নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদে পদে প্রতারণা

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০১


বাড়িতে আমি, মা, মেজোবোন আর ছোটোবোন থাকি। আমার বয়স তখন ৯, মেজোবোনের ১১; আর ছোটোর ৭।
বাবা দেশের বাইরে।

একদিন ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক লোক এলেন আমাদের বাড়ি। জানালেন, বাবা কিছু জিনিস পাঠিয়েছেন ওনার
ভাইয়ের কাছে। সাগরদীঘি গিয়ে আমরা যেন নিয়ে আসি।

উল্লেখ্য, বাবা এর আগেও বিভিন্ন জনের কাছে জিনিসপত্র পাঠিয়েছেন। সুতরাং বিষয়টা আমাদের কাছে নতুন না।
খটকা একটু লাগল অবশ্য। প্রতিবার লোকেরা বাড়ি এসে জিনিস দিয়ে যায়। এবারই প্রথম গিয়ে নিয়ে
আসতে হচ্ছে।

জিনিস পাঠালে আগে থেকে জানান। এবার কেন জানালেন না; সেটা বোধগম্য হলো না। অবশ্য এখনকার মতো
সহজ যোগাযোগ তখন ছিল না। মোবাইল সহজপ্রাপ্য ছিল না। দূরের বাজারে গিয়ে ফোন করতে হতো।

বাবা লেখাপড়া জানতেন না। চিঠি লিখলে কাউকে দিয়ে লেখাতে হতো।
আমরা ধরে নিলাম হয়ত সময় পান নি।

যাহোক, লোকটাকে বেশ সমাদর করলাম আমরা। খেয়ে-দেয়ে ঘুম দিলেন। ঠিকানা দিয়ে বিকেলের দিকে বের হয়ে গেলেন।
যাওয়ার সময় ৪০০ টাকা চাইলেন। বাসা থেকে বেরোবার সময় টাকা আনতে মনে ছিল না।

মনে নাই থাকতে পারে। আমরা তাকে টাকা টা দিলাম।

মায়ের সাথে ওই লোকের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাজার থেকে মিষ্টিও নিলাম।

সাগরদীঘি নেমে ওই লোকটার খুঁজ করতে লাগলাম। সবাইকে তার ব্যাপারে জিগ্যেস করলাম। কিন্তু খোঁজ দিতে পারল না কেউ।

সম্প্রতি কে বিদেশ থেকে এসেছে এখানে, তার হদিস করলাম। দেখা হলো একজনের সাথে। ওনি আমার বাবাকে
চেনেন না।



অল্প বয়স থেকেই ছড়া লিখি, কবিতা লেখার চেষ্টা করি। প্রথম ছড়া টা ১০ বছর বয়সে লেখা। টুকটাক বইপত্রও পড়ি।

কলেজে উঠার পর হঠাৎ মাথায় ভূত চাপল বই করব। একটা বই থেকে একটা প্রকাশনীর ঠিকানা নিলাম। চলে এলাম বাংলাবাজার। খুঁজে বের করলাম প্রকাশনী টা। পান্ডুলিপি টা দিলাম। কথাবার্তা বললাম।

যুবক বয়সী লোক টা। হাজার পাঁচেক টাকা অগ্রিম চাইলেন। দিলাম। এরপর প্রচ্ছদ করতে একটা দোকানে পাঠালেন।

দুইদিন পর ফোন দিলাম। জানতে চাইলাম কাজ কতদূর। “এগোচ্ছে।” ওনি বললেন।
এদিকে লোকজনকে বলে বেড়াচ্ছি আমার বই বেরোচ্ছে। খুশির অন্ত নেই।

কয়েকদিন পর আবার ফোন দিলাম। নাম্বার বন্ধ।

আবার এলাম প্রকাশনীতে। যার সাথে চুক্তিনামা সই করেছি, তাকে দেখছি না। উপস্থিত একজনকে জিগ্যেস করলাম।
ওনি বিষয় টা এড়িয়ে গেলেন। বললেন, ”আপনি আবার পান্ডুলিপি টা দেন। আর ২ হাজার টাকা দেন। মান-সম্মানের
প্রশ্ন। নিজের ক্ষতি হলেও বই করে দেব।”

