![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিন অফিসার
যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা নেই, সেখানে জীবনের বিকাশ নেই, নেই প্রেরণা-প্রয়াস। জীবনের জাগরনের জন্য চাই দ্বন্দ্ব। যারা চিন্তাবিদ তাদের পারস্পরিক অবস্থার সংঘাত ঘটে। কিন্তু এতে তারা দমে যান না। মানব দরদীরা আঘাতে জর্জরিত হয়ে, নতুন চিšতায় উদ্বুদ্ধ হন এবং তাদের চিšতা সমাজ পরিবর্তনের সূচনা করে। সার্বজনীন সত্য প্রতিষ্ঠায় নিজেকে ব্রত রাখেন। যথার্থ জ্ঞানই পূণ্য। অজ্ঞানতা অকল্যানের মূল। কেননা মন্দকাজ অজ্ঞানতার বশতই করে থাকে।
জ্ঞান বা শিক্ষা মানে মানসিক ও নৈতিক শিক্ষাকে বুঝায়। এটা হল আলো যা আমাদের মনের দিগন্ত থেকে সকল অন্ধকার দূর করে। আর সে যথার্থ জ্ঞান অর্জনের প্রাণকেন্দ্র হল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সর্বোত্তম জ্ঞান অর্জনের পর একটি সনদ হাতে নিয়ে যায় মাত্র। কজনইবা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে অনৈতিক কাজে লিপ্ত। কোথায় সেই শিক্ষা? আগের দিনে শিক্ষিত সমাজ টিপ সইয়ের দ্বারা ঠকিয়েছে। আর এখন নিজের সইয়ের দ্বারা ঠকাচ্ছে। ঠিক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ । তাহলে কি জাতির অšতরায়ের জন্য অক্ষরজ্ঞান সম্পন্নরাই দায়ী? যে জাতি যতশিক্ষিত সে জাতি কি তত দূর্নিতিগ্রস্ত? নাকি দেশে স্বশিক্ষিত লোকের অভাব রয়েছে? নাকি সুশীল সমাজ তাদের মনুষত্বকে বিকিয়ে দিয়েছে! না শিক্ষা প্রদানের কৌশলের অভাব রয়েছে! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনাহীন। অভাব রয়েছে পাঠদান ও শিক্ষো গ্রহনের পদ্ধতি। ছাত্রশিক্ষকের মধ্যাকার সুসম্পর্কের অভাব রয়েছে। অভাব রয়েছে মেধা বিকাশের জায়গাগুলির। সক্রেটিসের মতে, মাতৃগর্ভ থেকে পরিপূর্ণ মানবসšতান বের হয়ে আসতে ধাত্রী সহায়তা করে মাত্র। আর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর পারষ্পরিক জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নির্ধারিত সত্যকে খুঁজে পায়। দেশের অনৈতিক রাজনীতির ছত্রছায়ায় জড়িয়ে পড়ে ছাত্রশিক্ষক মহল। স্বার্থ আদায়ে দুজনেই সচেষ্ট। কথায় বলে কোন সুস্থ ম¯িতষ্ক নোংরা রাজনীতিকে সমর্থন করেনা। শিক্ষকগণ সত্য প্রকাশের বাহক। নীতিতে অটুট থেকে দেশ ও দশের জন্য বা¯তবসম্মত পাঠ্যক্রম সাজানো অপরিহার্য। সময়কে গুরুত্ব দিয়ে পাঠচর্চা অত্যাবশ্যক। দর্শন আমাকে সে শিক্ষাই দিয়েছে। কিন্তু ছাত্র হয়ে সে চর্চা করতে পারলাম কোথায়? ছাত্রসংগঠনের কাজ হিসেবে ছাত্র সুবিধার দাবি আদায় হল না। হল আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভি জি এফ কার্ডের দাবির প্রয়োজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ অভিযুক্তগণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হলোনা সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের জন্য। মাঝে মধ্যে মনে হয় এরা ছাত্রদের বোকা বানিয়ে মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খায়,আবার খাওয়া শেষে আঠা লাগিয়ে দিয়ে যায়। কোথায় গেল স্বাধীনতা? দূর্নিতির জন্যই কি দেশটি স্বাধীন হয়েছিল? এই বেড়াজাল থেকে বের হতে না পারলে কিসের দার্শনিক সত্যের পথ চলা।
শুধু নিন্দাও পথ চলা নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কথা আবার টলেমির ভূকেন্দ্রিক মতবাদের মত পিছিয়ে দেয়া যুগের কথার মত বললে চলবে না। কেননা হয়ত টলেমির ঐ মতবাদ ছাড়া আজও গ্রহের কেন্দ্র সম্পর্কে মতবাদ প্রতিষ্ঠা হত না। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্বীকার্য। কেননা শুকনো পাতা তো মরমর করবেই। লালসা দমনই মনুষত্ব।
তাই যতদিন আমরা ছাত্র-শিক্ষকগণ ৯০% মেধাশূন্য ঘৃণ্য রাজনৈতিক দল থেকে নিজেদেরকে উন্মোচন করতে না পারছি, সময়ানুবর্তিতা ও নিজ দায়িত্বকে স্বসুবিধা থেকে প্রস্থান না করছি; ততদিন একটি সুন্দর জাতি উপহার দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এ পথ চলাকে পদমর্যাদায় বিভেদ না রেখে ছাত্র-শিক্ষক, সুশীল সমাজ বিশ্ববিদ্যলয়কে সুন্দর জাতি গঠনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে মানুষের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে রণক্ষেত্র ধারণাটি পাল্টে দিই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
সোহরাব রুনু বলেছেন: good