![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুইটি নামকরা ব্লগে দেয়া এই পোস্টের সত্যতা আছে কিনা জানতে চাই---- আমি বিভ্রান্ত!!!
আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী যুদ্ধাপরাধী তারাই যারা যুদ্ধরত পক্ষের হয়ে যুদ্ধের নিয়ম-নীতি ভেঙ্গে মানবাধিকার লংঘন এবং অমানবিক কার্যকলাপ করে, যা ক্ষমার অযোগ্য ! এ হিসেবে ৭১ সালে ধৃত পাকিস্তানের ১৯৫ জনই হচ্ছে আইনত প্রকৃত যুদ্ধাপরা্ধী, এর বাইরে কেঊ নেই তাদের সহযোগী ছাড়া। আর তাদের বাদ দিয়ে সহযোগী নাম দিয়ে কাউকে বিচার করার সুযোগ আছে কি নাকি যৌক্তিক?
।
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুর আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে এক বৈঠকে তার মেয়ের দাদাশ্বশুর ফরিদপুরের ১৪নম্বর তালিকাভুক্ত রাজাকার খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী না বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, "রাজাকার মানেই যুদ্ধাপরাধী নয়।" আমাদেরও একই কথা...পাকিস্তানের অখন্ডতাকে সমর্থন করা যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ কোনটাই নয়। আর সারাদেশের রাজাকার, আলবদর ইত্যাদির তালিকাপ্রকাশ করলেও দেখা যাবে যে, (সে তালিকাপ্রকাশের সাহস শেখ হাসিনার আছে কি) সমস্ত জামায়াত নেতাদের টার্গেট করেই প্রচারণা চালানো হলেও তারা ঐ সমস্ত বাহিনীর কোন সদস্যই ছিলেন না যেমনটি ছিলেন তার বেয়াইরা। কিন্তু সরকার যখন জামায়াত নেতাদের টার্গেট করে ফাঁসি দেয়ার প্রকাশ্য হুমকি দেয় তখন মানবাধিকার ও মানবতা শংকিত না হয়ে পারেনা। সরকারের সামগ্রিক অপতৎপরতায় আজ প্রশ্ন উঠেছে যে, সরকার কি আসলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার চাচ্ছে নাকি বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নির্মুল করতে চাচ্ছে? তাছাড়া ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণের জন্য গুটি কয়েক জামায়াত নেতাই দায়ি নাকি প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী-রাজাকাররাই দায়ী? তবে কি মগবাজার, পাবনা, ফরিদপুর, শেরপুর, চট্টগ্রাম, পিরোজপুরসহ জামায়াতনেতাদের এলাকাতেই ৩০ লাখ লোক শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোন ধর্ষিত হয়েছিল, নবপ্রজন্মের কাছে এটিও আজ বিরাট প্রশ্ন?
অথচ শুধুমাত্র অখন্ড পাকিস্তানকে সমর্থন করার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামীলীগ আজ জামায়াতনেতাদের যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের অখন্ডতাকে সমর্থনপুর্বক সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন এমন হাজার হাজার যুদ্ধাপরাধী আওয়ামীলীগেও আছে। যেমন আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়ামসদস্য শেখ সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসের, যুবলীগ সাধারণসম্পাদক মীর্জা আজমের বাবা মীর্জা কাশেম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই অর্থাৎ মেয়ে পুতুলের শ্বশুর বর্তমান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার পিতা ফরিদপুরের ১৪নম্বর রতালিকাভুক্ত রাজাকার খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়া, ১৯৭১ সালে মালেক মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও শামসুল হক, ১৯৭২ সালে দালাল আইনে গ্রেপ্তারকৃত এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারেরই মন্ত্রী এ কে ফায়জুল হক, রাজাকার কমান্ডার এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকারের ধর্মমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ও মামুদ-উস সামাদ প্রমূখ। এটা ঐতিহাসিক ঘটনা।
