| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রূপক বিধৌত সাধু
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
(স্মৃতিচারণমূলক বই নিয়ে আলোচনা)
কামালের সাথে সুনীলের প্রথম পরিচয় নিউইয়র্কের গ্রে হাউন্ড বাস টার্মিনালে । সেটা ছিল নভেম্বর মাস, তখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি- মাঝে মাঝে তুষার পড়ে আর কী!
স্নিগ্ধা মুখার্জি আর অম্বুজ মুখার্জির বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল । তারা থাকতেন নিউইয়র্ক শহর ছাড়িয়ে খানিকটা দূরে স্কটসডেলে । গ্রান্ট সেন্ট্রাল স্টেশনে গিয়ে শহরতলীর ট্রেন ধরতে হয় । ভিড় ঠেলে সামনের রাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন সুনীল ও তাঁর স্ত্রী স্বাতী । হঠাৎ ফিটফাট পোশাক পরা এক সুদর্শন যুবক বলে উঠল, তোমার নাম সুনীল তো? আর এ নিশ্চয়ই স্বাতী? চলো-
কোনো উত্তরের আশায় না থেকে সে সুনীলের বড় সুটকেসটা হাতে নিল, স্বাতীরটাও নিল । দ্রুত হাঁটতে লাগল । সুনীল ও স্বাতী তাঁর পিছু পিছু ছুটলেন । তারা একটা গাড়িতে উঠলেন । কামাল বলল, এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম । স্নিগ্ধাদি বলেছিলেন তোমরা আসছ ।
এত বড় স্টেশনে কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন । কামাল বই-টই পড়ে না- তারপরও কীভাবে সুনীলকে চিনল; এ এক বিরাট বিস্ময়! কামাল বলল, আমার অভ্যেস হয়ে গেছে । সুনীল আরও অবাক হলেন, কামাল যখন তাঁকে প্রথম দেখাতেই তুমি করে বলেছিল । নাগরিক জীবনে এটা অস্বাভাবিক ।
সুনীলদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে কামাল বোস্টনে চলে গেল । তাঁর নাকি তাড়া আছে । তাড়া থাকলে স্কটসডেলে গেল কেন? আসলে স্কারসডেলে তাঁর কোনো কাজ ছিল না । স্বেচ্ছায়ই সুনীলদের আনতে গিয়েছিল ।
কামাল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সুনীল অবাক হলেন । তিনি জানাচ্ছেন, তাঁর মতো পরোপকারী মানুষ জীবনে দ্বিতীয়টি দেখেননি । দেশ থেকে আসা তরুণদের চাকরি খুঁজে দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেন, নিজের বাড়িতে রেখে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন ।
কামাল সুনীলকে নিজের জীবনকাহিনী শুনিয়েছিলেন । সেই কাহিনী সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরছি । বইটা পড়ে সরলতার জন্য উনার প্রতি প্রচণ্ড রাগ হয়েছে, আবার মায়াও হয়েছে!
