নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত রাত না খেয়ে ছিলাম (প্রথমাংশ)

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২৮


আমজাদ হোসেনের একটা চলচ্চিত্র আছে। নামঃ ভাত দে। খিদে কত নির্মম হতে পারে, এটা প্রথম উপলব্ধি করি এই চলচ্চিত্র টা দেখে।
বাউল আনোয়ার হোসেন স্ত্রী-কন্যার ভরণপোষণ দিতে পারেন না। স্ত্রী আনোয়ারা শুধুমাত্র দু মুঠো ভাতের আশায় এক লোকের সাথে ভেগে যান। কন্যা শাবানা মানুষের বাড়িতে চেয়ে চিন্তে খায়। ভাত চুরি করে।

মায়ের সাথে রাগ করে ভাত না খাওয়ার ইতিহাস অনেক আছে। কলেজে থাকতেও এমন করতাম। মা অবশ্য জোর করে রাগ ভাঙাতেন, ভাত খাওয়াতেন।

অনার্সে যখন পড়ি, মাঝেমধ্যে ভাত খাওয়ার টাকা থাকত না। একটা দুটা সিঙারা খেয়ে দিন পার করতাম। অনেকদিনই এমন হয়েছে। তখন বাড়ির সময় টা মিস করতাম। মায়ের অনুপস্থিতি টা পীড়া দিত। মনে মনে আশা করতাম কেউ যদি একবেলা ভাত খাওয়াত।

অনার্সের শেষদিকে খুব অভাবে পড়লাম। অবশ্য এটা স্বাভাবিক ব্যাপার আমার কাছে। কারণ, জীবনে খুব কম সময়ই আরামে কাটিয়েছি। পেছনের ইতিহাস ঘেটে আনন্দের তেমন কিছু পাই না।

যাহোক, মাস্টার্স করার অবস্থা রইল না। কোনোমতে অনার্স শেষ করে গাজীপুর চলে এলাম চাকরির খুঁজে। যে কোনো চাকরি। নিদেনপক্ষে গার্মেন্টসের চাকরি। কিন্তু হলো না কিছুই। রিক্তহস্তে ভগ্নহৃদয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হলো।

৯ মাস কাটল শুয়ে-বসে। পাড়াপড়শি তো বটেই, মা-বাপও বিরক্ত হয়ে গেল। হবেই বা না কেন? জোয়ান ছেলে বাড়িতে বসে আছে। নিজে চলার মতো ব্যবস্থাও করতে পারছে না; এরচেয়ে নিন্দনীয় ব্যাপার আর আছে?

মায়ের সাথে রাগ করে ময়মনসিংহে চলে গেলাম। এক বন্ধুর হলে রইলাম ১৫ দিন। একজনের কাছে এতদিন থাকা যায়?
একসময় বাড়িতেই ফিরলাম।

আমি দিন গুনছিলাম কবে এই দুর্দশা কাটবে। ৯ মাস পর ভালুকায় একটা কোচিং এ যোগ দিলাম। মাস শেষে পেলাম ১,৫০০ টাকা। এই টাকায় বাসা ভাড়াই হয় না। খাব কী?

রান্না করার জন্য মহিলা রাখছিলাম। বাদ দিতে হলো। জীবনের চরম একটা অধ্যায় শুরু হলো৷ মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে।

কেউ বিশ্বাস করবে কি না জানি না। টানা ৬ মাস একবেলা ভাত খেয়েছি। এই একবেলা ভাত খাওয়ারও টাকা ছিল না আমার। এক দুজন বন্ধুর কাছে চেয়েচিন্তে নিতাম।

খাবার টা খেতাম বিকেলে। যেন সকাল-দুপুর- রাত একসাথে হয়ে যায়। কোচিং করে যখন রাত ১০ টায় বাসায় ফিরতাম, খিদের যন্ত্রণায় ঘুম আসত না। বুঝতে পারতাম, খিদের যন্ত্রণার চেয়ে বড়ো কোনো যন্ত্রণা হতে পারে না। তবু সহ্য করে থাকতাম। বাড়িতে কখনো জানাতাম না। মায়ের ওপর চাপা অভিমান ছিল। যদিও এখন বুঝি অভিমান টা অহেতুক ছিল।

না খেয়ে থাকতে থাকতে শরীর-স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। মনে পড়ে একবার এক শিক্ষার্থীর বাসায় দাওয়াত দিয়েছিল। মাংস যখন মুখে নিলাম, গলা দিয়ে নামছিল না। গলার ছিদ্র ছোটো হয়ে গিয়েছিল।

একবেলা যে হোটেলে খেতাম, হোটেলওয়ালা আমার দিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে তাকাতেন। মনে করতেন কোন ফকির-মিসকিন এল! অন্যদের খাবার সময় মতো দিলেও আমার খাবার দেরিতে দিত।
প্রতি শনিবার টাকা দিতাম। ওনি চাচ্ছিলেন যেন বাকি না রাখি। টাকা যে দেব, টাকা পাব কোথায়?

