নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: অন্তরে অতৃপ্তি রবে....

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মিহিকার সাথে যখন আমার পরিচয় হয়েছিলো, তখন আমি মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকা এক মানুষ। হাসপাতালে আমার কেবিনটা থেকে ওর বাসার ছাদ দেখা যেতো। ঢাকা শহরে মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়ছে, কিন্তু ইট-পাথরের দালানেরা সব নিকটবর্তী হচ্ছিলো ক্রমে। ওদের রেলিং আর আমার জানালার মধ্যে ব্যবধান ছিলো বড়জোর এক থেকে দেড় ফুটের মত।

প্রতি বিকেলে ছাদে খেলতে আসতো মিহিকা, অথচ ওর বয়েসী বাচ্চাদের এই সময়ে ছুটোছুটি করে বেড়ানোর কথা। ঢাকা শহরে শিশুদের জন্য খেলার জায়গার অভাব, কিন্তু জায়গা থাকলেও মিহিকাকে খেলতে নিতো না কেউ, কারণ ওর দু'টো পা-ই ছিলো প্লাস্টিকের। কৃত্রিম। এ কারণে স্কুলেও ওর কোনো বন্ধু গড়ে উঠতে পারে নি কখনো। সবাই মিহিকাকে হিসাবের বাইরে রেখে খেলা অথবা পার্টির আয়োজন করতো। শান্ত মেয়ে মিহিকা তখন চুপচাপ বসে রইতো ক্লাসে, অথবা টিফিন টাইমে হোয়াইট বোর্ডের গায়ে একটা কি দু'টো অক্ষর লিখতো লক্ষয়হীন অনিশ্চয়তায়।

এসব কথা মিহিকাই বলেছিলো আমাকে। ক্লাস ফোর পড়ুয়া একটা মেয়ের সাথে এতো সখ্যতা গড়ে ওঠাটা সহজ নয়, কিন্তু মিহিকার পোষা এক জোড়া খরগোশ ছিলো। আমি আগে থেকেই খরগোশ পালনের ব্যাপারে অনেককিছু জানতাম, সেই সূত্র ধরে মেয়েটার সাথে খাতির জমানোর চেষ্টা করলাম। একদিন ও আমার দিকে পেছন ফিরে বসে খরগোশ দু'টোকে আদর করছিলো, আর বিড়বিড় করে কথা বলছিলো বোধহয় প্রাণীদু'টোর সাথে। আমি কোন সম্বোধন ছাড়া ওকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম-

"খরগোশ শুধু গাজর খায়- এই কথাটা কিন্তু ভুল। ও ভাত, খিচুড়ি, পোলাও সবই খায়, জানো !"

মিহিকা কিছুটা সংকোচ, কিছুটা অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো।

"এমনকি ও বার্গার দিলেও খাবে...." তারপর একটু থেমে বললাম- "তুমি বার্গার পছন্দ কর?"

এভাবেই মিহিকার সাথে আমার এলোমেলো কথোপকথনের শুরু। দুপুরে খাওয়ার পর নার্স আমাকে ঘুমাতে বলে যেতো, কিন্তু আমার আর ঘুম আসতে চাইতো না কেনো জানি। মিহিকার আসার অপেক্ষায় নাকি অতীতের নানা কথা স্মরণ করতে করতে অলস দুপুরগুলো পার হয়ে যেতো কুয়াশার মিলিয়ে যাওয়ার মত। খরগোশের ব্যাপারে আমি এতো কিছু জানি কারণ শুভ্রারও এক জোড়া খরগোশ ছিলো। আমিই কিনে দিয়েছিলাম ওকে। শুভ্রা মারা যাওয়ার পর ভেবেছিলাম খরগোশগুলোকে কাটাবন বেচে দিয়ে আসবো, কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে ওরাও মারা গেলো খুব অল্পদিনের ব্যবধানেই। খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ করে দিয়েছিলো, অথচ শুভ্রার একান্ত আপনজন, তার স্বামী হওয়া সত্বেও ওর মৃত্যুশোক আমাকে খাবার থেকে বিরত রাখতে পারে নি। কি আশ্চর্য, একই সাথে নিষ্ঠুর একটা ব্যাপার !!

