নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ নিবিতা চক্রবর্তী

১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৫

নিবিতার সাথে আমার সম্পর্কের পরিণতি খুব সাদামাটা হলেও ওর সাথে আমার পরিচয় পর্বটা ছিলো নাটকীয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে এমনই এক বর্ষায় ওর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিলো......

আমি তখন কেবল অনার্স তৃতীয় বর্ষে উঠেছি। একবার কোনো একটা ছুটিতে ঢাকায় আসার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলাম সিলেট রেলস্টেশনে। তখনই দেখতে পেলাম চঞ্চল প্ল্যাটফর্মের ভীড় এড়িয়ে একটা মেয়ে ট্রেনের দরজার কাছে পৌঁছুতে চাইছে। এমন না যে ওর চেহারায় বিশেষত্ব কিছু ছিলো, কিংবা আকর্ষণীয় সাজপোশাকে পুরুষের দৃষ্টি ফেরাতে বাধ্য করছিলো ওর শরীর- নিবিতা আমার কৌতূহলের উদ্রেক ঘটিয়েছিলো খুব সঙ্গত কারণেঃ মেয়েটা বিব্রত ভঙ্গিতে লাগেজ টানতে টানতে বারবার শুধু চোখ বড় বড় করে চাইছিলো আমারই দিকে। সে দৃষ্টিতে আহবান ছিলো না- ঠিক, তবে কথা বলতে চেয়েও না পারার সংকোচ ছিলো। আমি নিবিতাকে ট্রেনে মালপত্তর ওঠাতে সাহায্য করলাম...

"ধন্যবাদ।"

আমি মেয়েটার গলার স্বর শুনে চমকে উঠি। কি আশ্চর্য শান্তিময় ! এরকম কন্ঠস্বর বসন্তের কোনো গভীর মন-উদার-করা বিকেল, অথবা নিভৃত গ্রামের দূ----র দিগন্তের কথা মনে করায়...

নিবিতা ওর হলুদ ওড়না দিয়ে মুখের ঘাম মুছলো। বাইরে আকাশ মেঘে মেঘে কালো হয়ে ছিলো সারাদিন। বর্ষার গুমোট গরম আর মানুষের শরীরের ভাপে ট্রেনের ভেতরটুকু ভ্যাপসা হয়ে আছে। নিবিতা একটা নিঃশ্বাস ফেলে ওর সিট খুঁজতে শুরু করলো। আমি চোখের কোণা দিয়ে ওর ভাবভঙ্গি অনুসরণ করছিলাম। তখন বয়সও ছিলো অল্প, আর মন চড়া সুরে বাঁধা। এ ধরণের রঙ্গিন মুহূর্তগুলো কল্পনায় শত ছেলেমানুষী চিন্তা আর আবেগের জন্ম দিয়ে চলতো, নিবিতা আমার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিতা হওয়া সত্বেও ! সৌভাগ্যস্বরূপ কিংবা কাকতালীয়ভাবে আমার সিটও সেদিন পড়েছিলো একই বগিতে। ট্রেন ছাড়ার পরপরই বৃষ্টি শুরু হলো। আমি দরজার কাছ থেকে সিগারেট খেয়ে আসার পথে দেখতে পেলাম বৃষ্টির ছাট আটকানোর জন্য নিবিতা বৃথাই চেষ্টা করছে। ধারণা করলাম ওর গলার স্বরের মত ওর শরীরটাও খুব কোমল হয়ে থাকবে, জ্যাম হয়ে থাকা জানালার সাথে ধস্তাধস্তিতে কুলিয়ে ওঠার সাধ্য তাঁর ছিলো না....

একবার ভাবলাম সাহায্য করতে এগিয়ে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়েছিলো- এ তো লোহার মেয়ে নয় ! বৃষ্টিতে ভিজলে মরিচা ধরবে না এর গায়ে ! বরং দুর্বাঘাসের মতই আরো কোমল আর সজীব হয়ে উঠবে সে। আমি নিবিতাদের সারি পার হয়ে নিজের সিটের দিকে এগিয়ে যাই ধীরপায়ে....