হোটেল টা বাদ দিলাম। গেলাম অন্য হোটেলে। সেখানেও একই অবস্থা। টাকা সময় মতো দিতে না পারায় হোটেলওয়ালা খাবার দিতে অনীহা প্রকাশ করল।

কোচিং এর পাশাপাশি মাসিক ২,০০০ টাকা বেতনে একটা কিন্ডারগার্টেনে ঢুকলাম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই টাকা টাও সময় মতো পাই নি। পেটে জন্মের খিদে নিয়ে বিকেল পর্যন্ত ক্লাস করাতাম।

আশপাশের দুটো হোটেলে খাওয়া বাদ দেওয়ার পর খাওয়ার মতো জায়গা রইল না। একদিন নজর পড়ল ফুটপাতের ভাতের হোটেলগুলোর দিকে। কিন্তু এখানে বসে খাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। কারণ, যে স্কুলটায় পড়াতাম, স্কুল টা পাশাপাশি ছিল। অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।

চলবে

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: :(( কি মন্তব্য করব কিছুই বুঝতে পারসিনা।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়ছেন?

২| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে সান্তনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নাই। কোচিং টিচাররা অনেকে অনেক ভালো করছেন। আপনি এই পথেই লেগে থাকেন।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কোথাও সুবিধা করতে পারি নি।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ এই পোস্ট পড়তে ২ মিনিটের বেশি লাগার তো কোন কারণ নেই। অভাবের কথা শুনে ভাষাহীন তাই বললাম।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক আছে।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ব্লগ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার আয় রোজগারের ব্যাপারে কোনভাবে সাহায্য করবে বলে আমার মনে হয়।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: না থাক।

৫| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রত্যেকের জীবনেই এরকম কিছু দুর্বিষহ সময় আসে, আমার জীবনেও ছিল। সেই সময় চলে যায়, আমারও চলে গেছে। আশা করি, আপনারও সুদিন আসবে। দোয়া করি আপনার জন্য। এখনো যদি কোনো স্কিল ডেভেলপ না করে থাকেন, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তেমন কোনো অগ্রগতি হয় নি এখনও।

৬| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো কবি নজরুলের চেয়ে বেশি কষ্ট করেছেন।
খারাপ লাগছে আপনার জন্য।

আচ্ছা, আপনি তো অনার্স পড়ার সময় টিউশনি করতে পারতেন। সেটা করেন নি কেন?

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তখন সঙ্কোচ লাগত কাউকে বলতে। তারপরও অনেককে বলেছি। কেউ একটা দুটো টিউশনি দিয়ে সহযোগিতা করে নি।

৭| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:


কোন দোকানে সেলস, বা এই ধরণের কিছু পান কিনা দেখেন।
সাধারণ এলাকায় প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুলের বাচছাদের পড়ানো যায় কিনা দেখেন। কোথায়ও ড্রাইভিং শেখা যায় কিনা দেখেন।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মালিবাগ এড়িয়ায় একটা কোচিং এ আছি। সপ্তাহে ৬ দিন। ৬ ঘন্টা করে। মাস শেষে ৬ হাজার টাকা। দুটো টিউশনি থেকে অল্প কিছু পাই।

৮| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


খারাপ লাগলো; এখন কি করছেন?

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একটা কোচিং এ আছি।

৯| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আশপাশের কারো সাথে পরিচয় করে ড্রাইভিং শেখার চেষ্টা করেন।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বুঝতে পারছি না কী করা উচিত।

১০| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



যাদের বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন, তাদর পরিচিত পরিবারে পড়াতে আপনাকে রিকমেন্ড করতে পারে কিনা দেখেন।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম।

১১| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি আমার কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। সবেমাত্র আমেরিকা এসেছি, একটা গিফট শপে চাকুরী শুরু করলাম। প্রথম দিন কাজ শেষে বাসায় এসে রীতিমত কান্না চলে এলো। পায়ের ব্যাথায় হাটতেও পারছিনা, তেল গরম করে মালিশ করা হলো। সকালে উঠে আরো খারাপ অবস্থা, হাটার কোন শক্তি নেই এমনকি টয়লেটেও যাওয়াও কষ্টকর মনে হচ্ছিলো অথচ বিকেলেই আবার কাজে যেতে হবে। ভাবতেই কান্না পেয়ে গিয়েছিলো। সেই সাথে কাজে যোগ হলো, সাপ্তাহিক বাথরুম পরিষ্কার করা আর প্রতিদিন রাতে ফ্লোর মোছা। যাইহোক, ধীরে ধীরে মানিয়ে গেল। কাজ করে দু'তিন বছরের মধ্যেই পরিবারের সব লোন শোধ করে দিলাম, পাশাপাশি পরিবারের জন্য খরচ পাঠানো, উৎসব অনুষ্ঠানের খরচতো রয়েছেই। বাবা তখনো চাকুরি করতেন তাই ততটা প্রেশার হয়তো ছিলোনা। এক সময় মনে হলো এভাবে হবে না আর এসব করার জন্য আমি আমেরিকা আসিনি। চাচা ব্লুমবার্গে বেশ ভালো জব করতেন তাকে দেখেই উৎসাহ মিললো। ভাবলাম এখানে পড়াশোনা করবো, শুরু হলো আরেক সংগ্রাম। প্রতিদিন সন্ধ্যেয় কাজ শেষ করে ক্লাস তারপর বাসায় ফিরতে ফিরতে মধ্যরাত। নিজে রান্না করে খাওয়া, শুরু হলো। ক্লাসের হোমওয়ার্ক শেষ করতে করতে ভোর। কিছুটা ঘুমিয়েই আবার কাজ।

