নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
লুটপাট ও মন্দির ধ্বংস করার জন্য ভূ- ভারতের ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে আছেন কালাপাহাড় । তিনি বাংলার নবাব সুলেমান কররানী ও তাঁর পুত্র দাউদ কররানীর সেনাপতি ছিলেন । তাঁর সম্পর্কেই এই লেখাঃ
রাজকৃষ্ণ, রাজচন্দ্র, নয় রাজনারায়ণ, এই তিনটির একটি হলো তাঁর আসল নাম । লোকে জানতো রাজু বলে । মুসলমান ঐতিহাসিকরা দাবি করেছিলেন যে, উনি আফগান । এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ নেই ।
রাজু ব্রাহ্মণের ছেলে । কিন্তু শাস্ত্র ছেড়ে অস্ত্র চালাতে সে পারদর্শী হয়ে উঠলো । ছেলের এই মতিগতি তার বাবার পছন্দ হওয়ার কথা নয় । তখন বাংলার নবাব সুলেমান কররানী । কিন্তু ছোট-ছোট নবাবের সংখ্যাও বেশ । এরা নামেই নবাব- আসলে জায়গিরদার ধরণের । এই রকম এক জায়গিরদারের মেয়ের প্রেমে পড়লো রাজু । মুসলমানের মেয়ের সাথে ব্রাহ্মণতনয়ের সম্পর্ক হলে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া চারশো বছর আগে হতে পারতো তা সহজেই অনুমেয় ।
আগে যাদের আদি অস্ট্রেলীয় বলা হতো এখন তাদের ভেড্ডিড বলা হয় । এরাই ভারতবর্ষের এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা । লম্বা মাথা, চওড়া নাক, কালো রং আর মধ্যম আকার । এখন বাঙালিদের মধ্যে ভেড্ডিডদের কিছু শব্দ চালু আছে, গ্রামের হাটে গেলে শোনা যায় এক কুড়ি পান, দু’ কুড়ি লেবু । হাত-পায়ের আঙুল মিলিয়ে এই কুড়ি শব্দটি ভেড্ডিডদের দান । অস্ট্রিক ভাষা-ভাষী মানুষেরা এককালে এ দেশের নদনদী, পাহাড় আর জায়গার যে নামকরণ নিজেরা করেছিল এখনও তাই বলা হয় । যেমন কোল-দব-দাক বা দাম-কাক থেকে কপোতাক্ষ বা দামোদর নদ । দা বা দাক মানে জল ।
বাঙলা নামটা এলো কোত্থেকে? আবুল ফজল তাঁর আইন-ই আকবরি বইয়ে বলেছেন, বঙ্গ শব্দের সাথে আল যুক্ত হয়ে বাঙ্গাল বা বাঙলা হয়েছে । আল মানে বাঁধ । জলের দেশে বাঁধ দরকার হয় । তাই বাঙলা । বাংলাদেশে একসময় অনেক মানুষের ভিড় ছিলো । বঙ্গ, গৌড়, পুণ্ড্র ও রাঢ় । বঙ্গের নাম মহাভারতে আর বৃহৎসংহিতায় পাওয়া যায় ।
এই চারটি ভাষার মানুষ চারটি জায়গা জুড়ে ছিল, যা পরে সমগ্র বাঙালি জাতির মাতৃভূমি বলে চিহ্নিত হয়েছে । আগে ছিল সব টুকরো-টুকরো । এ ওর ভাষা বুঝতো না । সপ্তম শতাব্দীতে শশাঙ্ক এসে মুর্শিদাবাদ থেকে ওড়িশা পর্যন্ত একটা রাষ্ট্রীয় ঐক্যের চেহারা দেন । শশাঙ্কের পর তিনটে জনপদ হলো । পুণ্ড্রবর্ধন, গৌড় এবং বঙ্গ । পাল আর সেনরাজারা সমস্ত বাংলাদেশকে গৌড় নামে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন । তা সম্ভব হয়নি । তিনটে কমে দুটোতে এসে ঠেকেছিল । গৌড় এবং বঙ্গ ।
