নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথের দাঁড়িঃ ভালোবাসার নিদর্শন

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিলেত পাঠানোর আগে স্পোকেন ইংরেজি আর বৃটিশ আদব-কায়দা শেখার জন্য বোম্বেতে এক মারাঠা পরিবারে থাকতে হয়েছিল কিছুদিন । তখন তাঁর বয়স ছিল ষোলো । সেই পরিবারের মেয়ে আন্না তড়খড়কে তাঁর বাবা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছিলেন । তাঁর কাছ থেকে স্পোকেন ইংরেজি শেখাই রবীন্দ্রনাথের মূল উদ্দেশ্য ছিল ।
আন্না রবীন্দ্রনাথকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন । কাদম্বিনী দেবী কখনো রবীন্দ্রনাথের চেহারার প্রশংসা করতেন না । তিনি রবীন্দ্রনাথের সুপুরি-কাটা হাতের গুণ ছাড়া আর কোনো প্রশংসাই করতেন না । রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, "এমন কী চেহারারও খুঁত ধরে বিধাতার ওপর রাগ ধরিয়ে দিতেন । "
আন্নাই প্রথম রবীন্দ্রনাথের চেহারার প্রশংসা করে বলেছিলেন, "একটা কথা আমার রাখতেই হবে, তুমি কোনোদিন দাঁড়ি রেখোনা; তোমার মুখের সীমানা যেন কিছুতেই ঢাকা না পড়ে । " রবীন্দ্রনাথ বিলেত চলে যান । আন্না মারা যান তারও অনেককাল পরে ।
আন্না তড়খড় মারা যাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ আর কখনো দাঁড়ি কাটেননি । যে মুখের প্রশংসা আন্না তড়খড় করেছিলেন, সেই মুখ তিনি দেখবেন না বলে ভালোবাসার প্রকাশসরূপ রবীন্দ্রনাথ আর শেভ করেননি ।
আন্না সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "জীবনযাত্রার মাঝে মাঝে জগতের অচেনা মহল থেকে আপন মানুষের দূতী হৃদয়ের দখলের সীমানা বড়ো করে দিয়ে যায় । না ডাকতেই আসে, শেষকালে একদিন ডেকে আর পাওয়া যায়না । চলে যেতে যেতে বেঁচে থাকা চাদরটার ওপরে ফুলকাটা কাজের পাড় বসিয়ে দেয়, বরাবরের মত দিনরাত্রির দাম দিয়ে যায় বাড়িয়ে ।"

স্মৃতিচারণ
রবীন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

" তাঁর কাছ থেকে ইংরেজি স্পোকেন শেখাই রবীন্দ্রনাথের মূল উদ্দেশ্য ছিল ।. "
- স্পোকেন ইংরেজি

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

রবীবাবুকে অনেকে ভালোবেসেছিলেন।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জানাই অনিচ্ছাকৃত ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য । রবীন্দ্রনাথ জমিদারপুত্র ছিলেন; সে হিসেবে অনেকের সাথেই তাঁর মেলামেশা ছিল, অনেক রমণীই তাঁকে ভালোবেসেছিলেন । আন্না তড়খড় ছাড়াও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো কিংবা বৌদি কাদম্বরীর কথাও বলা যায় ।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনি একেকবার একেক নাম নিচ্ছেন! কখনো কাদম্বরী কখনো 'বৌদি কাদম্বিনী'। গুরুদেবের স্ত্রীর নাম নিলেন না!

২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বৌদি কাদম্বরীর সাথে কবির একটা গভীর সুসম্পর্ক ছিল । জেনে থাকবেন কবি যেদিন বিয়ে করেন, সে রাত্রে কাদম্বরীদেবী আত্মহত্যা করেন । যাহোক, রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিখ্যাত কবি ছিলেন ঠিকই, কিন্তু আদর্শ স্বামী হতে পারেননি ।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অন্যদিকে টান নিয়া সংসার করা যায়না। ভালোবাসা অদ্ভুত ব্যাপার। সংজ্ঞায় ফেলা যায়না

২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম । ঠিকই বলেছেন ।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কোন রেফারেন্স নেই?

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অারণ্যক রাখাল, শেষে রেফারেন্স দেয়া আছে । বইটার নাম রবীন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি ।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বস, জী্রিতস্মৃতি তো পড়েছি, এরকম কথা তো তিনি লিখেননি!
"আন্না সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "জীবনযাত্রার মাঝে মাঝে জগতের অচেনা মহল থেকে আপন মানুষের দূতী হৃদয়ের দখলের সীমানা বড়ো করে দিয়ে যায় । না ডাকতেই আসে, শেষকালে একদিন ডেকে আর পাওয়া যায়না । চলে যেতে যেতে বেঁচে থাকা চাদরটার ওপরে ফুলকাটা কাজের পাড় বসিয়ে দেয়, বরাবরের মত দিনরাত্রির দাম দিয়ে যায় বাড়িয়ে ।"
এর থেকে কি বোঝা যায়? আমি একজ্যাক্ট একটা রেফারেন্স চাচ্ছি। কোন শক্তিশালী প্রমাণ। মনে পড়ে না আমার যে, তিনি জীবনস্মৃতিতে দাড়ি নিয়ে কিছু বলেছেন

:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.