এক সেমিস্টার পরেই শুরু হলো ঝক্কি, ক্লাসের রুটিনের সাথে কাজের রুটিন মিলছে না। প্রশ্ন এসে দাঁড়ালো, কাজ না ক্লাস? সিদ্ধান্ত নিলাম যত কষ্টই হোক পড়াশোনা করবোই। চাকুরি চলে গেল, ক্ষিদেয় পেট চো চো করতো সব সময়। যখন কাজ করতাম তখন পয়সা/কয়েন জমাতাম। ১ ডলার দিয়ে ১টা শিঙারা খেয়ে দুপুরের লাঞ্চ সারতে হতো, কখনো অবশ্য সেটাও সম্ভব হতো না। স্কুলে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা লাঞ্চে বসে এটা-ওটা খেত, ভীষণ খেতে ইচ্ছে করতো। বাড়ী ভাড়া দিতে পারছিলাম না টানা কয়েক মাস। বাড়িওয়ালা চাচা দেবদূতের মতো মাথার উপর ছায়া হয়ে ছিলেন, বললেন ভাড়া নিয়ে চিন্তা না করতে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। দেওয়ান আলী নামক এই মানুষটার কাছে আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকবো। বাসায় টাকা পাঠাতে পারছি না, বাবাও রিটায়ারমেন্টে চলে গেলেন। পেনশনের টাকা ছিলো তাই পরিবারের তেমন কোন সমস্যা হয় নি। বাবা-মা জানতেন না আমি কিভাবে দিনাতিপাত করছি, কখনো বুঝতে দেই নি। কি খেয়েছি জিজ্ঞেস করলে, কথা ঘুরিয়ে দিতাম নয়তো মিথ্যে বলতে হতো। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? রাস্তার টোকাইদের মতো এটা-ওটা করে কোনরকম দিনাতিপাত করছিলাম। কিন্তু চাকুরি আর মিলছে না। একদিকে ক্ষুধা আর অন্যদিকে পড়াশোনা, মনে হচ্ছিলো আমি পারবো না। সে সময়েই চাকুরী হলো ইরানিয়ান মালিকানাধীন এক কোম্পানিতে, কোন রকমে চলে শেষ মেষ ডিগ্রী অর্জিত হলো। বাবা-মা, চাচা সবাই অভিভূত, আনন্দিত, গৌরবান্বিত। কেউই পেছনের কষ্টের কথা জিজ্ঞেস করে নি। আজ অনেকেই বেশ কয়েক ফিগারের ইনকাম দেখে ঈর্ষান্বিত হন, তাদের বলি পেছনের গল্প জানেন? তারা জানেন না।

আপনার নিজেও একটা গল্প হবে একদিন, কেউ হয়তো সেটা নিয়ে কথা বলবে না। তবুও নিজের ভেতরে সে আগুন জ্বালিয়ে রাখুন। চেষ্টা থাকলে ভেতরে পুড়ে পুড়ে একদিন খাঁটি সোনা হতেও পারবেন, এটাই এই পৃথিবীর নিয়ম। সবাই সোনাটাই দেখবে, কিন্তু কতটা পুড়ে সোনা খাঁটি হয়েছে সে গল্প অজানাই থাকবে অনেকের কাছেই। চেষ্টা অব্যাহত রাখুন, নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। ভোর আসবেই, রাতটাই যা দীর্ঘ মনে হবে। শুভ কামনা থাকলো সব সময়।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার কষ্টটা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করলাম। মনটাও খারাপ হয়ে গেল। বাড়িওয়ালা চাচার প্রতি শ্রদ্ধা আপনার প্রতি ভালোবাসা। আপনার সাফল্যের গল্পটা অবশ্যই অনুপ্রেরণা দেবে আমাকে।

বাড়িতে সাপোর্ট দিতে হয় আমাকে। বাড়িতে অসুস্থ মা-বাবা। যদি সাপোর্ট না দিতে হতো, দিনরাত যদি পড়ালেখা করতে পারতাম, হয়ত কিছু একটা হতে পারত। এখন মনে হয় না কিছু করা সম্ভব। আজকে যখন কোচিং গেলাম, মনটা এত খারাপ হলো এক মুহূর্ত ঢাকায় থাকতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু কোথাও যে যাব সে জায়গাও নেই। মা-বাবার জন্য কিছু করতে না পারার অক্ষমতাও যথেষ্ট ভোগাচ্ছে।

১২| ২৬ শে জুন, ২০২২ ভোর ৪:০৯

জগতারন বলেছেন:
পড়লাম কিন্তু মন্তব্য করার ভাষা পেলাম না।
আমার যা বলার ছিল ব্লগার ইফতেখার ভূইয়া বলে দিয়েছে।
আমিও বিদেশে পড়াশোনা করেছি, জীবনে প্রথম উপার্জন, প্রথম রান্না বিদেশেই করেছিলাম।
সে দিন গুলোর কথা ভাবতে গেলে শিহরিয়ে উঠি।
সর্বময় ক্ষমতাধর বিধাতা এই ব্লগ লিখকের সহায় হউন প্রার্থনা করি।

২৬ শে জুন, ২০২২ ভোর ৪:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমিন।

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইফতেখার ভাই ভালো বলেছেন। কিছু আশা আপনি ওনার লেখা থেকে হয়তো আপনি পাবেন। আপনিও একদিন অনেক বড় হবেন।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অবস্থার পরিবর্তন হবে; সেই আশাই করি।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমরতো আসলে উপদেশ দিতেই বেশি পছন্দ করি কিন্তু সঠিক পথ বাতলে দিতে পারিনা; দোআ রইলো যেন তাড়াতাড়ী এই দূর্ভোগ থেকে উত্তরণ ঘটে।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই দুর্ভোগ থেকে উত্তরণ ঘটা জরুরি। আর কত!