পাঠকদের জানার সুবিধার্থে বিস্তারিতভাবে ইতিহাস ঃ
তৎকালীন পাকিস্থানী বাহিনীকে সহযোযোগিতাকারী আওয়ামীলীগ নেতাদের কিছু ফিরিস্তি। যেমন নোয়াখালী থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমএলএ (জাতীয় পরিষদ) মো. ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত এমপি ও এমএলএ (প্রাদেশিক পরিষদ) অধ্যাপক শামসুল হক দুজনই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক এমএ মালেকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এরপর চট্টগ্রামের প্রাদেশিক আসন ২৪ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা এমপি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত এমপি মুজিবুর রহমান তালুকদার, যশোর থেকে নির্বাচিত এমপি মো. মঈনুদ্দীন মিয়াজী, খুলনার এমপি হাবিবুর রহমান খান, বগুড়া থেকে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নির্বাচিত এমএলএ জহির উদ্দিন, লে.কর্নেল একেএম মাহবুবুল ইসলাম (পাবনা), সৈয়দ হোসেইন মনসুর (পাবনা), মো. আবদুল গাফফার (খুলনা), মো. সাঈদ (খুলনা), মোশাররফ হোসেন শাহজাহান, একে ফায়জুল হক (বরিশাল), এবিএম নুরুল ইসলাম (ফরিদপুর), আমজাদ হোসেন খান (ফরিদপুর), মো. নুরুল ইসলাম (ঢাকা), আখতারুজ্জামান (ময়মনসিংহ), সৈয়দ বদরুজ্জামান ওরফে এসবি জামান (ময়মনসিংহ), ডা. আবুল হাসেম (সিলেট) প্রমূখ ১৯৭১ সালে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন।
উল্লিখিত ২০নেতার প্রত্যেকেই জাতীয়পরিষদ অথবা প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তালিকাভুক্ত এসব আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধের সময় কেবল বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে ইয়াহিয়া সরকারের পক্ষই নেননি, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকেও সহযোগিতা করেন। দৈনিক পাকিস্তান ও আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এসব নেতার স্বাধীনতাবিরোধী বিবৃতও প্রকাশিত হয়। আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ উপনেতা মাননীয়া সাজেদা চৌধুরীসহ ১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগের ১৬৭জন সংসদসদস্যের মধ্যে ৮৮জন সংসদসদস্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও তার গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের সরকারের প্রতি আনুগত্যপ্রকাশ করেই তবে নিজেদের সদস্যপদ পুনর্বহাল করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঐ ৮৮ জন আওয়ামী লীগ এমপির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা এবং সংসদীয় এলাকার উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করেছিল। এই তালিকার ৮৪ নম্বরেই রয়েছে সাজেদা চৌধুরীর নাম । বেগম সাজেদা চৌধুরী এই ঐতিহাসিক সত্য তথ্যকে অস্বীকার করতে পারবেন কি? আর গোলাম আযমতো আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহবানও জানিয়েছিলেন তখন, এটাও ঐতিহাসিক সত্য!! তাহলে এদের জামাই আদরে রেখে শুধু জামাত বিএনপি'র নেতা ধরা হচ্ছে কেনো?