শশাঙ্কের পর এ দেশে মাতস্যন্যায় চলেছিল । ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশ থেকে নানা ভাষার মানুষ এখানে এলো । এমনকি কাশ্মীরের রাজা মুক্তাপীড় ললিতাদিত্য পর্যন্ত গৌড় আক্রমণ করে বিজয়ী হন । শশাঙ্ক ছিলেন শৈব । বাংলার অন্য রাজারা ব্রাহ্মণ-ধর্মাবলম্বী । শশাঙ্ক সম্ভবত হর্ষবর্ধনের জন্যই বোদ্ধধর্মবিরোধী । এরপর গোপালদেব এসে মাৎস্যন্যায় দূর করেন । শুরু হলো পাল বংশ । আজকের বাঙালি জাতির গোড়াপত্তন হয়েছে এই যুগেই । অর্থাৎ অষ্টম শতক থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে । সেই অর্থে বাঙালির ইতিহাস হাজার বছরের বেশি নয় ।
তাও ধাপে ধাপে এগিয়েছে । লক্ষণসেনরা ছিলেন কর্ণাটকের মানুষ । তাঁর পূর্বপুরুষ পালরাজার সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন । কয়েকপুরুষ থাকার ফলে এখানকার মানুষ হয়ে যান শেষ পর্যন্ত । তা আজকের বাঙালির অনেকের পূর্বপুরুষ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন । তারপর মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি লক্ষণসেনকে ঢাকার কাছে লক্ষণবতীতে পাঠিয়ে এদেশ দখল করে নিলেন । পালেদের সময় এদেশে বোদ্ধরা এসেছিলেন । কিন্তু তাঁদের প্রভাব খুব সীমায়িত ছিল । পাঠানরা ক্ষমতা পাওয়ার পর এদেশে যারা কিছুটা নির্যাতিত, তারা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মুসলমান হলেন । কেউ কেউ চাপে পড়ে বা অতিরিক্ত সুবিধে পাওয়ার জন্যও ধর্মবদল করেন । পরিষ্কার বোঝা যায় যে, এইসব ধর্মান্তরিত মানুষকে হিন্দু বাঙালি সহ্য করতে পারেনি । কিন্তু নবাবের ভয়ে সরাসরি কোন ব্যবস্থাও নিতে পারেনি । সামাজিক জীবনে হিন্দু-মুসলমানের দুটি ধারা পৃথকভাবে বয়ে চলে । দিনে দিনে এ দেশীয় মুসলমানের সংখ্যা বাড়তে লাগলো । এইরকম পরিস্থিতিতে রাজু বা রাজকৃষ্ণ ধর্মান্তরিত হন ।
সে সময় হিন্দু থেকে মুসলমান অথবা বোদ্ধ হওয়া খুব সহজ ছিল । কিন্তু ব্রাহ্মনদের সঙ্কীর্ণতা অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য হিন্দু ধর্মে প্রবেশের দরজা বন্ধ করে রেখেছিল । পাঠানদের এ দেশের মানুষ সাধারণত শত্রু বলেই মনে করতো । তাদের ধর্ম যেসব স্বদেশী গ্রহণ করেছে, তাদের ক্ষমা করার উদারতা এদের ছিলনা ।
ধর্মান্তরিত রাজু তাই বিতাড়িত হলো । তার পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে সে বাধ্য হলো । পরবর্তীকালে রাজুকে আবার ব্রাহ্মণরা গ্রহণ করেনি । মন্দিরে প্রবেশের অধিকার নির্মমভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল । এই আচরণ তাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে । স্বভাবতই হিন্দুবিদ্বেষী হতে তার বেশি দেরি হয়নি । রাজু ক্রমশ নবাবের সৈন্যদলে বিশিষ্ট হয়ে উঠলো । নবাবী সৈন্য যখন কোন অভিযান করতো, তখন তার লক্ষ্য ছিল সেই অঞ্চলের মন্দির ভাঙা, বিগ্রহ চূর্ণ করা আর হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো । আর এই কারণেই লোকে তার নামকরণ করলো কালাপাহাড় ।
