৫ আগস্ট, ৭১৮ খ্রিস্টাব্দে, এত কিছুর পরও এক বছর অবধি মুসলিম সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ ধরে রাখে। শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কিন্তু স্থল ও সমুদ্রপথে এবার প্রকৃতির বাধা। কিছু জাহাজ মর্মর সাগরের ঝড়ের কবলে পড়ে; বাকিরা ইজিয়ান সাগরের ভূগর্ভস্থ আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে হতাহত হয়। যে বিস্তৃত বহরটি যাত্রা করেছিল, শেষপর্যন্ত তার মধ্যে কেবল পাঁচটি জাহাজ সিরিয়ায় ফিরে যেতে পারে ।

বাইজান্টিয়াম সাম্রাজ্যের উপর দিয়ে ধকল গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু ইসলামের আক্রমণে তা তখনও ভেঙে পড়েনি। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দক্ষ কূটনীতি, বিশাল দুর্গ - এবং নিছক ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়াতে কনস্ট্যান্টিনোপল তখন বেঁচে গিয়েছিল: পরবর্তী শতাব্দীগুলোতেও যতবার আক্রমণ হয়েছে এরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল।

তাই এ পরিস্থিতিতে আসলে অবাক হওয়ার মতো কিছু ছিল না, যদিও বাইজেন্টাইনদের নিজস্ব ব্যাখ্যা ছিল:

“যীশু এবং সমস্ত পবিত্র কুমারী, যীশুর জননী (মেরী) শহর ও খ্রিস্টান সাম্রাজ্যকে রক্ষা করুন এবং… যারা সত্যিকার অর্থে ঈশ্বরকে ডাকে তাদের ঈশ্বর পুরোপুরি ত্যাগ করে না, এমনকি যদি আমাদের পাপের কারণে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি শাস্তি দিয়েও থাকেন।"

৭৭১ সালে আরবদের শহর দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল। কনস্ট্যান্টিনোপল পতনের ফলে ইউরোপে মুসলিম বিশ্ব সম্প্রসারণের পথ খুলে যেত, হয়ত তারা পাশ্চাত্যের পুরো ভবিষ্যতকে নতুন রূপ দিত; তাই মুসলিমদের এই ব্যর্থতা ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ কয়েকটি "যদি হত" এর একটির মধ্যে রয়ে গেছে। তবে ইউরোপে মুসলিমদের জয়রথের চুড়ান্ত পথ বন্ধ হয়, পঞ্চাশ বছর পর প্যারিসের মাত্র দেড়শ মাইল দক্ষিণে লোয়ারের তীরে যখন আরেকটি মুসলিম বাহিনী পরাজিত হয়।

ইসলামের জন্যই কনস্টান্টিনোপলে পরাজয়ের তাৎপর্য সামরিকের চেয়ে বরং ধর্মতাত্ত্বিক ছিল। ইসলামের প্রথম শতাব্দীতে বিশ্বাসের চূড়ান্ত বিজয় নিয়ে সন্দেহ করার খুব কম কারণ ছিল। ইসলামে জিহাদ এমনি বিষয় যা অনিবার্য বিজয়কে নির্দেশ করে। কিন্তু কনস্ট্যান্টিনোপলের দেয়ালে ইসলামের প্রথম শতাব্দীর যোদ্ধারা ধাক্কা খাওয়ার পর তাদের সাময়িকভাবে থেমে যেতে হয়।

খ্রিস্টান ধর্ম বিস্তৃত হওয়ার পিছনে মিশনারীদের বুদ্ধি এবং ধর্মান্তরকারীদের জয়ের ইচ্ছা দুয়ের সংমিশ্রণ ছিল। কনস্টান্টিনোপল থেকেই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত দুটি সত্য ধর্মের সংস্করণের মধ্যে দীর্ঘকালীন লড়াইয়ে সূচনা ঘটে। মাঝামাঝি সময়ে, মুসলিম চিন্তাবিদরা হাউস অব ইসলাম এবং হাউস অব ওয়ার এর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছিল; যদিও তাদের মতে, অবিশ্বাসীদের চূড়ান্ত বিজয় স্থগিত করতে হবে, এবং তা পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলবে।