একদিন, দুদিন করতে করতে ওনিও ঘোরাচ্ছেন। এলাকায়ও মুখ দেখাতে পারছি না। সবাই বইয়ের কথা জিগ্যেস করে।

যাহোক, একসময় বই হাতে পেলাম। তবে কাগজের মান খারাপ। বানানেও প্রচুর ভুল।



চাকরির খুঁজে এসেছি গাজীপুর। ব্যবস্থা হচ্ছে না। হঠাৎ একদিন এক টা লিফলেট পেলাম দেয়ালে। একটা বীমা কোম্পানিতে
লোক নেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগ করলাম। ২ দিনে অনেককিছু বোঝাল। এন্ট্রি ফি নিল ১৫০০। টাকা নেই। ধার করলাম।
কয়েকদিন যাওয়ার পর বলল, বীমা করতে হবে।

বীমা যে করব, টাকা তো নেই।

আরেক টা বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ল। ভালো মনে হলো। ইউনিট ম্যানেজার পদে নিয়োগ। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে সেলারি বেশি।
ভাবলাম এখানেই আবেদন করি। কিন্তু সমস্যা একটাই। এখানেও বীমা করতে হবে।

খুব আশা নিয়ে গাজীপুর এসেছি। পেছনে ফেরার পথ নেই। ধার-দেনা করে বীমা করলাম। মাস শেষে বেতন পেয়ে
শোধ করে দেব।

দিন যায় কিন্তু কাজ যেমন বলা হয়েছিল তেমন দেখি না। নির্দিষ্ট বেতন নেই। লিফলেট টানিয়ে লোকজনকে বিভ্রান্ত
করে বীমা করানোই কাজ। এ ধরণের প্রতারণা করা তো আমার পক্ষে সম্ভব না।



কাজটা ক্যাবল টিভির। ওয়াইফাই, ডিশেরও ব্যবসা আছে। আমাকে নেওয়া হলো মূলত ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য।
সফটওয়্যার বেজড। টেকনিক্যাল কাজ তেমন পারি না। বলা হলো, ট্রেনিং করিয়ে নেবে। একদিন করলামও।

ডেকোরেশন সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। অনেক টাকা পয়সারও ব্যাপার।

প্রতিদিন অফিসে যাই। টুকটাক কাজও করি। এখানে সেখানে পাঠানো হয়। যাই।

মাস শেষ হয়। বেতন চাই। আজকে কালকে করতে করতে পেছায়। ঘন্টার পর ঘন্টা অফিসে বসিয়ে রাখে।

অথচ এর মধ্যে কোচিং, টিউশনি বাদ দিয়েছি। ভাবছিলাম চাকরিটাই ভালোভাবে করব। কিন্তু কী থেকে কী হয়ে গেল!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


প্রতারণার শিকার হয়ে নিজে প্রতারক হয়ে প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে করে?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: না।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "মানুষ ঠকানো কিংবা অন্যকে মেরে নিজে ভাল থাকা " এ এখন আমাদের সোনার বাংলার বেশীরভাগ মানুষেরই স্বাভাবিক চরিত্র হয়ে গেছে। এখন সেই তত সফল ,যে অন্যকে যত বেশী ঠকাতে পারে।

আর এদের পাল্লায় পড়ে কত শিক্ষার্থী-বেকার মানুষ সহ একটু খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকার আশা করা মানুষের জীবনে কত নির্মম ঘটনা ঘটে কিংবা কত পরিবারে যে কত করুন কাহিনী রচিত হয় - তার হিসাব কে রাখে।