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার কষ্টের সমব্যাথী। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আপনাকে সম্মানীত করুন। ফি আমানিল্লাহ।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমিন।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:




রূপক,
ইফতি তার জীবনের যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে, সেটার সুত্র ধরে শুধু এটুকু বলবো জীবন কখনোই স্মুদ জার্নি না ,
এটাকে স্মুদ করে নিতে হয় । ইফতির মতো আমরা অনেকেই স্টুডেন্ট লাইফে অনেক স্ট্রাগল করেছি ।
ফুল টাইম স্টাডির পাশাপাশি অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে ।
এমনও সময় গেছে পড়ালেখা কাজ সব শেষ করে রাত তিনটায় বাসায় ফিরেছি ।
এমন দিন গেছে সকাল সন্ধ্যা একটা ফুল টাইম কাজ করে, আবার সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি আরেক কাজ করেছি ।
১৩/১৪ ঘণ্টাও কাজ যেন কোন বিষয়ই না ।
ইউনি লাইফে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি বলেই ইউনি শেষে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু করে এখন অবধি শুধু প্রাপ্তি আর প্রাপ্তি ।
হার্ড ওয়ার্ক পেইড অফ ।

মানুষ কখনও কেউ কারো কষ্ট অনুধাবন করতে পারেনা যতক্ষণ নিজে সেই অবস্থার মধ্যে দিয়ে না যায় ।
তাই কি করলে যে রূপকের কষ্টের সমাধান হবে সেটা আমার জানা নেই ।
তারপরও বলবো রূপক কেউ কারো জন্য উইন্ডো ওপেন করে দেয় না ।
নিজের অপরচুনিটি নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় ।
ইউ হ্যাভ টু পুশ ইউরসেল্ফ হার্ডার । ৯ নং মন্তব্যে ভালো পরামর্শ আছে ।
ইউ ক্যান ট্রাই অল পসিবিলিটিজ । লোকে কি বললো, মানুষ কি ভাববে, হু কেয়ারস !
ইউ ডু কেয়ার আবাউট ইউরসেল্ফ অনলি ।

পারিনা, পারছিনা, চেষ্টা করেছি, হচ্ছে না এই হতাশা এই শব্দগুলো টোটালি বাদ দিতে হবে ।
আমি পারবো, আমাকে দিয়েই হবে, অন্যরা পারলে আমিও পারবো, আই’ল নেভার গিভ আপ এভাবে ভাবতে হবে ।
ইউ হ্যাভ টু মোটিভেইট ইউরসেল্ফ ।
বিলিভ ইন ইউরসেল্ফ, কিপ ট্রায়িং, পরিবর্তন আসবেই ।

আই উইশ ইউ অল দ্যা বেস্ট ফ্রম মাই হার্ট ।





২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইফতেখার ভাই এবং আপনার মন্তব্য টা যথেষ্ট অনুপ্রেরণামূলক আমার জন্য। যদিও আমি দুর্ভাগা! আপনাদের মতো সঠিক খাতে সঠিক সময় টা ব্যয় করতে পারি নি। সহপাঠীরা যেখানে ভালো ভালো অবস্থানে চলে গেছে লড়াই করে, সেখানে আমার নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। নিজের নির্বুদ্ধিতা তো বটেই, উপযুক্ত সহযোগিতা এবং বুদ্ধি পরামর্শও পাই নি কখনো। সময় এখনও আছে অবশ্য, তবে কতটুকু কাজে লাগাতে পারব জানি নে।

১৭| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
টিকে থাকার সংগ্রাম সবাইকে টুকটাক করতে হয়। আমি অবশ্য রাগ করলেও নাখেয়ে থাকিনা। চুপি চুপি খেয়ে রাগ করে থাকি। খুব খুব কষ্ট হলো আপনার জন্য। আসলে পরিচিতি কেউ থাকলে সহজে চাকরি হয়ে যায়। ব্লগে কেউ যদি থাকেন অনুরোধ করবো রুপকদার জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে।

ওনার জন্য হয়তো আপনাদের চেনা জানা কারো কাছে ফোনে, পরামর্শে, অনুরোধে, যোগাযোগে একজন ব্লগারের জীবন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রাগ করে না খেয়ে থাকা টা আসলে বোকামি। আগে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারি। না খেয়ে থাকলেও কেউ জিগ্যেসও করে না খেয়েছি কি না।

১৮| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাই পরিষ্কার ভাষায় বলি কেউই আপনাকে চাকুড়ি দেবে না !!! যদি জিজ্ঞাসা করেন কেনো দেবে না উত্তর বাংলাদেশ চাকুড়ি দেয়ার মতো লোক নাই যে দেশের চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে এম এল এস স্নাতক বয়স ২৫ অভিজ্ঞতা ১০ বছরের সেই দেশে আপনি বা আমি চাকরীর আশা করি কি করে ।

