নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং- জঘন্য এক অনুশীলন

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৭

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং খুব প্রচলিত ঘটনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বোধকরি সবচেয়ে কুখ্যাত। ঢাবি, জগন্নাথও
কম যায় না। মেডিকেল, বুয়েটও আছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় কমবেশি
এর চর্চা চলে। জাতীয়ও বাদ না। ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজও এর অন্তর্ভুক্ত। এমনকি মেয়েদের হলেও চলে।
শোনা যায় ইডেন, জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েরা বেশি এগিয়ে।

শুধু হল এ চলে; এমন না। ক্যাম্পাস সংলগ্ন ছাত্রাবাসেও র‌্যাগিং চলে। যাকে এক প্রকার নির্যাতনও বলা চলে।
আদব-কায়দা শেখানোর নাম করে নিপীড়ন করা হয় শারীরিক এবং মানসিকভাবে। গত বছরও তো ঢাবির এক
শিক্ষার্থী তার ভর্তি বাতিল করে এলাকার এক কলেজে ভর্তি হয়েছিল। অনেকে চুপ করে সহ্য করে। পরবর্তীতে
সে একই কাজ করে জুনিয়রদের সাথে। এমনটাই বহুদিন ধরে চলে আসছে।

আগে বিষয়গুলো নিয়ে তেমন কথা বলা হতো না। যেমন বলা হতো না মাদ্রাসায় শিশু বলাৎকার নিয়ে। এখন
কোনকিছু চাপা থাকে না। সব দিনের আলোর মতো সামনে চলে আসে। তবুও যে পরিস্থিতির খুব পরিবর্তন হয়েছে,
ব্যাপারটা তেমন না। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনেকে তো কুকর্ম করেও ঘুরে বেড়ায়।

আমার পড়ালেখা প্রত্যন্ত এলাকায়। স্কুল, কলেজ; এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও ময়মনসিংহে। যদিও উপজেলা ভিন্ন।

১৮ বছরের আমি মাত্র ত্রিশালে গিয়েছি। কয়েকমাস ময়মনসিংহ সদরে কোচিং করলেও এই প্রথমবার কোন জায়গায়
অনেকদিন থাকার জন্য গেলাম। পথঘাট চিনি না। উঠলাম ‘খাদিজা ছাত্রাবাস’ নামে এক ছাত্রাবাসে। রুমমেট
নাহিদ নামের এক বড়োভাই। বাড়ি রংপুর।
লোক খারাপ না। তবে তুখোড় ধুমপায়ী। সারা ঘর সিগারেটের প্যাকেটে ভর্তি। পরিষ্কার করে কোনমতে রাত্রী
যাপন করলাম।

পরদিন পত্রিকা পড়তে গেলাম। রুমমেট বড়োভাই বললেন, সিনিয়ররা আগে পড়বে।
আমি থ। আমি যখন পত্রিকা হাতে নিই, কেউ ছিল না।


সন্ধ্যে নেমে এসেছে। আমি একটু বাইরে বের হব। হঠাৎ একজন ইশারায় একটা ঘর দেখিয়ে বলল, ওই ঘরে বড়ো
ভাইরা যেতে বলছে।
একটু বিব্রত আমি। কাউকে তেমন চিনি না। হঠাৎ কোথায় যাব? এমনিতেও মানুষের সাথে মেলামেশা কম আমার।

যেতে যেহেতেু বলছে, না গেলে হয়ত সমস্যা হবে। তাই সাহস করে গেলাম। যা হওয়ার হবে।

ঘরে প্রবেশ করে দেখি ১৫-২০ জন খাট, চেয়ারে বসে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনকে জেরা করছে।
আমি ভাবলাম হয়ত কোন অপরাধ করেছে, তাই জেরা করছে।

আমি দরজার কাছে দাঁড়ানো। দেখলাম বামপাশের এক কোণে চাপ দাড়িওয়ালা এক ছেলে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
চেহারা কাঁদো কাঁদো। পরবর্তীতে তার নাম জেনেছিলাম ফিরোজ। তার পাশে দাঁড়ানো একজনের চেহারা
ভীত-সন্ত্রস্ত। আরিফ নাম। বোধকরি একটু আগে তার ওপর ঝড় বয়ে গেছে। উভয়ের বাড়ি গাজীপুর।