ট্রেনে উঠলেই খুব ঘুম পেতো আমার, সেবার ঘুম থেকে উঠে আর মেয়েটাকে খুঁজে পাই নি। সম্ভবত আগের কোনো স্টেশনে নেমে গেছে। যদিও ওর সাথে দেখা করবার জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করতে হলো না আমাকে, পরের ছুটিতেই ঢাকা আসার সময় আবার নিবিতার সাথে দেখা হয়েছিলো। সেই একই জায়গায়, একই স্টেশনে। এবার অবশ্য মেয়েটাকে আরো একটু পরিপক্ব আর বুঝদার মনে হলো। আমাকে দেখে একটু হেসে নিজে থেকেই এগিয়ে এসেছিলো সে। নরম গলায় বললো- "আমি নিবিতা। নিবিতা চক্রবর্তী..."

একই রকম প্রশান্ত কন্ঠস্বর, যা কি না অস্থিরতাকে দূরে সরিয়ে নেয়। একবার শুনলে শুধু বারবারই শুনতে ইচ্ছা করে। আচ্ছা- অনন্তকাল ধরে এরকম কন্ঠস্বর শুনতে পারাটাই কি নির্বাণ?!

আমি একঝলক ওর কপাল আর হাতটুকু দেখে নিলাম। শাখা সিঁদুরের বালাই নেই। যদিও পরবর্তীতে আমার ভুল ভেঙ্গেছিলো। নিবিতার বিয়ে হয়ে গেছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষে ওঠার পরই। ওর স্বামী সীতাকুন্ডে কোন এক জাহাজভাঙ্গা কারখানায় চাকরি করতো। মাস ছয়েক আগে দুর্ঘটনায় ভদ্রলোক পরপারে চলে গেছেন, যদিও সে দুর্ঘটনার আদ্যোপান্ত নিবিতা আমকে জানায় নি কোনোদিন। অথবা আমিই জানতে চাই নি। ও বললো- সিলেট ওর বাবার বাড়ি আর নরসিংদীতে ওর শ্বশুরবাড়ি নাকি। স্বামী চলে যাওয়া সত্বেও ওখানকার সাথে নিবিতার যোগাযোগ ছিলো খুব। জানতে পারলাম প্রায়ই নাকি নিবিতা সিলেট-নরসিংদী, নরসিংদী-সিলেট যাতায়াত করে থাকে, সেবারও ঢাকা পৌঁছানোর আগে নেমে গেছিলো একারণেই।

আমার মনে অবশ্য তখন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। শুনেছি হিন্দু বিধবারা নাকি অনেক রকম নিয়ম কানুন মেনে চলে। তাঁদের প্রসাধন থেকে শুরু করে পরিচ্ছদ, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে আচরণ- সবই নাকি প্রভাবিত হয় বৈধব্যের কঠিন বেড়াজালে। নিবিতাকে অত কড়াকড়িভাবে মেনে চলতে দেখি নি অবশ্য কখনো, কিন্তু তার মানে এই না যে স্বামীর প্রতি দরদে ওর কোনো কমতি ছিলো। মৃতদের সাথে বিশ্বাঘাতকতা করা যায় খুব সহজেই, কিন্তু নিবিতা সেই সুযোগটুকু নেয় নি। জীবিত স্বামীর প্রতি যে ঝকঝকে স্বচ্ছতায় বিশ্বস্ত ছিলো ও, একই বিশ্বস্ততা বজায় রেখেছিলো স্বামী মারা যাবার পরেও। মেয়েটার সাথে আমার বেশ কয়েকদিন কথাবার্তা হয়েছে সত্য, কিন্তু সেখানে যে ভদ্রতা আর আভিজাত্যের দেয়াল তুলে রেখেছিলো সে, তাতেই আমার ধারণা হয়- নিবিতা খুব উন্নত আর দৃঢ় চরিত্রের একজন মানুষ, তা বাইরে বাইরে ওকে যতই কোমল দেখাক না কেন !

