নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিমান

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আমার স্মরণে থাকা সবচাইতে পুরোনো ঘটনাখানি লিখিতে বসিয়াছি। হুবহু অনেক কিছুই মনে নাই। তাই কিছুটা কল্পনার আশ্রয় লইতে হইয়াছে। তখন আমার বয়স পাঁচ কী ছয়!

একদা আমাদের বাড়িতে জনৈক মামা বেড়াইতে আসিলেন। কিছুকাল হইল, তাহার বড় কন্যার বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছে। শ্বশুর বাড়িতে বিবাহ পরবর্তী দাওয়াত। তিনি আমাদিগকে দাওয়াত করিতেই আসিয়াছেন।

নির্দিষ্ট দিবসে দাওয়াতে যাওয়ার জন্য আব্বা প্রস্তুত হইলেন। কী এক ঝামেলার কারণে আম্মা যাইতে পারিতেছিলেন না। কথা ছিল, আমিও আব্বার সঙ্গে যাইব, আম্মাও প্রথমে সম্মতি দিয়াছিলেন। কিন্তু যথাসময়ে তিনি অজানা এক কারণে বাঁকিয়া উঠিলেন, যদ্যাপি আব্বা আমাকে সঙ্গে লইতে চাহিতেছিলেন।

আব্বা একেলাই চলিয়া গেলেন। আমি মনঃক্ষুণ্ণ হইলাম। রাস্তায় দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিতেছিলাম; তাহাতেও আম্মার মন গলিল না- তিনি আপন মনে আঙ্গিনা লেপিতেছিলেন।

কিছুক্ষণ কাঁদার পর আমার প্রচন্ড অভিমান হইল আম্মার উপর। তিনি কেন আমাকে যাইতে দিলেন না? তিনি কি আমার মনের কথা বুঝিতে পারেন নাই? কাউকে কিছু না জানাইয়াই আব্বা যে-ই পথে চলিয়া গিয়াছেন, সে-ই পথ ধরিয়া হাঁটা শুরু করিলাম।

হাঁটিতেই থাকিলাম, আর হাঁটিতেই থাকিলাম। অনেকদূর যাওয়ার পর অকস্মাৎ মনে হইল, আমি ভগ্নির শ্বশুর বাড়ির পথ ভুলিয়া গিয়াছি, যদ্যাপি কিছুদিন পূর্বে (বিবাহের সময়) তাহার শ্বশুরবাড়িতে গিয়াছিলাম। পশ্চাতে ফিরিয়া কিছুক্ষণ কী যেন ভাবিলাম। ইচ্ছা হইল, বাড়িতে ফিরিয়া আসি, কিন্তু ফিরিলাম না। আম্মা-আব্বার প্রতি অভিমান গাঢ় হইতে গাঢ়তর হইয়া উঠিল। সম্মুখপথেই অগ্রসর হইতে লাগিলাম।

আরও দশ-বারো মাইলের মতন হাঁটিয়া চলিতেছিলাম। পরিশ্রান্ত হইলে মাঝে মাঝে তরুছায়ায় বসিয়া কিছুক্ষণ বিশ্রাম লইতেছিলাম। হঠাৎ আমার খুব ঘুম পাইল। এক কাঁঠাল গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়া ঘুমাইয়া পড়িলাম। তখন ঠিক দ্বিপ্রহর! লোক চলাচল একেবারেই কম।

আমার ঘুম ভাঙিল বিকালের দিকে। চক্ষু কচলাইয়া উঠিয়া দাঁড়াইলাম। এমন সময় লক্ষ্য করিলাম, আমি দুই রাস্তার সংযোগস্থলে দাঁড়াইয়া আছি; পশ্চাতে আরও একটি রাস্তা চলিয়া গিয়াছে। আমি কোন পথ দিয়া আসিয়াছিলাম, আর কোন পথেই বা যাইব; দিশা পাইতেছিলাম না।