তবে, তাতে করে তাদের কোন বোধোদয় নেই । কারন, এরা যে মানুষ রূপী অমানুষ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গাজীপুরের ঘটনা টা আমাকে কসাইয়ের নির্মমতা দেখিয়েছে। আমি মেস ভাড়া দিতে পারছিলাম না, খাবারে টাকা দিতে পারছিলাম না; এটা ওরা জানত।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহর হলো প্রতারনার শহর।
এই শহরে আপনাকে খুব হিসাব করে চলতে হবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
খুবই খারাপ অবস্থা! কতো রকমের ধান্দাবাজ যে ঘুরে বেড়ায় দেশ জুড়ে!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এভাবেই চলছে।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হুম, আমিও বীমার দালালি দিয়া শুরু করছিলাম। কিন্তু বাটপারিতে স্কলার হইতে পারিনাই বইল্যা পেশা বদল করতে হইছিল। জীবনভর কেবল বাটপারির শিকার হইয়াই গেলাম। সফল বাটপার হইতার্লাম্না!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বীমার কাজ পুরোটাই বাটপারি। এই লাইনে গিয়ে বুঝেছি।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি কোন বিষয়ে অনার্স পড়তে চেয়েছিলেন, কোন বিষয়ে পড়েছেন?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলা, ইংলিশ, ইতিহাস- এগুলো আমার পছন্দের বিষয় কিন্তু পড়তে হয়েছে Human Resource Management নিয়ে।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: ধান্দা বাজির ঠেলায় কত যে নাস্তানাবুদ হয়েছি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাটপারদের ওপর বাটপারি করে না চলতে পারলে টিকে থাকা কঠিন।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সাসুম বলেছেন: আপনি এইচ আর নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। আপনার উচিত এইচ আর এ কাজ করার চিন্তা করা। এইচ আর এ কাজ না পেলেও আপনার উচিত যেকোন ভাল যায়গায় কাজ করার চেষ্টা করা।

আপনি যে যে ভুল করেছেন- দেয়ালে সাটানো বিজ্ঞাপন দেখে বীমা করানো ধান্দাবাজ দের পাল্লায় পড়েছেন। আপনি পাল্লায় পড়েছেন চীটার বাটপার এর। আপনার জন্য করনীয়-

বাড়ি ফিরে যান। আগামি ৬ মাসের প্লান করুন। কস্ট করে ৬ মাস টীকে থাকার প্লান করুন। এই ৬ মাসে কি করবেন?


১। মাইক্রোসফট এক্সেল শিখেন- ইউটিউবে টিউটোরিয়াল এর অভাব নেই, নিজেকে মাইক্রোসফট এক্সেল এর রাজা বানিয়ে ফেলবেন, ডেইলি ২ ঘন্টা করে, টানা ৬ মাস , ৬ মাস পর ৩০০ ঘন্টার প্রেক্টিস আর লার্নিং আপনাকে বাজারে একজন এক্সেল এক্সপার্ট করে তুলবে। ভি লুকাপ থেকে শুরু করে পিভট টেবিল থেকে কমপ্লেক্স এল্গরিদম বানানো শিখে যাবেন।

২। ইংরেজি প্রেক্টিস করুন। কমিউনিকেশান থেকে শুরু করে ইউটিউব থেকে ঘেটে ঘেটে ইন্টারভিউ প্রিপারেশান নিন, এমন ভাবে নিজেকে তৈরি করুন যাতে করে কোথাও ইন্টারভিউ তে গিয়ে ফিরে আসতে না হয়।

৩। সেলস কিভাবে করবেন, মার্কেটিং কিভাবে করা যায়- এসব নিয়ে ইউটিউব গুগুল ঘেটে বের করেন। বাজারে সেলস জবের অভাব নেই।

৪। আপনার আশে পাশে এলাকার সুপারমার্কেটে বড় ব্রান্ডের মোবাইল কোম্পানিগুলোতে খোজ নেন, সেখানে প্রায় লোক নেয় সেলস এর। সেগুলাতে এপ্লাই করে। শুরুতে ৬ থেকে ১০ হাজার সেলারি হয় বাট বেশ আগানো যায় সেলস টার্গেট ফিলাপ করতে পারলে।

৫। ডেইলি ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে ব্যায় করুন আগামি ৬ মাস।

৬ মাস পর নতুন আপনি হবেন, বাজারে আপনার ডিমান্ড থাকবে, আপনাকে বেতন দিতে কোম্পানিগুলো আগ্রহী হবে।

