নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুবচন

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

অনেকেই এমন প্রশ্ন করে থাকে যে, পিতাকে পাকিবাহিনী হত্যা করার পরও জাফর ইকবাল (হুমায়ুন আহমেদের ক্ষেত্রেও) কেন মুক্তিযুদ্ধে যাননি? উনি তো প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন! উনার কয়টা জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে অান্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে?
যারা এমনসব প্রশ্ন করেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ একাত্তরে আপনি কী ছিঁড়েছেন?
ধরে নিলাম, আপনার তখন জন্ম হয়নি । আপনার বাপ-দাদা তো জীবিত ছিল, তারা কী ছিঁড়েছে? আর আপনার কয়টা লেখা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসেছে?
৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি । কমপক্ষে এক থেকে দুই কোটি লোক তো যুদ্ধে যেতে পারতো । গিয়েছিল মাত্র এক লাখ বিশ হাজার । বাকিরা পালিয়ে বেঁচেছে অথবা রাজাকারবাহিনীতে যোগ দিয়েছে । স্বাধীনতা যুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন কম ছিল । বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন বটে । সরাসরি যুদ্ধে যাওয়ার মত সাহস হয়নি । গেলেও কম সংখ্যক । যুদ্ধে গিয়েছিল ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, মজুর এই শ্রেণির লোক । যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বিদ্যাবুদ্ধির প্রয়োজনের চেয়ে সাহসটাই বেশি লাগে ।
জাফর ইকবাল নিজেই বলেছেন, "আমি যুদ্ধে যাইনি । কারণ, যুদ্ধে যাওয়ার মত সাহস আমার ছিল না ।"
উনি যুদ্ধে যাননি । কিন্তু দীপশিখা তো জ্বালিয়ে রেখেছেন! মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন । কিছু কুলাঙ্গার এসব মেনে নিতে চায় না । এরা স্বাধীনতা যুদ্ধটাকেই অস্বীকার করে । করবেই তো, পৃথিবীর আর কোন দেশে পরাজিত শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি, এই দেশে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার হাত ধরে ।
এদেশ স্বাধীন হওয়াতে ওরা ব্যথিত । সারাজীবন পাকিস্তানীদের গোলাম হয়ে থাকলেই বোধহয় ভালো হতো । এমন অনিচ্ছুক একটা জাতিকে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বৃথাই স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: তাইলে আমি এই প্রশ্ন করতে পারি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিল। যদিও এই ব্যাপারটা যে অনেক বড় কিছু এইটা গত ৫-১০ বছর ধরে বুঝতে পারতেছি। আগে আসেপাশের অনেকের বাবাই মুক্তিযোদ্ধা হওয়াটা সাধারন ব্যাপারই মনে হইতো। ঠিক যেমন মনে হইতো ১৬ ডিসেম্বরে ভরেউঠে পতাকার সামনে দাড়াইয়া সব পিচ্চিপাচ্চা মিলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, সারাদিন ব্যাপী বিজয় দিবসের নানা খেলাধুলার আয়োজন। অথবা ফেব্রুয়ারীতে নিজেরাই শহীদ মিনার বানাইয়া ফেলা, রাতের বেলায় আসেপাশে সব বাগানের ফুল সাফা কইরা দেয়া। কই গেছে এইসব?? আজকালকার বাচ্চাদের মধ্যে এইসব দেখান আমারে। বেশি চেতনা ইনসার্ট করতে গিয়া ন্যাচারালী যেটা শেখানোর কথা, শিখবার কথা ওইটা নস্ট করতেছি আমরা। আমিও কিন্তু প্রশ্ন করি উনি যুদ্ধে কেন যাননাই। আবার কালকে বললেন যে কোন অবস্থাতেই পরাজিত হবেননা, নীতি থেকে দূরে সরবেননা। উনি যদি বলেই থাকেন উনি সাহসী ছিলেননা, তাই যাননাই, তাহলে আবার যদি জীবন নিয়া টানাটানি লাগে, উনি নীতিতে অবিচল থাকতে পারবেন তো??