কালাপাহাড় সুলেমান কররানী ও পরে তাঁর ছেলে দাউদের সেনাপতি হয়েছিলেন । ওদিকে অসম আর এ দিকে কাশী এবং ওড়িশার প্রায় কোনও মন্দির কালাপাহাড়ের হাত থেকে পরিত্রাণ পায়নি । গল্পে আছে, মন্দির ধ্বংস করার আগে কালাপাহাড় সৈন্যদের দূর থেকেই কাড়ানাকাড়া বাজাতে বলতেন ।
কালাপাহাড় ওড়িশা অভিযান করেন পনেরোশো পঁয়ষট্টি খ্রিস্টাব্দে । তখন রাজা মুকুন্দদেব পুরীতে । মুকুন্দদেবের পরাজয় হয় । ওঁর ছেলে গৌড়িয়া গোবিন্দকে পদানত করে কালাপাহাড় পুরীর মন্দির ধ্বংস করতে যান । পাণ্ডারা এই খবর পেয়ে জগন্নাথদেবের মূর্তি নিয়ে গড় পারিকুদে গিয়ে লুকিয়ে থাকে । কালাপাহাড়ের হাত থেকে তবু সেই মূর্তি রক্ষা পায়নি । জগন্নাথদেবের মূর্তি পুড়িয়ে সে সমুদ্রের জলে ফেলে দেয় । কালাপাহাড়ের অনেক আগে তিনশো আঠারো খ্রিস্টাব্দে রক্তবাহু নামে একজন পুরী আক্রমণ করেছিল, কিন্তু তখন পাণ্ডারা জগন্নাথদেবকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল ।
আকবরনামায় আছে দাউদের বিদ্রোহী স্বভাবের জন্য মোগল সম্রাট সেনাপতি মুনিম খাঁকে পাঠায় তাকে বন্দি করতে । কালাপাহাড় দাউদের সেনাপতি হিসেবে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে । একসময় সে কাকসাল নামে একটি জায়গাও অধিকার করে । কিন্তু পনেরোশো আশি খ্রিস্টাব্দে কালীগঙ্গার তীরে মোগলবাহিনীর তোপে কালাপাহাড় মারা যায় ।
একজন বাঙালি হিসেবে কালাপাহাড় আমাদের ইতিহাসের প্রথম দিকে সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র । অত্যন্ত সাধারণ অবস্থা থেকে লোকটা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছিল । ব্রাহ্মণরা ওকে হিন্দুবিদ্বেষী করেছিল । সেই মানুষ আজ কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে ।
এখানে একটা রহস্য থেকে যায় । কেউ যথোপযুক্ত উত্তর দিতে পারেননি । রহস্যটা হলোঃ কালাপাহাড় ওড়িশা অভিযান করেন ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে । তার ঠিক বত্রিশ বছর, মাত্র বত্রিশ বছর আগে এক বাঙালি মহাপুরুষের পুরীতে মৃত্যু হয় । তিনি শ্রীচৈতন্য । নবদ্বীপ ছেড়ে পুরীতে গিয়েছিলেন ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে । তখন পুরীর রাজা প্রতাপরুদ্র তাঁর ভক্ত হন । পরে যখন চৈতন্য পুরীতে পাকাপাকি বাস করছেন, তখন রাজা তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনও কাজ করতেন না । পনেরোশো কুড়ির পর থেকে রাজা প্রতাপরুদ্র শ্রীচৈতন্যের সঙ্গেই সময় কাটাতেন । জগন্নাথ দাস, বলরাম দাস, অচ্যুতানন্দ দাস আর তিনি মহাপুরুষের সঙ্গে বৈষ্ণব ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতেন । রাজার এক ভাই গোবিন্দ বিদ্যাধর পাণ্ডাদের ক্ষেপিয়ে তুললেন । তাদের বোঝানো হলো, রাজা জগন্নাথের চেয়ে চৈতন্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন । যে চৈতন্য জাত বিচার করলো না, রাজা যদি তাঁর শিষ্য হন তা হলে জগন্নাথের মন্দির তো অপবিত্র হয়ে যাবে । পুরীতে তখন কিছু বোদ্ধসঙ্ঘ ছিল । রাজার ভাই তাদেরও ক্ষেপিয়ে তুললেন চৈতন্যের বিরুদ্ধে । রাজা না-জগ্ননাথ না-বোদ্ধসঙ্ঘ কারো দিকে নজর দিচ্ছেন না, শুধু চৈতন্য নামে নবদ্বীপ থেকে আসা লোকটির মায়ায় ভুলে আছেন, এই তথ্য অনেককে ক্রুদ্ধ করলো । গোবিন্দ বিদ্যাধর গোপনে ষড়যন্ত্র করতে লাগলো ।