চূড়ান্ত বিজয় ঠেকানোর জন্য কিছু ফিকহবিদরা তৃতীয় একটি ধারণা প্রবর্তন করেছিলেন। যাকে হাউস অফ ট্রুস বলা চলে, সোজা কথায় অবিশ্বাসীদের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি।

বাইজান্টিয়াম মুসলিমদের রণকৌশলের দুর্বল দিকটা বের করে আনে। পাশাপাশি মুসলমানদের অন্তরে রেখে যায় এক গভীর ক্ষত। এ নগরীর দেয়ালে অনেক শহীদ তাদের জীবন দান করে গেছেন। নবী মুহাম্মদ (স) এর সহচর আইয়ুব (রা) ​ও ছিলেন এ দলে। তাদের মৃত্যু এই শহরটিকে ইসলামের জন্য একটি পবিত্র স্থান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে এবং এর দখল ধর্মীয় দিক থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি অবরোধগুলো নিয়ে বিভিন্ন লোককাহিনী মানুষের মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি কয়েক শতাব্দী পরে নবী (স) এর এ সংক্রান্ত হাদীসও দ্রুত লোকমুখে প্রচলিত হয়। তাঁর এক ভবিষ্যদ্বাণী লোকমুখে খুব প্রচলিত হয়েছিল, যেখানে এ শহর দখলে অনিচ্ছুক, বিজয়ী ও শহীদদের নিয়ে পূর্বাভাস করেছিলেন:

কনস্ট্যান্টিনোপলদের বিরুদ্ধে জিহাদে, এক তৃতীয়াংশ মুসলিম পরাজয় স্বীকার করে নিবে, যাদেরকে আল্লাহ কখনও ক্ষমা করবেন না; এক তৃতীয়াংশ যুদ্ধে শহীদ হবে এবং এক তৃতীয়াংশ বিজয়ী হবে। " বুঝাই যাচ্ছিল এটি একটি দীর্ঘ পরিসরের যুদ্ধ হবে। এ ভবিষ্যদ্বাণীতেই আভাস ছিল যে মুসলিমরা আবার ফিরে আসবে।

হাজার বছর আগে গ্রীক কিংবদন্তি বাইজাস কর্তৃক নির্মিত কনস্টান্টিনোপল, মাসলামার বাহিনী ঘরে ফেরার সময় ৪০০ বছর পার করে ফেলেছিল খ্রিস্টান নগরী হিসেবে। ৩২৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট কনস্টান্টাইন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বিবেচনা করে তার নতুন খ্রিস্টান রাজধানীর জন্য জায়গাটি নির্বাচন করেছিলেন । প্রাকৃতিকভাবেই ছিল অভেদ্য, সাথে ছিল সুদৃঢ় দেয়াল। সুপেয় পানির যতটা অভাব ছিল তাও দূর করেছিল রোমান স্থাপত্যবিদদের কলাকৌশল।

