নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ ভরা পথচলা মোর, হাটছি দিবারাএ

রাফসান বড়ুয়া

আমি মানুষ তাই সকলেই ঠকায়

রাফসান বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয় যখন স্টার জলসা "ধারাবাহিক পর্বের ১ম পর্ব"

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

মডারেটরগণের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক বলা গেল যে পোষ্টটিকে নির্বাচিত করা হোক। কেননা এতে আমি একটা বিষয় সবার সামনে নতুন করে তুলে ধরার প্রয়াস পেতাম।







বুড়ো, বুড়ি, আবাল, ছাবাল, বৃদ্ধ, বনিতা সকল শ্রেণীর মানুষের যে হারে স্টার জলসা এবং সমমানের অনান্য টিভি চ্যানেল এর প্রতি এহেন আগ্রহ জন্মাছে তা দেখে মাঝে মাঝে খুবই অবাক হই। নিতান্তই কৌতুহলের বশে কখনো তাদের দলে গাল টোলানো লজ্জা নিয়ে একটু আধটু ভিড়লে যা জানতে পারি বা যা আমার অপক্ক মষ্তিষ্কে প্রগাঢ় ভাবে মানসপটে ভেসে ওঠে তাতে লজ্জায় দ্বিগুন লাল করে গাল টুলিয়ে পালাবার রাস্তা পাইনা। যাহোক, গাল-গপ্পো রেখে মোদ্দা কথায় ফিরে আসি। মান, গ্রহনযোগ্যতা, যুক্তি, শিক্ষা, উদ্দেশ্য, সৃজনশীলতা, যুগোপযোগীতা, সামজ্ঞস্যতা, বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা, ভাষা, প্রান্জলতা, সার্থকতা, সৌন্দর্যতা এগুলোর কোনটার সর্ব্বোচ, যথাযথ, সঠিক ব্যবহার বা প্রতিফলন চোখে মনের ভুলেও ধরা পড়েনি। আমাদের নিজস্ব নাটকীয় সংস্কৃতিতে যার অভাবনীয় ব্যবহার আমাকে সবসময় ভাবিয়েছে। আমার ধারাবাহিক আলোচনার এ অংশে থাকবে কিছু তুলনামূলক পর্যালোচনা।



০১. স্হায়িত্ব বা ব্যাপ্তিকাল:

এক বা কয়েক পর্ব, ধারাবাহিক, মেগা ধারাবাহিক এগুলো স্হায়িত্ব বা ব্যাপ্তিকাল অনুসারে আলাদা হলেও এগুলোকে দর্শকদের জন্য গ্রহনীয় ও সহনীয় করে তৈরী ও প্রচার করা উচিত। অযাচিত ভাবে মূর্খের মত পর্বের সংখ্যা ও নাটকের কলেবর বড় বানানোর যে ঘৃন্য ও হাস্যকর প্রানান্ত প্রচেষ্টা আমি তাদের মাঝে দেখেছি সেটা একজন সফল নির্মাতার যোগ্যতার উপর সরাসরি প্রশ্ন তোলে। তাই নয় কি?

কথিত চ্যানেলের কয়েকটি নাটক তো এমন, যে বাচ্চা মেয়েটি নাটক শুরু করল সেই একই মেয়েকে যুবতী বা বিয়ের উপযুক্ত বানিয়ে ছেড়েছে। তার আগের কাপড় যে তাহার এখনকার শরীরের ভার নেবার যোগ্যতা অনেক আগেই হারিয়েছে সেটা গুনধর নির্মাতা চাতুর্যের সাথে আড়াল করেছেন। সে গায়ে ফ্রকের বদলে নিত্য-নতুন শাড়ী ও 18+ কাপড় স্বাচ্ছন্দে শোভা পায় । না, না মোটেই ভাববেন যে নাটকের কলাকুশলীদের সাথে সাথে আমাদের (বাংলাদ্বেশী) দর্শককুলের বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ভাবনা যে মনে আনাও পাপ। তারা যে সেই আগেকার শিশু, সেই আগেকার বৃদ্ধা, সেই আগেকার তরুণী, সেই আগেকার যুবতী হয়েই রয়েছে। তারা যে সেই আগেকার সমান আগ্রহে টিভি অন করে জলসার লোগো মনে মনে কল্পনা করতে ভালবাসেন, সেই আগেকার মতই দেশের টাকা বাইরে পাঠায় সেই আগেকার মতন যত্ন নিয়েই। সেই আগেকার মহান অন্তর কি এত সহজেই বদলে যাবে? সে যে হওয়ার নয়, সে যে হবে না। বলাবাহুল্য, কাহিনী বা বিষয়বস্তু যেটা সেই নবযৌবনা মেয়েটা বাল্যময় শৈশবে শুরু করেছিল সেটা কিন্তু আজ সম্পূর্ণ আলাদা। শুরুতে যুদ্ধটা “মা” নিয়ে থাকলেও এখন সেটা জীবনসঙ্গী বা অর্ধাঙ্গীকে নিয়ে। সেখানেও নাকি এক জগাখিচুড়ি অবস্হা। আমি নিশ্চিত তাদের এহেন যুদ্ধ তাদের ছেলে-মেয়েদেরও করতে হবে এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের চরিএ এর জন্য আপনাদের মোটেই কষ্ট করতে হবেনা। তাহলে তাদের সত্যিকারের ছেলে-মেয়েরা থাকবে কি করতে? আর তখনও কিন্তু আমাদের দেশের সেই-সকল চিরতরুণ-তরুণী, চিরসবুজ সকল বুড়ো-বুড়ি সেই আগেকার আগ্রহ নিয়ে টিভি অন করে বসে থাকবেন। আহা এ যে স্টার জলসা!!!







coming up next: ০২. চরিএ এবং ঘটনা প্রবাহের যথেচ্ছ ব্যবহার:

যে কোন ব্যাক্তি কপি করে অন্য কোন স্হানে ব্যবহার করতে পারেন তবে লেখকের নাম এবং উৎস উল্লেখ করতে হবে। প্রতিদিন আপডেট হবে ইনশাআল্লাহ।।।।



অনুলিপি হুবুহু প্রকাশিত হল:

১। টেকটিউন

২। প্রধানমন্তীর কার্যালয়ের মেইলে

৩। https://www.facebook.com/starjalshaofficialpage স্টার জলসার ফেসবুক পেজে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.