ডানপাশের রাস্তা ধরিয়া একটি কুকুর যাইতেছিল। ভাবিলাম, আমার বোধহয় এই পথেই যাওয়া উচিত; যদ্যাপি আমি গন্তব্যস্থলের কথা জানিতাম না! কুকুরের পিছে পিছেই হাঁটা শুরু করিলাম। হঠাৎ কী কারণে যেন আমার মনে হইল, এই পথ ধরিয়া যাইব না। প্রকৃতি বোধহয় সহায় ছিল! যদি ঐ পথ ধরিয়া চলিয়া যাইতাম, হয়তো কখনোই ফিরিয়া আসিতে পারিতাম না; আমাকে হয়তো আর খুঁজিয়াই পাওয়া যাইত না।

দুই রাস্তার সংযোগস্থলে আসিয়া বামপাশের রাস্তা ধরিয়া হাঁটা ধরিলাম। দুইপাশে আখখেত! লোক চলাচল কম হওয়ায় কেমন যেন ভয় লাগিতেছিল। মনের অভিমান ততক্ষণে কমিয়া গিয়াছে। এইবার মাথায় দুশ্চিন্তা ভর করিয়াছে। কোথায় যাইব আমি?

তখন শেষ বিকাল। লোকজনের আনাগোনা বাড়িয়া গিয়াছে। বারো-তেরো বৎসরের কয়েকজন বালক মাথায় লাকড়ি লইয়া কোথায় যেন যাইতেছিল। তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলাম, "তোমরা কোথায় যাও?"
একজন বলিল, "আমরা মল্লিকবাড়ির হাটে যাই। লাকড়ি বেচতে। তুমি কোথায় যাও?"

হঠাৎ মনে পড়িল, আমার নানার বাড়ি তো মল্লিকবাড়ি। আমি বলিলাম, "আমিও তোমাদের সঙ্গে যাই?"
তাহারা কিছুই বলিল না। তাহাদের সঙ্গেই হাঁটা ধরিলাম।

ছেলেরা লাকড়ি বিক্রি করিতেছে। আমি তাহাদের সঙ্গেই দাঁড়াইয়া আছি। আমার জনৈক মামার বইয়ের দোকান ছিল ঐ বাজারে। হঠাৎ ভাবিলাম, চেষ্টা করিয়া দেখি দোকানটি খুঁজিয়া পাওয়া যায় কিনা!

কষ্ট করিতে হইল না- অতি সহজেই দোকানটি পাইয়া গেলাম। যেইখানে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া লাকড়ি বিক্রি করা হইতেছিল, তাহার কিছু পশ্চাতেই ছিল মামার বইয়ের দোকানটি। আমাকে দেখিয়া মামা তো অবাক। জিজ্ঞাসা করিলেন, "মামা, কার সাথে এসেছ?"
আমি বলিলাম, "একাই।"

মামা আমাকে পাউরুটি আর খইয়ের নাড়ু কিনিয়া দিলেন। আমি মজা করিয়া খাইতেছিলাম। সন্ধ্যা নামিয়া গিয়াছে বহুক্ষণ পূর্বে। নানা দোকানে আসিয়াছেন। নানার সঙ্গে তাহাদের বাড়িতে চলিয়া আসিলাম।

এইদিকে আমাদের বাড়িতে তো কান্নাকাটির রোল পড়িয়া গিয়াছে। আম্মা পুত্রশোকে একাধিকবার মূর্ছা গিয়াছেন। আব্বা দাওয়াত খাইয়া আসিয়া পাগলের মতো চিল্লাপাল্লা শুরু করিলেন। কী করিবেন, না করিবেন; কিছুই বুঝিতে পারিতেছিলেন না। পুকুরে জাল ফেলা হইল, এলাকায় মাইক মারা হইল; আমার কোনো খোঁজ নাই।