জায়গাটি বাণিজ্যকভাবে ও সামরিক দিক হতেও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পার্সিয়ান রাজা দারিয়াস সিথিয়ানদের সাথে লড়াই করার সময় ৭০০০০ সৈন্য নিয়ে এখানেই নৌকা জোড়া দিয়ে ব্রিজ তৈরি করেন । প্রাচীন রোমান কবি ওভিড কৃষ্ণ সাগরের তীর দিয়ে যাওয়ার সময় “দু'সাগরের বিশাল প্রবেশপথ” এর দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলেন, কবিতা লিখেছেন এর সৌন্দযে মুগ্ধ হয়ে। চৌরাস্তার উপর দঁড়িয়ে থাকা এ বিস্তীর্ণ খ্রিস্টান শহরটি একসময় সমস্ত ভূখণ্ডের সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করত। পূর্ব দিকে, মধ্য এশিয়ার ধনসম্পদগুলি বসফরাস হয়ে বড় নগরীগুলির রাজাদের গোডাউনে প্রবেশ করত। রাশিয়া হতে আসত স্বর্ণ, পশুর চামড়া এবং দাস; কৃষ্ণ সাগর হতে ক্যাভিয়ার; দূর প্রাচ্য হতে আসত মোম, লবণ, মশলা, হাতির দাঁত, অ্যাম্বার কাঠ আর মুক্তা। দক্ষিণের পথ ধরে চলে যাওয়া যেত মধ্য প্রাচ্যের বড় শহরগুলিতে : দামেস্ক, আলেপ্পো কিংবা বাগদাদ। এবং পশ্চিমে, দার্দানেলিস দিয়ে সরু সমুদ্রপথ গুলো ভূমধ্যসাগরে গিয়ে মিশে যাওয়াতে মিশর ও তার নীল বদ্বীপ, সিসিলি এবং ক্রিটের সমৃদ্ধ দ্বীপগুলি, ইতালীয় উপদ্বীপ এবং জিব্রাল্টার প্রণালী আপনি, যেখানেই যেতে চান তার সবগুলো রাস্তা আছে এখানেই ।

(চলবে)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ফাতিহ সুলতান কে নিয়ে কি কোনো মুভি হয়েছে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

রৌদ্র নীল বলেছেন: আমার জানামতে, সরাসরি ফাতিহ সুলতানের উপর হয়নি। ১৪৫৩-এর কনস্ট্যান্টিনোপল জয় নিয়ে হয়েছে।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ইতিহাস নির্ভর লেখা। চমৎকার হয়েছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

রৌদ্র নীল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার এই সিরিজটি খুবই আকর্ষণীয় এবং বর্ণনাগুণে অসাধারণ হয়েছে। কিন্তু, সিরিজটি অনাকর্ষণীয় হয়ে যাচ্ছে আপনার মন্তব্যের জবাব না দেয়ার স্বভাবের কারণে। ব্লগ একটা ইন্টারেকটিভ প্লাটফর্ম, ছাঁপার বইয়ের মত একমূখী নয়। আপনি গত ২০, ২১ এবং আজ ২২ তারিখে এই সিরিজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্ট দিয়েছেন, তার মানে আপনি আগের পোস্টদুটিতে পাঠকদের মন্তব্য দেখেছেন, তারপরও যখন উত্তর দিচ্ছেন না বা দেয়ার গরজ করছেন না, তখন স্বাভাবিকভাবেই পাঠকদের আগ্রহ আপনি হারাতে থাকবেন। কারণ আগেই বলেছি যে ব্লগ ছাঁপার বইয়ের মত একমূখী নয়।

এ অবস্থায় আপনার সুন্দর লেখাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং আরও বেশি পাঠকের কাছে পৌঁছাতে আপনার আরও ইন্টারেকটিভ হওয়া প্রয়োজন। আপনার লেখাগুলো সেটা ডিজার্ভ করে।

থ্যাংক ইউ স্যার, শুভ ব্লগিং।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

রৌদ্র নীল বলেছেন: আমি আসলে ব্লগে খুবই inactive. আপনার উত্তর দিয়েছি। আপনি কমেন্ট করার আগেই। আমি এই সিরিজ লেখার চার বছর আগে সামুতে নিয়মিত ছিলাম। চার বছর পর আবার এই লেখা দিয়ে শুরু করেছি।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি দুঃখিত, মনে হয় আপনি এবং আমি একই সাথে মন্তব্য লেখা শুরু করেছিলাম। আপনি চাইলে এই কথপোকথন মুছে দিতে পারেন... আর ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যর জন্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪

রৌদ্র নীল বলেছেন: হাহা। নো প্রবলেম। থাকুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.