আমার কাছে সেই বীর, যে সত্যি লড়াই করছিলো। আজাদের কাহিনী তো পড়ছেন, তাইনা? আজাদ কিন্তু সরকারী ছাত্র সংগঠনের ছিলেন। কিন্তু উনি যুদ্ধ করছিলেন পাকিস্তানপন্থী হয়া সত্তেও, কারন উনি জানতেন এটাই ঠিক। আমার ধারনা উনি যুদ্ধে যাওয়ার আগে জয় বাংলা স্লোগান দেননাই একবারও। যুদ্ধে যাবার পরে দিতেপ পারেন, স্লোগান বড় ইস্যু না, ইস্যু হচ্ছে সেটাই যা আমি করছি, আমার কাজ। উনি কিন্তু ওই সময়ে ঠিক সেটাই করছিলেন তার যা করার দরকার ছিলো।

আমার মনে হয় আরেকটা জাতির প্রতি কিংবা নিজ জাতির প্রতিই ঘৃনা তোইরির মাধ্যমে দেশপ্রেম বাড়ানোর চেয়ে, মানুষের প্রতি ভালোবাসা তিরি করা উচিত। একটা শিশু যখন জন্ম নেয়, তাকে বাঙ্গালী পিতামাতার কাছে নিয়ে আসলে সে বাঙ্গালী মননেই বড় হবে নিগ্রো হোক আর শেতাঙ্গই হোক। দেশের প্রতি ভালোবাসাটাও গড়ে তোলা দরকার খুব ছটখাটো ব্যাপারে দেশেরপ্রতি দরদ জাগিয়ে তুলে।

আমার উনার প্রতি ব্যহাপক শ্রদ্ধা আছে, কারন আমার ছোটবেলার বোধ অনেকটাই উনার লেখার মাধ্যমে গড়ে ওঠা। কিন্তু দলীয় পরিচয় যখন উনি এড়াতে পারেননা, তখন খারাপ লাগে। উনার ভাই আবার বিএনপি পন্থী ছিলেন মনে হয়, এটা উনার ভাইও এড়াইতে পারেননাই। কিন্তু উনার মতো মানুষদের এমন দুর্বলতা থাকা উচিত না।

আর কি কি জানি বলবো ভবছিলাম, কমেন্টাইতে গেলে লাইনে ঠিক থাকতে পারিনা, আউলাইয়া ফেলি আসলে কিবলতে চাইছিলাম।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি । কমপক্ষে এক থেকে দুই কোটি লোক যুদ্ধে যেতে পারতো । গিয়েছিল মাত্র এক লাখ বিশ হাজার । বাকিরা পালিয়ে বেঁচেছে অথবা রাজাকারবাহিনীতে যোগ দিয়েছে । যুদ্ধে যেতে সাহস লাগে । সে সাহস জাফর ইকবাল কিংবা হুমায়ুন আহমেদের ছিলনা । জাফর ইকবাল নিজেই বলেছেন, আমি সাহসী ছিলাম না । তিনি মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শুনিয়ে যাচ্ছেন ।
আপনি বলেছেন, "তাহলে আমি এই প্রশ্ন করতে পারি । আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিল । যদিও এই ব্যাপারটা যে অনেক বড় কিছু, এইটা গত ৫-১০ বছর ধরে বুঝতে পারতেছি । আগে আশপাশের অনেকের বাবাই মুক্তিযোদ্ধা হওয়াটা সাধারন ব্যাপারই মনে হইতো । ঠিক যেমন মনে হইতো ১৬ ডিসেম্বরে ভরে উঠে পতাকার সামনে দাড়াইয়া সব পিচ্চিপাচ্চা মিলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, সারাদিন ব্যাপী বিজয় দিবসের নানা খেলাধুলার আয়োজন । অথবা ফেব্রুয়ারীতে নিজেরাই শহীদ মিনার বানাইয়া ফেলা, রাতের বেলায় আসেপাশে সব বাগানের ফুল সাফা কইরা দেয়া। কই গেছে এইসব?? আজকালকার বাচ্চাদের মধ্যে এইসব দেখান আমারে । বেশি চেতনা ইনসার্ট করতে গিয়া ন্যাচারালী যেটা শেখানোর কথা, শিখবার কথা ওইটা নস্ট করতেছি আমরা ।" আপনার কথার সাথে একমত । কিন্তু ন্যচারালি কি আমরা শিখতে পারি? একসময় তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেই অস্বীকার করার খেলা শুরু হয়েছিল । আর কিছুদিন ওভাবে গেলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কী বুঝতামই না । মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা লোকের অভাব নেই এই দেশে । দেশের বৃহৎ অংশ শেখ মুজিবকে ঘৃণা করে আর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে গোলাম আযম, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানকে । শেষের দুইজন নাকি আবার শহিদ!
হ্যাঁ! উনার একটা ব্যাপার আমার খারাপ লাগে । ছাত্রলীগ এর আগেও খারাপ কিছু করলেও তিনি প্রতিবাদ করেননি । দলকানার মত ছিলেন । এবার যখন নিজেই লাঞ্ছিত হলেন, প্রতিবাদ করলেন । অথচ উনার সব ব্যাপারেই প্রতিবাদী হওয়া উচিত ছিল ।
যাহোক, উনি মুক্তিযুদ্ধে কেন যাননি, উনার কয়টা লেখা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে- এ জাতীয় প্রশ্ন যাদের, তাদের উদ্দেশেই আমার এই লেখা! সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ন্যাচারালি শেখা বলতে আমার মনে হয় যেটা স্বাভাবিক নিয়মেই হবার কথা। যার অনেকটাই পরিবার এবং আসপাশটা দেখে। দেশপ্রেম ভিতরে ভরতে প্রকাশের জন্য পাকিস্তানরে ফাকিস্তান আর ইন্ডিয়ারে রেন্ডিয়া বইলা আলাদাভাবে সেইটা বোঝানোর দরকার নাই। আমি এর ঘৃনা করি, আমি তারে ঘৃনা করি, আমি এরে থুথু মারি, তারে ভইরা দেই, এইসব দিয়া দেশপ্রেমের চেয়ে উগ্রবাদী বেশি বুঝায় আমার কাছে।