১৯৯৬ সালের আওয়ামীলীগ সরকারের ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ৭১সালে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ির রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭১ সালে তrকালীন ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আমজাদ হোসেন, টাঙ্গাইলের সাবেক আওয়ামীলীগ এমপি খোদাবক্স মুক্তার, ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মহকুমা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যধ্য মো. ফিরোজুর রহমান, ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণসম্পাদক আবদুস শুকুর মিয়া, ফরিদপুর আওয়ামীলীগনেতা আবদুল জলিল মিয়া মোক্তার, এডভোকেট কাজী খলিলুর রহমান, এডভোকেট জামাল উদ্দিন মিয়া, চট্টগ্রাম সদরমহকুমা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো. আবুল বাশার, নেত্রকোণার আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম খান, নেত্রকোণা শহর আওয়ামীলীগ সহসভাপতি এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি চাঁদবক্স পাটওয়ারী মোক্তার, নেত্রকোণার বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি ডা. গিয়াসউদ্দিন আহমদ, নেত্রকোণা শহর আওয়ামীলীগ সদস্য সোহরাব হোসেন, নেত্রকোণা মহকুমা আওয়ামীলীগ সদস্য এমদাদুল হক, চাঁদপুর আওয়ামীলীগ সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, চাঁদপুর মহকুমা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী মোক্তার, চাঁদপুর রেডক্রস সেক্রেটারি এডভোকেট ফজলুল হক, চাঁদপুর মহকুমা আওয়ামীলীগের কার্যকরিসদস্য খুরশিদ আলম চৌধুরী, মহকুমা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ বজলুর রহমান শেখ, চাঁদপুর আওয়ামীলীগসদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মৃধা, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগসদস্য ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজ শেখ পাটওয়ারী, চাঁদপুর আওয়ামীলীগ সদস্য ও ঠিকাদার মোফাজ্জল হোসেন, ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণসম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, রাজশাহীর সোহরাওয়ার্দী আওয়ামীলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, যশোর আওয়ামীলীগ নেতা মীর তৈয়ব, মোহাম্মদ আবদুল হাকিম বিক্রমপুরী প্রমূখ আওয়ামীলীগ নেতা পাকিস্তানের পক্ষে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেন।
এসব শুধুই ঐতিহাতিক তথ্য নয়, বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সংসদকে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য '৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত মোট ৪৩ জন গণপরিষদ সদস্যকে আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এসব সদস্যের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার কিংবা আদেশ বহাল রাখা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রালয়ের কিছু করণীয় নেই। এছাড়া ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ থেকে বিজয়ী নুরুল আমিন ও পার্বত্যচট্টগ্রাম থেকে মেজর রাজা ত্রিদিব রায় বিদেশীরাষ্ট্র অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যপ্রকাশ করার কারণে বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ অনুসারে তারা কখনই বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য ছিলেন না।
জাতীয়সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারদলীয় সংসদসদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের নেত্রকোনা-৫) তারকাচিহ্নিত (১১৫ নং) প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী সংসদে এতথ্য জানান। ওয়ারেসাত হোসেনের প্রশ্ন ছিল; এটা সত্য কিনা যে, ১৯৭০ সালে তrকালীন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত পরিষদসদস্যদের মধ্যে ৭১-এ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য কতিপয় সদস্যদের সদস্যপদ স্বাধীন বাংলাদেশে গণপরিষদ গঠনকালে বাতিল করা হয়েছিল। উত্তর হাঁ হলে, বাতিলকৃত সদস্যদের নাম ও নির্বাচনী এলাকার নাম কী? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন- হ্যাঁ, ময়সনসিংহ থেকে নুরুল আমিন ও পাবর্ত¨চট্টগ্রাম হতে মেজর রাজা ত্রিবিদ রায় তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয়পরিষদে নির্বাচিত হলেও বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ ১৯৭২-এর ৪ অনুচ্ছেদ কার্যকরি হওয়ার ফলে তারা বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য নন। তারা ১৯৭১ সালের ২৪ ডিসেম্বর তারিখে একটি বিদেশীরাষ্ট্র অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যপ্রকাশ করায় তারা কখনই বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য ছিলেন না।