এলাকার এক বড় ভাইকে লইয়া আমার খোঁজ করিতে লাগিলেন আব্বা। রাত্রি তখন একটার মতন বাজিয়া গিয়াছিল। আব্বা রাস্তা দিয়া যান, আর আশপাশের ঝোঁপঝাড়ে আমাকে হন্যে হইয়া খোঁজেন। তালগাছের ডগায় লাইট মারেন, তাহার মনে শঙ্কা, আমাকে দেও-দানব ধরিয়া লইয়া গিয়াছে। গহীন শালবনে ঢুকিয়া খুঁজেন, আমাকে শিয়ালে ধরিয়া নিয়া গেল কিনা!

রাত্রি তিনটার দিকে নানার বাড়িতে চলিয়া আসিলেন আব্বা। বাড়ির লোকজন তখন গভীর ঘুমে অচেতন। কোথাও কোনো সাড়া-শব্দ নাই। হঠাৎ বাহিরে আব্বার কান্নাকাটি শুনিয়া নানা কপাট খুলিলেন। ততক্ষণে প্রায় সকলের ঘুম ছুটিয়া গিয়াছে । আমি নানার ঘরেই ঘুমাইয়া ছিলাম । আব্বা প্রথমে আমাকে দেখেন নাই । নানা যখন জানাইলেন, আমি তাহাদের ওইখানেই আছি; অতঃপর আব্বার কান্নাকাটি বন্ধ হইল। তিনি আমার ললাটে চুম্বন করিলেন। মনে হইল, তিনি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাইলেন।

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: অতঃপর লেখা ভাল লাগিলো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধইন্যা । ভালো থাইকেন ।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: অাব্বা একেলাই চলিয়া গেলেন । অামি মনঃক্ষুণ্ণ হইলাম । রাস্তায় দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিতেছিলাম; তাহাতেও অাম্মার মন গলিলো না- তিনি অাপন মনে অাঙ্গিনা লেপিতেছিলেন ।

সাহিত্যের ছোঁয়া আছে
ভাল লাগল
+++++++++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বড়ই ত্যন্দর ছুকরা আছিলেন!!

আহারে বাবারে কি কান্দনটাই না কান্দাইলেন!!!

সুন্দর স্মৃতিকথা। টাচি।!

পিতা-মাতার আদর স্নেহের মূল্যে তখন না বোঝা গেলেও বড় হইয়া বোঝা যায় তাহা কত অমূল্য ছিল।

+++++++++++++++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি তেঁদড়ই ছিলাম । আমাকে নাকি বেঁধেও রাখা হতো ।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: লেখা ভাল লাগলো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

কল্লোল পথিক বলেছেন: রাত্রি তিনটার দিকে নানার বাড়িতে চলিয়া অাসিলেন অাব্বা । বাড়ির লোকজন তখন গভীর ঘুমে অচেতন । কোথাও কোন সাড়া-শব্দ নাই । হঠাৎ বাহিরে অাব্বার কান্নাকাটি শুনিয়া নানা কপাট খুলিলেন । ততক্ষণে প্রায় সকলের ঘুম ছুটিয়া গিয়াছে । অামি নানার ঘরেই ঘুমাইয়া ছিলাম । অাব্বা প্রথমে অামাকে দেখেন নাই । নানা যখন জানাইলেন, অামি তাহাদের ওখানেই অাছি; অতঃপর অাব্বার কান্নাকাটি বন্ধ হইলো । তিনি অামার ললাটে চুম্বন করিলেন । মনে হইলো, তিনি যেন অাকাশের চাঁদ হাতে পাইলেন ।

এই হচ্ছে বাবার ভালোবাসা।চমৎকার গল্প মন ছুয়ে গেল।
শুভ কামনা সুপ্রিয় সাধু।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভ কামনা ।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: সকোল কে শাস্তি দিয়া আপনি ঠান্ডা হইলেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী আর করতাম? পোলাপাইনের কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না!

