নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেঁয়ালি মন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

অনেকদিন আগের কথা । সেবার কয়েকদিনের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল । যেহেতু বন্ধটা ছিল অনেকদিন পর, স্বাভাবিকভাবেই সবাই ছিল প্রফুল্লিত; সবার মাঝেই ছিল আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মিলিত হওয়ার তীব্র আকুলতা । শিক্ষাজীবনে এমনটা প্রায় সবারই হয়ে থাকে । বিশেষ করে যারা দূর-দূরান্ত থেকে পড়ালেখা করতে আসে । যাহোক, যে যার মতো বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ।

আমি ছন্নছাড়া মানুষ । নিজের মতো করে থাকতেই পছন্দ করি! এক স্থানে বেশিদিন থাকতে পারি না । কেমন যেন বিরক্তিকর লাগে, দম বন্ধ হয়ে আসে । মনে হয়, জীবনটাই থেমে গেছে । কোনো পিছুটানও নেই আমার । তাই ভাবছিলাম কী করা যায়! কোথাও কি ঘুরে আসা যায়?

ত্রিশালে থেকে যেহেতু কোনো কাজকর্ম ছিল না, তাই আমিও ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলাম । এখানে একা থেকে ভালোও লাগবে না! আমার বাড়ি ভালুকায়, কিন্তু আমি গন্তব্য ঠিক করলাম গাজীপুরে । সেখানে আমার এক পুরোনো বন্ধু থাকে । তার বাসায় যাব! কিছুদিন থাকব সেখানে । অনেকদিন তার সাথে দেখা-সাক্ষাত হয় না ।

ভার্সিটির বাসে উঠার পর সুপ্তা ও কণিকার সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল । ওরা আমার সহপাঠিনী । ওরাও বাড়ীতে যাবে । সুপ্তার বাড়ি ঢাকা আর কণিকার মাওনা ।

ভালুকা যাওয়ার পর বাস বদল করতে হয় । বাস থামার পর সুপ্তা কোথায় যেন চলে গেল । কণিকা একটা বাস ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিল । আমি তাকে জিগ্যেস করলাম, ‘সুপ্তা কোথায় গেলো?’
কণিকা বলল, ‘টিকিট কাটতে গেছে ।’

আমি যেহেতু গাজীপুর যাব, রাস্তা তো একই । ভাবলাম, সবাই একসাথেই যাই । কণিকাকে বললাম, ‘আমিও তোমাদের সাথে যাব ।’ সে কিছু বলল না । ঠায় দাঁড়িয়ে রইল ।

টিকিট কাটতে গিয়ে সুপ্তার সাথে আবার দেখা হয়ে গেল । সে যেন কার সাথে কথা বলছিল । শেষে দু’জনেই একই বাসের টিকিট কাটলাম ।

সুপ্তাকে বাসে বসিয়ে রেখে কণিকাকে খুঁজতে গেলাম । সে কি এখনও সেখানে দাঁড়িয়ে আছে? না, কণিকা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল না, যেখানে তাকে রেখে গিয়েছিলাম । বাসে গিয়ে সুপ্তাকে কণিকার কথা জিগ্যেস করলাম । সুপ্তা বলল, ‘ও তো মাওনার বাসে চলে গেছে ।’
হঠাৎ আমার মনে হলো, ‘ও কি ভেবেছিল, আমি ওদের বাসায় যাব?’


লাইব্রেরীতে যাচ্ছিলাম । ক্লাস ছিল না সেদিন! পত্র-পত্রিকা, বই-টই পড়ে অবসর সময় কাটানোর ভাবনা আর কী! আমার সামনে দিয়ে কণিকা যাচ্ছিল । হঠাৎ পেছন ফিরে তাকাল সে । আমাকে জিগ্যেস করল, ‘কবি, তোমাকে তো আজকাল দেখতে পাওয়া যায় না! কোথায় থাকো তুমি? মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকে নাকি?’
আমি বললাম, ‘না তো!’
কণিকা বলল, ‘সেদিন অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম, তোমাকে পাইনি!’
আমি বললাম, ‘তাই নাকি?’
কণিকা বলল, ‘হুম!’
আমি বললাম, ‘আমার নাম্বার তো সবসময়ই খোলা থাকে! আচ্ছা, তোমার নাম্বারটা দাও তো!’
কণিকা বলল, ‘ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বের করতে ইচ্ছে করছে না!’

২৪ ভাদ্র ১৪২২
ময়মনসিংহ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ইহা কি সত্য ঘটনা? নাকি গল্প?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শতভাগ সত্য ও হালাল ঘটনা!

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ও আচ্ছা।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: বোঝা গেল সে মোবাইল না করেই মিথ্যা কথা বলেছে। ধন্যবাদ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম!

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: সাবলীল হেয়ালী মনের কথা!

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১

নীলপরি বলেছেন: হেয়ালী অতি মনোরম লাগিল।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.