আপনি কোথায় থাকেন জানা নাই যদি ঢাকায় থাকেন কোন ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হয়ে যান !!! অনার্স পাশ একজন ড্রাইভিং করবে এটা ভেবে যদি কষ্ট পান তাহলে আগের কষ্টের কথা মনে করে এই কষ্ঠ ভুলে যান । নিজের আয় নিজেই করুন তারপর একটু টাকা জমিয়ে নিজের জন্য সুইটাবেল কিছু করার চেষ্টা করুন ।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। ড্রাইভিং শেখাটা জরুরি মনে হচ্ছে।

১৯| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩২

বাংলার এয়ানা বলেছেন: বার মন্তব্য পড়লাম কিন্তু সবাই ঊপদেশ ছাড়া কিছুই দিলা না। আপনার সিভি কিভাবে পেতে পারি, যদি সম্ভব হয় আমি কিছু একটা চেষ্টা করতে পারি।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: [email protected]

২০| ২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ২:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!! কান্নার রিয়্যক্ট খুজলাম কিন্তু পেলাম না। :(( গত কয়েক বছর ধরে সামহয়্যারইন ব্লগ মাঝে মাঝেই ভিজিট করি, যেদিন ভিজিট করি সেদিন আমার সারা রাত কেটে যায় মানুষের লেখা পড়তে পড়তে। আপনার লেখাও অনেকদিন ধরে পড়ি, বিশেষ করে আপনার কবিতা আমার ভালো লাগে।
অনেকদিন ধরে একাউন্ট করবো করবো করেও করা হয় না কিন্তু আজ আপনার হৃদয়বিদারক কাহিনি পড়ে একাউন্ট না করে পাড়লাম না। আপনার কষ্টের কথা পড়ে আমি নিজেও ঠিক কতটা কষ্ট পেয়েছি তা লিখে প্রকাশ করার মত ক্ষমতা আমার নেই।
ঠিক কি বলবো বুঝতে পারতেছি না, আমার মাথায় শুধু একটা বিষয় ঘুর ঘুর করতেছে তা হচ্ছে - একজন লেখক, একজন কবি, বিশেষ করে সামহয়্যারইন ব্লগের একজন পুরোনো গুণী ব্লগার কিভাবে এতটা কষ্টে থাকতে পারে!!! আমার ধারণা মতে স্বচ্ছল এবং প্রতিষ্ঠিত লোকজনই এখানে লিখালিখি করে। তাহলে এত বড় এক কমিউনিটিতে বছরের বছর ধরে লিখালিখি করে লাভ কি যদি ব্যক্তিগত সুবিধা অসুবিধার নূন্যতম খোঁজ খবর রাখার মত কেউ না থাকে? সহ ব্লগাদের খোঁজ খবর যদি কেউ না-ই রাখে তাহলে এই ব্লগের স্বার্থকতা কি?
আপনার এই দুরাবস্থা দুর করার মত সামর্থ যদি আমার থাকতো তাহলে তৎক্ষানিক ব্যবস্থা নিতাম, তবে আপনার বিষয়টা আমার মাথায় থাকবে। যদি কিছু করতে পারি তাহলে শ্বান্তি পাবো।

ভালো থাকবেন, যে কোন পরিস্থিতিতে মথা ঠান্ডা রাখতে হবে, আশাহত হওয়া চলবে না। সময় সবকিছু ঠিক করে দিবে।

২৭ শে জুন, ২০২২ ভোর ৬:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কষ্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মনটা খুব খারাপ ছিল, তাই হুট করে লিখে এখানে প্রকাশ করে ফেললাম। সময় পেলে আরও গুছিয়ে লেখা যেত। সেটা আরও নির্মম হতো

২১| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

জুয়েল ফুজি বলেছেন: আপনাকে স্তনা দেবার মত ভাষা আমার নেই। শুধু বলব আল্রাহর উপর ভরসা রাখুন। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনে এত কষ্ট করেছি, অনেকের কল্পনার বাইরে। অবশ্য দায়ভার নিজেরই।

২২| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ, আপনার জন্য কিছু করতে পারিনি। ৭ জানুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখের আগে পরে এই ব্যাপারে আপনার সাথে কথা হয়েছিল। তখন আপনি জানানোর পরে দু'এক জায়গায় কর্মসংস্থানের জন্য খোঁজ খবর নিয়ে কিছুটা চেষ্টাও করেছিলাম। যদিও সে চেষ্টায় সফল হতে পারিনি সেই সময়। পরবর্তীতে অনেক দিন আপনার সাথে তেমন যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এই সময়টায় মনে মনে ভেবেছিলাম, আপনার অবস্থার হয়তো পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এই পোস্ট দেয়ায় জানলাম, আশানুরূপ বা প্রয়োজন মাফিক তেমন কোন উন্নতি আসলে এখনও হয়নি।

