নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাপানের জন্য শোক

লিবিয়ায স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক।

আফরিন জাহান

You must remember that, you fighting against destiny. You have to make your own future.

আফরিন জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌসুমী ফল স্ট্রবেরীর পুষ্টিগুণ

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৮


আঠারো শতকে ফ্রান্সের একটি বাগানে ফল হিসাবে স্ট্রবেরীর প্রথম চাষ করা হয় বলে এটি ইউরোপীয় ফল হিসেবে প্রচলিত। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে আমাদের দেশে স্ট্রবেরীর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফলটি শুধু রঙে রূপেই বৈচিত্রময়, তাই নয়, একে পুষ্টির শক্তির ভান্ডার ও রোগপ্রতিরোধের মহা ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আসুন আজকে দৃষ্টিজুড়ানো এই ফলটির পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যরক্ষায় এই ফলের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু জেনে নেই। এক কাপ (১৬৬ গ্রাম) তাজা স্ট্রেবেরীতে আছে-

ক্যালরি ৫০ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম,
শর্করা ১১.৬৫ গ্রাম, ফাইবার ৩.৮১
গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৩.২৪ মিলিগ্রাম,
ম্যাগনেসিয়াম ১৬.৬০ মিলিগ্রাম,
সেলেনিয়াম ১.১৬ মিলিগ্রাম, আয়রণ
০.৬৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৯৪.১২
মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৪৪.৮২ আইইউ।

স্ট্রবেরী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মহাউত্স, এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এর
ভূমিকা অপরিসীম, যেমন-
ডায়াবেটিস
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরী রাখা হলে উল্লেখযোগ্যভাবে কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিসের জটিলতা কমাতে সহায়তা করে। স্ট্রবেরীকে কম গ্লাইসেমিক খাদ্য হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় অসাধারণ এই ফলটি স্টার্চি খাবারের গতি মন্থর করে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে স্ট্রবেরী ডায়াবেটিসকদের জন্য আদর্শ খাবার। এছাড়াও স্ট্রবেরী মেটাবলিজম-এর উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


হূদরোগ
আপনি কি হূদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় খুজচ্ছেন। তাহলে আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এই রঙিন ফলটি যোগ করতে পারেন, যা ফাইবার, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। জনস্বাস্থ্য হার্ভার্ড স্কুল-এর একজন গবেষক ড: ব্লজব এর মতে স্ট্রবেরী একটি রক্ত বায়োমার্কার, তাই হূদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য সপ্তাহে অন্তত: তিন দিন
স্ট্রবেরী খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। ক্যান্সার স্ট্রবেরীতে ক্যান্সার প্রতিরোধকারী উপাদান পটরস্টিলবণ নামক এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছেঠ প্রচুর পরিমাণে। তাই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মৌসুম অনুযায়ী এই সুস্বাদু ফলটি রাখা হলে ক্যান্সার থেকে দুরে থাকা যায় অনেকখানি। ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক টংচেন উল্লেখ করেছেন, খাদ্যনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধে স্ট্রবেরীর ভূমিকা অনেক।

চোখের স্বাস্থ্য
এই যুগে দৃষ্টিশক্তি সম্পর্কিত সকল সমস্যার প্রধানকারণ অপুষ্টি। স্ট্রবেরীতে রয়েছে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন-ফ্লাভোনয়েড, ফেনলিফ, এলাজিকএসিড, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ ও সি। ফলে শিশুদের কাছে স্ট্রবেরীকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তৈরী করুন স্ট্রেবেরী দিয়ে ফ্রুট সালাদ, মিল্ক শেক অথবা রকমারী ডেজার্ট।

বিষন্নতা
এই রঙিন টুকটুকে ফলটি শুধু দৃষ্টিই কাড়ে না, এতে বিদ্যমান ফোলেট বিষন্নতা দূর ও সুনিদ্রায় জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। কারণ ফোলেট শরীরে অতিরিক্ত হোমোসিস্টেইন তৈরীতে বাধা দিয়ে সেরোটোনিন, ডোপামিন এর মত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন সিক্রেশনে ভূমিকা রাখে যা সুনিদ্রা, মনকে প্রফূল্ল রাখে যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী।আজাকাল সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে ফলের দোকানেও সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে এই স্ট্রবেরী। তাই এই মৌসুমে নিজেকে সতেজ ও সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন এই মৌসুমী ফলটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলন। সুস্থ থাকুন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.