আমার পাশে একজন কান ধরে দাঁড়িয়েছিল। বেশ লম্বা আবার ফর্সা ছেলেটার চেহারা লাল হয়ে আছে।
মিরাজ নাম। চট্টগামে তার বাড়ি।
তার সামনে একটা পত্রিকা। অর্ধ নগ্ন এক মডেলের ছবি দেখা যাচ্ছিল। তাকে বলা হলো মডেলের ছবিতে চুমো
দিতে। যা বলা হলো, ভয়ে তাই করল।

আরও অন্যদের বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হলো। এবার আমার পালা। বলল, ২ এর নামতা বল। মেজাজ খারাপ হয়ে
গেল। চেনা নেই, জানা নেই এমন কাউকে তুইতোকারি করে কেমনে মানুষ।
বিরক্ত হয়ে বললাম, ২ এর নামতা পারি না।

এটা বলাই কাল হলো আমার। ৩ ঘন্টা চলল অকথ্য গালিগালাজ। ইমরান নামের একজন ছিল তাদের সর্দার।
এছাড়াও মনির, জনি নামেও দুজন ছিল।

৩ ঘন্টা পর পাশের ঘরে নেওয়া হলো আমাকে। আমিনুল আর অপু নামের দুই বড়োভাইয়ের ঘর। অপু একটা
খোলামেলা ছবি দেখিয়ে বলল, এর বুকে চুমা দে।
আমি তো অপমানে বিবর্ণ হয়ে গেছি। যখন কথা শুনছি না, গালমন্দ শুরু এখানেও। চলল রাত ১০ টা পর্যন্ত।

বদরুল নামের এক ভাইয়ের সাথে এখানেই পরিচয় হয়েছিল। ওনি আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

রাতে ঘুম হলো না। প্রতিশোধ নিতে মন অস্থির। কিন্তু কেমনে? এখানে তো পরিচিত প্রভাবশালী কেউ নেই।

পরদিন ঘর থেকে বের হলাম। তৌহিদ নামের একজন ঘরে ডেকে নিল। তার সাথে সুমন নামের একজন। যতটা সম্ভব তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করল।

এই তৌহিদ সম্পর্কে শুনেছিলাম অর্থনীতির ফার্স্ট বয়। মেলাতে পারছিলাম না। এত জঘন্য যার ব্যবহার, সে ফার্স্ট
হলেই কী না হলেই কী! এ নাকি এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের বড়ো একটা পদে আছে। অনেক বছর আগে
ময়মনসিংহে একবার দেখা হয়েছিল। আগ বাড়িয়ে কথা বলেছিল। বিরক্ত মুখে উত্তর দিয়েছিলাম। হয়ত বুঝতে
পেরেছিল তাকে ক্ষমা করতে পারিনি। কেমনে ক্ষমা করব? ছাত্রাবাসে থাকাটা তো কঠিন করে তুলেছিল। তাও
কষ্ট করে ৬ মাস ছিলাম। যেদিন চলে আসব; সেদিনও সে খারাপ ব্যবহার করেছিল। এসব জানোয়ারকে কি
কখনো ক্ষমা করা যায়? অবশ্য সে ক্ষমা চায়ও নি।


আরও ঘটনা আছে। মারুফ নামের একজন ক্যাম্পাসে দুর্ব্যবহার করেছিল। এমন এমন কত ঘটনা যে আছে, মনে পড়লে খুব অসহায় বোধ করি। র‌্যাগিং যে কত ঘৃণ্য, ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যরা বুঝবে না।




বিঃদ্রঃ এখনকার উদ্ধত ছেলেমেয়েদের কিছুটা শিষ্টাচার শেখানোর দরকার আছে। তবে সেটা অবশ্যই সীমার মধ্যে রেখে। নিপীড়ন যেন না হয়ে যায়। আর যারা আগে থেকেই ভদ্র, তাদের নিশ্চয়ই বেশি কিছু শেখানো দরকার পড়ে না।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রেগিং এর কারণে আমার এক কলিগের ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছে। সে এখন একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এগুলি বন্ধ করা উচিত কঠোর হাতে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী যে ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়, অনেকের সহ্য করার ক্ষমতা থাকে না।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি রেগিং "কিছুটা" পছন্দ করেন; তা'হলে, সবার উচিত আপনার পছন্দ মতো রেগিং করা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সামাজিকতার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের সমাজে গুরুজনদের সামনে সিগারেট খাওয়া ভালো চোখে দেখা হয় না, শার্টের কলার খুলে চলাকে ভালো চোখে দেখা হয় না, উচ্চস্বরে নাচগানকে ভালো চোখে দেখা হয় না। এখন আপনি কি চান আপনার জুনিয়র সমানে বেয়াদবি করে চলুক?