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: সাধু বয়ানে লেখাটা অত্যন্ত ভালো লাগিলো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ, রানা!

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

খোলা মনের কথা বলেছেন: ভাল লাগলো অনেক। শিশু বেলার কিছু মান অভিমানের কথা মনে পড়ে গেল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সাধু ভাষার একটা যাদু আছে, এটি অতি সরল কোন লেখাকেও মহনীয় করে তোলে।
আপনার লেখাটি চমৎকার। পড়ার সময় মনে হচ্ছিল, রবি ঠাকুর কিংবা শরতের যুগের কোন লেখকের লেখা পড়ছি। সত্যিই মজে ছিলাম লেখাটায়।
আ লিখতে প্রবলেম হচ্ছে। ফোনেটিক কিবোর্ডে অ টিপে ধরে থাকলে অ/আ এমন দুটি অপশন আসবে, সেখান আ তে ক্লিক করলেই হয়ে গেল।
যাই হোক, পোস্টে প্লাস

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইউনিজয় দিয়ে মোবাইল নোটপ্যাডে লিখছি । সেখান থেকে ব্লগে কপি পেস্ট করছি । সেখানে (নোটপ্যাডে) এমন দেখায় না; ব্লগে যেমন দেখাচ্ছে । ব্লগে এমন দেখাচ্ছে কেন বুঝতে পারছিনা ।

শুভেচ্ছা রইলো ।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মা বাবার ভালোবাসার তুলনা আর কিছুতে হয় না । সন্তান তো তাঁদের কাছে আসমানের চাঁদ থেকেও বেশি কিছু ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থই ।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: মনে হইলো, তিনি যেন অাকাশের চাঁদ হাতে পাইলেন ।


শ্বশুর আব্বাও একি কথা বলিতে বাধ্য থাকিবেন।

আহা! নজর না লাগে যেন চান্দের গায়ে!!



সাধু ভাইয়ের বিয়ে চাই
বিয়ে ছাড়া কথা নাই। গল্পে ভাল লাগা রেখে গেলুম।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাধুর ধ্যান ভঙ্গ করানোর অপচেষ্টা জাতি সহ্য করবেনা ।
ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা ।

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ঘটনা কি বাস্তব :-/

যাই হোক পড়তে অনেক ভাল লেগেছে

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাধুর আত্মজীবনী বলতে পারেন । বাস্তব তো অবশ্যই ।
শুভেচ্ছা ।

১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

তার আর পর নেই… বলেছেন: আমারও নিজেরও একটা ঘটনা মনে পড়লো। আমি পড়াশোনা না করলে আম্মু বলতো, তোকে যে বাড়ি থেকে নিয়ে আসছি সে বাড়িতে পাঠিয়ে দিব। যে বাড়িটির কথা বলতো সেটা খুব দুরে নয়। এরকম শুনতে শুনতে আমি একদিন চলে গেলাম। বাড়িতে সে কি কান্নাকাটি!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ক্যম্নে কী! আপ্নেও তো চরম অভিমানী ছিলেন । আহেন কোলাকুলি করি ।

১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

জুন বলেছেন: মনে হইলো পথের পাচালীর কিয়দংশ পাঠ করিলাম ।সেই অপু মায়ের হাতের ভাজা তালের বড়া খাইতে না পাইয়া রাগে অভিমানে সন্ধ্যার অন্ধকারে সেই প্রাচীন বৃক্ষরাজিপুর্ন বাগানের মাঝখান দিয়ে ছুটিয়া পলাইয়াছিল :)
ভালো লাগলো কিশোরকালের অভিমানে ভরা লেখাটি সাধু ।
+

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনে তেমন কোন অর্জন নেই তো । পুরনো স্মৃতিগুলোই হাতড়াই । অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অভিমানী কিশোরবেলা । ভাল লাগ ল আপনার লেখা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকুন ।

১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

আবু শাকিল বলেছেন: পিচ্চিকালে আপ্নে পুংটা আছিলেন :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সে অার বলতে!

