নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: সোহরাব হোসেন

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিন অফিসার

সোহরাব রুনু

বাংলাদেশী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিন অফিসার

সোহরাব রুনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে ৩০ বছরের কম বয়সীদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস হচ্ছে

০২ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

খাদ্যাভ্যাস বদলে যাওয়ায় ৩০ বছরের কম বয়সীদেরও টাইপ-১ ডায়াবেটিস হচ্ছে। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে ইনসুলিন একেবারেই উৎপাদন হয় না। বেঁচে থাকার জন্য এদের দেহে বাইরে থেকে ইনসুলিন নিতে হয়।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস একটি জীবনব্যাপী রোগ। এটা একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। রোগটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সম্পূর্ণ সুস্থ ও কর্মঠ থাকা সম্ভব। পাশাপাশি যাদের এখনো ডায়াবেটিস হয়নি, একটু সচেতন হলে তারা রোগটি প্রতিরোধ করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব।



বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা: এ কে আজাদ খানের মতে, টাইপ-ওয়ান ধরনের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা এ দেশে তুলনামূলক কম থাকলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে খাদ্যাভ্যাস বদলে যাওয়ার কারণে। বাংলাদেশে টাইপ-টু ধরনের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাই বেশি। তিনি জানান, টাইপ-টু ধরনের ডায়াবেটিস রোগীর দেহে ইনসুলিন উৎপাদন হয়; কিন্তু তা নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা ইনসুলিনের ঘাটতি থাকে। এরা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে সেই সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করলে এ ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এ ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের প্রয়োজনে খাওয়ার বড়ি অথবা কাউকে কাউকে ইনসুলিন নিতে হতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।



কেন ডায়াবেটিস হয় এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাব হলে কিংবা উৎপাদিত ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে গেলে রক্তের গ্লুকোজ দেহের বিভিন্ন কোষে প্রয়োজনমতো প্রবেশ করতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিকেই ডায়াবেটিস বলে।



১৯৮৫ সালে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের পরিমাণ যেখানে প্রায় তিন কোটির বেশি ছিল সেখানে ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ২৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। গত ২৭ বছরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আট গুণ। এ অবস্থায় এখনই রোগটি প্রতিরোধ করা না হলে ২০২৫ সালে বিশ্বে মোট ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৩৮ কোটিতে পরিণত হতে পারে।



অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ৮৪ লাখের বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ধীরে ধীরে চোখ, কিডনি, হৃদপিণ্ড, পা ইত্যাদি অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। একই সাথে দেখা দিতে পারে নানা রকম শারীরিক জটিলতা। যথাযথ চিকিৎসা না হলে আক্রান্তরা অন্ধত্ব এমনকি পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে। ডায়াবেটিস জটিলতার কারণে পায়ে পচনশীল রোগ হতে পারে। ফলে পা কেটে ফেলতে হতে পারে। স্ট্রোক অথবা হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পায়ে জ্বালা-পোড়া ভাব বা পা অবশ হয়ে যেতে পারে। শরীরে ঘা হতে পারে। মহিলারা অপরিণত বা মৃত শিশু জন্ম দিতে পারে। মাড়ির প্রদাহ বা পেরিওডেন্টাল রোগ হতে পারে। কমে যেতে পারে যৌনক্ষমতা।



অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, শুধু তামাক পরিহারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীদের ৩০ শতাংশ জটিলতা কমিয়ে আনা সম্ভব। পরোক্ষ ধূমপানেও সমপরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।



অধ্যাপক এ কে আজাদ খান জানান, উচ্চতা অনুযায়ী ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। ওজন বেশি থাকলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এবং ব্যায়াম করে তা কমিয়ে আনা যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট দ্রুততার সাথে হাঁটতে হবে। এ ছাড়া দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো যেতে পারে। ঘরে ভেতর, ছাদে বা বারান্দায় নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। অনাবশ্যক শুয়ে থাকা বা দিনের বেলা ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত।



চর্বিযুক্ত খাবার যেমন ঘি, ডালডা, চর্বি, মগজ, চিনি, কোমলপানীয়, ফাস্টফুড (বার্গার, পিজা, সিঙ্গারা, সমুছা ইত্যাদি), চিংড়ি মাছ, খাসি ও গরুর গোশত পরিহার করা উচিত। শর্করা বহুল খাবার যেমন চাল, আটা ইত্যাদি পরিমিতভাবে খেতে হবে। নিয়মিত শাকসবজি ও ফল খেতে হবে

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

মো জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই ভাল জিনিস, সম্ভব হলে লিংকটা শেয়ার করেন প্লিজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.