![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মসজিদের মধ্যে মৌলবি সাব ওয়াজ করেন দান করার কি ফযিলত, মসজিদে এসি লাগানো দরকার আল্লা’র কাজে আর মন বসে না, গরম লাগে। এসির জন্য দান করে……ন। ভাইয়েরা আল্লায় জান্নাতে এসির মইধ্যে রাখবো।
এসি কেনা হল, ঝকমকা টাইলস, রঙবেরঙের ঝাড়বাতি, দামী কার্পেট ইত্যাদি দেখে মনে হয় ইবাদত খানা নয় এটা রাজার দরবার।
চার বছরে মসজিদের ভেতরে যত উন্নতি হয়েছে বাইরেও ভিক্ষুকের সংখ্যাও রীতিমত পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। ওরা রোদের মধ্যে পিচের রাস্তায় হামাগুড়ি দেয়। আল্লা, আল্লা, দুইডা টাহা দ্যান ভাই!
হুজুরের ডাক আর ফকিরের ডাকের মধ্যে একই সুর, তবু ফকির কেন রোদে বসে ভিক্ষা করে আর পেটপূজারী হুজুর ও লোভী-স্বার্থপর মুসল্লির দল এসির মধ্যেও শান্তি পায় না। নজরুলের "মানুষ" কবিতাটি মনে পড়ে গেল-
মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি!
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে ‘বাবা, আমি ভুকা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল মোল্লা – “ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – তা’ হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুদার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু
আহ! ইসলামের কি সুমহান শিক্ষার বাস্তব উদাহরণ। ওমরের মত মানুষ হতে পারতাম! সব মসজিদের শান শওকাত খুলে ফকিরদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতাম।
কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতাম।
যৌতুকমুক্ত বিয়ের আয়োজন করতাম।
অর্থাভাবে শিক্ষা থেকে ঝরে যাওয়া ছাত্রদের বইপত্র কেনার টাকা দিতাম।
ভুড়িওয়ালা মুসল্লিগুলানরে রাস্তায় রোদে দাড় করিয়ে রাখতাম, দুনিয়ার এই সামান্য গরম সহ্য করতে পারোনা ব্যাটা রোজ কেয়ামতে হাজার হাজার বছর কেমনে দাড়ায়া থাকবা?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
রাখালছেলে বলেছেন: ভালই বলেছেন।