আমি সাধারনত মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে (সামগ্রিক অর্থে, তবে অনেকক্ষেত্রে সমানুপাতে নিষ্ঠুরতার পক্ষে, যেমন রাজনের হত্যার বিচার এবং এই ধরনের অনেক ব্যাপারে) , সারা দুনিয়ার আলাদা আলাদা দেশের বিপক্ষে। ভারতভাগের বিপক্ষে (আমার মনে হয় পুরা ভারত এক থাকলেই আমরা অর্থনোইতিকভাবে অনেক ভালো থাকতাম, সমস্যা হইতো সাম্প্রদায়িকতা, নিয়ন্ত্রন সত্যি কঠিন ব্যাপার, কিন্তু দুনিয়ার অনেক দেশ পারলে এই অঞ্চলেও সম্ভব ছিলো), খোদা আছে এইটা মানি দেখে আস্তিক কিন্তু স্পেসিফিকভাবে ইসলামে পরিপুর্ন বিশ্বাস আছে দাবী করিনা, আর সেক্যুলার রাস্ট্রের পক্ষে। নির্বাচিত একনায়কতন্ত্রের পক্ষে যেখানে সাধারন সিদ্ধান্ত পার্লামেন্ট নিবে কিন্তু নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট একক সিদ্ধান্তে যেকোন সিদ্ধান্ত উলটে দিতে পারবেন।

আর বৃহৎ অংশ বললে ভুল হবে, বলতে হবে ৫-১০ ভাগ লোক। ওরা ৭১ এও ছিলো আজীবন থাকবেই। ইউ জাস্ট ক্যান্ট কিল দেম অল। আর দুনিয়া উল্টাইলেও তাদের ধ্যান ধারনা চেঞ্জ হবেনা। এদেরকে দেশের জনগনের অংশ ভাইবাই আমাদের চলতে হবে। তবে দেশ চলবে সংখ্যাগরিষ্টের সিদ্ধান্তে, ওই অংশ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিনত হয়, তাহলে দেশ তাদের মত অনুসারে চলবে, আমরা মাইর খাবো, নাইলে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে, ওরা চুপ কইরা বইসা থাকবে।

আবার উনি সব ব্যাপারে প্রতিবাদ করবেন এইটাও অস্বাভাবিক চিন্তা। তবে একই ধরনের এক ব্যাপারে করবেন, আবার আরেকটায় করবেননা, এইটা দৃস্টিকটূ। একই ধরনের কিছু উনার সাথেই যখন ঘটলো তখন আলাদা কইরা কি সহানুভুতি দিবো?

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরলাম

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাই ৭১-এর যুদ্ধের আমি প্রত্যক্ষ্য স্বাক্ষী। সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়াটা খুব রিস্কি ছিল। একটা বাস্তব উদাহারণ দেই, আমার পাশের গ্রামে আহম্মদ ভাই মুক্তি যুদ্ধে যাওয়ার ঠিক এক দেড় মাসের মাথায় তার বাবাকে ধরে নিয়ে পাক সেনারা গুলি করে মেরে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। আহম্মদ ভাইয়ের আর কোন ভাই ছিল না। এই ঘটনা দেখার পরে আশেপাশের লোকজনের ইচ্ছা থাকা সত্বেও যুদ্ধে যাওয়ার সাহস পায়নি। তবে তারা যে রাজাকার তা নয় পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে যেতে পারেনি। একজন মুক্তিযুদ্ধে গেলে কখনও কখনও পুরো গ্রাম খানেরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে যেত। সেই ভয়াবহ দৃশ্য যারা দেখেনি তারাই এরকম মন্তব্য করতে পারে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বর্তমান প্রজন্মের অনেক মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে মিথ মনে করে । ব্যাপারটা সত্যিই দুঃখজনক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.