তবে আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম যখন আমার ক্যান্সার ধরা পড়ার খবর এলো। শুধু ধরা পরলেও অবশ্য কথা ছিলো, ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন- একেবারে লাস্ট স্টেজ চলছে। এখন নাকি আর খুব বেশি করার কিছু করার নেই তাঁদের। আমি এক প্রকার খুশিই হয়েছিলাম যদিও। বয়স মধ্য ত্রিশে- যখন কি না মানুষ জীবন গঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকে- ঢাকার এক কাজ চালানোর মত ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে গেছিলাম মৃত্যুর প্রস্তুতি নেবো বলে। শুভ্রাকে ছাড়া জীবন অসহনীয় ঠেকছিলো আমার কাছে। প্রায়ই ডাক্তার-নার্সদেরকে জিজ্ঞেস করে করে জ্বালিয়ে মারতাম- "আর কয়দিন আছে হাতে?"

মিহিকার প্রতি সম্ভবত আমি দুর্বল হয়ে পরেছিলাম অবশ্য ভিন্ন একটা কারণে। শুভ্রা প্রায়ই বলতো- ওর নাকি প্রজাপতি প্রজাপতি চোখ, নরম কোঁকড়া চুল আর আদুরে কাঁধের একটা মেয়ে হবে। মিহিকাকে প্রথম দেখাতেই আমি চমকে উঠেছিলাম সে জন্য। ও প্রায়ই আমার দিকে পেছন ফিরে বসে থাকতো, তখন ওর মায়া মায়া কাঁধ দু'টো অবাক হয়ে দেখতাম আমি। ডাকলে মাথা ঘুরিয়ে তাকাতো আমার দিকে, ওর পলক ফেলা দেখেও মনে হতো যেনো প্রজাপতি ডানা ঝাপটাচ্ছে। মাঝে মাঝে খেয়ালী বাতাস এসে ওর কার্লি চুলগুলোকে চোখের ওপর এনে ফেলতো। একটুও বিরক্ত না হয়ে মিহিকা চুল সরাতো ওর চোখের ওপর থেকে। কখনো বা সরাতো না !

একদিন মিহিকা জানতে চেয়েছিলো- খরগোশের ব্যাপারে আমি এতো কিছু জানি কিভাবে ! আমার কি আগে কখনো কোনো খরগোশ ছিলো কি না। তখন আমি ওকে শুভ্রার গল্প বললাম। বললাম- 'ক' আর 'খ' এর কথা, আমাদের খরগোশদু'টিকে শুভ্রা এই নাম দিয়েছিলো.....

আমি যেমন আমার জীবনের গল্প বলেছিলাম মিহিকাকে, তেমনি সে-ও আমাকে তার অনেক কথা জানালো। শারীরিক অক্ষমতার দরুণ ওর বন্ধুবান্ধব না-থাকার ব্যাপারটা আগেই বলেছি। সাথে এটাও জানলাম- ওড় আব্বু-আম্মুর মধ্যে সম্পর্ক নাকি ভালো না। যে কোন সময় উনাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যেতে পারে। এ জন্যই নাকি মিহিকার বাসায় থাকতে ভালো লাগতো না । সময় পেলেই খরগোশ নিয়ে ছাদে এসে বসে রইতো। প্রাণী দু'টোর সাথে খেলতো চুপচাপ...

সেদিন বুঝেছিলাম- কেনো দুপুরের রোদতাপ না মেলাতেই মিহিকা ছাদে এসে উঠতো প্রায়ই ! বাচ্চা মানুষের খেয়াল ভেবে এতোদিন গুরুত্ব দেই নি, কিন্তু মেয়েটার গল্প শোনার পর মনে হলো- বাইরে থেকে দেখে অনেক সময় পরিস্থিতির জটিলতা সম্পর্কে আঁচ করা যায় না। খুব অসহায় লেগেছিলো বাচ্চাটার গল্প শোনার পর সেদিন। শুভ্রার কথা মনে হচ্ছিলো। সে বাচ্চাদের সাইকোলজি খুব ভালো বুঝতো। গুছিয়ে কথাও বলতো খুব। আজ আমার জায়গায় শুভ্রা থাকলে হয়তো মিহিকাকে ভালো কিছু বলতে পারতোঃ সুন্দর দু'-একটা কথা, নয়তো প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে ফেলবার মত কিছু। আমি শুধু বোকার মত ওর কথা শুনে অন্যদিকে মুখ ফেরালাম। অনেক দিন, অ-নে-ক দিন বাদে আমার চোখে পানি জমেছিলো সেদিন মিহিকার গল্প শুনে। আমি খুব একটা কাঁদতে পারি না, শুভ্রার মৃত্যুর পরও কাঁদি মি তেমন, তবে মিহিকার দিকে তাকিয়ে আর স্থির থাকতে পারলাম না। সম্ভবত আমার শারীরিক অসুস্থতা আমাকে মানসিকভাবেও দুর্বল করে দিয়েছিলো।