আমি বৈরাগী মানুষ । এমনিতেই নারীদের প্রতি আকর্ষণ কম । তাদের অন্তর যে বিধাতার অগোচর-মানুষের সাধ্য কী তাদের বোঝা! এই লেখাটা পড়ে এই ধারণাটা আরও পাকাপোক্ত হলো, নারীদের প্রতি আকর্ষণ আরও কমল। এটা যেহেতু আত্মজৈবনিক লেখা, এর বেশিরভাগ অংশই সত্য বলে ধরে নিয়েছি ।
সময়টা পাকিস্তান আমলের । দেশে তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন জমে উঠেছে । ঢাকার ছেলে কামাল । বাবার বেশ পয়সা-কড়ি আছে । সে ইচ্ছে করলেই আরামে দিন কাটাতে পারত । কিন্তু সে তা করল না । সে ভাবে, বাঙালিকে শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়েও ভাবতে হবে । এ জন্য ব্যবসার বিকল্প নেই । বাঙালিরা এ ব্যাপারে উদাসীন । এ জন্য গোটা পাকিস্তানের সব ব্যবসা কয়েকজন পশ্চিম পাকিস্তানি ব্যবসায়ীর হাতে ।
আমেরিকা চলে এলো কামাল । চেষ্টা চালিয়ে গেল একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে । বেশ ঝামেলা হলো । এখানে ব্যবসা এত সহজ নয় । এক মাসে লাভ হয়, পরের মাসে লোকসান । এভাবে চলতে লাগলো কামালের দিন । তাঁর বাড়িতে অনেক মানুষের আনাগোনা । আগেই বলেছি, সে খুব পরোপকারী মানুষ ।
দেশে কামালের মা-বাবা ছেলের জন্য অস্থির থাকেন । যশোরে মেয়ে জোলেখাকে ঠিক করলেন ছেলেকে বিয়ে দেবেন বলে । কামাল রাজি না । ইতোমধ্যে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় । জোলেখার বাবাকে মিলিটারিরা হত্যা করে । খবরটা জেনে কামালের খুব মায়া হয় । দেশে আসতে পারে না, টেলিফোনে বিয়ে হয় । বছর খানেক পরে স্ত্রীকে, অর্থাৎ জোলেখাকে আমেরিকা নিয়ে আসে কামাল । দু’জনে সুখের নীড় রচনা করে ।
কামালের উদারতা মেনে নিল জোলেখা । বন্ধুবান্ধবসহ ছোট ভাইবোনদের সাথে সেও আড্ডা দেয় । দেশ থেকে আসা একজনকে বাসায় তুলতে চেয়েছিল কামাল । জোলেখা বলল, সংসারটা কিন্তু আমারও । অন্য একজনের কাছে ঐ লোকের উঠার কথা ছিল । সে তাকে তুলতে চায়নি ।
জোলেখার মন খারাপ থাকে । কামাল তাকে খুশি রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে । একদিন দেখে জোলেখা কাঁদছে । কামাল ঘটনা কী জানতে চায় । জোলেখাকে খুশি করতে তার বিধবা মা আর ভাইকে আমেরিকা নিয়ে আসে কামাল, বাসা ভাড়া করে দেয় ।
ওমর আলী নামের এক লোককে কামালের কাছে গছিয়ে দেওয়া হলো । সে বাংলাদেশ থেকে এসেছে, এখানে তার থাকার জায়গা নেই । কামাল সরল বিশ্বাসে তাকে বাসায় নেয় । তাঁর ঘরে যে সুন্দরী স্ত্রী আছে, সে খেয়াল নেই । বলা হয়েছিল, ওমর আলী বিবাহিত, একটা ছেলেও আছে । কয়েকদিন থাকার কথা থাকলেও পুরোপুরি থেকে যায় সে ।
প্রথম প্রথম ভালোই যাচ্ছিল দিন । মাঝে মাঝে জোলেখার বান্ধবী মিতা আসত ওদের বাসায়- ওমর আসার পর সে আসা বন্ধ করে দিল । পরিচিতরা ওমরকে তাড়িয়ে দিতে বলল । কামাল কারও কথা শুনল না । ওমর অনেক ভদ্র একটা ছেলে । পড়ালেখায় মনোযোগী । তাকে তাড়াতে কেমন যেন লাগল ।
ওমর খেতে চায় না । জোলেখা ওকে জোর করে খাওয়ায় । কামালের দিকে কোনো খেয়াল নেই । কামালও তো কম পরিশ্রম করে না । সারাদিন ব্যবসার জন্য ছোটাছুটি করতে হয় ।
ওমর টেবিলে দুধ ফেলে রেখে যায় । জোলেখা প্রতি রাতে তাকে দুধ খাইয়ে আসে । কামাল কিছু বলতে পারে না । কেমন যেন লাগে তার । সে কি স্ত্রীকে সন্দেহ করা শুরু করল? চোখ বুজে আসে । ঘুমিয়ে পড়ে কামাল ।