এছাড়া গণপরিষদ সদস্যদের মধ্য হতে আওয়ামীলীগ হতে মোট ৪৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হচ্ছে- মোঃ হাবিবুর রহমান, সৈয়দ হোসেন মনসুর, মোঃ আব্দুল গফ্ফার, আবুল কালাম ফয়জুল হক, এবিএম নুরুল ইসলাম, আজমাদ হোসেন খান, মোঃ নুরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন, মোঃ ওবায়দুল্লাহ মজুমদার, একেএম মাহাবুবুল ইসলাম, মোঃ সাঈদ, মোশাররফ হোসেন, আক্তারুজ্জামান, সৈয়দ বদরুজ্জামান, ডাঃ আবুল হাশেম, অধ্যাপক শামসুল হকম মোঃ আবদুল বারেক, ডাঃ আজহার উদ্দিন আহমেদ, গোলাম আহাদ চৌধুরী, এ হাদী তালুকদার, আদিল উদ্দিন আহমেদ এডভোকেট, মুজিবুর রহমান তালুকদার, শামসুদ্দিন আহমেদ, খন্দকার আব্দুল মালেক, ডাঃ আবু সোলায়মান মন্ডল, ডাঃ জাহিদুর রহমান, তাহেরুল ইসলাম খান, রিয়াজ উদ্দিন আহম্মদ, মোঃ আব্দুস সালাম, কেবিএম আবু হেনা, জহুরুল হক, মোশাররফ হোসেন, হাবিবুর রহমান খান, কাজী হেদায়েত হোসেন, আব্দুল হাকিম মাস্টার, মোঃ সাজেদ আলী মিয়া, মাসুদ আহমেদ চৌধুরী, ডাঃ কাজী সিরাজউদ্দিন আহমেদ, গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ হাশেম, এম. সাখাওয়াতুল্লাহ এডভোকেট, মীর্জা আবু মনসুর এবং আখতারুজ্জামান চৌধুরী। অর্থাৎ উপরোক্ত নেতারা শেখ হাসিনার বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের দেয়া সংজ্ঞানুযায়ী সরাসরি যুদ্ধাপরাধী| কিন্তু তাদের বিচারের কথা কেন বলা হচ্ছে না বা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছনা বরং এটাই আজ প্রশ্ন করা হচ্ছে, তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে কিনা এবং কবে ইত্যাদি।
অন্যদিকে ১৯৭১সালে জামায়াত ছিল একটি ক্ষুদ্রদল। জামায়াতের তুলনায় মুসলিমলীগ ছিল শতগুণে বড়দল। আর আওয়ামীলীগ ছিলো হাজারগুণ বড়দল। যেহেতু জামায়াত ছোটদল ছিল সেহেতু দল১৯৭১সালে তাদের ভূমিকাও খুবই নগণ্য ছিল। শান্তিকমিটি, রাজাকার ইত্যাদি সংগঠন ও বাহিনীর তালিকা দেখলে বোঝা যাবে যে, জামায়াতেরসদস্যদের উপস্থিতি সেখানে নেই বললেই চলে। সারাদেশে ১৯৭১ সালে গঠিত শান্তিবাহিনীতে জামায়াতকে কোন চেয়ারম্যানের পদও দিতে চায়নি অতি ক্ষুদ্রদল হওয়ায় এবং নেতাকর্মী তেমন ছিলনা বলে। বরং শান্তিকমিটি, রাজাকার, আলবদর বাহিনীতে আওয়ামীলীগ ও মুসলিমলীগের লোকজনই ৯৫% এর চাইতেও বেশী ছিলো।
একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরো পরিস্কার হবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের একটি আসনে জামায়াতে ইসলামী ভোট পেয়েছিলো ৩৫০ জনের মতো। অন্যদিকে ঐ এলাকার আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিপুল ভোটেই নির্বাচিত হয়েছিল। অথচ ১৯৭১ সালে ঐ এলাকায় তালিকাভূক্ত রাজাকারই ছিলো ১১,৫০০ জনের উপরে। আওয়ামীলীগের কথামতো যদি জামায়াতের প্রাপ্ত সকল ভোটকেই রাজাকার হিসেবে ধরা হয়, তাহলে বাকি ১১ হাজারেরও বেশী লোক ছিল কারা? নিশ্চয় তারা সবাই আওয়ামীলীগেরই নেতাকর্মী-সমর্থক বা ভোটার ছিল। কারণ ঐ আসনে জামায়াত নয় জিতেছিল আওয়ামীলীগের প্রার্থী!! সে হিসেবে সারাদেশের রাজাকার, আলবদর ইত্যাদির তালিকাপ্রকাশ করলেও দেখা যাবে ৯০% রাজাকারই আওয়ামীলীগ থেকে এসেছে, যাদের চরিত্র তখনো যেমন ছিলো এখনো তেমনি আছে। অপরদিকে জামায়াতের লোকদের চরিত্র তখনো যেমন ছিলো এখনো তেমনি আছে, এলাকাবাসীই এর প্রমাণ।আর কেনোইবা রাজাকার আলবদরদের পাশাপাশি ৩০ লাখ শহীদ ও ১ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের তালিকা তৈরী ও প্রকাশ না করে বরং হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদেরই তালিকা তৈরী করা হয়েছে অসদুদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্রমুলকভাবে!! এমনকি হাজার হাজার বীরাংনা নারীসহ সাধারণ মানুষ লড়লেও-মরলেও তাদের কাউকে বীরশ্রষ্ঠ, বীরোত্তম ও বীরপ্রতীক উপাধী দেয়া হয়নি কেনো, এটাও আজ বিরাট প্রশ্ন? তবে এখনও সময় আছে, সরকার কি রাজাকারদের তালিকাপ্রকাশ করে নিরপেক্ষভাবে এর বিচার করবে? বিচার করবে শেখ হাসিনার বেয়াই ও বেয়াইয়ের বাবা ১৪ নম্বর রাজাকারের!?