১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছোট্টকালের স্মৃতি অনায়েসে বলিয়াগেলেন । অনেক ভালো লাগল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

১৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমার মায় যদি ঐ অবস্থায় পাইতো তবে চ্যালা কাড দিয়া পিডাইয়া তারপর চিন্তা করতো আদর করন যায় কিনা :P

বাবায় ভালো, আপনারে যেমন কপালে চুম্মা দিছে আমারে জড়াইয়া ধরতো। :D

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মাইর দেওয়াডাই বোধহয় স্বাভাবিক ছিলো ।

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সাধুর সাধু ভাষায় সুলিখিত ,অভিমানি ছোটবেলার বয়ান ভাল লাগিল।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সাধু'র সাধু ভাষায় লিখিত অসাধু বালকের বয়ান ভাল লাগিল । =p~

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

নেক্সাস বলেছেন: কি লিখছেন সেটা নিয়ে বলবোনা। তবে আমার ভাল লাগে বর্ণনা। সাধু আপনার হাতে বেশ জোশ আছেরে ভাই। সেটা কাজে লাগান। সাহিত্যের ভুবনে আপনার অবস্থান তৈরি হতে সময় লাগবেনা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নেক্সাস ভাই, অাপনার মন্তব্য মানেই বিশেষ কিছু । ভালো থাকুন ।

২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাধূ ভাষায় আমিও একটু আধটু ট্রাই করেছিলাম একসময়। তবে কথা হলো কি, সাধুভাষায় কেমন যেন মনের ভাব ঠিকমত প্রকাশ করতে পারি না।
প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। সবাই একরকম লিখলে তো আর মজা নাই।

আপনি রম্যের/গল্পের আড়ালে মা বাবার ভালবাসাকে খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। সত্যিই মা ও বাবা'রা ভালবাসেন বলেই আমাদের জীবনটা অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে ওঠে। আর আমি ভেবে অবাক হচ্ছি আপনার স্মৃতিশক্তি দেখে। ওএমজি!!

পাঁচ বছরের সময়ের ঘটনাও মনে আছে?? সাবাশ!!

আর আপনি যে এত ত্যান্দর আছিলেন এইটা শুইনা ভ্যাবাচ্যাকাও খাইসি। ;) ;)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই ইতিহাসটা অাশপাশের সব এলাকায় রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছিলো । তাই মনে রাখাটা সহজ ছিলো । অামি অবাক হই এই ভেবে, অামি কী করে মল্লিকবাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলাম!

শৈশবে যারা তেঁদড় হয়, বড় হলে শান্ত হয়ে যায় । এমন নজির বহু দেখেছি । অামি নিজেও অবশ্য বড় প্রমাণ ।

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: তিনি অামার ললাটে চুম্বন করিলেন । মনে হইলো, তিনি যেন অাকাশের চাঁদ হাতে পাইলেন। আপনি যখন পিতা হবেন, তখন এই বোধের আনন্দ বুজতে পারবেন। তিন রাস্তায় হারিয়ে যাওয়ার বর্ননা অনবদ্য হয়েছে। পড়তে কেমন ভয় ভয় লাগছে। না যানি শিশু আপনার তখন কেমন লাগছিল, আহা!!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিশু মনের কথা মনে হলে অামারও এখনও খুব খারাপ লাগে । ভালো থাকুন ।

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ অাপ্নাকেও ।

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: আপনার গোস্বা করিবার কাহিনী পড়িয়া আমারো অনেক কাহিনী মনে পড়িয়া গেল। আমিও বাড়ি থেকে পালাইয়া গিয়া বাবা মাকে অনেক কাঁদাইয়াছিলাম।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার কাহিনী শোনার অাশা রাখি । লিখে ফেলুন ।

২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হারানোর আগে কেহ মুল্য বুঝেন না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটাই চিরন্তন রীতি!

২৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা......লেখা ভালো লেগেছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

২৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

নীলপরি বলেছেন: ইশ কি সুন্দর লেখেন আপনি সাধু ভাষায় । আমি তো হাজার চেষ্টা করলেও পারবো না । এরকম লেখা আরো চাই । এটাও খুব ভালো লাগলো ।

ধরে নিলাম পুরোটাই সত্যি । তাহলে প্রথমে কতটা হেঁটেছেন লেখেননি । তারপর আরো দশ বারো মাইল ?

হুম । আপনাকে এবার অলিম্পকে পাঠানো হবে ! :)

শুভকামনা ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দূরত্ব কি বেশি হয়ে গেছে? আমার ধারণা মোটামুটি ২২ কিলোমিটারের মত হেঁটেছিলাম । যদিও ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হবে । অভিমান করে এমনটা ঘটানো কি অসম্ভব?

হুমায়ুন আহমেদ এর লেখালেখির অনুপ্রেরণা ছিলো "হন্টন" । আমার অনুপ্রেরণা যদিও হন্টন না, তারপরও অনেক হাঁটি ।

২৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

নীলপরি বলেছেন: অসম্ভব নয় । হাঁটতে পারলে তো ভালো ।আমি তো আমার কথা চিন্তা করে বলেছিলাম । আমি ২২ এর জায়গায় ২ কি.মি ও হাঁটতে পারবো না । কোনো কালেই । আমারও এই টাইপ একটা ঘটনা আছে , তবে এরকম দুঃসাহসিক কিছু নয় ।

কিছু জিনিস বদলায় না ! যারা আবেগী তারা ছোটো থেকেই ওরকম বোধহয় ! :)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইদানীং রাগের মাত্রাটা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে ।

৩০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৭

নীলপরি বলেছেন: হুম , হয় একেকসময় । কিন্তু কি হবে ? সেই নিজেকেই তো ঠিক হতে হয় । রাগ ভুলতে হয় !

আপনার এই লেখাটাই দেখুন । আপনি যখন নিজে ভুলতে চাইলেন তখন ভুললেন । এরকমই হয় ।

তবু আমরা আবার রাগ করি । তারপর নিজে থেকেই ভুলি বা ভুলতে বাধ্য হই !

রাগ না করারই চেষ্টা করুন । যদিও রাগের সময় কোনো লজিক মনে থাকে না । তবু বললাম ! :)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সর্বশেষ ঘটনায় মা-বাপ এর ওপর যে ক্ষোভটা তৈরি হয়েছে, সেই ক্ষোভটা বোধহয় কখনোই তিরোহিত হবেনা ।

৩১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

নীলপরি বলেছেন: ক্ষোভ নয় অভিমান । :)

এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার । আমার বলা ঠিক না । তাও মনে হয় কোথায় একটা আন্ডারস্ট্যনডিং গ্যাপ থেকে যাচ্ছে । আপনি নিশ্চয়ই আলাদারকম কিছু ভাবেন । সেটা ঠান্ডা মাথায় ওনাদের বোঝাতে চেষ্টা করতে পারেন । আর সময় তো অনেকটা নিরাময় করে । সরি , কিছু বলে ফেললাম । আসলে মনে হোলো আপনি কষ্ট পাচ্ছেন , তাই বলেছি ।

শুভকামনা ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালোবাসা, মমত্ববোধ সব উঠে গেছে, শুধু রয়ে গেছে দায়িত্ববোধটুকু!

আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক না, অন্য ব্যাপার আছে । সেটা না বলাই ভালো ।

৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

নীলপরি বলেছেন: ঠিক আছে । আমি বলেছি তো এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার ।

আপনি এই প্রসঙ্গের মন্তব্যগুলো মুছে দিতে পারেন ।

শুভকামনা ।

ভালো থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.