যা হোক, হয়নি বলে যে হবে না, তা নয়। ইনশাআল্লাহ হবে। বিশ্বাস রাখুন, হবে। অবশ্যই হবে। আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনি কোন অবস্থায় হতাশ এবং আশাহত হবেন না। যত সমস্যাই আসুক, আপনি কখনও ভেঙ্গে পড়বেন না। চেষ্টা চালিয়ে যান। আমি আবারও একটু চেষ্টা করে দেখতে চাই। আপনাকে মেইল দিয়েছি। দয়া করে মেইল বক্স চেক করবেন।

২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তখন মাত্র গাজীপুর এসেছি। একটা বীমা কোম্পানিতে কাজ করতে গিয়ে ধোঁকা খাই। এরপর একটা স্কুলে ঢুকেছিলাম। ৭ মাসের মতো ছিলাম।

২৩| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বই মেলায় আপনার সাথে পরিচয়ের সময়টুকুতে আপনার সাথে কথা হয়েছিলো। লেখায় ব্লগারদের মন্তব্যগুলো আশা করছি আপনার কঠিন মুহূর্তগুলো' র শক্তি হবে। এসব ই জীবন চলার পথের অভিজ্ঞতা।

আশা করছি সময় আপনার প্রতি সদয় আচরণ করবে। আমাদের সবার সাথে ই করেছে।

২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপা।

২৪| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভাই ,
নিরাশ হয়েন না। কিছুদিন ধৈর্য্য ধরুন।
কেউ না কেউ কিছু একটা করবেই।

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ২৭ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ সু সময় ফিরবে। হতাশ হবে না মোটেও।

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ, আপা।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,



প্রায়ই আপনার এমন করুন অবস্থার কথা নিয়ে লেখা দেখি অথচ কখনও আপনাকে নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা এ পর্য্যন্ত কোথাও বলিনি।। ব্লগাররা আপনার আজকের এমন কষ্টের জন্যে ব্যথিত। অনেকেই আপনার এমন অবস্থার জন্যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, আবেদন জানিয়েছেন কেউ যেন আপনার জন্যে কিছু করে। কিন্তু আজ বাধ্য হয়েই কিছু না বলে পারছিনে - ( সহৃদয় ব্লগাররা যেন আমাকে ক্ষমা করেন! )
আমার সাথে আপনার সামনা সামনি কথোপকথন কি আপনার মনে আছে ? মনে আছে, বছর তিন/চার আগে আপনার অবস্থার কথা জেনে স্বপ্রনোদিত হয়ে আপনার সাথে আমি যোগাযোগ করে আপনাকে আমার অফিস নিয়ে এসেছিলুম ? মনে কি আছে যে, আপনাকে আমি তৎক্ষনাত একটি প্রতিষ্ঠিত ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানীতে মাসিক ১২ হাযার টাকার (সলিড) "মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার" পদে যোগ দিতে বলেছিলুম ?
ঐ চাকুরীটির রিক্রুটিং পার্সন এবং নিয়োগদাতা আমিই ছিলুম। বলেছিলুম, একটা মাস একটু কষ্ট করতে হবে, ঢাকায় থেকে ট্রেইনিং করতে হবে। ট্রেইনিং এর সময় প্রতিদিন খাওয়া ও যাতায়াত বাবদ ১৪৫/= টাকা হাতে পাবেন। আর আমি তো আছিই।
আপনি তা নিতে গড়িমসি করেছেন । বারবার অফিসে কোনও "ডেস্কজব" দিতে পারি কিনা তাই বলছিলেন। আমাদের অফিসে
ঐ ধরনের কোনও জব ছিলোনা। আর তা আমার এখতিয়ারেও ছিলোনা। আমার এখতিয়ারের মধ্যে যা ছিলো তা-ই আপনাকে আমি অফার করেছিলুম, একজন ব্লগার হিসেবে আর একজন অসহায় ব্লগারের জন্যে । আপনি প্রকারন্তরে না করে দিয়েছিলেন সেদিন। অথচ কতো শত শত ছেলে আজ ঐ কাজ করে ঢাকা শহরেই আবাস গেড়েছে। মটরবাইক দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। আপনি নিজ দোষে তা হেলায় হারিয়েছেন।
দীর্ঘদিন থেকে আপনার অবস্থার কোনও পরিবর্তন না হবার কথা জেনে এখন আমার মনে হচ্ছে আপনার নিজের অবস্থা ফেরানোর কোনও চেষ্টাই আপনার মধ্যে নেই । আপনাকে আমার অলস মনে হয়েছে। পরিশ্রমে রাজী নন। আর এক পোস্টের মন্তব্যে দেখলুম ব্লগার সোনাগাজী বলেছেন - প্রবাসে বসবাসরত ১ জন মহিলা, যিনি উনাকে চিনতেন না, তিনি প্রবাস থেকেই অনেক চেষ্টা করে ঢাকাতে ১টি ছোট সাময়িক চাকুরীর ব্যবস্হা করেছিলেন, উনাক ঢাকা নিয়ে আসার জন্য ও কিছুটা অভিজ্ঞতা সন্চয়ে সাহায্য করার জন্য; সেই সাময়িক চাকুরীর সময় তিনি কিছু একটা বের করতে পারননি।
প্রবাসী ঐ ভদ্রমহিলার চেষ্টাকেও আপনি কাজে লাগান নি। এই ঘটনা থেকেও ধরে নিতে হয়, আপনার নিজের অবস্থা ফেরানোর কোনও চেষ্টাই আপনার মধ্যে নেই । পরিশ্রমে রাজী নন আপনি। নিজের উপরই আপনার কোনও বিশ্বাস বা আস্থা নেই। কেবল ছেলে মেয়ে পড়ানোর মতো বসে বসে অপরিশ্রমের (?) কাজেই আপনার নজর বেশী। শারীরিক খাটুনি নেই এমন কাজেই আপনার ভরসা। একটা হীনমন্যতা বা আপাংতেয়বোধ আপনার মনে বাসা বেঁধে আছে হয়তো।

নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। পরিশ্রমী হোন। নিজেকে " ভাগ্যাহত" বলে গুটিয়ে রাখবেন না। মানুষের বাড়িয়ে দেয়া হাতখানি ধরে শক্তি সঞ্চয় করুন। অবস্থা চিরকাল সমান যায়না। সমান যেতে দিতেও নেই্। নিজের হাত-পাগুলোকেও সামনে বাড়াতে হবে। কেউ হয়তো একটা সাইকেল দিয়েছে আপনাকে, সেটা আপনাকেই চালাতে হবে কোথাও যেতে হলে। যিনি দিয়েছেন তিনিই চালিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবেন না কোথাও, এটা মনে রাখুন।

আমার এমন লেখায় মনে কিছু নেবেন না। আপনার "উইকনেস"টা কোথায় সেটা ধরিয়ে দিতে চেয়েছি মাত্র যাতে সে সব শুধরে "অপরচুনিটি"গুলোকে কাজে লাগাতে পারেন।

আশা করি দ্বিতীয়াংশ লিখবেন না । এতে আমাদের মন খারাপ হয়। খুব কষ্ট লাগে আপনার জন্যে।

আপনার দিন ফিরুক...................................

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার দেওয়া সুযোগ টা হাতছাড়া করা আমার নির্বুদ্ধিতা ছিল। আমি ভাবতেও পারি নি এরপরও অবস্থার পরিবর্তন তেমন করতে পারব না। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে আমি শারীরিকভাবে ফিট কি না। ওই মুহুর্তে কেন জানি মনে হয়েছিল কাজ টা পারব না। ওই মনে হওয়া টাই কাল হয়েছিল। লেগে থাকা উচিত ছিল। অথচ আমি ভাবছিলাম ভালো কোনো সুযোগ আসবে, যদিও আসে নি।

লেখাটা তড়িঘড়ি করে লেখা। তাও দেখা যাচ্ছে অনেকেই খুব কষ্ট পেয়েছেন (দ্বিতীয়াংশ লেখার সাহস পাচ্ছি না

২৭| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু, আমার কাছে আপনি যখন সিভিটা পাঠালেন তখন আমি দেখলাম যে আপনার সিভিতে শুধুমাত্র একাডেমিক ডিগ্রিগুলো ছাড়া আপনি আর কিছুই উল্লেখ করেন নি। আপনাকে আমি অনুরোধ করলাম গত সাত আট বছর আপনি কি করেছেন সেটা বাংলা ইংরেজী যে কোন ভাবে সিভিতে উল্লেখ করে, আপনি আমাকে পাঠান, আমি সিভিটা আপডেট করে দুএকটা যায়গায় পাঠাবো, কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনি আর যোগাযোগ করলেন না।

২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপডেটেট টা মনে হয় পাঠিয়েছিলাম। না কি ভুল হলো। আচ্ছা, আবার পাঠাচ্ছি।

২৮| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: না রূপক বিধৌত সাধু, পাঠাননি।

আপনার লেখা পড়ে আপনাকে হয়তো খুব ভালো করে নাও বুঝতে পারি। তবে আমার ধারনা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই হবে, পত্রিকা অফিসে বা কোন ম্যাস-মিডিয়া (টিভি চ্যানেল) জব। আমি জানি আপনার বর্তমান মানসিক অবস্থায় সিভি আপডেট করা একটা বিরক্তিকর কাজ, তারপরও মিডিয়ার জন্য যদি আলাদা করে একটা সিভি তৈরী করেন তবে সেটাও পাঠাতে পারেন।

২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সিভি আপডেট করা বিষয় না। সমস্যা হলো, সিভি বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছি। কাজ হচ্ছে না।

২৯| ২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি সেই একই সিভিটা আবার আমাকে পাঠিয়েছেন যেটাতে আপনি ২০১৪ তে বিবিএ এবং ২০১৫ তে এমবিএ করেছেন এই তথ্য ছাড়া আর কোন তথ্য নেই।

২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখনকার পাঠানো সিভিটা একটু চেক করুন। মোবাইল থেকে পাঠানোর সময় আপডেটেড এবং আপডেট ছাড়া টা পাশাপাশি ছিল। ভুলবশত একই সিভি পাঠালাম কি না।

৩০| ২৮ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১১

তারেক ফাহিম বলেছেন: অনার্স মাস্টার্স শেষ করা বেকার অনেককেই দেখছি, আপনার মত একজনও চোখে পড়েনি।

আমি নিজেও চাকরির জন্য অনেক খোঁজা-খুঁজি করছিলাম, গত সপ্তাহে বয়স শেষ হয়ে গেল সরকারি চাকরির।