আপ্নি এখন একজন ফ্রেশ জঞ্জাল, নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে, স্কিল বাড়িয়ে- এক্টা ফ্রেশ বাগান হয়ে উঠুন ৬ মাস কস্ট করে।

এরপর দেখেন কি হয়, ততদিন পর্যন্ত ওয়েলকাম।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এইচআর এ চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সুযোগ পাই নি। তারপর নিরুপায় হয়ে প্রাইভেট স্কুলগুলোয় ঢুকে পড়ি। পাশাপাশি টিউশনি। এভাবে যে কেমনে সময় চলে গেল টের পাই নি। দিন শেষে হিসেব কষে দেখি লাভের খাতায় শূন্য। ওসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতায় দুই পয়সার লাভ হয় নি। যা উপার্জন, তা ব্যয় হয়ে গেছে। করোনার সময় তো সব বন্ধ ছিল। তখন আরও দুরবস্থা।

আপনি যে স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথা বললেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্কিলগুলো থাকলে এতদিনে ভালো ভালো পজিশনে যাওয়া সম্ভব ছিল। এই যুগে কম্পিউটারে দক্ষতা না থাকলে চলেই না। এ দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। কিন্তু পারছি না। অন্য কাজেও যে ভালো করছি, তাও না। অথচ সময় ঠিকই চলে যাচ্ছে।

সামনের মাসে একটা ভালো সুযোগ এসেছে। দেখি কিছু করতে পারি কি না। স্কিল ডেভেলপমেন্টটাও করতে হবে।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৬

জগতারন বলেছেন:
রূপক বিধৌত সাধু পড়লাম আপনার বিড়ম্বনা কাহিনী।
কি ভাষা দিয়ে আপনাকে যে মন্তব্য লিখি.।.।.।

আজ থকে বহু বছর আগে আমিও আপনার মতো ঢাকায় এখানে সেখানে কোন কছু আরম্ভ করার আপ্রান চেষ্টা করেছিলাম।
সহযে পারি নাই। তার পর কি দিয়ে যেন মনে সিদ্ধান্ত নিলামঃ
"যা,শালার! আর কিছু নয়, বিদেশে আমাকে যেতেই হবে"
কারন দেশে থাকলে, এবং এখানে কিচ্ছু করতে হলে আমাকে দুর্নিতি করতেই হবে।
আমি যদি দুর্নিতিই করি তাহলে আমার এ মানব জন্মের অর্থ কি (!)
বিধাতা তো আমাকে এমন নিমত্ত্বে সৃষ্টি করেন নাই।
আজ অবধি বিদেশে যতটুক যা করেছি কোনও দুর্নিতির সাথে সংস্রব না করেই করেছি।
আল্লাহ্‌'র কাছে হাজার শুকুর!
বাংলাদেশী টাকায় আমি কয়েক কোটী টাকার মালিক, তবে অ্যামেরিকান
অর্থে এখনও মিলিনিয়ন'র মালিক হতে পারি নি; তবে সে পথেই আছি।

সবই মনের মধ্যে পরিকল্পনা ও প্রত্যয় স্থান দিয়ে নিজেকে নিয়োজিত হয়য়ে যাওয়া'ই মূখ্য।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার নিজেরও ব্যর্থতা কম ছিল না। অনেকে তো লড়াই করে ভালো অবস্থানে। আমি কেন পারলাম না!
ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ কখনো ছিল না। সৌদিতে যাওয়ার অপশন ছিল অবশ্য। পড়ালেখার কারণ দেখিয়ে যাওয়া হয় নি। এখন মনে হয় সেটাই ভালো ছিল।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫২

জগতারন বলেছেন:
আমার আগের আরও একটি বিষয় উল্লেখ করতে ভুলে গেছীঃ

আপনার কষ্টে ভরা এ আক্ষেপ;
পদে পদে প্রতারণা!"
-এর জন্য আপনি যতটুক প্রতারনা পাচ্ছেন ও কষ্ট পাচ্ছেন তার জন্য বড় ব্যার্থতা আমাদের দেশের প্রশাসনের।
আমাদের দেশের প্রশাসন এমন ব্যবস্থা করতে পারে নি;
যেখানে আপনার মত শিক্ষিত যুবক'রা সত্য ও ন্যায়-এর পথে থেকে জীবনে প্রতিঠীত হতে পারা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা এখন কঠিন। সময়টাই এমন যে যারে পারে ঠকাচ্ছে। প্রশাসরে কথা বলে কী হবে! সর্ষের মধ্যে ভূত ঢুকে বসে আছে।