আমার শুধু খটকা ছিলো একটা জায়গাতে, আর তা হলো- এমন একজন রুচিশীল আর ডিসেন্ট পার্সোনালিটির একটা মেয়ে কেন যেচে পড়ে আমার সাথে সখ্যতা গড়তে চাইছে ! নিবিতার অভিজাত চরিত্রের সাথে সেটা যায় না একদমই। তাছাড়া যে কেউ দেখলেই স্পষ্ট বুঝতে পারতো- এ ব্যাপারে নিবিতার নিজের মধ্যেও বেশ খচখচানি ছিলো আসলে। এক ধরণের দ্বিধা আর টানাপোড়েনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলো ও। তৃতীয়বার যখন নিবিতার সাথে আমার দেখা হলো- সেই একই জায়গা, একই স্টেশনে- তখন মেয়েটা এর জবাব দিয়েছিলো নিজে থেকেই। ওর বাদামী চামড়ায় বাঁধানো পার্স থেকে মোবাইলটা বের করে সমীরবাবুর ছবি দেখালো। সমীর চক্রবর্তী নিবিতার হাজব্যান্ড ছিলেন। কক্সবাজারে সমুদ্রের পাড়ে দু'জন হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে আছে ছবিতে। এতো সুন্দর লাগছিলো সেখানে নিবিতাকে অথচ আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম সমীরবাবুর চেহারার দিকে। অবিকল আমার মত দেখতে ! পরক্ষণেই আবার মনে হলো- নাহ, একঝলক দেখাতে যেরকম মনে হয়েছিলো অত মিল নেই লোকটার সাথে, কিন্তু তারপরো.... আমি বেশ একটা অস্বস্তি নিয়ে নিবিতার ফোন ফেরত দিলাম।

"প্রথমদিন আপনাকে দেখে আমিও চমকেছিলাম। আপনি হয়তো আমাকে অভদ্র ভেবেছেন... আসলে আমাদের সমাজব্যবস্থায় একটা মেয়ে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে গেলে, বা পরিচিত হতে চাইলে তাঁকে বেহায়া বলে ধরে নেয়া হয়। প্লিজ আমাকে তেমন কিছু ভাববেন না ! সেদিনই আমি সমীরের ছবিটা আপনাকে দেখাতে চেয়েছিলাম, যেনো আপনার মনে আমার ব্যাপারে কোনো ভুল ধারণা না থাকে। কিন্তু....মানে... বুঝতেই পারছেন, প্রথম পরিচয়েই এতো ঘনিষ্ট হওয়া যায় না কারো সাথে.... বিপরীত লিঙ্গের হলে তো কথাই নেই।"- একটানা ওর নিভৃত বিকেলের মত গলার স্বরে অনেকগুলো কথা বলে নিবিতা থামলো।

আমি কি নিবিতার প্রেমে পরেছিলাম ! বোধহয় হ্যাঁ, অথবা না ! আসলে সেটা প্রেমে পড়ার মত বয়সই ছিলো আমাদের। নিবিতার পাহাড়ি ছড়ার মত ছিপছিপে শরীর, ওর সম্মোহনী কন্ঠস্বর আর নারকেল শ্বাসের মত টলটলে চোখদু'টো ওকে দারুচিনি দ্বীপের মত জাদুময় করেছিলো। আর আমাকে বানিয়েছিলো জাহাজী ! কিন্তু মানুষের যৌবনকাল বোধহয় আসলেই অস্থিরচিত্ত নাবিকের মত, সারাক্ষণ জোয়ারভাটার হিসাব কষতে কষতে মানুষও তখন পরিযায়ী হয়ে ওঠে। চিরস্থায়ী কোনো বন্দর অথবা দ্বীপবাসী আর হয়ে ওঠা হয় না তাদের ....

আমারও হলো না, বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে খুব সঙ্গত কারণেই একদিন ঢাকায় চলে আসলাম। নিবিতাও রয়ে গেছিলো সিলেট কিংবা নরসিংদী কিংবা অন্য কোনো অঞ্চলে... । জীবনের প্রয়োজনে আমরা দু'জন হঠাৎ ছিটকে পড়লাম এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের কোনো না কোনো প্রান্তে...

(শেষ কথা)
-------
প্রায় ত্রিশ বছর পর আবার নিবিতার সাথে দেখা হয়েছিলো আমার। পুত্র-পুত্রবধু আর স্ত্রীসহ সিলেট বেড়াতে গিয়েছি, ছেলেই সব ব্যবস্থা করেছিলো। ওখানকার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেটা পড়াতো। নিজের কর্মস্থল বাবা-মা'কে দেখানোর আগ্রহ সব সন্তানেরই থাকে, আমার ছেলেও আমাদেরকে যেতে বলেছিলো সে কারণেই। প্রায় পনেরো দিনের লম্বা সফরে অনেকদিন বাদে আবার সেই জাফলং, বিছানাকান্দি, লালাখাল গেলাম। ফেরত আসার দিন ছেলে, বউরা স্টেশনে পৌঁছে বিদায় জানালো আমাদের। আমি আর আমার স্ত্রী প্ল্যাটফর্মে বসে অপেক্ষা করছিলাম ঢাকার ট্রেনের জন্য...