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার শেষে এসে রেগিংকে সীমাবদ্ধভাবে পছন্দ করাটা ঘুরেফিরে সেই রেগিংকেই সমর্থন জোগাচ্ছে । শাস্তি দেবার জন্য সিভিলিয়ান কারও অধিকার নেই তাই না ?

এই দেশে সিনিয়রা জুনিয়রের ওপর সিনিয়র হবার কারণে যা করে বেরায় সেটাকে যখন মুরব্বিপনা বলে বেরানো হয় তখন আসলে তাদের এই বেয়াদপিকে বলা যায় বাদের প্রতিবাদ । তাই এখানে শাস্তি দেবার আগে নিজেদের পরিবর্তন করবার প্রয়োজন !!

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যা খুশি তাই করতে পারবে বলতে চাচ্ছেন?

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি তো বলিনি যে, জুনিয়র সমানে বেয়াদবি করে চলুক; আমি বলেছি যে, সবার উচিত আপনার পছন্দ মতো রেগিং করা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীকে বলুন আমাকে যেন বিশেষ একটা পদ দেয়। জাতিকে ভদ্রতা শেখানো দরকার।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



দেখা হলে বলবো।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আরও বলবেন, উন্নয়নের পাশাপাশি যেন জাতি গঠনে মনোযোগ দেয়।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: র‍্যাগিং প্রথা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই থাকা সমীচীন নয়। হাল্কাভাবেও নয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: র‌্যাগিং এর নামে রীতিমত নির্যাতন করা হয়। গেস্টরুম কালচার নামে পরিচিত।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ কথাটায় এসে সব এলোমেলো করে দিলেন :(

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিছুটা লাগাম টেনে ধরতে হয়। কিছু কিছু ছেলেমেয়ের হঠাৎ পাখা গজায়। বড়োছোটো জ্ঞান থাকে না।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যা খুশি তাই করুক এটা আমার চাওয়া নয় এবং বলাও নয় আমি বলতে চাইছি তাদের এই যা ইচ্ছা তাই করাটা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে মুরব্বিদের কিছু অন্যায়ের জন্য !

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মুরুব্বিরা অন্যায় করলে তার প্রতিকার আছে। এর মানে এই না যে বেয়াদবি করতে হবে। সবাই একসময় মুরুব্বি হয়। সেই সময় নিশ্চয়ই জুনিয়রদের বেয়াদবি ভালো লাগবে না।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সব বাদেরই প্রতিবাদ থাকে । প্রতিকার ব্যাপারটা কার হাতে থাকবে ? সেটাও তো মুরব্বিদের হাতে , তারা প্রতিকার না করলে তখন দ্রোহ ছড়িয়ে যায় প্রতিটি আঘাতপ্রাপ্ত মনে । আর আজকের অনুজ আগামীর অগ্রজ হলে সেও যদি এমন অন্যায় করে তবে তাকেও তো এসব সহ্য করতে হবে । আর যেখানে অগ্রজ সমাজে আদব সংজ্ঞায়িত নয় সেখানে বেয়াদবি সংজ্ঞায়িত করটা এক প্রকারের নিগ্রহ !


আপনি যদি আমার প্রসঙ্গের বাইরে বলতে চান যে অগ্রজরা অন্যায় না করলেও যদি বেয়াদবি করে তবে আমার ভাষ্য কী ? তার উত্তর আগেই দিয়েছি । সুশীল সমাজ কেন দণ্ড দেবে ? তার জন্য তো কর্তৃপক্ষ আছে তাই না ? তার জন্য রেগিং নামক অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করবার কোন মানে হয় না । রেগিং মানেই হলো কর্তুত্ব ও ক্ষমতার অনুশীলন করা । এটাকে ভাল বলে মনে করি না !!!

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক আছে।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: র‍্যাগিং এর উদ্দেশ্য কি ? খুব জরুরি বিষয় ?
আগে নবীনদের বরণ করা হতো , চমৎকার আয়োজনের মাধ্যমে।

আপনি র‍্যাগিংয়ের 'কিছুটা' পক্ষে শেষমেশ সেটাই বোঝা গেল। আপনার কিছুটার পরিধিটা একটু বলবেন কি ?

