নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
বাংলাদেশের একজন কবির নাম গোবিন্দ চন্দ্র দাস । স্বভাব কবি হিসেবেই তিনি বাংলা সাহিত্যে পরিচিত । অন্যান্য কবির মতো তাঁর তেমন প্রচার-প্রসার নেই । তাই তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি মানুষ জানেন না । কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাস এর জন্ম ১৮৫৫ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুরের ধীরাশ্রমে । তাঁর বাবার নাম রামনাথ দাস, অার মায়ের নাম আনন্দময়ী দেবী । তাঁদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে গরিব ছিলো । তবে ভাওয়াল রাজপরিবারের আনুকূল্যে ছোটবেলায় তাঁর লেখাপড়া চলতো । ভাওয়াল রাজা কালীনারায়ণ রায় চৌধুরী কবিকে মাসিক ৪ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করতেন । এতে তাঁর লেখাপড়া ভালোভাবেই চলতো । রাজবাড়ি থেকে কবিদের পরিবারের বসবাসের জন্য এক একর জমিও ধীরাশ্রমে দেয়া হয় ।
১৮৬৯ সালে কবি ঢাকা নর্মাল স্কুলে ভর্তি হন । খুব একটা লেখাপড়া শেখেননি তিনি । শুরু করেন সাহিত্য রচনা । সাহিত্য রচনাই কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাসের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় । কবির মগের মুলুক কাব্যগ্রন্থ ভাওয়াল রাজারা নিষিদ্ধ করে । তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মানহানির অভিযোগ করে ভাওয়াল রাজপরিবার । সে ঘটনা ১৮৯৩ সালের । তিনি মগের মুলুক কবিতা প্রকৃতি পত্রিকায় প্রকাশ করেন । প্রকৃতির সম্পাদকের বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগ আনা হয় । এর আগে কবি ভাওয়াল রাজার বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষাবলম্বন করলে তিনি রাজরোষানলে পড়েন । বাংলা ১২৯৮ সালের ফাল্গুন মাসে রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাসকে নির্বাসনদণ্ড প্রদান করেন । সেই সঙ্গে সে মুহূর্তে জয়দেবপুর ত্যাগ করার আদেশ দেন । কবি মনের দুঃখে ভাওয়াল পরগনা ত্যাগ করেন । ভাওয়ালকে নিয়ে একটি কবিতাও লিখে ফেলেন তিনি: ‘ভাওয়াল আমার অস্থি মজ্জা/ ভাওয়াল আমার প্রাণ/আমি তার নির্বাসিত অধম সন্তান/তার সে মধুর প্রীতি/মনে জাগে নিতি নিতি ।’
কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাস ছিলেন চরম অর্থকষ্টের মধ্যে । তাই বলে তিনি সাহিত্য সাধনা থেকে দূরে চলে যাননি । তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হলোঃ মগের মুলুক, প্রসুন, প্রেম ও ফুল, চন্দন, কুঙ্কুম, বৈজন্তী, ফুল রেণু ইত্যাদি । কবি ভাওয়াল থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথমে আশ্রয় নেন মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে । তিনি ১৮৯৪ সালে ওই জমিদার বাড়িতে নায়েবের চাকরি নেন । পরে ১৮৮৩ সালে শেরপুর থেকে প্রকাশিত হরচন্দ্র চৌধুরীর চারুবার্তা পত্রিকায় যোগ দেন । তাতেও কবির দৈন্যদশা ঘোচেনি । কবি চলে আসেন মুন্সীগঞ্জ জেলায় । ১৮৯২ সালে লৌহজং ব্রাহ্মণগাঁও চলে আসেন । ১৯১৩ সালের দিকে কবি বিষফোঁড়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হন । তাঁর চিকিত্সার ব্যয়ভার গ্রহণ করেন চিত্তরঞ্জন দাশ । অর্থকষ্টে থাকা চির অনাহারী কবি গোািবন্দ চন্দ্র দাস ১৯১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারিন্দার ৪৭ নং শাহ সাহেব লেনে সোমবার রাত ৫টা ১৫ মিনিটে মারা যান । স্মৃতির পাতায় রয়ে গেল গোবিন্দ চন্দ্র দাসের সেই বিখ্যাত কবিতা-‘দিন ফুরায়ে যায়রে আমার/দিন ফুরায়ে যায়/মাঝের রবি ডুবছে সাঁঝে-দিনটা গেল বৃথা কাজে/একপা কেবল পারে আছে, এক পা দিছি নায় ।’
কবির মৃত্যু তারিখ কেউ কেউ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ বলে লিখে থাকেন । কিন্তু সঠিক হবে ১৩ আশ্বিন ১৩২৫ বঙ্গাব্দ । তাঁকে শ্যামপুর শ্মশানে দাহ করা হয় ।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা!
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
কাবিল বলেছেন: এমন অনেক গুণীজনই আছেন যা আমাদের অনেকেরই অজানা।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাঙালি গুণীর কদর জানে না!
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখনো কি কবির লেখা প্রকাশ হয়?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উনাকে নিয়ে গবেষণামূলক কয়েকটা লেখা পড়েছি । একক কোন বই পাইনি ।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১
প্রামানিক বলেছেন: এই বিখ্যাত স্বভাব কবির কবিতা স্কুল জীবনেই পড়েছি কিন্তু কবির লেখা কবিতার বই যোগাড় করতে পারছি না এখানেই দুঃখ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উনাকে নিয়ে খুব বেশি লেখা পাওয়া যায় না ।
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: "কাহার তরে চাষ কর ভাই
কাহার তরে চাষ ?
যে জমিদার সর্বনাশা
তাহার তরে চাষ ?"
স্বভাবকবির লেখায় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা ফুটে উঠতো অবলীলায়!!!
"মগের মুল্লুক" এর কথা আপনি যেমন উল্লেখ করেছেন লেখায়!!
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক। সবসময়।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা!
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন:
রাজাকার হিন্দুদের বিচার চাই............. এক এইমাত্র সামু ব্যান করেছে।
হা হাহাহা......................
রাজাকার হিন্দুদের বিচার চাই............. এক এইমাত্র সামু ব্যান করেছে।
হা হাহাহা......................
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাও ভালো আপনি বিষয়টা তুলেছিলেন । নইলে তো চালিয়ে যেতো ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
সিপন মিয়া বলেছেন: হুম।