![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেখানে ছিলাম যখন তার যোনিকুঁড়ি নিজেকে মেলছিল ।
আমরা সবাই ছিলাম, তার মা, তার স্বামী এবং আমি,
এবং রাবারে মোড়ানো দুই হাত নিয়ে স্থিতধী সেবিকা
যোনির অনুভূতি, বাঁক এবং প্রাসঙ্গিক স্বল্পবাক নিয়ে
যিনি আকস্মিকভাবে একটি মানবকলে পরিনত হয়েছিলেন ।
আমি ঘরটির অদ্ভুত এক বাসিন্দা হয়ে দেখছিলাম
তীব্রতার সঙ্কোচনে মুচড়ে যাওয়া একটি যোনিকে,
যার গহ্বর থেকে অপার্থিব স্বর বেরিয়ে আসছিল
এবং সময়ে সময়ে বুনো চিৎকারে হাতলদুটিকে পিষ্ট করছিল তার ক্রোধের আঙুল ।
আমি সেখানে ছিলাম যখন তার যোনি পরিবর্তিত হছিল
একটি লাজুক যৌন গহ্বর থেকে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সুড়ঙ্গে,
পবিত্র সরোবর থেকে একটি ভেনিশীয় খালে,
একটি গভীর কুয়ায়, যেখানে আটকে পড়া ক্ষুদ্র শিশুটি অপেক্ষা করছিল
তার জীবনের জন্য ।
আমি তার যোনির রং দেখলাম । তারা পরিবর্তিত হয়েছিল ।
দেখলাম ভঙ্গুর আঁচরের মতো নীল,
বিস্ফোরিত টমেটোর মতো লাল,
ধূসর গোলাপী - অন্ধকার;
প্রান্ত বরাবর ঘামের মতো রক্ত,
হলদেটে, সাদা স্রাব, পয়ঃ বিন্দু মিশ্রিত জীবন
গর্ত ঠেলে বেরিয়ে আসছিল, প্রবল আরও প্রবলভাবে
আমি দেখলাম গর্তের ভেতরে শিশুটির মাথা,
আঁকিবুঁকির মতো কয়েক গাছি চুল, ঠিক পিছনেই হাড়ের আড়ালে বৃত্তাকার স্মৃতি,
ওদিকে সেবিকাটি তার পিচ্ছিল হাত নিয়ে ক্রমান্বয়ে ঘুরছিল আর ঘুরছিল ।
আমি সেখানে ছিলাম যখন আমাদের প্রত্যেকেই, তার মা এবংআমি,
আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে তার পা ধরেছিলাম
কেউ একজন দৃঢ় কণ্ঠে বলছিল, “এক, দুই, তিন"
তাকে বলা হচ্ছিল মনোযোগ আরও কেন্দ্রীভূত করতে
হয়ত তখন তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম ।
সত্যি বলতে ঐ স্থানটি থেকে আমরা নজর সরাতেই পারছিলাম না ।
আমরা যোনিটিকে ভুলেই গেলাম, প্রত্যেকে ...
এর ব্যাখ্যা কি হতে পারে
আমাদের সম্ভ্রমহানির ভয়, নিষ্ঠার অভাব ।
আমি সেখানে ছিলাম যখন চিকিৎসক
এলিসের আশ্চর্য জগতের চামচ নিয়ে এলেন
এবং তার যোনি অপেরা সঙ্গীতে মুখর হয়ে উঠল
প্রানপন;
প্রথমে ছোট্ট মাথাটুকু, তারপর ধূসর আচ্ছাদিত হাত, তারপর দ্রুত সন্তরণশীল শরীর,
দ্রুতই টুপ করে পড়ল আমাদের ক্রন্দনরত বাহুতে ।
আমি সেখানে ছিলাম তারপর যখন ঘুরে তার যোনির মুখোমুখি হলাম ।
আমি দাঁড়ালাম এবং নিজেকে দেখতে দিলাম তাকে, পুরো বিস্তৃত, পুরোপুরি উন্মুক্ত
বিকৃত, স্ফীত এবং বিদীর্ণ,
চিকিৎসকের এর হাত রক্তে মাখিয়ে যাচ্ছিল
যিনি শান্তভাবে তাকে সেলাই করছিলেন ।
আমি দাঁড়িয়ে রইলাম এবং হঠাৎ তার যোনি
প্রশস্ত স্পন্দিত লাল হৃদয়ে রুপান্তরিত হল ।
জানি হৃদয় উৎসর্গ করতে সক্ষম,
সেই মুহূর্তে জানলাম যোনিও তা পারে ।
হৃদয় ক্ষমা ও পুনর্নির্মাণ করতে পারে ।
নিজের আকৃতি পরিবর্তন করে যেন আমরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারি ।
প্রসারিত হতে পারে যেন আমরা বাইরেটাকে আলিঙ্গন করতে পারি ।
দুপায়ের মাঝে লজ্জাটিও তা পারে ।
আমাদের জন্য ব্যাথা সহ্য করে, নিজেকে বিদীর্ণ করে, আমাদের জন্য মরে
এবং রক্ত দেয়, রক্তাক্ত হয় এই কঠিন, বিস্ময়কর বিশ্বের ভালোবাসায় ।
আমি ঘরটিতে ছিলাম ।
আমি স্মরণ করতে পারি ।
From “The Vagina monologues” by Eve Ensler
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
ডানাহীন বলেছেন: সবকিছু বীভৎস ভাবে প্রকাশ করার বদভ্যাসটি আমার । মুল লেখাটিতে যোনিকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়াটাই মুখ্য ।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
ডানাহীন বলেছেন: ধন্যবাদ .. গুগলের চেয়ে ভালো অনুবাদ তো করছি !