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: র্যাগিং বলতে এখন এক প্রকার অত্যাচারই বোঝানো হয়। অসহায় এক দল ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করা। আমি অবশ্যই এসবের বিপক্ষে। তবে কেউ ক্যাম্পাসে এসে উদ্ধতপনা বা অসংলগ্ন অবস্থায় চললে, বড়োদের মান্য না করলে তাদের হিতোপদেশ দেওয়া উচিত। আবার অনেকেই বলবে সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না; এটাও ঠিক অবশ্য।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩১

বিটপি বলেছেন: আপনি যে ঘটনা বললেন, তাতে যৌন হেনস্তা ছিলনা। কিন্তু ছাত্রী হলে সিনিয়র নেত্রীরা জুনিয়রদের গায়ে হাত দিয়ে যৌন হেনস্তাও করে থাকে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়না।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ক্যাম্পাসে সিনিয়রদের ছাত্রী কর্তৃক জুনিয়র ছেলেদেরও যৌন হেনস্থার অভিযোগ শোনা যায়।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: র‍্যাগিং এর নামে যে বর্বরতা চলছে তা সাধারণ ছাত্রদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। র‍্যাগিং এর নামে সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলা অসভ্যতা আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সহমত।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২১

ANIKAT KAMAL বলেছেন: জানা‌ছিলনা এখন জানলাম । সভ্যতার অহংকারই নগ্নতার ব‌হিঃপ্রকাশ । ( অামা‌কে কি কেউ হেল্প কর‌তে পা‌রেন অা‌মি ব্ল‌গে অা‌বেদন করব যে জেনা‌রেল ব্লগার হ‌তে সেফ ব্লগা‌রে ফিরা‌য়ে অানার জন্য )

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো ভালো পোস্ট করতে থাকুন। সেফ হয়ে যাবেন। এ ছাড়া ‘কাল্পনিক-ভালোবাসা’ বরাবর মেইল করতে পারেন।

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: র‍্যাগিং করতে হবে আনন্দময়।
অথচ কতিপয় নির্বোধ এটাকে বিভীষিকাময় করে তুলেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০

ইসিয়াক বলেছেন: শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে না, স্কুলেও র‍্যাগিং হয়।ঢাকার স্বনামধন্য একটা স্কুলে পড়তাম সেখানকার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আছে আমার। এখনও আমি সেই সব কথা মনে করতে চাই না।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঠাট্টা করা হয় জানতাম, স্কুলেও যে ভয়ানক র‌্যাগিং হয় জানা ছিল না। দুঃখজনক।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অতিরিক্ত সব কিছুই বিশ্রী। ক্লাসলেসরা র‍্যাগিং এর নামে যেগুলো করে এগুলো ছাগলামি মনে হয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেখা যায় এদের অনেকে বখাটে। করে না পড়ালেখা, যেখানে সেখানে গণ্ডগোল করে।

১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: র‍্যাগিং সম্পর্কে আগে আমার কোনো ধারণা ছিল না কারণ আমি যেখান থেকে অনার্স কমপ্লিট করেছি সেখানে র‍্যাগিং ছিল না। এখনকার কথা অবশ্য জানিনা সেভাবে। আমি এই দিক দিয়ে অনেক বেশি লাকি ছিলাম। অনলাইনে এমন লেখালেখি এবং ক্রাইম পেট্রোলে অনেক আগে একটা এপিসোড দেখে আমি র‍্যাগিং সম্পর্কে জানতে পারি। র‍্যাগিং জিনিসটা আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিত। কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মানুষ এই সব করতে পারেনা। দিন দিন এই দেশের মানুষের অধঃপতন হচ্ছে। সিনিয়ররা ফ্রেশারদের নিয়ে হালকা হাসি-ঠাট্টা করতে পারে। কিন্তু এইসব অসহ্য ফাজলামি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায়না। কবে যে এসব বন্ধ হবে!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখন র্যাগ যারা দেয় বেশিরভাগই মাদকাসক্ত। হিতাহিত জ্ঞানও থাকে না এদের। আবার অনেকে রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত থাকায় সাহস পায় যা খুশি করার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.