ঘুম ভেঙে দেখে জোলেখা পাশে নেই । কিছুক্ষণ পর জোলেখা ঘরে আসে । কামাল জিগ্যেস করে, এতক্ষণ কী করলে? জোলেখা বলে, এই তো মাত্র গেলাম । আর দুধ খাইয়ে তো আসতে হবে । কামাল সরল বিশ্বাসে সব মেনে নেয়, বলতে পারে না, রাত-বিরাতে কারও বেডরুমে এভাবে যাওয়া ঠিক না । দূরে গেলে জোলেখাকে মায়ের কাছে রেখে আসে কামাল ।
এর মধ্যে কামালের মা-বাবা আমেরিকা আসেন । ওমরকে দেখে মার মাথা গরম হয়ে যায় । ছেলেকে ভর্ৎসনা করেন তিনি । কামাল মাকে বোঝায় । মা এমন একটা তথ্য দেন, যা শোনে কামাল বিস্মিত হয় ।
কামাল কিছুদিন আগে দেশে গিয়েছিল । তার এক দিদির ছেলের নাম টাইগার । তাকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছে সে । সেই টাইগার তাকে এড়িয়ে চলে । কামাল তার বাসায় গেলে টাইগার চট্টগ্রামে চলে যায় । কামাল মানে বোঝে না । এই কামালের সাথে জোলেখার প্রেম ছিল । দু‘জনের ঢলাঢলি দেখে কামালের মা একদিন টাইগারকে জিগ্যেস করেন, ঘটনা কী? টাইগার চাপে পড়ে প্রেমপত্র দেখায়। আমেরিকায় এসেও টাইগারকে চিঠি দিত জোলেখা । এ জন্যই আমেরিকা গিয়ে তার মন খারাপ ছিল । তাদের ঘটনা যেহেতু ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, জোলেখা তাই কামালের কাছে যেতে অস্থির হয়ে পড়েছিল । মা-ও সম্মানের ভয়ে কামালকে কিছু জানাননি ।
জোলেখা শ্বশুর-শাশুড়িদের ভালোমতো দেখাশোনা করে না, মায়ের কাছে চলে যেতে চায় । কামাল ক্রুদ্ধ হয়ে টাইগারের প্রসঙ্গ তোলেন । জোলেখা চুপ থাকে । তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থবির হয়ে যায় । কামাল কয়েকদিন পর কথা বলতে চায় জোলেখার সাথে । জোলেখা কথা বলে না । একদিন অনেকগুলো ঘুমের বড়ি খেয়ে ফেলে । ওমরসহ সবাই ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায় । ওমর বলে, ভাবির কিছু হলে আপনাকে খুন করব ।
বেঁচে যায় জোলেখা । তার মেজাজ কেমন খিটখিটে হয়ে যায় । তাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই থাকে অনেকদিন । কামাল মাঝে মাঝে সেখানে যায়, খরচাপাতি দেয় । জোলেখা তাঁকে ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দেয় । মা-ও মেয়ের পক্ষ নেন । ইতোমধ্যে ওমরকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে ।
কামালদের পাশের ফ্ল্যাটে সিরাজুলরা থাকে । কামাল সিরাজকে ওমরের কাছে পাঠায় অংক করার নাম করে । সিরাজের সহায়তায় একটা চিঠি উদ্ধার করে কামাল । এর ভাষা সুনীলের কাছে বলতে পারেননি কামাল । কামাল বলেছিলেন, শরীর, সেক্স, বিকৃত বাসনা বর্ণনা ছাড়া আর কিছু নয় । জোলেখা যদি ওমরকে ভালোবাসত, আমি নিজে ওদের বিয়ে দিতাম । ওখানে লেখা ছিল কীভাবে তারা যৌন কর্মে লিপ্ত হতো । কোন কোন স্টাইলে । ভবিষ্যতে কীভাবে করা হবে তার জন্য আকুতিও ছিল । ও আসলে দুধ খাওয়ানোর নাম করে ব্লাউজ খোলে…।
কামাল নিশ্চিত হয়ে যায় বড়ি খাওয়ার ঘটনা সাজানো । ওমর আগেই বলেছিল, তোমাকে আমিই বাঁচাব । জোলেখা লাম্পট্য পছন্দ করত, তাই তো ঢাকার ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে আমেরিকায় চলে আসতে চেয়েছে । মিতা ওমরকে চিনত । মিতা হয়তো আলাপ করেছিল ওর চরিত্র নিয়ে । জোলেখা কামালের দুর্বলতা জানত । কিছু হলে না হলেই বলত, তোমার মন এত ছোট!