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
ডানাহীন বলেছেন: আচ্ছা!
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪০
সকাল রয় বলেছেন:
ঘোরের মধ্যে আছি____
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
ডানাহীন বলেছেন: ঘোর না ঘর !
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ। ভাল লেগেছে ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
ডানাহীন বলেছেন: ধন্যবাদ । খারাপ লাগলেও বলবেন ।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফিরে আসার জন্য শুভেচ্ছা। আর এটা যে অনুবাদ প্রথমে বুঝতে পারিনি। ভেবেছি আপনার নিজেরই লেখা। অনুবাদ অসাধারন হয়েছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
ডানাহীন বলেছেন: শুভেচ্ছার জন্য কৃতজ্ঞতা । যদিও ফিরে আসার ব্যাপারটা আপেক্ষিক। আমার লেখা্র ধরন প্রায় একই ধাচের, এজন্যই বোধহয় আপনার ভ্রম হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪২
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: বেশ লাগলো।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
ডানাহীন বলেছেন: জনসাধারণের ভিড়ের মাঝে থেকেও এখানে এক নজর ফেলেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়তে গিয়েই মনে হচ্ছিলো অনুবাদ হবে এটা। বেশ ভালো হয়েছে, তবে শেষের দিকে (এটা... এটা) একটু আড়ষ্ট লাগলো।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
ডানাহীন বলেছেন: এঁটোকাঁটা ফেলে দিয়েছি হামা ভাই । অবশ্য পরিবেশনের পাত্রটি এখনো ঠিক পরিবেশনের যোগ্য হয়নি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লেগেছে আমার কাছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
ডানাহীন বলেছেন: জেনে খুশি হলাম । শুভকামনা আর ধন্যবাদ ।
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অরিজিনালটা যদিও পড়ি নাই, তাও মনে হচ্ছে একটু বেশি আক্ষরিক করে ফেলেছেন। আপনার লেখনীর হাত তো বেশ, সেটাকে আরেকটু বেশি ইউজ করে ভাবানুবাদ করলে বোধহয় আরো ভালো হত।
স্টিল কোয়াইট গুড।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
ডানাহীন বলেছেন: পড়তে পড়তেই অনুবাদ করেছি, আক্ষরিক তো হবেই । আর আমার লেখনীর হাত কতটা বেশ! তা আমি ভালোই বুঝি; তারপরেও আশা করার জন্য ধন্যবাদ ।
১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত।
আক্ষরিক করলেও ভালো, বেশ ভালো। ভেঙে ভেঙে যারা পড়ে তাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে।
তার মা, তার স্বামী এবং আমি এদের মিলটা বুঝতে পারি নি।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
ডানাহীন বলেছেন: দুর্দান্ত শব্দটা বাদ দিলেই পারতেন ।
এখানে লেখিকা স্রেফ একজন পর্যবেক্ষক । হয়ত একজন বন্ধু বা আত্মীয়া ।
১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২১
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: অনুবাদ কেমন হয়েছে বলতে পারছি না ,
তবে ভালো লাগলো ভাবানুবাদ ।
অনেক দিন পর পোস্ট দিলেন ।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
ডানাহীন বলেছেন: হুম, অনেকদিন পর । পড়েছেন, এতেই আমি খুশি ।
ভালো থাকবেন ।
১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার অনুবাদ কর্ম ৷
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
ডানাহীন বলেছেন: ধন্যবাদ ... দেখলেন তো বাকী রাখলেও আমি সেটা এক সময় না এক সময় পরিশোধ করেই দি ...
১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনাকে মনে পড়লে, তাই খোঁজ নিতে এলাম।
কি খবর আপনার? ব্লগিংটা যে একবার বন্ধ করে দিয়েছেন।
কি এত বড় কর্পোরেট হয়েছেন যে আমাদের এত অবহেলা করছেন??
চলে আসুন ডানাহীন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
ডানাহীন বলেছেন: কাউকে কাউকে ভুলে যাওয়াটা অনেক সময় প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে যতক্ষণ না মস্তিস্কের কোষগুলি মরে যেতে শুরু করে । আমরা বেঁচে আছি অথবা আমাদের স্মৃতি জেগে আছে দেখে ভালো লাগলো । বড় কিছু হয়ে যাইনি তবে কাজের পর নিজের আলসেমিকেও তো সময় দিতে হয় । আর লেখালেখির কথা যদি বলেন সে খুব কষ্টে রেখেছে, রোজ ভাবি, ভাবতে ভাবতেই হাটি,ভাবনার মাঝে স্বপ্নকে নিয়ে বসে থাকি, লিখি আবার মুছে ফেলি .. কিছুতেই নিজেকে মুগ্ধ করতে পারি না, আঘাত দিতে পারি না ।
ক্যামনে কি হবে বলেন । তবে লেগে আছি, পাগলের ভালোবাসা ও ঘৃণা দুইই মারাত্মক ।
১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে, তবে এর সাথে মূলটাও জুড়ে দিলে ভাল হতো। + +
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অনুবাদে বীভত্স ভাবার্থ টি সংক্রমিত হয়েছে। বেশ !