এনজিও সংস্থা, কোর্চং সেন্টার, মার্কেটিং এগুলোতে লেগে থাকতে হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে ভালো কিছু করতে পারবেন না।
আমি দু-এক জায়গায় যুক্ত হয়ে আবার ছেড়ে দিয়েছি। এনজিওতে কাজ করতে গিয়ে কম্পিউটার চালানো শিখে গেলাম, কম্পিউটার কম্পোজ, ডাটা এন্টি, অনলাইন ভর্তি আবেদন এসব নিজ উদ্যোগে শিখে নিলাম।

অফিসের মাঝে মাঝে একটা কম্পিউটার-ফটোকপি দোকানে, সময় দিতাম। যা কাজ করতাম দোকানী আমাকে ৫০% হিসাব করে দিয়ে দিতো। অর্ধবেলায় ৭০০-১০০০ টাকা পেতাম। বাড়ীতে বাবাকে বলছিলাম, বাবা ২ লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে দিলো। সে টাকা দিয়ে জেলা শহরে একটা আইটি সেন্টার খুলে বসলাম, আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার প্রতি মাসে ৩৫-৩০ হাজার ইনকাম হয়।


আপনি শিক্ষিত জন, ব্লগিং করতে পারেন, লেখা-লেখিও ভালো। পার্টটাইম এমন কোন সুযোগ থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আপনার জন্য শুভকামনা।

২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কোচিং এবং মার্কেটিং এর চেয়ে এনজিওর কাজটা তুলনামূলক ভালো মনে হয়। কয়েক জায়গায় সিভি পাঠিয়েছিলাম, ডাকে নি। আপনার প্রস্তাবনা টা সুন্দর। দেখি কাজে লাগানো যায় কি না।

৩১| ২৮ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:০২

নীল আকাশ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল। নিজের উপর আস্থা হারাবেন না। জীবনে উত্থান পতন থাকেই। তবে মানুষ ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায়। আপনিও দাঁড়াবেন।

২৮ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৬

সোহানী বলেছেন: রুপক, তোমার দু'টো লিখায়ই পড়লাম। সাথে সবার মন্তব্য, সবার অসাধারন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার প্রবণতা কিংবা তোমার প্রতি সহমর্মিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে দু:খিত যে আমার মনে হয়েছে কিছু কথা তোমাকে বললেই নয়। বিশেষকরে উপরে জী ভাই ও শ্রাবণধারা মন্তব্য আমাকে ব্যাথিত করেছে।

দেখো রুপক, মাত্র দু'টো লিখায় তোমার কাছে বেশ কিছু সুযোগ তৈরী হয়েছে বা হয়েছিল। কিন্তু অবাক হলাম যে তুমি তার কোন সুযোগই নিতে পারোনি। মানুষ যখন চেস্টা করে সে খড়কুটো থেকেই প্রাসাদ তৈরী করতে পারে। তোমার কাছে যা এখনো আছে সেটার একটিই পারে তোমার ভাগ্য পরিবর্তনে।

তুমি কি মনে করেছো ইফতেখার, আমি, শ্রাবনধারা, গাজী ভাই, জী ভাই ........ প্রত্যেকের জীবনে সাফল্য এমনিই এসেছে? না আসেনি। আমরা খড়কুটু ধরেই এগিয়েছি। সে খড়কুটু অসংখ্যবার ভেসে গেছে, তারপরও সাহস হারাইনি, চেস্টা হারাইনি। সবচেয়ে বড় কথা কারো কাছে ডিপেন্ড হইনি। নিজেই নিজের চেস্টা করে গেছি।

আর আমার কাছে মনে হয়েছে তোমার টিউশিনি করার বাইরে আর কিছু যেন মাথায় নেই। তাহলে কেন তুমি বিসিএস এ চেস্টা করো না। সে চেস্টাতে তো কোন পয়সা লাগে না।

সরি, অনেক কড়া কথা বলে ফেল্লাম। বল্লাম কারন আমি চাই তোমার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসুক, অন্যের উপর ডিপেন্ডিন্সি না আসুক। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাও, দেখবে তুমি ঠিকই কিছু করতে পারছো।

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সত্যি বলতে চলার মতো অবস্থাই ছিল না। আপনি হয়ত জানেন একটা বিসিএস এপ্লাই করতে ৭০০ টাকা লাগে, পরীক্ষা দিতে গেলে কয়েকশো। আমার মাঝেমধ্যে এমন অবস্থা যায়, কী আর বলব। নিজে চলে সংসারকে টুকটাক সাহায্য করে পড়ালেখা করার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারি না। এই যেমন এখন ১২-১৪ ঘন্টা বাইরে থেকে শুধু পেটের ব্যবস্থাই করতে হয়, অন্য কাজ করব কখন? আর বিসিএস খুব দীর্ঘমেয়াদি প্রসেস। দুনিয়ার সব ভুলে ২-৩ বছর লেগে থাকতে হয়। এটা কি সম্ভব?

এটা সত্যি নিজের দুর্বলতা অনেক। কেমনে কেমনে যে এতদিন চলে গেল! জানি না কত কী করতে পারি।

৩৩| ০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৪

হাসান রাজু বলেছেন: আপনার মেইল চেক করুন। দেখি কি করা যায় আপনার জন্য।

০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আচ্ছা।

৩৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

লিযেন বলেছেন: আহারে জীবন X((

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জলে ভাসা পদ্ম যেমন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.