ঘটনা আর বাড়াব না । এরপর কামাল ওদেরকে মারতে চেয়েছে, না পেরে নিজেই আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় । স্লিপিং পিলও কিনে ফেলে দোকান ঘুরে ঘুরে । জোলেখার চাচা তাঁকে ফেরান । সবকিছু মেনে নিয়ে সংসার করতে রাজি ছিল কামাল । এটা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয় । ভালোবাসা কত গাঢ় হয়! তবুও জোলেখা রাজি হয়নি । ডিভোর্সের পথ বেছে নেয় । বড় অদ্ভুত মেয়েদের মন ।
মানুষ বড় বিচিত্র, মানুষকে নিয়মে বাঁধা যায় না । শরীরের আকর্ষণ যে কার প্রতি কার হবে তার কোনো ঠিক নেই, সেখানে সব ন্যায়-নীতির দেয়াল ভেঙে যায় ।
কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা কাউকে ভালোবেসে সবকিছু উজাড় করে দিতে চান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা অপাত্রে দান হয় । আবার কিছু মানুষ কখনোই কারও কাছ থেকে ভালোবাসা পান না, কেউবা পয়সার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে । ওতেই ভালোবাসা খুঁজে । জগৎ বড় বিচিত্র!
লেখাটা আমার কাছে কেন জানি অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে । সুনীল আর কিছু জানতে চাননি কামালের কাছে । জোলেখার এখন কী অবস্থা? কী অবস্থা ওমরের? আর কী অবস্থা কামালের? হয়তো আর জানা যাবে না ওদের সম্পর্কে! বইতে বর্ণীত ঘটনা শেষ হয়েছে সম্ভবত ৭৬-৭৭ সালে । সুনীল গত হয়েছেন কয়েকবছর আগে । ৪৪ বছর আগে কামালের বয়স ৩৫ হলে উনার বয়স এখন ৭৯ । উনি বেঁচে না থাকলেও জোলেখা কিংবা ওমর হয়তো বেঁচে আছে । উনাদের সাথে দেখা করতে পারলে ভালো হতো! সেটা বোধহয় সম্ভব হবে না ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুনীলের লেখার যে দিকটা সবচে ভালো লাগে, তা হচ্ছে সামাজিক দায়বদ্ধতা । এই বিষয়টা দারুণভাবে ফুটে ওঠে তাঁর লেখায় । কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা নেই । যেন কোন কারিগর নিপুণ হাতে ছবি আঁকছেন । তাঁর লেখা শুধু সাহিত্য নয়, তারচে বেশি কিছু ।
২|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪
প্রামানিক বলেছেন: পড়ে ভালই লাগল। ধন্যবাদ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো ।
৩|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
লন্ডন, নিউিয়র্ক, সিডনী, টরেন্টো ভরা জোলেখারা; অনেক বাংগালী মেয়ে বিদেশে এসে মগজ হারায়েছে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিকই বলেছেন । আসলে এ বিষয়ে লিখতে গেলে নারীবিদ্বেষী ট্যাগ খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । নারীকে বেশি অধিকার বা সুযোগ দিলে ওরা স্থির থাকতে পারে না ।
৪|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ভাল লাগা ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা! ভালো থাকুন নিরন্তর ।
৫|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সরল ভাষায় লেখা। তবে একটা কথা শুধু মেয়েরাই কি ভালোবাসার অমর্যাদা করে? পুরুষেরাও তো করে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ মানুষের স্বভাবজাত।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: না, শুধু মেয়েরা কেন, ইদানীং তো ছেলেরাই বেশি করছে । আমি নিজেই বহু দেখেছি । তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, মেয়েরা যখন প্রেমের অমর্যাদা করে; সীমানা ছাড়িয়ে যায় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পড়তে ভালোলাগছিলো। বাঙ্গালী জাতিকে ভিন্নভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে দুইজন। একজন সুনীল আরেকজন হুমায়ুন। সর্বস্তরের পাঠককে স্পর্শ করবার ক্ষমতা সবার থাকেনা। উনারা আলাদা এদিক থেকে। আর সুনীলের এই কথা থেকেই কত কবিতার জন্ম হয়েছে কে বলতে পারে। আমি নিজেও লিখছি।