সেদিন খুব মেঘ করে এসেছিলো। দিনের বেলাতেও প্ল্যাটফর্মের সব আলো জ্বেলে দিলেন কর্তৃপক্ষ, তারপরো অন্ধকার দূর হলো না অবশ্য। প্রবল বর্ষনের আশংকা, উত্তেজনা আর ভেজা ভেজা দিনের বিষণ্ণতা মিলে কেমন এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ কাজ করছিলো মনে, এমন সময় সাদা চুলের এক বৃদ্ধা এগিয়ে এসেছিলেন আমার দিকে। চোখের চশমা ঠিক করতে করতে বললেন- "কিছু মনে করবেন না, আপনি কি সাখাওয়াত?!"

আমি চমকে উঠলাম, সে-ই ঘোরলাগা কন্ঠস্বর। চেহারায় বয়সের ছাপ খুব গাঢ়ভাবে পড়লেও গলার স্বর ঠিক আগের মতই আছে। এই কন্ঠ তো ভোলার নয়....

কথাবার্তা খুব বেশি এগুলো না অবশ্য। ত্রিশ বছরের ব্যবধানে সম্পর্কে শ্যাওলা জমেছিলো। সাথে যার যার জীবন গুছিয়ে নেয়ার আড়ালটুকু তো আছেই! আমার স্ত্রীর সাথে নিবিতার পরিচয় করিয়ে দিলাম। শুনলাম এখনো নাকি আগের মতই আছে বিধবা পরিচয়ে, একাকী। সীতাকুন্ডে কি একটা এনজিওতে নাকি চাকরি করছে আজ প্রায় দুই দশক হলো। জিজ্ঞাসা না করেও আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম মৃত স্বামীর কোনো এক দুর্বল, কষ্টারোপিত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে থাকার প্রয়াস থেকেই কর্মস্থল হিসেবে সীতাকুন্ডকে বেছে নিয়েছিলো সে। কোনো দুর্বোধ্য কারণে আমি একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করলাম।

ভিন্ন বগিতে নিবিতার সিট পড়েছিলো সেদিন, ঢাকায় পৌঁছে অনেক খুঁজেও আর বিদায় নেয়ার জন্য পেলাম না তাঁকে। আমার অবশ্য আগে থেকেই মনে হচ্ছিলো- এটাই বোধহয় নিবিতার সাথে আমার শেষ দেখা ! সেই উদার-স্নিগ্ধ আকাশের মত কন্ঠস্বর অনেক খুঁজেও আর শুনবো না কোনোদিন। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো হঠাৎই, আমি আমার স্ত্রীর হাত ধরে বেরিয়ে যাবার রাস্তা খুঁজতে থাকলাম। প্ল্যাটফর্মে কত মানুষের ভীড়-কোলাহল-ব্যস্ততা ! সিলেটের মেঘ ঢাকায় এসে বৃষ্টি ঝরিয়েছিলো বোধহয়, ভেজা ভেজা ঠান্ডা হাওয়া আমার শরীর ছুঁয়ে গেলো। পিএ সিস্টেমের এনাউন্সমেন্ট - "পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ৭ নাম্বার প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে...", শত মানুষের গুণগুণ আর কুলিদের হাঁকডাক ছাপিয়ে একটি কবিতাই শুধু আমার মনে বাজছিলো তখন। মনে হলো বুঝি কেউ নিবিতার কন্ঠে বসে বিড়বিড় করে আবৃত্তি করছে-

" আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
দূরে যাবে তুমি,
দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
শুনব তোমার মুখে।
সত্য করে বলবে তো?

আমি বললেম, "বলব।"

বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,

"আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।"

একটুকু রইলেম চুপ করে;
তারপর বললেম,

"রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে।"
----
(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৪

কামাল৮০ বলেছেন: একটি সুন্দর গল্প।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩১

লেখার খাতা বলেছেন: অপ্রাপ্তির প্রেমের গল্প।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার গল্প।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে কোনো ভান বা ভনিতা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.