চৈতন্যদেব জগন্নাথে লীন হননি, সমুদ্রেও ভেসে যাননি । তাহলে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যেত । শুধু তিনি নন, তাঁর পার্ষদদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি । পনেরোশো তেত্রিশের উনত্রিশে জুন দুপুর থেকে রাত্রের শেষভাগ পর্যন্ত জগন্নাথদেবের মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ ছিল । জগন্নাথদেবকে সপার্ষদ সেখানে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । তারপর তাঁরা উধাও । রাজা এই অন্তর্ধানের তদন্ত করতে চেয়েও সফল না হয়ে কটকে চলে গিয়েছিলেন । তিনি যুবরাজকে পাঠিয়েছিলেন । যুবরাজ মাস-চারেকের মধ্যেই নিহত হন । চৈতন্যদেব বৈষ্ণবধর্মের প্রচারক এবং পাণ্ডাদের শত্রু হিসেবে প্রচার করে যার লাভ হতো, সেই রাজার ভাই গোবিন্দ বিদ্যাধরের সিংহাসন দখল করার বাসনা পূর্ণ হয়নি ।
নবদ্বীপে নিশ্চয়ই এই খবর পৌঁছেছিল । মহাপ্রভু দিব্যোন্মাদ হয়ে লীন হয়ে গেছেন, এই বিশ্বাস অনেকেই করেননি । পুরী অভিযানের আগে কালাপাহাড় গিয়েছিলেন নবদ্বীপে । অদ্ভুত ব্যাপার তিনি সেখানকার মন্দিরের ওপর তেমনভাবে ক্রুদ্ধ হতে পারেননি । তিনিই প্রথম, যিনি জানতে পারেন চৈতন্য নামের একটি মানুষ হিন্দু-মুসলমানকে সমানভাবে মর্যাদা দিয়েছিলেন । মুসলমানকে আলিঙ্গন করেছেন । কোথাও ভেদাভেদ রাখেননি । এই তথ্য কি কালাপাহাড়ের হৃদয়ের ক্ষতকে শান্ত করেছিল? তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার বিপরীত ছবি দেখে তিনি কি চৈতন্য সম্পর্কে শ্রদ্ধান্বিত হয়েছিলেন? তাঁর কানে কি চৈতন্যের অন্তর্ধানের খবর পৌঁছেছিল? পাণ্ডাদের রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন চৈতন্য, এই রকম ধারণা করেই কি তিনি প্রতিশোধ নিতে পুরী অভিযান করেছিলেন? মাত্র বত্রিশ বছর পরেই আরেক বাঙালির এই অভিযান কি শুধুই রাজ্যজয়ের আকাঙ্ক্ষা? কালাপাহাড় অন্য জায়গায় মন্দির ধ্বংস করেছেন । কিন্তু জগন্নাথের মন্দির পাণ্ডাদের দখলে বলে কোন প্রতিশোধের ইচ্ছায় বিগ্রহ পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন? কেউ উত্তর দিতে পারেননি । এই সন্দেহগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে কালাপাহাড়ের চরিত্রের আর একটি দিকে আলো পড়বে । আমরা নতুনভাবে বিস্মিত হবো ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নজরুলের মানুষ কবিতায় । ধন্যবাদ ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ ...