আসলে ১৯৭১ সালে জামায়াত ছাড়াও অখন্ড পাকিস্থানের সমর্থক ছিল এমন সব দল বর্তমানে প্রায়ই বিলীন কিন্তু একমাত্র জামায়াত দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এই জনপ্রিয়তাই জামায়াতের কাল হয়েছে। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চীনপন্থী বাম দলগুলোর ভূমিকার কথা কেউ কি ভুলে গেছে? আজ তারা বিশ্ববেহায়া এরশাদের সাথে মহাজোটে গিয়ে মহামুক্তিযোদ্ধাই বনে গেছে? প্রকৃতপক্ষে, তারা কেউই আজ আর শক্তিশালী দল হিসেবে জায়ামাতের মত রাজনৈতিক মাঠে নেই। জামায়াতে ইসলামীর অপরাধ হলো জামায়াত আজ ইসলামের আদর্শবাদী একটি শক্তিশালী দল। আরেকটি তথ্য হলো, ১৯৭১ সালে জামায়াতের সদস্য (রুকন) সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০০ জনের মতো। এখন সে সংখ্যা প্রায় ৩৫,০০০ জন। শুধু জামায়াতের সদস্য (রুকন) সংখ্যাই ১৯৭১ সালের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০ গুণ। এটা জামায়াতের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও সাংগাঠনিক শক্তিবৃদ্ধির অন্যতম উদাহরণ। এই জনপ্রিয়তার কারণেই বিএনপি জামায়াতের পাশে থাকে। আবার আওয়ামীলীগের জামায়াত বিরোধিতার কারণও ওই জনপ্রিয়তাবৃদ্ধি। জামায়াত যদি আজ মুসলিমলীগের অবস্থায় পতিত হতো, তাহলে কেউ-ই নিজামী-মুজাহিদেরকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী দূরে থাক, সাধারণ অপরাধীও বলতো না। যেমন এখন কেউই আর মুসলিমলীগের নাম স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে মুখেও আনেনা।
বলাবাহুল্য যে, আমি সেগুনবাগিচার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি নিজামী-মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের লক্ষ্যে। কিন্তু বিধিবাম, মুসলিমলীগনেতা আয়েনউদ্দীনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তথ্য পেলেও না পেয়েছি নিজামীদের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র রাজাকারী কমান্ডারীর প্রমাণ, আর না পেয়েছি হত্যা-ধর্ষণ ইত্যাদির প্রমাণ?!!!
তার মানে আওয়ামীলীগের মোসলেম মাওলানা ভানুকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করলেও তার দায় চাপাতে হবেই সাঈদীর ওপর ---নয়কি??
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩০
রুম্মান৯৯ বলেছেন: ভাদা কীরে ভাই--- ???
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১৯
জিয়াউল হক বলেছেন: এ পাষ্টে কোন ভাদার কমেন্ট নেই। থাকবেই বা কি করে?