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১২

কাছের-মানুষ বলেছেন: দুংখ্যজনক! আপনার জীবন একটি চক্রে আটকে গেছে, বের হতে পারছেন না! আমাদের-মত দেশের বেশীরভাগই মানুষই এই চক্রে আটকে থাকে! এখান থেকে বের হতে হবে যেভাবেই হোক! হতাশাজনক হলেও সত্যি চাকরী করেও যে অবস্থা খুব ভাল ফেরে তেমন না!

টিউশনি, কোচিং মচিং এর সাথে অন্য কিছু করা যায় কিনা দেখুন! যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থেকে ১-৬ মাস মেয়াধী বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়, যেমন মৎস্য, হাস মুরগী, অফিস ম্যানেজমেন্ট এবং এপ্লিকেশন, কম্পিউটার বেসিক, ইলিক্ট্রিক এন্ড হাউস ওয়ারিং ইত্যাদি! আমাদের এলাকায় আগে দেখতাম অনেকে হাস মুরগীর খামার করত ছাদের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে! আমার এক চাচাত ভাই হাস মুরগীর ফার্ম এবং পরে কোয়েল পাখির ফার্ম করেছিল। এখন বিয়ে বাড়িতে কোয়েলের ডিমান্ড অনেক বেশী! অনেকে এখন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছে, এতে বড় পুকুরের দরকার হয় না, অল্প জায়গায় করা যায়, আপনি টিউশনি/কোচিং পাশাপাশি শুরু করতে পারেন টাংকি বানিয়ে, তাছাড়া একুরিয়ামের মাছ চাষ করেও দেখতে পারেন! ভাল হয় এগুলো করে গ্রামেই কিছু করা যায় কিনা দেখেন! আমার মতে চাকরী থেকে নিজে কিছু করতে পারলে ভাল হয়!

আমি জানি উপদেশ দেয়া সহজ কিন্তু করা কঠিন! তবে আপনাকে এখান থেকে বের হতেই হবে!

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থেকে ১-৬ মাস মেয়াধী বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়, যেমন মৎস্য, হাস মুরগী, অফিস ম্যানেজমেন্ট এবং এপ্লিকেশন, কম্পিউটার বেসিক, ইলিক্ট্রিক এন্ড হাউস ওয়ারিং ইত্যাদি! আমাদের এলাকায় আগে দেখতাম অনেকে হাস মুরগীর খামার করত ছাদের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে! আমার এক চাচাত ভাই হাস মুরগীর ফার্ম এবং পরে কোয়েল পাখির ফার্ম করেছিল। এখন বিয়ে বাড়িতে কোয়েলের ডিমান্ড অনেক বেশী! অনেকে এখন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছে, এতে বড় পুকুরের দরকার হয় না, অল্প জায়গায় করা যায়, আপনি টিউশনি/কোচিং পাশাপাশি শুরু করতে পারেন টাংকি বানিয়ে, তাছাড়া একুরিয়ামের মাছ চাষ করেও দেখতে পারেন! ভাল হয় এগুলো করে গ্রামেই কিছু করা যায় কিনা দেখেন! আমার মতে চাকরী থেকে নিজে কিছু করতে পারলে ভাল হয়! এই বিষয়গুলো মাথায় আছে।

একই বৃত্ত থেকে বেরোনোর সুযোগ একটা দুটো আসছে। সফল হতে পারি কি না দেখি আগে।

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ এত বাটপার??

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কসাইও বটে।

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে।

আপনাকে মানুষ চিনতে হবে, বুঝতে হবে।
মানুষ চেনার কিছু সহজ উপায় আছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বেশি বিশ্বাস করে বিপদে পড়তে হয়।

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন আপনার অবস্থা কী রকম?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.