ইতিহাসসমৃদ্ধ
অভিবাদন জানবেন...
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো । ভালো থাকুন ।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিন্তু জগন্নাথের মন্দির পাণ্ডাদের দখলে বলে কোন প্রতিশোধের ইচ্ছায় বিগ্রহ পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন? কেউ উত্তর দিতে পারেননি । এই সন্দেহগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে কালাপাহাড়ের চরিত্রের আর একটি দিকে আলো পড়বে । আমরা নতুনভাবে বিস্মিত হবো ।
অনেক অনেক ভাললাগা কাজ করলো সাধু ভাই। পোস্টে ভাললাগা রেখে গেলাম।
আচ্ছা, কালাপাহাড়ের আসল নাম কি রাজু?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ, তাঁর আসল নাম রাজু । তিনি ব্রাহ্মণের ছেলে ছিলেন । পরবর্তীতে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন । ধন্যবাদ ।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট , ভাল লাগলো ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন ।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৭
ধমনী বলেছেন: গবেষণামূলক পোস্ট। ভালো লাগলো সাধু ভাই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো । ভালো থাকুন ।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৯
বিপরীত বাক বলেছেন: বঙ্গ + আল
নাকি
বাঙ + গাল?
২য় টাই তো যথোপযুক্ত বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে।। শব্দটা একটা গালিই বটে।।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: 'বঙ্গ + আল
নাকি
বাঙ + গাল?
২য় টাই তো যথোপযুক্ত বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে।। শব্দটা একটা গালিই বটে।।' কথাগুলো অপ্রিয় হলেও অসত্য নয় । আমরা আজিব চিজ!
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
নেক্সাস বলেছেন: জানার এবং শিখার পোষ্ট। ভাল লেগেছে
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: প্লাস(+)..
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। কিন্তু উৎস দিলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০০
জেন রসি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। আসলে ঐতিহাসিক ব্যাক্তিদের চরিত্র নির্মোহ ভাবেই ব্যাখ্যা করা উচিৎ।কারন কোন মানুষই আসলে সমালোচনার উর্দ্ধে না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: 'আসলে ঐতিহাসিক ব্যাক্তিদের চরিত্র নির্মোহ ভাবেই ব্যাখ্যা করা উচিৎ । কারণ, কোন মানুষই আসলে সমালোচনার উর্দ্ধে না ।' যথার্থই বলেছেন ।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০
বিপরীত বাক বলেছেন: হুমম। সত্য সত্যই।। তা সে যেভাবেই পরিবেশিত হোক।।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০
প্রামানিক বলেছেন: তিনিই প্রথম, যিনি জানতে পারেন চৈতন্য নামের একটি মানুষ হিন্দু-মুসলমানকে সমানভাবে মর্যাদা দিয়েছিলেন । মুসলমানকে আলিঙ্গন করেছেন । কোথাও ভেদাভেদ রাখেননি ।
চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।
১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব ধর্মের একটা মিল, মানুষই সবকিছুর মুলে।
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কালাপাহাড় সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম।
চমৎকার ইতিহাস নির্ভর পোস্ট।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ।
১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৫
অন্নপূর্ণা বলেছেন: চমৎকার।
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব কিছুই তো পড়িনি; শুধু কোথায়, কোন এক কবিতায় কালোপাহারের বীরত্ব নিয়ে একটা উপমা পড়েছিলাম। ভালো