দের কাছে সত্য বদই তেতো। লেখককে ধন্যবাদ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬
রুম্মান৯৯ বলেছেন:
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯
শিবলী নোমান বলেছেন: ভাদা হলো ভারতের দালাল
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯
রুম্মান৯৯ বলেছেন: আমিতো ভাবলাম-- ভাতারওয়ালা দামড়ি !!!
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩০
েলমন বলেছেন: কিন্তূ ৭১এ গো আ'র ভুমিকা সযত্নে এরিয়ে গেছেন। ৭১ এ যদি ভাল কিছু করে থাকেন তবে বলুন।শেষ ভাল যার সব ভাল তার। পাকিস্তান কে নিজের দেশ ভেবে এর অখন্ডতা রক্ষা করা যদি দায়িত্ব মনে করে থাকেন তবে পরাজযের পর পাকিস্তােন চলে যাওয়া উচিত ছিল। মৃনে রাখবেন বিজয় ই রাই আইন বানায়। আপনাকে হাতের কাছে পেলে একটা ডলা দেওয়া ইচ্ছা ছিল।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৫
রুম্মান৯৯ বলেছেন: যা করেননি তা এরিয়ে যাবার কী আছে।?৯৪ সালে হাইকোর্টের রায় পড়ে দেখুন--কী বলেছে?? বলেছে---তার বিরুদ্ধে ৭১-এ অন্যায় করার পক্ষে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি?
আর আপনার কাছে প্রমান থাকলে পেশ করুন, সবাই দেখুক!!! .
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩১
হাসান তারেক বলেছেন: আগুন পোষ্ট,
দেখি কোন কোন ভাদা এসে এখানে মাৎকার শুরু করে দেয়
সহমত !!!!!!!!!!!!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৬
রুম্মান৯৯ বলেছেন: ওপরের ভাদা কী কয় দাদা??
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫১
অন্তরপুর বলেছেন: আগুন পোস্ট।+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি তথ্যবহুল পোস্ট দেওয়ার জন্য।
কিন্তু লাভ কি? আওয়ামিলীগ সরকারতো যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে না। তারা চেষ্টা করছে কিভাবে এদেশ থেকে ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদ / রাজনৈতিকদল তথা জামাত-ই-ইসলামকে বিলুপ্ত করা যায়।
ভাবতে অবাক লাগে, ৭১ এ যে সাইদী সাহেব বাজারের ফুটপাতে চট বিছিয়ে তেল লবন বিক্রি সে কি করে রাতারাতি যুদ্ধকালীন সময়ে এতটা প্রভাব বিস্তার করল????????তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যে দাহা মিথ্যা সেটা যে কোন সচেতন নাগরিকমাত্রই বুঝতে পারে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৯
রুম্মান৯৯ বলেছেন: দেশের সব স্বাধীনতার দলীলে এবং পিরোজপুরের কোন বইয়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন তথ্য নেই কেনো??? ভাদারা এর জবাব দিতে পারবেনা???
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯
alifaruk বলেছেন: পোস্ট।+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি তথ্যবহুল পোস্ট দেওয়ার জন্য।
২৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৭
রুম্মান৯৯ বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮
নুর3ডিইডি বলেছেন: গোলাম আযম অস্বীকার করছেনা যে সে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেনি।
আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী যুদ্ধাপরাধী তারাই যারা যুদ্ধরত পক্ষের হয়ে যুদ্ধের নিয়ম-নীতি ভেঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অমানবিক কার্যকলাপ করে, যা ক্ষমার অযোগ্য।
কিন্তু বাদারাতো জানে যে জামায়াত যারা করে তারা সবাই যুদ্ধাপরাধী। তাদের দোষ নাই তাদের কে শিখানোই হয়েছে এইটা।
আপনার দেয়া এই তালিকার রাজাকার গুলা ৭১ এ আমাদের মা বোনদের নির্যাতন করেছে, এখন নির্যাতনের সেঞ্চুরি করে উৎসব করছে তাদেরই উত্তরসূরিরা।
২৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৮
রুম্মান৯৯ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৭
শিবলী নোমান বলেছেন: আগুন পোষ্ট,
দেখি কোন কোন ভাদা এসে এখানে মাৎকার শুরু করে দেয়