স্রষ্টার প্রতি খুব আস্থা ছিলো শুভ্রার। সে প্রায়ই আমাকে বলতো- আল্লাহ নাকি আমাদের সব কথাই শোনেন, সব প্রার্থনা রাখেন। নিজের করা যে কোনো একটা ভালো কাজের দোহাই দিয়ে নাকি স্রষ্টার কাছে কিছু চাইলে তিনি ফেরান না মানুষকে। করোনায় বিপর্যস্ত আমার মৃত্যুপথযাত্রী স্ত্রীর জন্য যখন আমি প্রার্থনা করেছিলাম, জীবনের সমস্ত ভালো কাজের বিনিময়েও যখন আমি ওর জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলাম গেলো ডিসেম্বরে, সেদিন কিন্তু স্রষ্টা আমার কথা শোনেন নি। শুভ্রাকে হারালাম আমি চিরজীবনের জন্য।

নিজে ব্যর্থ হলেও অবশ্য মিহিকাকে আমি ঐ বুদ্ধিটুকু শিখিয়ে দিয়েছিলাম। ওকে বললাম- "তুমি তো অনেক ভালো একটা মেয়ে। আল্লাহ নিশ্চই তোমার কথা শুনবেন! ওনাকে বলেছো তোমার আব্বু-আম্মুর ব্যাপারটা ?!"

মিহিকা টলমলে চোখে তাকিয়ে রইলো শুধু, কিছু বললো না।

"জানো, মানুষ একটা ভালো কাজ করার পর আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি তাকে সেটা দেন...."

ঐদিন চুপচাপ নেমে গেলেও পরদিন থেকে আমি একটা আশ্চর্য ব্যাপার লক্ষ্য করলাম- মিহিকা লোকমা লোকমা ভাত এনে পুরো ছাদময় ছিটিয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছিলো। রেলিঙের ওপার থেকে ঝলমলে গলায় বললো- "পাখিদের খাওয়াচ্ছি। ভালো কাজ হচ্ছে না সাখাওয়াত !"

ও শুরু থেকেই নাম ধরে ডাকতো আমাকে, কারণ আমি বলেছিলাম- আমি মিহিকার বন্ধু হতে চাই। এক বন্ধু কি অন্য বন্ধুকে ভিন্ন কোনো সম্বোধনে ডাকে !

"খুব ভালো কাজ করছো, মিহি। খুব ভালো। এখন দেখবে তোমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে !"

মেয়েটা এবারও কিছু বললো না, শুধু মুখ টিপে হাসলো একটু। তবে এরপর থেকে প্রতি বিকেলেই কেমন করে যেনো পাখিদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে লেগেছিলো মিহিকাদের ছয়তলা বিল্ডিং এর ছাদে। একসময় তো অবস্থা এমন হলো যে- পাখিদের কিচিরমিচিরে ঘরে থাকাই দায় ! আমি অবশ্য পুরো ব্যাপারটা খুব উপভোগ করতাম। অবাক বিস্ময়ে দেখতাম- প্রকৃতির অনেক ব্যাখ্যাতীত রহস্যের মত কি অদ্ভুত এক রহস্য এসে জড়ো হচ্ছে ঢাকা শহরের এই ব্যস্ত এলাকার ছয়তলা বিল্ডিংটার ছাদে ! শ'য়ে শ'য়ে না হলেও দল ধরে প্রায় সব ধরণের পাখি এসে খাবার খাচ্ছে ! নাগরিক জীবনে কাক আর চড়ুই ছাড়া অন্য সব পাখিই প্রায় অদৃশ্য, কিন্তু মিহিকার চারপাশে ভীড় করছিলো দোয়েল, ময়না, শালিখ এমনকি টিয়েদের একটা দলও ! সম্ভবত ওর শাসনে পাখিরা চিৎকার চেচামেচি করাও বন্ধ করে দিলো একসময়। একদম নিঃশব্দে খাবার খেয়ে, আবার নিঃশব্দেই উড়ে চলে যেতো ওরা। আমার জীবনে আমি এরকম অদ্ভুত ঘটনা কখনো দেখি নি !

তবে আরেকটা আশ্চর্য ব্যাপার ঘটলো এর সপ্তাহখানেক পর। ডাক্তারেরা বলা শুরু করলেন- আমার শরীর থেকে নাকি ক্যান্সার মিলিয়ে যেতে লেগেছে। এক মাস বাদে শরীরে আর অসুস্থতার আর কোনো চিহ্নই রইলো না রীতিমত। অসংখ্য বিস্মিত চোখের সামনে আমাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেয়া হলো এক শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়। আবার শুরু হলো শুভ্রাবিহীন পৃথিবীতে আমার নিজেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম !

***

(শেষ কথা)

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই মিহিকার কথা মনে পরতো। এমন কত ভেবেছি ওদের বাসায় গিয়ে দেখা করে আসবো একদিন, কিন্তু কেনো জানি আর যাওয়া হয়ে ওঠে নি। ওখানে গিয়ে নিজের পরিচয় কি দেবো- সেই অস্বস্তির সাথে যুক্ত হয়েছিলো শহুরে জীবনের ব্যস্ততা। তবে একদিন খুব অস্থির অস্থির লাগছিলো। বারবার মনে পরছিলো মিহিকার প্রজাপতি প্রজাপতি চোখ, নরম কোঁকড়া চুল আর আদুরে কাঁধের কথা। আমি অফিস শেষ করে মেয়েটার বাসার উদ্দেশে রওনা হলাম......

ওখানে গিয়ে শুনি মিহিকারা আর ঐ বাসায় নেই। সেখানে ওর খালা থাকেন এখন। মিহিকার বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেছিলো নাকি কয়েক মাস পরেই, তারপর মেয়েটাকে নিয়ে ওর বাবা আমেরিকা চলে গেছে। আমার অসম্ভব মন খারাপ হলো। পাখিদের ভরপেট খাওয়ানোর মত এতো পবিত্র একটা কাজের বিনিময়ে বাচ্চাটা তাঁর বাবা-মা'র একত্রীকরণ চেয়েছিলো, কিন্তু সেটা আর হলো কই ! দু:খজনক !

আমি বিদায় নিয়ে চলে আসবার আগে মিহিকার খালা আমাকে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়েছিলেন। দুঃখী দুঃখী গলায় বললেন- "আপনাকে আমি চিনেছি, মিহিকা প্রায়ই আপনার কথা বলতো। আপনি নাকি ওর কোন্ একজন বন্ধু হন ! এই চিঠিটা লিখে গেছিলো সে আপনার জন্য। বিদেশ যাওয়ার আগে..."

আমি রাস্তায় বেরিয়ে মলিন কাগজটুকু খুললাম। সেখানে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা-

"আমি আমার ভালোকাজের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে দু'টো জিনিস চাইলাম। এক- আব্বু-আম্মুর যেনো ডিভোর্স না হয়। আর তুমি যেনো বেঁচে থাকো ...

আমার বন্ধু হওয়ার জন্য থ্যাংকস।"


চিঠি পড়া শেষ করে আমি আকাশের দিকে তাকাই। অসম্ভব মন খারাপ লাগছিলো কেন জানি। সারি সারি বিল্ডিং এর পেছনে গোধুলি নামছে ধীরে। দিন আর রাতের এই সন্ধিক্ষণটুকু বড় অদ্ভুত আসলে। রজনী ব্যতীত যে দিবসের অস্তিত্ব নেই- এই চিরন্তন সত্যই গোধূলির সময়টুকু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমাদের। অথচ আশ্চর্যের কথা হলো- এতো নির্ভরশীলতা, এতো গভীর সম্পর্ক থাকা সত্বেও দিন আর রাতের সহাবস্থান কখনো সম্ভব নয়। চিরকাল তারা সমান্তরাল দু'টি রেললাইনের মতই রয়ে যায়ঃ পাশাপাশি । অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কযুক্ত, কিন্তু তবুও আলাদা। একজন আরেকজন থেকে দূরে......

যেমন রয়ে গেলাম আমি আর মিহিকা। আদুরে কাঁধ, কোঁকড়া চুল, সাথে প্রজাপতি প্রজাপতি চোখের ঐ মেয়ের সাথে হয়তো আর কখনোই দেখা হবে না আমার। মানুষের জীবনটা এত অদ্ভুত কেন- সে কথা ভাবতে ভাবতেই মাথায় দু'টো কবিতার লাইন ঘুরছিলো। আমি বিড়বিড় করে শুভ্রা, নাকি মিহিকার উদ্দেশ্যেই বললাম-

"নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছো নয়নে নয়নে !"

***
( সমাপ্ত )

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেঁচে থাক বন্ধুতা
ভালো থাকুক মিহিকারা !
চমৎকার লেখা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা জানবেন

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩২

ওমেরা বলেছেন: গল্পটা খুব সুন্দর লেগেছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৪

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অসাধারণ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৬

শায়মা বলেছেন: রাত দুপুরে কাঁদালে আপুনি।:(

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮

পুলহ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !

আর আমি আপুনি না তো। আমি ভাইয়া !

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: @ শায়মা আপু " পুলহ" নিক তো ভাইয়া মনি তুমি আপু বলছো কেন :(

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । শুভকামনা জানবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.