![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিন অফিসার
শপথ এবং নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে আপনারা বিচার করতে পারেননি।’ আজ বৃহস্পতিবার আদালত দণ্ডাদেশ দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া প্রকাশের সময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এ কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায় ঘোষণা শেষ হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাঈদী।
রায় ঘোষণার পুরোটা সময় ট্রাইব্যুনালে বিমর্ষ হয়ে বসে ছিলেন সাঈদী। রায় ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্র সাঈদী দাঁড়িয়ে যান। ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের উদ্দেশে তিনি ওই কথা বলেন।
এরপর শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন সাঈদী। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত সবাই তাঁকে থামিয়ে দেন। সেখানে কিছুটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত সাঈদীকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। পরে তাঁকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একপর্যায়ে ছেলে মাসুদ সাঈদীর সঙ্গে তাঁকে আলাপ করতে দেখা যায়।
সাঈদীর বিরুদ্ধে থাকা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত এই আটটি হচ্ছে ৬, ৭, ৮, ১০, ১১, ১৪, ১৬, ১৯ নম্বর অভিযোগ। এর মধ্যে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
ছেলের প্রতিক্রিয়া
সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী তাঁর বাবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোন অপরাধে আমার বাবার মৃত্যুদণ্ড হলো, সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’
মাসুদ সাঈদী দাবি করেন, ‘একাত্তরে তিনি একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে পিরোজপুরে এত তাণ্ডব চালানো সম্ভব নয়। তিনি একজন জনপ্রিয় মানুষ। রাজনৈতিকভাবে তৃতীয় কোনো পক্ষকে খুশি করতেই এমন রায় দেওয়া দেওয়া হয়েছে। আমারা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা আপিল করব।’
রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে সাঈদীকে বিমর্ষ দেখালেও রায় শেষে তাঁর ছেলে মাসুদ সাঈদী দাবি করেন, ‘আমার বাবা সুস্থ আছেন। ভালো আছেন।’
মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ প্রথম রায় প্রদান করা হয়
©somewhere in net ltd.